মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একদিকে কোম্পানিগুলোর অসম প্রতিযোগিতা, অন্যদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় আসা নতুন সরকার মেগা প্রকল্প নেয়নি। বরং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া প্রকল্পগুলের বেশির ভাগ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগও কমেছে। এককথায় সিমেন্ট খাত স্থবির রয়েছে। ফলে এ খাতে নতুন কর্মসংস্থানের পথ বন্ধ রয়েছে, তাতে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২০ সালের করোনার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়। এই মন্দার ধাক্কা পড়েছে নির্মাণ খাতে। একদিকে ডলার-সংকট, অন্যদিকে কাঁচামাল আমদানিতেও খরচ বেড়েছে। এর সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে এ খাতে।
জানতে চাইলে আমান সিমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খন্দকার কিংশুক হোসেইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫ আগস্টের পর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন, কিংবা বড় বড় স্থাপনার কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে যেখানে বছরে শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০-১২ শতাংশ, সেখানে গত চার মাসে ৪-৫ শতাংশ ঋণাত্মক হয়েছে। কারখানাগুলো সক্ষমতার ৫০ শতাংশ উৎপাদন করছে।
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) তথ্যমতে, দেশে ৩০টি বড় কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানির ৪০টি কারখানা রয়েছে। চলতি বছর কারখানাগুলো ৪ কোটি টন সিমেন্ট উৎপাদন করেছে। বিপরীতে এ সময়ে চাহিদা ছিল ৩ কোটি ১১ লাখ টন।
এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের কোম্পানিগুলোতে সিমেন্ট উৎপাদিত হয়েছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ টন; আর গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত একই সময়ে হয়েছে ৩ কোটি ১৮ লাখ টন। অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের একই সময়ে সিমেন্ট বিক্রি কমেছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তবে কোম্পানিগুলোর পরিসংখ্যানমতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর ২ কোটি ৭২ লাখ ৬৮ হাজার ৪২ টন সিমেন্ট বিক্রি হয়েছে; যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৬ টন। অর্থাৎ প্রায় এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে সিমেন্ট বিক্রি। ২০২২ সালে ছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭১ টন এবং ২০২১ সালে ছিল ৩ কোটি ৯১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩৮ টন।
জুলাই-অক্টোবর সময়ে মুনাফা কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৬টির। এগুলোর মধ্যে দুটি কোম্পানি মুনাফা থেকে লোকসানি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে মুনাফা বেড়েছে একটি কোম্পানির।
প্রতিষ্ঠানটি হলো কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি। জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৬ টাকা; যা ২০২৩ সালে ছিল ২ দশমিক ১৬ টাকা।
একই খাতের আরেক কোম্পানি ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতি শেয়ারে আয় হয়েছে ২৫ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩২ পয়সা। গত তিন মাসে লোকসান কিছুটা কমেছে আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের। সর্বশেষ তিন মাসে এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক শূন্য ২ টাকা।
একই সময়ে মুনাফা থেকে লোকসানের মুখে পড়েছে মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের শেয়ার। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ দশমিক ২৯ টাকা; যা ২০২৩ সালে ছিল ১৩ পয়সা। প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৪ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৫৪ পয়সা।
বহুজাতিক কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা। অথচ ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৪৮ পয়সা। এ ছাড়া লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় ৭৬ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৩৮ পয়সা।
কেন কমছে সিমেন্ট বিক্রি
সিমেন্ট কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তারা বলছেন, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫ থেকে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে সিমেন্ট খাতে। কিন্তু তারপর থেকে এই খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে; বিশেষ করে চলতি বছরের জুলাইয়ের পর থেকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তার পেছনে থাকা কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ইস্যু। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সরকারি প্রকল্পের স্থবিরতা, কমেছে নতুন প্রকল্প এবং বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ইকবাল চৌধুরী বলেন, প্রতিনিয়ত রাস্তায় আন্দোলন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় সিমেন্টের চাহিদা প্রায় অর্ধেক কমেছে। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঠিকাদারেরা পালিয়ে যাওয়ায় অনেক সরকারি প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি খাত থেকে সিমেন্টের চাহিদা কমেছে; যা বার্ষিক সিমেন্ট ব্যবহারের ৩৫ শতাংশ।

সুদিনে ফিরতে যা প্রয়োজন
ঋণাত্মক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে সিমেন্ট খাতে নীতিসহায়তা দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা থাকতে হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিমেন্ট খাতে এখন দুর্দিন যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প বাড়াতে হবে। নতুন করে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্বে অবস্থান
গ্লোবাল সিমেন্ট প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিশ্বে ৪১২ কোটি ৯০ লাখ টন সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়। তখন উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৬১৩ কোটি ৮০ লাখ টন। বাজারের আকার ছিল ৩৯৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এই আকারের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ২০তম। দুই বছর আগেও যা ছিল ২৩তম। দেশভিত্তিক সিমেন্ট ব্যবহারে শীর্ষে রয়েছে চীন। এর পরের অবস্থান ভারতের।
বাজার পরিস্থিতি
বাংলাদেশে প্রতি মাসে ৩০ লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদিত হয়। দেশের চাহিদা পূরণের পর বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে সিমেন্ট। মাসে ৬০-৭০ হাজার টন সিমেন্ট বিক্রি হচ্ছে। বছরে ৬ থেকে ৭ লাখ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়। বর্তমানে প্রতি বস্তা সিমেন্ট ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। গড়ে প্রতি টনের দাম ১২ হাজার টাকা। এ হিসাবে দেশে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার সিমেন্টের বাজার রয়েছে।
জনপ্রতি সিমেন্টের ব্যবহার
২০০৯ সালে দেশে জনপ্রতি সিমেন্টের ব্যবহার ছিল মাত্র ৬৫ কেজি। ২০২৩ সালে তা বেড়ে ২১৮ কেজি হয়েছে। ২০২২ সালে ছিল ২২৫ কেজি, ২০২১ সালে ছিল ২২৭ কেজি। তবে এখনো অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। চীনে মাথাপিছু সিমেন্টের ব্যবহার ১ হাজার ৭০০ কেজি। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও দেড় শ কেজির বেশি। শ্রীলঙ্কায় ৫০০ কেজি, মালয়েশিয়ায় ৫২৯ কেজি ও থাইল্যান্ডে এর ব্যবহার ৪২৫ কেজি। সিঙ্গাপুরে মাথাপিছু ১ হাজার ৭০০ কেজি সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি এম ফজলুল হক বলেন, শিল্পোৎপাদনে নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে এ খাত। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। এর পাশাপাশি শিল্প খাতের অন্যান্য খরচও বাড়ছে। এ ছাড়া ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমায় কেনাকাটাও কমেছে। গত মার্চ থেকে ভোক্তা মূল্যসূচক ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। শিল্প খাতের নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির কারণে অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারছে না।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, শিল্পোৎপাদন কমছে। কারণ, অভ্যন্তরীণ বাজারভিত্তিক ও রপ্তানিভিত্তিক—উভয় কারখানাই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিপুল জ্বালানি ব্যয়ের কারণে শিল্প খাত অনেক চাপে আছে, অন্যদিকে গ্যাস সরবরাহেও ঘাটতি আছে। তিনি বলেন, শিল্প খাতের দুর্বল প্রবৃদ্ধির কারণে অনেক কোম্পানি আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।
কর্মসংস্থান
পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে এই খাতে প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। উৎপাদন বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং সরকার এ খাত থেকে রাজস্ব আরও বেশি পাবে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ডলার ও জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যক্তিগত নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায় সিমেন্ট খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একদিকে কোম্পানিগুলোর অসম প্রতিযোগিতা, অন্যদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় আসা নতুন সরকার মেগা প্রকল্প নেয়নি। বরং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া প্রকল্পগুলের বেশির ভাগ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগও কমেছে। এককথায় সিমেন্ট খাত স্থবির রয়েছে। ফলে এ খাতে নতুন কর্মসংস্থানের পথ বন্ধ রয়েছে, তাতে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২০ সালের করোনার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়। এই মন্দার ধাক্কা পড়েছে নির্মাণ খাতে। একদিকে ডলার-সংকট, অন্যদিকে কাঁচামাল আমদানিতেও খরচ বেড়েছে। এর সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে এ খাতে।
জানতে চাইলে আমান সিমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খন্দকার কিংশুক হোসেইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫ আগস্টের পর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন, কিংবা বড় বড় স্থাপনার কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে যেখানে বছরে শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০-১২ শতাংশ, সেখানে গত চার মাসে ৪-৫ শতাংশ ঋণাত্মক হয়েছে। কারখানাগুলো সক্ষমতার ৫০ শতাংশ উৎপাদন করছে।
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) তথ্যমতে, দেশে ৩০টি বড় কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানির ৪০টি কারখানা রয়েছে। চলতি বছর কারখানাগুলো ৪ কোটি টন সিমেন্ট উৎপাদন করেছে। বিপরীতে এ সময়ে চাহিদা ছিল ৩ কোটি ১১ লাখ টন।
এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের কোম্পানিগুলোতে সিমেন্ট উৎপাদিত হয়েছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ টন; আর গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত একই সময়ে হয়েছে ৩ কোটি ১৮ লাখ টন। অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের একই সময়ে সিমেন্ট বিক্রি কমেছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তবে কোম্পানিগুলোর পরিসংখ্যানমতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর ২ কোটি ৭২ লাখ ৬৮ হাজার ৪২ টন সিমেন্ট বিক্রি হয়েছে; যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৬ টন। অর্থাৎ প্রায় এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে সিমেন্ট বিক্রি। ২০২২ সালে ছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭১ টন এবং ২০২১ সালে ছিল ৩ কোটি ৯১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩৮ টন।
জুলাই-অক্টোবর সময়ে মুনাফা কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৬টির। এগুলোর মধ্যে দুটি কোম্পানি মুনাফা থেকে লোকসানি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে মুনাফা বেড়েছে একটি কোম্পানির।
প্রতিষ্ঠানটি হলো কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি। জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৬ টাকা; যা ২০২৩ সালে ছিল ২ দশমিক ১৬ টাকা।
একই খাতের আরেক কোম্পানি ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতি শেয়ারে আয় হয়েছে ২৫ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩২ পয়সা। গত তিন মাসে লোকসান কিছুটা কমেছে আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের। সর্বশেষ তিন মাসে এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক শূন্য ২ টাকা।
একই সময়ে মুনাফা থেকে লোকসানের মুখে পড়েছে মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের শেয়ার। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ দশমিক ২৯ টাকা; যা ২০২৩ সালে ছিল ১৩ পয়সা। প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৪ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৫৪ পয়সা।
বহুজাতিক কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা। অথচ ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৪৮ পয়সা। এ ছাড়া লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় ৭৬ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৩৮ পয়সা।
কেন কমছে সিমেন্ট বিক্রি
সিমেন্ট কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তারা বলছেন, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫ থেকে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে সিমেন্ট খাতে। কিন্তু তারপর থেকে এই খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে; বিশেষ করে চলতি বছরের জুলাইয়ের পর থেকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তার পেছনে থাকা কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ইস্যু। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সরকারি প্রকল্পের স্থবিরতা, কমেছে নতুন প্রকল্প এবং বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ইকবাল চৌধুরী বলেন, প্রতিনিয়ত রাস্তায় আন্দোলন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় সিমেন্টের চাহিদা প্রায় অর্ধেক কমেছে। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঠিকাদারেরা পালিয়ে যাওয়ায় অনেক সরকারি প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি খাত থেকে সিমেন্টের চাহিদা কমেছে; যা বার্ষিক সিমেন্ট ব্যবহারের ৩৫ শতাংশ।

সুদিনে ফিরতে যা প্রয়োজন
ঋণাত্মক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে সিমেন্ট খাতে নীতিসহায়তা দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা থাকতে হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিমেন্ট খাতে এখন দুর্দিন যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প বাড়াতে হবে। নতুন করে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্বে অবস্থান
গ্লোবাল সিমেন্ট প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিশ্বে ৪১২ কোটি ৯০ লাখ টন সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়। তখন উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৬১৩ কোটি ৮০ লাখ টন। বাজারের আকার ছিল ৩৯৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এই আকারের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ২০তম। দুই বছর আগেও যা ছিল ২৩তম। দেশভিত্তিক সিমেন্ট ব্যবহারে শীর্ষে রয়েছে চীন। এর পরের অবস্থান ভারতের।
বাজার পরিস্থিতি
বাংলাদেশে প্রতি মাসে ৩০ লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদিত হয়। দেশের চাহিদা পূরণের পর বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে সিমেন্ট। মাসে ৬০-৭০ হাজার টন সিমেন্ট বিক্রি হচ্ছে। বছরে ৬ থেকে ৭ লাখ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়। বর্তমানে প্রতি বস্তা সিমেন্ট ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। গড়ে প্রতি টনের দাম ১২ হাজার টাকা। এ হিসাবে দেশে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার সিমেন্টের বাজার রয়েছে।
জনপ্রতি সিমেন্টের ব্যবহার
২০০৯ সালে দেশে জনপ্রতি সিমেন্টের ব্যবহার ছিল মাত্র ৬৫ কেজি। ২০২৩ সালে তা বেড়ে ২১৮ কেজি হয়েছে। ২০২২ সালে ছিল ২২৫ কেজি, ২০২১ সালে ছিল ২২৭ কেজি। তবে এখনো অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। চীনে মাথাপিছু সিমেন্টের ব্যবহার ১ হাজার ৭০০ কেজি। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও দেড় শ কেজির বেশি। শ্রীলঙ্কায় ৫০০ কেজি, মালয়েশিয়ায় ৫২৯ কেজি ও থাইল্যান্ডে এর ব্যবহার ৪২৫ কেজি। সিঙ্গাপুরে মাথাপিছু ১ হাজার ৭০০ কেজি সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি এম ফজলুল হক বলেন, শিল্পোৎপাদনে নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে এ খাত। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। এর পাশাপাশি শিল্প খাতের অন্যান্য খরচও বাড়ছে। এ ছাড়া ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমায় কেনাকাটাও কমেছে। গত মার্চ থেকে ভোক্তা মূল্যসূচক ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। শিল্প খাতের নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির কারণে অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারছে না।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, শিল্পোৎপাদন কমছে। কারণ, অভ্যন্তরীণ বাজারভিত্তিক ও রপ্তানিভিত্তিক—উভয় কারখানাই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিপুল জ্বালানি ব্যয়ের কারণে শিল্প খাত অনেক চাপে আছে, অন্যদিকে গ্যাস সরবরাহেও ঘাটতি আছে। তিনি বলেন, শিল্প খাতের দুর্বল প্রবৃদ্ধির কারণে অনেক কোম্পানি আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।
কর্মসংস্থান
পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে এই খাতে প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। উৎপাদন বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং সরকার এ খাত থেকে রাজস্ব আরও বেশি পাবে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ডলার ও জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যক্তিগত নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায় সিমেন্ট খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একদিকে কোম্পানিগুলোর অসম প্রতিযোগিতা, অন্যদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় আসা নতুন সরকার মেগা প্রকল্প নেয়নি। বরং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া প্রকল্পগুলের বেশির ভাগ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগও কমেছে। এককথায় সিমেন্ট খাত স্থবির রয়েছে। ফলে এ খাতে নতুন কর্মসংস্থানের পথ বন্ধ রয়েছে, তাতে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২০ সালের করোনার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়। এই মন্দার ধাক্কা পড়েছে নির্মাণ খাতে। একদিকে ডলার-সংকট, অন্যদিকে কাঁচামাল আমদানিতেও খরচ বেড়েছে। এর সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে এ খাতে।
জানতে চাইলে আমান সিমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খন্দকার কিংশুক হোসেইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫ আগস্টের পর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন, কিংবা বড় বড় স্থাপনার কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে যেখানে বছরে শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০-১২ শতাংশ, সেখানে গত চার মাসে ৪-৫ শতাংশ ঋণাত্মক হয়েছে। কারখানাগুলো সক্ষমতার ৫০ শতাংশ উৎপাদন করছে।
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) তথ্যমতে, দেশে ৩০টি বড় কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানির ৪০টি কারখানা রয়েছে। চলতি বছর কারখানাগুলো ৪ কোটি টন সিমেন্ট উৎপাদন করেছে। বিপরীতে এ সময়ে চাহিদা ছিল ৩ কোটি ১১ লাখ টন।
এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের কোম্পানিগুলোতে সিমেন্ট উৎপাদিত হয়েছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ টন; আর গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত একই সময়ে হয়েছে ৩ কোটি ১৮ লাখ টন। অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের একই সময়ে সিমেন্ট বিক্রি কমেছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তবে কোম্পানিগুলোর পরিসংখ্যানমতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর ২ কোটি ৭২ লাখ ৬৮ হাজার ৪২ টন সিমেন্ট বিক্রি হয়েছে; যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৬ টন। অর্থাৎ প্রায় এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে সিমেন্ট বিক্রি। ২০২২ সালে ছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭১ টন এবং ২০২১ সালে ছিল ৩ কোটি ৯১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩৮ টন।
জুলাই-অক্টোবর সময়ে মুনাফা কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৬টির। এগুলোর মধ্যে দুটি কোম্পানি মুনাফা থেকে লোকসানি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে মুনাফা বেড়েছে একটি কোম্পানির।
প্রতিষ্ঠানটি হলো কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি। জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৬ টাকা; যা ২০২৩ সালে ছিল ২ দশমিক ১৬ টাকা।
একই খাতের আরেক কোম্পানি ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতি শেয়ারে আয় হয়েছে ২৫ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩২ পয়সা। গত তিন মাসে লোকসান কিছুটা কমেছে আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের। সর্বশেষ তিন মাসে এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক শূন্য ২ টাকা।
একই সময়ে মুনাফা থেকে লোকসানের মুখে পড়েছে মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের শেয়ার। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ দশমিক ২৯ টাকা; যা ২০২৩ সালে ছিল ১৩ পয়সা। প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৪ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৫৪ পয়সা।
বহুজাতিক কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা। অথচ ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৪৮ পয়সা। এ ছাড়া লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় ৭৬ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৩৮ পয়সা।
কেন কমছে সিমেন্ট বিক্রি
সিমেন্ট কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তারা বলছেন, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫ থেকে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে সিমেন্ট খাতে। কিন্তু তারপর থেকে এই খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে; বিশেষ করে চলতি বছরের জুলাইয়ের পর থেকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তার পেছনে থাকা কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ইস্যু। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সরকারি প্রকল্পের স্থবিরতা, কমেছে নতুন প্রকল্প এবং বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ইকবাল চৌধুরী বলেন, প্রতিনিয়ত রাস্তায় আন্দোলন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় সিমেন্টের চাহিদা প্রায় অর্ধেক কমেছে। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঠিকাদারেরা পালিয়ে যাওয়ায় অনেক সরকারি প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি খাত থেকে সিমেন্টের চাহিদা কমেছে; যা বার্ষিক সিমেন্ট ব্যবহারের ৩৫ শতাংশ।

সুদিনে ফিরতে যা প্রয়োজন
ঋণাত্মক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে সিমেন্ট খাতে নীতিসহায়তা দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা থাকতে হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিমেন্ট খাতে এখন দুর্দিন যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প বাড়াতে হবে। নতুন করে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্বে অবস্থান
গ্লোবাল সিমেন্ট প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিশ্বে ৪১২ কোটি ৯০ লাখ টন সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়। তখন উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৬১৩ কোটি ৮০ লাখ টন। বাজারের আকার ছিল ৩৯৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এই আকারের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ২০তম। দুই বছর আগেও যা ছিল ২৩তম। দেশভিত্তিক সিমেন্ট ব্যবহারে শীর্ষে রয়েছে চীন। এর পরের অবস্থান ভারতের।
বাজার পরিস্থিতি
বাংলাদেশে প্রতি মাসে ৩০ লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদিত হয়। দেশের চাহিদা পূরণের পর বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে সিমেন্ট। মাসে ৬০-৭০ হাজার টন সিমেন্ট বিক্রি হচ্ছে। বছরে ৬ থেকে ৭ লাখ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়। বর্তমানে প্রতি বস্তা সিমেন্ট ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। গড়ে প্রতি টনের দাম ১২ হাজার টাকা। এ হিসাবে দেশে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার সিমেন্টের বাজার রয়েছে।
জনপ্রতি সিমেন্টের ব্যবহার
২০০৯ সালে দেশে জনপ্রতি সিমেন্টের ব্যবহার ছিল মাত্র ৬৫ কেজি। ২০২৩ সালে তা বেড়ে ২১৮ কেজি হয়েছে। ২০২২ সালে ছিল ২২৫ কেজি, ২০২১ সালে ছিল ২২৭ কেজি। তবে এখনো অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। চীনে মাথাপিছু সিমেন্টের ব্যবহার ১ হাজার ৭০০ কেজি। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও দেড় শ কেজির বেশি। শ্রীলঙ্কায় ৫০০ কেজি, মালয়েশিয়ায় ৫২৯ কেজি ও থাইল্যান্ডে এর ব্যবহার ৪২৫ কেজি। সিঙ্গাপুরে মাথাপিছু ১ হাজার ৭০০ কেজি সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি এম ফজলুল হক বলেন, শিল্পোৎপাদনে নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে এ খাত। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। এর পাশাপাশি শিল্প খাতের অন্যান্য খরচও বাড়ছে। এ ছাড়া ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমায় কেনাকাটাও কমেছে। গত মার্চ থেকে ভোক্তা মূল্যসূচক ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। শিল্প খাতের নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির কারণে অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারছে না।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, শিল্পোৎপাদন কমছে। কারণ, অভ্যন্তরীণ বাজারভিত্তিক ও রপ্তানিভিত্তিক—উভয় কারখানাই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিপুল জ্বালানি ব্যয়ের কারণে শিল্প খাত অনেক চাপে আছে, অন্যদিকে গ্যাস সরবরাহেও ঘাটতি আছে। তিনি বলেন, শিল্প খাতের দুর্বল প্রবৃদ্ধির কারণে অনেক কোম্পানি আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।
কর্মসংস্থান
পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে এই খাতে প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। উৎপাদন বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং সরকার এ খাত থেকে রাজস্ব আরও বেশি পাবে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ডলার ও জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যক্তিগত নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায় সিমেন্ট খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একদিকে কোম্পানিগুলোর অসম প্রতিযোগিতা, অন্যদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় আসা নতুন সরকার মেগা প্রকল্প নেয়নি। বরং আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নেওয়া প্রকল্পগুলের বেশির ভাগ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগও কমেছে। এককথায় সিমেন্ট খাত স্থবির রয়েছে। ফলে এ খাতে নতুন কর্মসংস্থানের পথ বন্ধ রয়েছে, তাতে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২০ সালের করোনার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়। এই মন্দার ধাক্কা পড়েছে নির্মাণ খাতে। একদিকে ডলার-সংকট, অন্যদিকে কাঁচামাল আমদানিতেও খরচ বেড়েছে। এর সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে এ খাতে।
জানতে চাইলে আমান সিমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খন্দকার কিংশুক হোসেইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৫ আগস্টের পর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন, কিংবা বড় বড় স্থাপনার কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে যেখানে বছরে শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০-১২ শতাংশ, সেখানে গত চার মাসে ৪-৫ শতাংশ ঋণাত্মক হয়েছে। কারখানাগুলো সক্ষমতার ৫০ শতাংশ উৎপাদন করছে।
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) তথ্যমতে, দেশে ৩০টি বড় কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানির ৪০টি কারখানা রয়েছে। চলতি বছর কারখানাগুলো ৪ কোটি টন সিমেন্ট উৎপাদন করেছে। বিপরীতে এ সময়ে চাহিদা ছিল ৩ কোটি ১১ লাখ টন।
এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালের কোম্পানিগুলোতে সিমেন্ট উৎপাদিত হয়েছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ টন; আর গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত একই সময়ে হয়েছে ৩ কোটি ১৮ লাখ টন। অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের একই সময়ে সিমেন্ট বিক্রি কমেছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তবে কোম্পানিগুলোর পরিসংখ্যানমতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর ২ কোটি ৭২ লাখ ৬৮ হাজার ৪২ টন সিমেন্ট বিক্রি হয়েছে; যা ২০২৩ সালে ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৬ টন। অর্থাৎ প্রায় এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে সিমেন্ট বিক্রি। ২০২২ সালে ছিল ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭১ টন এবং ২০২১ সালে ছিল ৩ কোটি ৯১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩৮ টন।
জুলাই-অক্টোবর সময়ে মুনাফা কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৬টির। এগুলোর মধ্যে দুটি কোম্পানি মুনাফা থেকে লোকসানি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে মুনাফা বেড়েছে একটি কোম্পানির।
প্রতিষ্ঠানটি হলো কনফিডেন্স সিমেন্ট পিএলসি। জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৬ টাকা; যা ২০২৩ সালে ছিল ২ দশমিক ১৬ টাকা।
একই খাতের আরেক কোম্পানি ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতি শেয়ারে আয় হয়েছে ২৫ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৩২ পয়সা। গত তিন মাসে লোকসান কিছুটা কমেছে আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের। সর্বশেষ তিন মাসে এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক শূন্য ২ টাকা।
একই সময়ে মুনাফা থেকে লোকসানের মুখে পড়েছে মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের শেয়ার। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩ দশমিক ২৯ টাকা; যা ২০২৩ সালে ছিল ১৩ পয়সা। প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৪ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৫৪ পয়সা।
বহুজাতিক কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৪ পয়সা। অথচ ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৪৮ পয়সা। এ ছাড়া লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় ৭৬ পয়সা; যা ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ৩৮ পয়সা।
কেন কমছে সিমেন্ট বিক্রি
সিমেন্ট কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তারা বলছেন, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৫ থেকে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে সিমেন্ট খাতে। কিন্তু তারপর থেকে এই খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে; বিশেষ করে চলতি বছরের জুলাইয়ের পর থেকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তার পেছনে থাকা কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ইস্যু। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সরকারি প্রকল্পের স্থবিরতা, কমেছে নতুন প্রকল্প এবং বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ প্রসঙ্গে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ইকবাল চৌধুরী বলেন, প্রতিনিয়ত রাস্তায় আন্দোলন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় সিমেন্টের চাহিদা প্রায় অর্ধেক কমেছে। গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঠিকাদারেরা পালিয়ে যাওয়ায় অনেক সরকারি প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি খাত থেকে সিমেন্টের চাহিদা কমেছে; যা বার্ষিক সিমেন্ট ব্যবহারের ৩৫ শতাংশ।

সুদিনে ফিরতে যা প্রয়োজন
ঋণাত্মক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে সিমেন্ট খাতে নীতিসহায়তা দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক গতিশীলতা থাকতে হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিমেন্ট খাতে এখন দুর্দিন যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প বাড়াতে হবে। নতুন করে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলতে হবে।
বিশ্বে অবস্থান
গ্লোবাল সিমেন্ট প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিশ্বে ৪১২ কোটি ৯০ লাখ টন সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়। তখন উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৬১৩ কোটি ৮০ লাখ টন। বাজারের আকার ছিল ৩৯৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। এই আকারের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ২০তম। দুই বছর আগেও যা ছিল ২৩তম। দেশভিত্তিক সিমেন্ট ব্যবহারে শীর্ষে রয়েছে চীন। এর পরের অবস্থান ভারতের।
বাজার পরিস্থিতি
বাংলাদেশে প্রতি মাসে ৩০ লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদিত হয়। দেশের চাহিদা পূরণের পর বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে সিমেন্ট। মাসে ৬০-৭০ হাজার টন সিমেন্ট বিক্রি হচ্ছে। বছরে ৬ থেকে ৭ লাখ টন সিমেন্ট রপ্তানি হয়। বর্তমানে প্রতি বস্তা সিমেন্ট ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। গড়ে প্রতি টনের দাম ১২ হাজার টাকা। এ হিসাবে দেশে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার সিমেন্টের বাজার রয়েছে।
জনপ্রতি সিমেন্টের ব্যবহার
২০০৯ সালে দেশে জনপ্রতি সিমেন্টের ব্যবহার ছিল মাত্র ৬৫ কেজি। ২০২৩ সালে তা বেড়ে ২১৮ কেজি হয়েছে। ২০২২ সালে ছিল ২২৫ কেজি, ২০২১ সালে ছিল ২২৭ কেজি। তবে এখনো অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। চীনে মাথাপিছু সিমেন্টের ব্যবহার ১ হাজার ৭০০ কেজি। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও দেড় শ কেজির বেশি। শ্রীলঙ্কায় ৫০০ কেজি, মালয়েশিয়ায় ৫২৯ কেজি ও থাইল্যান্ডে এর ব্যবহার ৪২৫ কেজি। সিঙ্গাপুরে মাথাপিছু ১ হাজার ৭০০ কেজি সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি এম ফজলুল হক বলেন, শিল্পোৎপাদনে নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির কারণে বেশ কিছু সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে এ খাত। একদিকে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। এর পাশাপাশি শিল্প খাতের অন্যান্য খরচও বাড়ছে। এ ছাড়া ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমায় কেনাকাটাও কমেছে। গত মার্চ থেকে ভোক্তা মূল্যসূচক ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। শিল্প খাতের নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির কারণে অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারছে না।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, শিল্পোৎপাদন কমছে। কারণ, অভ্যন্তরীণ বাজারভিত্তিক ও রপ্তানিভিত্তিক—উভয় কারখানাই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিপুল জ্বালানি ব্যয়ের কারণে শিল্প খাত অনেক চাপে আছে, অন্যদিকে গ্যাস সরবরাহেও ঘাটতি আছে। তিনি বলেন, শিল্প খাতের দুর্বল প্রবৃদ্ধির কারণে অনেক কোম্পানি আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।
কর্মসংস্থান
পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে এই খাতে প্রায় এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। উৎপাদন বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং সরকার এ খাত থেকে রাজস্ব আরও বেশি পাবে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ডলার ও জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যক্তিগত নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায় সিমেন্ট খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। দিনব্যাপী এই উৎসবমুখর ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে দেশের প্রতিটি স্থান থেকে আবুল খায়ের স্টিলের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। নামাজ ও খাবারের বিরতির পর একেএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সবার উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। বক্তব্যে কোম্পানির সাম্প্রতিক অর্জন ও মাইলফলকগুলো তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রড একেএস টিএমটি বি৭০০ সি-আরের সফল উৎপাদন। বিশ্বের দ্রুততম রোলিং মিল স্থাপন। একেএস এবং কাউ ব্র্যান্ড কালার কোটেড স্টিলের মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন।
এই আলোচনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং কর্মীদের সম্মিলিত সাফল্যের প্রতিচ্ছবিও উঠে আসে।
সন্ধ্যায় আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পর্বটি উদ্যাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ও লেজার শো উপস্থিত সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
সমাপনী ভাষণে একেএস পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান হয়। এরপর নৈশভোজ ও ডিজে সেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সলিরে সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে আনরিয়েলাইজড বা নগদায়ন না করা আয়ের ভিত্তিতে বোনাস দেওয়া আর্থিক শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থী। তাই এখন থেকে শুধু নির্ধারিত নিট মুনাফা অর্জন করতে পারলেই উৎসাহ বোনাস দেওয়ার অনুমতি পাবে ব্যাংকগুলো।
আরও বলা হয়, পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো ধরনের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না। রেগুলেটরি মূলধন বা প্রভিশনের ঘাটতি থাকলে বোনাস দেওয়া নিষিদ্ধ। প্রভিশন সংরক্ষণে বাড়তি সময় পাওয়া ব্যাংকগুলোও সেই সময়কাল মুনাফা হিসাবের ক্ষেত্রে দেখাতে পারবে না। বোনাস প্রদানে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন কর্মসূচির উন্নতি ও খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারে দৃশ্যমান সাফল্য বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে, যেখানে নিট মুনাফা ছাড়া বোনাস না দেওয়ার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তবে কোনো ব্যাংক নির্দিষ্ট সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিশেষ বোনাসের জন্য আবেদন করতে পারবে।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ভ্যাটব্যবস্থাকে পুরোপুরি ডিজিটাল ও সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক নতুন পর্যায়ে এগোচ্ছে। মাত্র একটি ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধের সুযোগ ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে এবং বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহারও শুরু করেছে।
এনবিআর জানিয়েছে, শিগগির এ পদ্ধতি সারা দেশে চালু করা হবে, যাতে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভ্যাটের আওতায় আসে এবং নিবন্ধন ছাড়া আর কেউ ব্যবসা চালাতে না পারে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশের বড় একটি অংশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে। আগামী বছর এমন একটি মেকানিজম চালু করা হবে, যার মাধ্যমে ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসার সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে নিবন্ধিত ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠান ৬ লাখ ৪৪ হাজার; লক্ষ্য আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে তা ৩০ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করা। শুধু চলতি মাসেই ১ লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব’—ধরে আগামীকাল বুধবার সারা দেশে ভ্যাট দিবস পালিত হবে। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর চলবে ভ্যাট সপ্তাহ। তবে নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এ বছরও স্থগিত থাকছে ভ্যাট পুরস্কার।
রিটার্ন জমাদানেও বড় পরিবর্তন আসছে বলে জানান মো. আবদুর রহমান খান। গত অর্থবছরে ১৭ লাখ ই-রিটার্ন জমা পড়লেও চলতি অর্থবছরে তা ৪০ লাখে পৌঁছানোর আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ২২ লাখ রিটার্ন। ভ্যাট আদায়েও গতি এসেছে—গত অর্থবছরে মোট রাজস্বের ৩৮ শতাংশ এসেছে ভ্যাট থেকে আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই ভ্যাট আদায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২২ শতাংশ।
করদাতাদের ঝামেলা কমাতে ই-রিটার্নে ব্যবহৃত ব্যাংকসংক্রান্ত চারটি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আবদুর রহমান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা মনে করেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা এসব তথ্য দেখতে পারবেন—এটি ভুল ধারণা।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে কেন—এ প্রশ্নের জবাবে আবদুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বাস্তব প্রয়োজন থেকেই এ লক্ষ্য নির্ধারণ। তবে কারও ওপর হয়রানি বা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করা হবে না; মূলত যাঁরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই কঠোরতা বাড়ানো হবে।
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত; এককভাবে এনবিআর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) মো. আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধির ধারায় হঠাৎ আশঙ্কাজনক হারে কমছে সিমেন্টের চাহিদা। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার পাশাপাশি অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমেছে। তাতেই শিল্পটি প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে ঋণাত্মক ধারার মুখে পড়েছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের স্টিল (একেএস) ৬ ডিসেম্বর তাদের সব কর্মীকে নিয়ে ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
১৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ ডসিম্বের) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণের পর নিট মুনাফা অর্জন না করলে কোনো ব্যাংকই আর উৎসাহ বোনাস দিতে পারবে না। পাশাপাশি মূলধন সংরক্ষণ ঘাটতি, প্রভিশন ঘাটতি বা পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকেই বোনাস দেওয়ার পথও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে