আঞ্চলিক বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোট ‘ব্যাপক আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব বা রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড ইকোনমিক পার্টনারশিপে (আরসিইপি)’ যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। জোটটির অন্যতম শীর্ষ অংশীদার বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন। বিষয়টি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী ভারতকে ভাবিয়ে তুলেছে। এই অবস্থায় ঢাকার সঙ্গে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাস্তবায়নের ফলাফল কেমন হবে সে বিষয়টি মূল্যায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সপ্তম বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হলো বাংলাদেশ। নানা কারণেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের লাভের পাল্লাই বেশি ভারী। বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানিও করে সবচেয়ে বেশি। ভারতের পরপরই বাংলাদেশ চীন থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে।
ভারতের উদ্বেগের কারণ হলো—বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান হারে আমদানির জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ঢাকা যদি আরসিইপিতে যোগ দেয়, তাহলে এই নির্ভরশীলতা আরও বাড়তে পারে এবং সেটি হবে ভারতের চিন্তার কারণ। ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ আরসিইপিতে যোগ দিলে ভারত বাংলাদেশে কী পরিমাণ বাজার হারাতে পারে তার যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। এই অবস্থায় আরসিইপিভুক্ত দেশগুলোতেও ভারতকে নতুন করে বাজার খুঁজতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভারতকে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, জোটে ভারতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে বাংলাদেশ।
ভারত সরকারের একটি সূত্র বিষয়টি স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউরোপীয় ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত দেশগুলো ২০২৯ সাল পর্যন্ত জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস বা জিএসপি সুবিধা বর্ধিত করতে সম্মত হয়েছে। এই অবস্থায় আমাদের বিষয়গুলোর যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে যাতে আমরা একটি পরিস্থিতিতে উপনীত হতে পারি যেখানে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্ভব হবে।’
যদিও বাংলাদেশ এখনো আনুষ্ঠিকভাবে আরসিইপিতে আবেদন করেনি। তবে আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের পরপরই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। সম্মিলিত জিডিপির ভিত্তিতে আরসিইপিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্তবাণিজ্য জোট বলা হচ্ছে। আরসিইপি মূলত ১০ সদস্যবিশিষ্ট আসিয়ানের একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি। যেখানে আরও পাঁচটি দেশ—নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানেরও অংশগ্রহণ রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে,২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ যখন স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে যাবে তার আগেই দুই দেশের মধ্যে একটি ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব সমঝোতা বা সিইপিএ তৈরির বিষয়ে যাবতীয় আলোচনা শেষ করা হবে।
ভারতীয় বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করা বাংলাদেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিন বছর পর বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) অধীনে ভারতের কাছ থেকে পাওয়া এলডিসি ছাড়গুলো আর পাবে না। এ কারণেই বাংলাদেশ ১১টি দেশের সঙ্গে নতুন মুক্তবাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে চাইছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো মুক্তবাণিজ্য চুক্তি নেই।
উল্লেখ্য, ২০২৩ অর্থবছরে ২০২২ অর্থবছরের তুলনায় বাংলাদেশে রপ্তানি এক-চতুর্থাংশ কমে ১২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে ভারতের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে শিল্পপণ্য, তুলা, বিদ্যুৎ এবং খাদ্যসামগ্রী অন্যতম। রপ্তানির তুলনায় বাংলাদেশ থেকে আমদানি বরাবরই কম তবে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে আমদানি ১০ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারত বাংলাদেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে তার মধ্যে লোহা ও ইস্পাত পণ্য, টেক্সটাইল ও চামড়াজাত পণ্য উল্লেখযোগ্য।
আঞ্চলিক বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোট ‘ব্যাপক আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব বা রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড ইকোনমিক পার্টনারশিপে (আরসিইপি)’ যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। জোটটির অন্যতম শীর্ষ অংশীদার বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন। বিষয়টি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী ভারতকে ভাবিয়ে তুলেছে। এই অবস্থায় ঢাকার সঙ্গে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাস্তবায়নের ফলাফল কেমন হবে সে বিষয়টি মূল্যায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সপ্তম বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হলো বাংলাদেশ। নানা কারণেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের লাভের পাল্লাই বেশি ভারী। বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানিও করে সবচেয়ে বেশি। ভারতের পরপরই বাংলাদেশ চীন থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে।
ভারতের উদ্বেগের কারণ হলো—বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান হারে আমদানির জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ঢাকা যদি আরসিইপিতে যোগ দেয়, তাহলে এই নির্ভরশীলতা আরও বাড়তে পারে এবং সেটি হবে ভারতের চিন্তার কারণ। ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ আরসিইপিতে যোগ দিলে ভারত বাংলাদেশে কী পরিমাণ বাজার হারাতে পারে তার যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। এই অবস্থায় আরসিইপিভুক্ত দেশগুলোতেও ভারতকে নতুন করে বাজার খুঁজতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভারতকে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, জোটে ভারতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে বাংলাদেশ।
ভারত সরকারের একটি সূত্র বিষয়টি স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউরোপীয় ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত দেশগুলো ২০২৯ সাল পর্যন্ত জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস বা জিএসপি সুবিধা বর্ধিত করতে সম্মত হয়েছে। এই অবস্থায় আমাদের বিষয়গুলোর যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে যাতে আমরা একটি পরিস্থিতিতে উপনীত হতে পারি যেখানে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্ভব হবে।’
যদিও বাংলাদেশ এখনো আনুষ্ঠিকভাবে আরসিইপিতে আবেদন করেনি। তবে আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের পরপরই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। সম্মিলিত জিডিপির ভিত্তিতে আরসিইপিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্তবাণিজ্য জোট বলা হচ্ছে। আরসিইপি মূলত ১০ সদস্যবিশিষ্ট আসিয়ানের একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি। যেখানে আরও পাঁচটি দেশ—নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানেরও অংশগ্রহণ রয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে,২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ যখন স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে যাবে তার আগেই দুই দেশের মধ্যে একটি ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব সমঝোতা বা সিইপিএ তৈরির বিষয়ে যাবতীয় আলোচনা শেষ করা হবে।
ভারতীয় বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে একটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করা বাংলাদেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিন বছর পর বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) অধীনে ভারতের কাছ থেকে পাওয়া এলডিসি ছাড়গুলো আর পাবে না। এ কারণেই বাংলাদেশ ১১টি দেশের সঙ্গে নতুন মুক্তবাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে চাইছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো মুক্তবাণিজ্য চুক্তি নেই।
উল্লেখ্য, ২০২৩ অর্থবছরে ২০২২ অর্থবছরের তুলনায় বাংলাদেশে রপ্তানি এক-চতুর্থাংশ কমে ১২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে ভারতের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে শিল্পপণ্য, তুলা, বিদ্যুৎ এবং খাদ্যসামগ্রী অন্যতম। রপ্তানির তুলনায় বাংলাদেশ থেকে আমদানি বরাবরই কম তবে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে আমদানি ১০ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভারত বাংলাদেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে তার মধ্যে লোহা ও ইস্পাত পণ্য, টেক্সটাইল ও চামড়াজাত পণ্য উল্লেখযোগ্য।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। গত শনিবারের এই অগ্নিকাণ্ডে তৈরি পোশাক, কাপড় ও কাঁচামালসহ বিপুল পরিমাণ পণ্য পুড়ে গেছে। এতে অনেক অনেক খাতের ব্যবসায়ী ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
৪৩ মিনিট আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি পণ্য খালাসপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরের ৯ নম্বর গেটে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে কর্তব্যরত অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (অ্যাভসেক), আনসার সদস্য ও কাস্টমস কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
৩ ঘণ্টা আগেহজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের দায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), কাস্টম হাউস এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস—কেউই এড়াতে পারে না বলে দাবি করেছেন রপ্তানিকারকেরা। ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ওষুধশিল্পের কাঁচামাল বাবদ কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি। এই কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে প্রায় ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে...
৩ ঘণ্টা আগে