নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের তীব্র আপত্তির পরও বাড়ল গ্যাসের দাম। নতুন শিল্পের জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ৩৩ শতাংশ। এর ফলে প্রতি ইউনিটে ১০ টাকা বাড়তি দিতে হবে তাঁদের। পুরোনো শিল্পকারখানায় অনুমোদিত লোডের বাইরে অতিরিক্ত ব্যবহারে দিতে হবে বাড়তি দাম। প্রতিশ্রুত শিল্প গ্রাহকদের অনুমোদিত লোডের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহারে বাড়তি দাম দিতে হবে।
আজ রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ওই প্রেস ব্রিফিংয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এই ঘোষণা দেন।
এতে জ্বালানির দামে বৈষম্য তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের উৎপাদনমুখী শিল্প খাত চরম চাপের মধ্যে পড়বে বলেও জানান তাঁরা। তাঁরা বলছেন, ‘বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এখন আমাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। কিন্তু সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উৎপাদন খরচ আরও বাড়িয়ে দিল।’ এই সিদ্ধান্তের ফলে স্থানীয় বিনিয়োগের সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও ঝুঁকিতে পড়বে বলে জানান তাঁরা।
ব্যবসায়ীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, এর আগে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের কথা বলে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শিল্পে ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয় গ্যাসের দাম। শিল্প ও ক্যাপটিভে প্রতি ইউনিটের দাম করা হয় ৩০ টাকা। পরে গত বছর ক্যাপটিভে দাম বাড়িয়ে করা হয় ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু দুই বছর পরও শিল্পে গ্যাস–সংকট কাটেনি।
বর্তমানে দেশে গ্যাসের দিনে অনুমোদিত লোড ৫৩৫ কোটি ঘনফুট। এর বিপরীতে দিনে ৩৮০ থেকে ৪০০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয় ২৮০ থেকে ৩০০ কোটি ঘনফুট। এতে ঘাটতি থাকছে দিনে ১০০ থেকে ১২০ কোটি ঘনফুট।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (ডিসিসিআই) বলেছে, দেশের শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত না করে পুনরায় দাম বাড়ানো নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের শিল্প খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ঢাকা চেম্বার মনে করে, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ব্যবসার খরচ কয়েকগুণ বাড়বে। গ্যাসের এমন মূল্যবৃদ্ধি বিনিয়োগের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, নতুন শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনা কমাবে ও বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করবে। ফলে রপ্তানিমুখী শিল্পের বিশেষ করে আরএমজি, সিরামিক ও স্টিল উৎপাদন খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যেহেতু এ খাতগুলো গ্যাসনির্ভর, যা আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে দুর্বল করে তুলবে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে ছোট ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে, কারণ তারা অতিরিক্ত খরচ বহন করতে সক্ষম নয়। যদিও সরকার রাজস্ব বাড়ানোর স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তদুপরি শিল্প খাতের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সময়োপযোগী নীতি সহায়তা প্রয়োজন। পাশাপাশি জ্বালানির মূল্য প্রেডিকটেবল রাখতে রপ্তানিকারক দেশসমূহের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিল্প ও ভোক্তাদের ওপর চাপ কমানো প্রয়োজন।
ভোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের তীব্র আপত্তির পরও বাড়ল গ্যাসের দাম। নতুন শিল্পের জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ৩৩ শতাংশ। এর ফলে প্রতি ইউনিটে ১০ টাকা বাড়তি দিতে হবে তাঁদের। পুরোনো শিল্পকারখানায় অনুমোদিত লোডের বাইরে অতিরিক্ত ব্যবহারে দিতে হবে বাড়তি দাম। প্রতিশ্রুত শিল্প গ্রাহকদের অনুমোদিত লোডের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহারে বাড়তি দাম দিতে হবে।
আজ রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ওই প্রেস ব্রিফিংয়ে বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এই ঘোষণা দেন।
এতে জ্বালানির দামে বৈষম্য তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের উৎপাদনমুখী শিল্প খাত চরম চাপের মধ্যে পড়বে বলেও জানান তাঁরা। তাঁরা বলছেন, ‘বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এখন আমাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে। কিন্তু সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উৎপাদন খরচ আরও বাড়িয়ে দিল।’ এই সিদ্ধান্তের ফলে স্থানীয় বিনিয়োগের সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও ঝুঁকিতে পড়বে বলে জানান তাঁরা।
ব্যবসায়ীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, এর আগে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের কথা বলে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শিল্পে ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয় গ্যাসের দাম। শিল্প ও ক্যাপটিভে প্রতি ইউনিটের দাম করা হয় ৩০ টাকা। পরে গত বছর ক্যাপটিভে দাম বাড়িয়ে করা হয় ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু দুই বছর পরও শিল্পে গ্যাস–সংকট কাটেনি।
বর্তমানে দেশে গ্যাসের দিনে অনুমোদিত লোড ৫৩৫ কোটি ঘনফুট। এর বিপরীতে দিনে ৩৮০ থেকে ৪০০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয় ২৮০ থেকে ৩০০ কোটি ঘনফুট। এতে ঘাটতি থাকছে দিনে ১০০ থেকে ১২০ কোটি ঘনফুট।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (ডিসিসিআই) বলেছে, দেশের শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত না করে পুনরায় দাম বাড়ানো নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের শিল্প খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ঢাকা চেম্বার মনে করে, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ব্যবসার খরচ কয়েকগুণ বাড়বে। গ্যাসের এমন মূল্যবৃদ্ধি বিনিয়োগের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, নতুন শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনা কমাবে ও বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করবে। ফলে রপ্তানিমুখী শিল্পের বিশেষ করে আরএমজি, সিরামিক ও স্টিল উৎপাদন খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যেহেতু এ খাতগুলো গ্যাসনির্ভর, যা আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে দুর্বল করে তুলবে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে ছোট ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে, কারণ তারা অতিরিক্ত খরচ বহন করতে সক্ষম নয়। যদিও সরকার রাজস্ব বাড়ানোর স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তদুপরি শিল্প খাতের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সময়োপযোগী নীতি সহায়তা প্রয়োজন। পাশাপাশি জ্বালানির মূল্য প্রেডিকটেবল রাখতে রপ্তানিকারক দেশসমূহের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিল্প ও ভোক্তাদের ওপর চাপ কমানো প্রয়োজন।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে পুঁজিবাজারবান্ধব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। গতকাল সোমবার বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, এ বাজেট পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং বাজারের টেকসই...
১০ মিনিট আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট সেবায় উৎসে কর কমানো হলেও মোবাইল ডিভাইসের মূল্য না কমালে এর সুফল মিলবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার বাজেট ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটি এই মন্তব্য করে।
১ ঘণ্টা আগেদেশের ইতিহাসে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। কিন্তু এই বছর ৪ লাখ কোটি টাকা আদায় করা যাবে কিনা, তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় কীভাবে সম্ভব হবে, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অর্ধেকে নেমে গেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ। এবারের বাজেটে এ খাতে ২ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রায় অর্ধেক।
৩ ঘণ্টা আগে