Ajker Patrika

আইসিটি খাত: হাজার কোটি টাকার ক্ষতি

আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
আইসিটি খাত: হাজার কোটি টাকার ক্ষতি

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৮ জুলাই থেকে সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২৪ জুলাই ব্রডব্যান্ড এবং ২৮ জুলাই বিকেল থেকে সীমিত পরিসরে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে। ইন্টারনেটের সেবা বন্ধ থাকায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রযুক্তি খাত এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসা-বাণিজ্য। ১৭ জুলাইয়ের পর থেকে গত ১০ দিনে এ খাতের বিভিন্ন উপখাতে ক্ষতি হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্টভাবে আর্থিক ক্ষতির মূল্যমান নিরূপণ সম্পন্ন হয়নি, হিসাব কষাকষি চলছে। ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের কথায় ক্ষতির সামগ্রিক নেতিবাচক প্রভাব অনুমান করা যায়। তবে এখন আর্থিক ক্ষতির চেয়েও বিদেশি ক্রেতাদের কাছে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়টি বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আস্থা ফেরাতে তিনটি পরামর্শ উঠে এসেছে উদ্যোক্তাদের বক্তব্যে। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রযুক্তি খাতে কয়েক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। পুরোপুরি ইন্টারনেট বন্ধ থাকার ৫ দিনেই ক্ষতি হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। এটা শুধু যাঁরা রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের ওই পাঁচ দিনের ক্ষতি। 

প্রযুক্তির প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক এবং ই-কমার্স উপখাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতির উপাত্ত মেলে বেসিসের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের কথায়। তিনি বলেন, সরকারের বলা তথ্যমতে, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার আছে। ধরে নিলাম, এর মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ কাজ করছেন। তাঁরা ন্যূনতম প্রতি ঘণ্টায় ১০ ডলার ফি হিসেবে ৮ ঘণ্টা কাজ করলেও দিনে ১৩ মিলিয়ন ডলার হয়, সেটা ক্ষতি হয়েছে। তা-ও সেটি কম কর্মঘণ্টা, মজুরি এবং ফ্রিল্যান্সারদের এক-চতুর্থাংশ ধরে। ফ্রিল্যান্সার সংখ্যায় এবং কর্মঘণ্টার হিসেবে এর চেয়ে অনেক বেশি কাজ করেন এবং মজুরি পান। 

প্রাতিষ্ঠানিক খাতের ক্ষতির বর্ণনায় তিনি বলেন, যাঁরা বিপিও বা সফটওয়্যার বা আইটি সেবা রপ্তানি করছেন, তাঁদেরও যদি ১৩ মিলিয়ন ডলার ধরি, তাহলে প্রতিদিন গড়ে এই দুটি ক্ষেত্রেই কেবল ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। 

ই-কমার্স এবং ফেসবুকভিত্তিক এফ-কমার্সসহ ডিজিটাল বাণিজ্যের ক্ষতির বিষয়ে সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, এ খাতে প্রতিদিন ডেলিভারি হতো ৭-৮ লাখ। গড়ে একটা ডেলিভারির টিকিটের মূল্য ৫০০ টাকা ধরলে (অনেক ডেলিভারির টিকিটের মূল্য দুই-তিন হাজারে বেশি হয়) প্রতিদিন ৪০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। তাহলে ১০ দিনে প্রায় ৪০০-৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। 

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আকতার নিশা বলেন, ই-কমার্সে ৭০০ কোটি, এফ-কমার্স খাতে ক্ষতি ৬০০ কোটি টাকা। লজিস্টিক খাত পুরোই বন্ধ। সেখানে ১০০ কোটি, ই-ট্যুরিজমে ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০ দিনেই ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি দেশের অস্থিতিশীল অবস্থার ক্ষতির আঁচে পুড়েছেন এ খাতের খেটে খাওয়া মানুষজন। এ বিষয়ে আলমাস কবির বলেন, শুধু উদ্যোক্তারাই জড়িত নেই, দিন এনে দিন খাওয়া ডেলিভারিম্যান বা রাইডাররাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। 

নাসিমা আকতার নিশা বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অনেকের গ্রাহক চলে গেছে। যেসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আজকের আয় দিয়ে পরের দিনের বাজার করেন, তাঁরা খুবই বিপদে পড়েছেন। 

তবে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারলেও বিদেশিদের কাছে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে রাসেল টি আহমেদ বলেন, বিদেশি ক্রেতাদের কেউ অন্য জায়গায় চলে গেছেন, কেউ যাওয়ার চিন্তা করছেন। কারণ, অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে চান না কেউই। এই আশঙ্কার সার্বিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে আরও ২-৩ সপ্তাহ যাওয়ার পরে কিংবা বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে। 

সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, আমাদের যে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা কত দিনে কাটিয়ে উঠব, তা বলা যাবে না। এটা কাটাতে বেগ পেতে হবে। 

বেসিসের আরেক সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ নেয়ামুল করিম বলেন, ব্যবসায়িক ক্ষতির চেয়ে বড় হলো আস্থা থাকবে না। এই সংকটের জের বহু দিন থাকবে। 

ভাবমূর্তি শক্ত করে আস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে খাতসংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে তিনটি পরামর্শ তুলে ধরেন সৈয়দ আলমাস কবির। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হলে যাতে ইন্টারনেট সেবা থাকে, তার জন্য ভি-স্যাট (স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যোগাযোগের ভূকেন্দ্র) লাইসেন্স দিতে হবে। লাইসেন্স দেওয়া শুরু করলে আমরা বিদেশি ক্রেতাদের এটা বলতে পারব, তারাও আস্থা পাবে। তিনি বলেন, ডেটা সেন্টারের পাশাপাশি রিকভারি সাইট রাখার জন্য সরকারকে বলতে হবে। দুটি ডিআর (ডেটা রিকভারি) সাইট থাকতে হবে। ডেটা সেন্টারে সমস্যা হলেও ডিআর সেন্টার থেকে সার্ভিস অটোমেটিক্যালি চালু হয়ে যাবে। তাহলে বিদেশিরা আস্থা পাবে। 

তৃতীয় পরামর্শ হিসেবে আলমাস কবির বলেন, সরকার যদি তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে কয়েক হাজার নতুন টেকনোলজির ওপর দক্ষতাসম্পন্ন জনবল তৈরি করতে পারে, তাহলে আমরা বিদেশিদের কাছে বলতে পারব, আমাদের এখানে ব্লকচেইন, আইওটি, বিগ ডেটা, নতুন টেকনোলজি জানা লোক আছে, আমাদেরকে কাজ দাও। 

এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে দেশের যেকোনো সংকটে ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ চালুর রাখার স্বার্থে সুনির্দিষ্ট অঞ্চল বা ভবন নির্ধারণ করে স্যান্ডবক্স তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন আলমাস কবির। তিনি বলেন, এতে করে সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ হলেও সেখানে থাকবে, যাতে করে আমরা সেখানে গিয়ে জরুরি কাজ করতে পারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে বিনা মূল্যে ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা মাস উপলক্ষে নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বিনা মূল্যে ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন। ২৩-৩১ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইনটি চলবে।

বর্তমানে নারীদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর রোগ। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নারীরা এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্রেস্ট হেলথ অ্যাসেসমেন্ট রুমে গিয়ে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চেকআপ করাতে পারবেন। চেকআপ ছাড়াও এখানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনে পরবর্তী চিকিৎসাসংক্রান্ত পরামর্শ গ্রহণেরও সুযোগ থাকবে।

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের মেডিকেল ও রেডিয়েশন অনকোলোজি বিভাগের ভিজিটিং সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘ব্রেস্ট ক্যানসার এমন একটি রোগ, যা রোগীরা প্রাথমিক পর্যায়ে ব্রেস্ট সেলফ এক্সামিনেশন (Breast Self-Examination পদ্ধতিতে নিজেরাই শনাক্ত করতে পারবেন। সেটি করা গেলে ব্রেস্ট ক্যানসার চিকিৎসাযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য। তাই সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্র থেকে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, কোনো প্রকার অবহেলা না করে বরং ব্রেস্ট ক্যানসার রোগীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। হাসপাতালগুলোয় স্ক্রিনিং ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে, লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে রোগীকে ডায়াগনসিসের আওতায় আনতে হবে এবং পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, দেশের মা-বোনেরা যদি সুস্থ থাকে, তবে আপনিও ভালো থাকবেন, আর সুস্থ সমাজ গঠনও সম্ভব হবে।’

হসপিটালের বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবছর বাংলাদেশে ১২ থেকে ১৪ হাজারের বেশি নারী ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তবে বেশির ভাগ রোগীই চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসা শুরু করেন। অথচ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে চেকআপের মাধ্যমে এই রোগের ঝুঁকি কমানো ও জীবন বাঁচানো সম্ভব।

এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বরাবরই নারীদের সুস্থতার জন্য কাজ করে থাকে। রোগীরা এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় চেকআপ, ক্যানসার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এবং বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পাবেন। এ ছাড়া রোগীদের নিয়মিতভাবে চিকিৎসা-পরবর্তী মনিটরিং সেবাও এখানে দেওয়া হয়ে থাকে।

সমাজের সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের অংশ হিসেবে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বছরব্যাপী বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবামূলক ক্যাম্পেইন আয়োজন করে। এসব উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, একই সঙ্গে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুস্থ সমাজ গঠন করা।

ফ্রি ব্রেস্ট হেলথ চেকআপ ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে কিংবা অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুন ০৯৬১০-৮০০৪৪৪ হটলাইন নম্বরে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রয়টার্সের প্রতিবেদন /মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার তেল কেনা স্থগিত করল চীন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রাশিয়ার প্রধান দুটি তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রধান দুটি তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রধান দুটি তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর, চীনের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানিগুলো রুশ তেল কেনা স্থগিত করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এই পদক্ষেপ এসেছে এমন সময়, যখন রাশিয়ার সর্ববৃহৎ ক্রেতা ভারতও রুশ তেল আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে তাল মেলাতে ভারতীয় শোধনাগারগুলো এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।

রাশিয়ার দুই বৃহত্তম ক্রেতা—চীন ও ভারতের তেলের চাহিদা হঠাৎ কমে গেলে মস্কোর আয়ে বড় ধাক্কা লাগবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বড় আমদানিকারক দেশগুলো বিকল্প জ্বালানি উৎস খুঁজতে বাধ্য হবে, যা বৈশ্বিক তেলের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে।

চীনের চারটি রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি—পেট্রোচায়না, সিনোপেক, সিএনওওসি এবং ঝেনহুয়া অয়েল সাময়িকভাবে সমুদ্রপথে রুশ তেল কেনা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ তারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে পড়তে চায় না বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।

তবে এ ব্যাপারে এই কোম্পানিগুলোর কেউই এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

চীন প্রতিদিন প্রায় ১৪ লাখ ব্যারেল রুশ তেল সমুদ্রপথে আমদানি করে, যার বেশির ভাগই স্বাধীন রিফাইনারি বা ‘টি-পট’ নামে পরিচিত ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো কেনে। রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর ক্রয়ের পরিমাণ নিয়ে বিভিন্ন অনুমান রয়েছে।

জ্বালানি বাজার ডেটা বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ভরটেক্স অ্যানালিটিকস জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে রাশিয়া থেকে চীনের রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর গড় আমদানির পরিমাণ ছিল প্রতিদিন ২ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেলের নিচে। অন্যদিকে জ্বালানি বাজার ডেটা বিশ্লেষণকারী আরেক প্রতিষ্ঠান এনার্জি অ্যাসপেক্টস জানায়, এই সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ব্যারেল।

সংশ্লিষ্ট দুটি বাণিজ্যিক সূত্র জানিয়েছে, সিনোপেকের বাণিজ্যিক শাখা ইউনিপেক গত সপ্তাহেই রুশ তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, যখন ব্রিটেন রসনেফট ও লুকঅয়েলসহ কিছু চীনা কোম্পানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

সূত্রগুলোর মতে, রসনেফট ও লুকঅয়েল সাধারণত তাদের তেল সরাসরি বিক্রি না করে মধ্যস্বত্বভোগী বা মধ্যস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে চীনে রপ্তানি করে থাকে। অন্যদিকে, চীনের স্বাধীন শোধনাগারগুলো (টি-পট) নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে আপাতত রুশ তেল কেনা স্থগিত রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি পরিষ্কার হলে তারা রুশ তেল কেনা চালিয়ে যেতে পারে, বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের ক্রিপ্টো কোম্পানিকে মুনাফা এনে দিয়ে মাফ পেলেন বাইন্যান্স প্রতিষ্ঠাতা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৫৪
সাজাপ্রাপ্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা চ্যাংপেং ঝাও। ছবি: সংগৃহীত
সাজাপ্রাপ্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা চ্যাংপেং ঝাও। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাজাপ্রাপ্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ বাইন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা চ্যাংপেং ঝাওকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এই ক্ষমা পাওয়ার জন্য ঝাও গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প পরিবারের ক্রিপ্টো কোম্পানিকে সহায়তা করে আসছিলেন।

একাধিক সূত্রের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

সূত্রগুলো জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গতকাল বুধবার এই ক্ষমার আদেশে স্বাক্ষর করেন। এক সূত্র জানায়, সম্প্রতি ট্রাম্প তাঁর উপদেষ্টাদের বলেছেন, ঝাওসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির অভিযোগের প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ট্রাম্প সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ঝাওকে ক্ষমা করেছেন। বাইডেন প্রশাসন ক্রিপ্টোকারেন্সিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। বাইডেন প্রশাসনের ক্রিপ্টোবিরোধী যুদ্ধ এখন শেষ।

বাইন্যান্স এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এই ক্ষমা ঘোষণার ফলে সম্ভবত বাইন্যান্সের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথ খুলে যাবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ ২০২৩ সালে অর্থ পাচারবিরোধী আইন লঙ্ঘনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম পরিচালনা থেকে নিষিদ্ধ হয়।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে চার মাসের সাজা ভোগ শেষে কারাগার থেকে মুক্তি পান ঝাও। এরপর বাইন্যান্স প্রায় এক বছর ধরে তাঁর জন্য ক্ষমা প্রার্থনার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এ বছর সংস্থাটি লবিস্ট চেস ম্যাকডোয়েলকে নিয়োগ দেয় এই কাজ এগিয়ে নিতে।

নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাইন্যান্স ট্রাম্পের পরিবারের ক্রিপ্টো ব্যবসা ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল’কে সহযোগিতা করে আসছে। এটি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধিতে বিশাল ভূমিকা রাখছে।

মার্কিন বিচার বিভাগ বাইন্যান্সকে ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড জরিমানা ও কঠোর নজরদারি আরোপ করেছিল। বিভাগটির দাবি ছিল, বাইন্যান্স একটি বিশাল অর্থ পাচারের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল, যার মাধ্যমে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ও অপরাধীরা বিলিয়ন ডলার পাচার করত।

এই ক্ষমা ঘোষণার ফলে বিচার বিভাগ থেকে জারি করা বাইন্যান্সের ওপর তিন বছরের নজরদারি কার্যক্রম আগেই শেষ হয়ে যেতে পারে, যা সংস্থাটির আর্থিক অপরাধবিষয়ক আইন মানা নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছিল। তবে ট্রেজারি বিভাগের আলাদা নজরদারি কার্যক্রম বন্ধ করতে হলে ট্রাম্প বা মার্কিন অর্থমন্ত্রী—উভয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, গত বসন্তে বাইন্যান্স ট্রেজারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে যুক্তরাষ্ট্রের তদারকি কিছুটা শিথিল করার অনুরোধ জানিয়েছিল, কারণ আইনি জটিলতার কারণে সংস্থাটি প্রতিযোগীদের কাছে বাজার হারাচ্ছিল।

বাইন্যান্স প্রথম ট্রাম্প পরিবারের মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানির কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ব্যবসায়িক চুক্তির প্রস্তাব দেয়। এরপর ট্রাম্প পরিবারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাইন্যান্সের মার্কিন শাখায় আর্থিক অংশীদার হওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।

সে সময় ঝাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছিলেন, ‘ক্ষমা পেলে কোনো অপরাধীই আপত্তি করবে না।’ পরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমার আবেদন করেন এবং মার্কিন লবিস্ট নিয়োগ দেন।

ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল গত এক বছরে ট্রাম্প পরিবারের জন্য আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি আয় করেছে। বাইন্যান্স এই প্রতিষ্ঠানের ডলারনির্ভর ক্রিপ্টোকারেন্সি ‘ইউএসডি১’-এর দ্রুত উত্থানের অন্যতম প্রধান চালক। এ বছর বসন্তে ২ বিলিয়ন ডলারের একটি বড় বিনিয়োগ গ্রহণের সময় বাইন্যান্স ‘ইউএসডি১’-এর মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের সুযোগ দেয় এবং তাদের নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এই মুদ্রায় লেনদেন বাড়াতে উৎসাহ দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শরিয়াহভিত্তিক ‘মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংক’ আনছে আকিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ রাজধানীর গুলশানের লিংকরোডের আকিজ হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জসিম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
আজ রাজধানীর গুলশানের লিংকরোডের আকিজ হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জসিম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংকিং খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে দেশীয় শিল্পগ্রুপ আকিজ রিসোর্স লিমিটেড। ইসলামী শরিয়াহ পরিচালিত প্রস্তাবিত মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংকটি সম্পূর্ণ সুদমুক্ত হবে। এই ব্যাংকের মূল লক্ষ্য নৈতিক, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। গ্রাহকেরা সার্ভিস চার্জ ছাড়াই সব ধরনের ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা পাবেন।

শরিয়াহভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে সনদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদ পেলে দ্রুত সময়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা রয়েছে। অনুমোদন পেলে ব্যাংকটির নাম হবে ‘মুনাফা ডিজিটাল ব্যাংক’।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে আকিজ হাউসে আয়োজিত ‘আকিজ রিসোর্স ডিজিটাল ইকোসিস্টেম: পরিবর্তনে নেতৃত্বদানকারী’ শীর্ষক এক প্রেস মিটে এসব তথ্য জানান আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শেখ জসিম উদ্দিন।

শেখ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আকিজ রিসোর্স বিশ্বাস করে, ব্যাংকিং শুধু লেনদেন নয়, এটি মানুষের আর্থিক ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অগ্রগতির হাতিয়ার। আমাদের ঐতিহ্যের শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা এমন একটি ডিজিটাল ব্যাংক তৈরি করতে চাই, যা প্রযুক্তি, নৈতিকতা ও মানবিকতার সমন্বয়ে পরিচালিত হবে।’

চিফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার তৌফিক হাসান বলেন, ‘আমরা এমন এক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা গড়ে তুলতে চাই, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রযুক্তির সহায়তায় দেশের প্রতিটি নাগরিক যেন ব্যাংকিংয়ের আওতায় আসেন—এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

চিফ ডিজিটাল ও ইনোভেশন অফিসার ইঞ্জি. মো. ফিরোজ কবির বলেন, ‘আকিজ রিসোর্সের প্রযুক্তি টিম এরই মধ্যে ভবিষ্যতের ব্যাংকিং অবকাঠামো তৈরি করছে। আমরা এমন একটি স্মার্ট সিস্টেম তৈরি করছি, যেখানে ব্যাংকিং হবে দ্রুত, সহজ ও ব্যবহারবান্ধব। ব্যাংকের দরজায় না গিয়েও গ্রাহক তাঁর সব আর্থিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আকিজ রিসোর্স শুধু একটি ব্যাংক নয়, এটি হবে একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান। দেশি-বিদেশি পার্টনার থাকবে। তবে বিদেশিদের আনার জন্য আগামী ২ নভেম্বর আবেদনের শেষ সময় কম মনে হয়। যদিও তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু সময় বাড়ানো হলে বিদেশি উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল ব্যবসায় সংযুক্ত করাটা সুবিধাজনক হবে। আর নিরাপত্তার জন্য বিদেশে সেরা ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনা করছে—এমন সফটওয়্যার ব্যবহারের লক্ষ্য রয়েছে।

আরও জানানো হয়, আকিজ রিসোর্স শুধু একটি ব্যাংক নয়, বরং একটি ডিজিটাল ফাইন্যান্স ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে; যা মানুষ, ব্যবসা ও সমাজকে নিরাপদ প্রযুক্তির মাধ্যমে একত্রে সংযুক্ত করবে। শহরের পেশাজীবী থেকে শুরু করে গ্রামের উদ্যোক্তা—সবাই যেন দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির যাত্রায় যুক্ত হতে পারেন। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ইসলামি ফাইন্যান্স খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি হবে এমন একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যেখানে প্রযুক্তি ও শরিয়াহ নীতির সমন্বয়ে তৈরি হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক অভিজ্ঞতা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিফ পিপল অফিসার মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন এবং আই-বিওএস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এস কে মো. জায়েদ বিন রশিদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা কিশোরগঞ্জের আইনজীবীর, ফেসবুকে ঝড়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত