এনবিআরের নিরীক্ষা প্রতিবেদন
অনলাইন ডেস্ক
আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ফাঁকির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতিষ্ঠানটি মোট ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৭ টাকার ভ্যাট পরিশোধ করেনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এই অসংগতি স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই প্রতিষ্ঠান গত সাড়ে ৩ বছরে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকার মূসক পরিশোধ করেনি। সঠিক সময়ে কর না দেওয়ায় ওই কোম্পানির ওপর ৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৭ টাকার সুদ যোগ হয়েছে। ফলে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মোট ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৭ টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের সচিব সামিউল হাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্যাট না দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এনবিআরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকার (উত্তর) পক্ষ থেকে যদি কোনো চিঠি দেয়, তবে আমরা তার উত্তর দেব।’
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছি।’
যেভাবে করা হয় অনিয়ম
আইপিডিসি ফাইন্যান্স ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট ১৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকার মূসক এবং উৎসে মূসক কর্তন বাবদ সরকারকে পরিশোধ করেনি। এর মধ্যে বকেয়া মূসক ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৮০৩ টাকা এবং উৎসে মূসক কর্তন ৩ লাখ ৬৩ হাজার ১৯৭ টাকা। এ ছাড়া সুদ বাবদ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ২৮৯ টাকা এবং ২৩ হাজার ৭২৮ টাকা জমা হয়নি।
প্রতিষ্ঠানটি সময়মতো এই পরিমাণ টাকা পরিশোধ না করায় মূল্য সংযোজন কর আইন অনুযায়ী তাদের ওপর ৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৭ টাকা সুদ আরোপ হয়েছে। ফলে মোট ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৭ টাকা আদায়যোগ্য।
এই অবস্থায় গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর আইপিডিসিকে ৯ অক্টোবর শুনানির জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে এবং কর পরিশোধ না করলে শাস্তি আরোপের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। যদিও আইপিডিসি ফাইন্যান্স কর্তৃপক্ষ আনীত অভিযোগের বিষয়ে লিখিত জবাব দিয়েছে। সেখানে তারা নিরীক্ষায় পাওয়া বিষয়টি স্বীকার করে। ৫ ফেব্রুয়ারি ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৭ টাকা ট্রেজারি চালানের (নং-২৩২৪-০০২৭১৯৮১১১১) মাধ্যমে এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এরপর প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কোনো আপত্তি উত্থাপন না করে অভিযোগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে এবং মূসক বাবদ অর্থ সুদসহ পরিশোধ করেছে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ২০২৩ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৩৮৯ কোটি ৬৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা হলেও ১ হাজার ৬০৯ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণে জর্জরিত। ২০২৩ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হলেও কোম্পানির রিজার্ভ মাত্র ২৪২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ২০১৫-২২ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির মোট লেনদেন ছিল ৮ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। ৩৮ কোটি ৯৬ লাখ ৪৬ হাজার ১২৫টি শেয়ারের মধ্যে প্রতিটি শেয়ারের সর্বশেষ বাজারমূল্য ১৭ টাকা ১০ পয়সা, যা দিয়ে কোম্পানির বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৮১ কোটি ৮৮ লাখ ৭ হাজার টাকা। ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হলেও ২০২১ ও ২০২০ সালে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল।
আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ফাঁকির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতিষ্ঠানটি মোট ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৭ টাকার ভ্যাট পরিশোধ করেনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এই অসংগতি স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই প্রতিষ্ঠান গত সাড়ে ৩ বছরে ১৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকার মূসক পরিশোধ করেনি। সঠিক সময়ে কর না দেওয়ায় ওই কোম্পানির ওপর ৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৭ টাকার সুদ যোগ হয়েছে। ফলে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মোট ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৭ টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের সচিব সামিউল হাশেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্যাট না দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এনবিআরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকার (উত্তর) পক্ষ থেকে যদি কোনো চিঠি দেয়, তবে আমরা তার উত্তর দেব।’
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছি।’
যেভাবে করা হয় অনিয়ম
আইপিডিসি ফাইন্যান্স ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট ১৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকার মূসক এবং উৎসে মূসক কর্তন বাবদ সরকারকে পরিশোধ করেনি। এর মধ্যে বকেয়া মূসক ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৮০৩ টাকা এবং উৎসে মূসক কর্তন ৩ লাখ ৬৩ হাজার ১৯৭ টাকা। এ ছাড়া সুদ বাবদ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ২৮৯ টাকা এবং ২৩ হাজার ৭২৮ টাকা জমা হয়নি।
প্রতিষ্ঠানটি সময়মতো এই পরিমাণ টাকা পরিশোধ না করায় মূল্য সংযোজন কর আইন অনুযায়ী তাদের ওপর ৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৭ টাকা সুদ আরোপ হয়েছে। ফলে মোট ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৭ টাকা আদায়যোগ্য।
এই অবস্থায় গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর আইপিডিসিকে ৯ অক্টোবর শুনানির জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে এবং কর পরিশোধ না করলে শাস্তি আরোপের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। যদিও আইপিডিসি ফাইন্যান্স কর্তৃপক্ষ আনীত অভিযোগের বিষয়ে লিখিত জবাব দিয়েছে। সেখানে তারা নিরীক্ষায় পাওয়া বিষয়টি স্বীকার করে। ৫ ফেব্রুয়ারি ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৭ টাকা ট্রেজারি চালানের (নং-২৩২৪-০০২৭১৯৮১১১১) মাধ্যমে এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এরপর প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কোনো আপত্তি উত্থাপন না করে অভিযোগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে এবং মূসক বাবদ অর্থ সুদসহ পরিশোধ করেছে।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ২০২৩ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৩৮৯ কোটি ৬৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা হলেও ১ হাজার ৬০৯ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণে জর্জরিত। ২০২৩ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হলেও কোম্পানির রিজার্ভ মাত্র ২৪২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ২০১৫-২২ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটির মোট লেনদেন ছিল ৮ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। ৩৮ কোটি ৯৬ লাখ ৪৬ হাজার ১২৫টি শেয়ারের মধ্যে প্রতিটি শেয়ারের সর্বশেষ বাজারমূল্য ১৭ টাকা ১০ পয়সা, যা দিয়ে কোম্পানির বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৮১ কোটি ৮৮ লাখ ৭ হাজার টাকা। ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হলেও ২০২১ ও ২০২০ সালে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল।
আইপিও ফান্ডের ৮০ কোটি ১১ লাখ টাকার অনিয়মের কারণে এক মাসের মধ্যে ৯০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডকে। তা না হলে ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) পাঁচজন পরিচালককে ১০০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগেনিষিদ্ধ সময়ে শেয়ার লেনদেনের দায়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের দুই উদ্যোক্তা পরিচালককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। একই সঙ্গে দুয়ার সার্ভিসেস পিএলসির কিউআইও প্রত্যাহার এবং ড্যাফোডিল কম্পিউটারের ঋণকে ইকুইটিতে রূপান্তরের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেদেশের সর্ববৃহৎ শরিয়া ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান। সম্প্রতি তাঁকে ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ বুধবার পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাঁকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়
৬ ঘণ্টা আগেবুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবস্থান নেন তাঁরা। অবস্থান কর্মসূচিতে শতাধিক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। চাকরি পুনর্বহাল না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
১২ ঘণ্টা আগে