জাহীদ রেজা নূর

মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের একটি পর্যায় অতিক্রম করেছিল বাংলাদেশ। জয়ী হয়েছিল স্বাধীনতাযুদ্ধে। সেই যুদ্ধের স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বলে থাকায় এবং সেই প্রজন্মের মানুষেরা এখনো সেটি বর্ণনা করে চলায় তা অনেক সময় হয়ে উঠছে পক্ষপাতমূলক। নিরপেক্ষ ইতিহাসচর্চা হয়তো শুরু হবে আরও কিছুটা কাল গেলেবর্তমান ইতিহাসচর্চা এতটাই রাজনৈতিক একদেশদর্শী যে ইতিহাসের ঘটনাগুলো লেখার সময়ও সেটুকু হাজির করা হয়, যা শুধু নিজ মতামতকে প্রমাণ করবে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস রচনার সময় বামপন্থী এবং ইসলামপন্থীদের (তমদ্দুন মজলিস) অবদান যতটা সোচ্চারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগকে ততটাই আড়াল করা হয়েছে। অথচ ভাষা আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ কোনো বানানো ভাষ্য নয়
ইদানীং ভাষা আন্দোলনের নিরপেক্ষ ইতিহাস লেখার চেষ্টা চলছে। যার যে অবদান আছে, তা স্বীকার করে নিতে হবে। আমরা হাতে যেন এমন একটা ইতিহাসগ্রন্থ পাই, যে গ্রন্থে অযাচিতভাবে বিভ্রান্ত বয়ান পরিবেশিত হবে না।
২.আমাদের একটা অভ্যাস আছে, সবকিছুকে সাদা আর কালো হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। যাকে নায়ক বানানো হলো, তার চরিত্রে ন্যূনতম কালিমাও থাকবে না; আর যিনি ভিলেন, তার কোনো সদ্গুণ থাকতেই পারে না।
এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে মূল্যায়ন করা হয়। জিন্নাহর নাম নিলে আমরা প্রথমেই ধরে নিই, তিনি ইতিহাসের একজন নির্মম প্রতিনায়ক। অথচ ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে ঢাকায় এসে উর্দুর সাফাই গেয়ে দেওয়া দুটি ভাষণে জিন্নাহর আচরণে হতাশ হলেও এ ভূখণ্ডের মানুষ কিন্তু তাঁকে সরাসরি ভিলেন বানাননি। এরপর বহু বছর ধরেই জিন্নাহর গুণগান করেছে পূর্ব বাংলার মানুষ। মুসলিম লীগের বিরোধিতা করেও জিন্নাহর বলা কথাকে মূল্য দিয়েছে
পাকিস্তান আদায়ের জন্য সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিল বাংলার মুসলমানরাই। কলকাতায় ঠাঁই নেওয়া হিন্দু জমিদারদের হটিয়ে এই অঞ্চলে মুসলিম পুঁজি বিকাশের একটা সুযোগ সৃষ্টি হওয়াকে খুবই ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছিল মুসলমানরা। সেই আন্দোলনে মুসলিমদের পক্ষে মূল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
‘পাকিস্তান’ ছিল জিন্নাহর দর-কষাকষির একটা অস্ত্রমাত্র। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং হিন্দু মহাসভার মতো দলের নেতাদের একাংশের অনমনীয়তার কারণেই অখণ্ড ভারত কিংবা অখণ্ড বাংলা হতে পারেনি। এই দায় ভারতীয় হিন্দু নেতাদেরকেই বহুলাংশে নিতে হবে। আর এই দৃষ্টি থেকেই বিচার করতে হবে দেশভাগ-পরবর্তী রাজনীতিক, সাংবাদিক, সাহিত্যিকদের আচরণ। তাই কেউ যদি জিন্নাহর সাফাই গেয়ে কবিতা বা প্রবন্ধ লিখে থাকেন, তাহলে সেটা একেবারেই দোষের কিছু ছিল না। এমনকি ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন যখন চলছে, তখনো লাহোর প্রস্তাবের আলোচনা এলে (সেটা আসতেই হবে; কারণ, মুসলিম অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নটি সেখানে সন্নিবেশিত হয়েছিল) জিন্নাহর স্বপ্নের প্রসঙ্গ এসেছে।
পশ্চিম পাকিস্তানিরা কোটারি করে যখন পূর্ব বাংলাকে নানাভাবে শোষণ-বঞ্চনার পশ্চাদ্ভূমি বানাল, তখন থেকেই নিজ সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিতে থাকল বাঙালি মুসলমান। তারই ফল ছয় দফার জয়জয়কার। জাতীয় নেতা হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের উত্থান। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে শেখ মুজিবুর রহমান সরাসরি কটাক্ষ করেছেন, এমন উদাহরণ আছে বলে মনে হয় না
তাই কেউ যদি ইতিহাসের সেই কালপর্বে জিন্নাহর জয়গান গেয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা হবে হাস্যকর। ইদানীং কেউ কেউ সে রকম কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রশ্ন তুলছেন এবং ফর্মুলা অনুযায়ী এ দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের ‘পাকিস্তানপ্রেমী’ বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করছেন। ভুলে গেলে চলবে না, জিন্নাহ ছিলেন পাকিস্তানের জাতির জনক। সেই জাতির জনককে অগ্রাহ্য করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হয়েছে এবং সেই দেশের জাতির পিতা হয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান—ইতিহাসের এই অংশটুকু খুবই দলনিরপেক্ষভাবে লিখে রাখা জরুরি।
৩.স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যে হাস্যকর ঘটনাগুলো এ দেশে ঘটে চলেছে, কিছুকাল বাদে সেই তর্কগুলোকে শিশুতোষ বা প্রলাপ মনে হবে। বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের মূল নায়ক যে শেখ মুজিবুর রহমান, সে কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মানুষ শেখ মুজিবুর রহমানের জায়গায় জিয়াউর রহমানকে প্রতিস্থাপন করতে পারেন না।
এই অশুভ রাজনৈতিক বয়ান তৈরি হতো না, যদি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে শেখ মুজিবুর রহমান নিহত না হতেন এবং জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় না আসতেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে রাজনৈতিক দল বানালেন, সেই দলই প্রথম ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া’ বলে নতুন গল্পের জন্ম দিল। সেই সময় তারা ভেবেও দেখল না, আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। ২৬ মার্চেই এম এ হান্নান বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাটি পাঠ করেছিলেন চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে। সেদিনই আরও কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করেছিলেন কালুরঘাট থেকে। এম এ হান্নানও সেখানে গিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণাটির আরেকটু বড় ভার্সন পাঠ করেছিলেন। এরপর জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেন ২৭ মার্চ। বেলাল মোহাম্মদের কথার ওপর ভরসা রাখলে স্বীকার করতে হবে, এরপর আরও দুবার তিনি ঘোষণা পাঠ করেন। দ্বিতীয়বার বঙ্গবন্ধুর নাম নেননি, তৃতীয়বার নিয়েছেন এবং সে ঘোষণা বারবার প্রচার করা হয়েছে।
এটা আসলে একেবারেই বিতর্কের বিষয় নয়। একজন অখ্যাত মেজর একটি দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন আর দেশবাসী প্রতিরোধযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল—এটা কি কেউ বিশ্বাস করবে? দীর্ঘদিন ধরে চলা স্বাধিকার আন্দোলন তাতে মিথ্যে হয়ে যাবে, ছয় দফার কোনো দায় থাকবে না, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান কিংবা সত্তরের নির্বাচনের ম্যান্ডেটও ইতিহাসে কোনো অবদান রাখবে না, ৭ মার্চের অনবদ্য ভাষণটিরও কোনো মূল্য থাকবে না—এর সবকিছু অগ্রাহ্য করে সত্যদর্শী ভবিষ্যৎ পাঠককে কি বিভ্রান্ত করা যাবে চিরকাল? বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতাযুদ্ধের মূল নায়ক বানানোর যে চেষ্টা করে যাচ্ছে, তা শুধু অবান্তর নয়, জিয়াউর রহমান তাঁর জীবদ্দশায় এই দাবিই করেননি।
ইতিহাসের সবচেয়ে নিরর্থক প্রশ্নটি একসময় পুরো জাতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছিল, এ কথা স্মরণ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হাসবে।
৪.মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া মানুষের সংখ্যা নিয়ে একটা বিতর্ক তোলা হয়েছে। যারা ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যাটিকে বিতর্কিত করে তুলতে চেয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য কী, সেই প্রশ্ন এড়ানো যাবে না। এটিও ইতিহাসের একটি নিরর্থক প্রশ্ন। নিজের জাতির আত্মত্যাগ প্রসঙ্গটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে আদর্শিকভাবে বিভক্ত একটি জাতিই। শুধু নিজের আদর্শ আঁকড়ে ধরার জন্য ইতিহাসের সত্যকে অগ্রাহ্য করার এ প্রয়াসে সততা নেই।
তার চেয়ে বড় কথা, শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কটা ওঠাতে হলো কেন? মুক্তিযুদ্ধে যদি ১০ লাখ কিংবা ২ লাখ মানুষও শহীদ হয়ে থাকেন, তাহলেও কি তার মূল্য কমে যাবে?
আরিফ আহমেদ একটি গবেষণায় দেখিয়েছেন, ১৯৭১ সালে কীভাবে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বড় বিজয়ের পর ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিম পাকিস্তানের লারকানায় ইয়াহিয়া-ভুট্টোর হাঁস শিকার, ২২ ফেব্রুয়ারি সামরিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জেনারেল ইয়াহিয়ার দম্ভোক্তি, ‘৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করা হলে ওরা আর মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না’, ‘অপারেশন ব্লিৎস’-এর প্রস্তুতি নেওয়া, সেটারই নাম বদলে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ করা ইত্যাদি ঘটনার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করলে সহজেই বোঝা যাবে, পাকিস্তানিরা একটা জেনোসাইডই চালাতে চেয়েছিল এখানে। এবং সেটাই তারা ঘটিয়েছিল একাত্তরের ৯ মাসজুড়ে।
গুনে গুনে ৩০ লাখ মানুষকেই হত্যা করা হয়েছে, তা হয়তো নয়। সংখ্যাটা এর বেশি হতে পারে, কমও হতে পারে। কিন্তু প্রতীকী এই সংখ্যা নিয়ে কাদের মনে এত জ্বালাপোড়া? শহীদের সংখ্যা কমাতে পারলে কাদের লাভ? এই প্রশ্নগুলো উঠে আসা দরকার। সঙ্গে এই কথাও বলা দরকার, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রায় দুই কোটি মানুষ আত্মাহুতি দিয়েছে। হিটলার বাহিনী হত্যাকাণ্ডের সময় সামরিক-বেসামরিক বাছবিচার করেনি। দুই কোটি সোভিয়েত নাগরিক শহীদ হয়েছে—এটাও একটি প্রতীকী সংখ্যা। সোভিয়েত ইউনিয়নের কোনো দায়িত্বশীল নাগরিক সংখ্যাটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি।বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক এখানেই। নির্মোহ ইতিহাস একদিন প্রমাণ করবে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কটি স্থূল ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এ রকম কিছু অযথা বিতর্কের রাশ টেনে ধরা দরকার। সে জন্য চাই গণতান্ত্রিক পরিবেশ, সত্যকে সত্য বলে মেনে নেওয়ার সদিচ্ছা। একটি স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং বিপক্ষের শক্তি থাকতে পারে, এ রকম আশ্চর্য ঘটনা কি পৃথিবীর আর কোথাও আছে? দেশকে এই অপমানটা যত দিন আমরা উপহার দিয়ে যাব, তত দিন রুচি ও নৈর্ব্যক্তিক অবস্থান থেকে ইতিহাসের নির্মোহ বিশ্লেষণ করতে পারব না। ইতিহাস ঘাঁটলে এ রকম আরও অনেক উদাহরণ তুলে আনা যাবে। তাতে আমাদের রুচির দৈন্যই প্রকাশ পাবে কেবল।
লেখক: উপসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের একটি পর্যায় অতিক্রম করেছিল বাংলাদেশ। জয়ী হয়েছিল স্বাধীনতাযুদ্ধে। সেই যুদ্ধের স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বলে থাকায় এবং সেই প্রজন্মের মানুষেরা এখনো সেটি বর্ণনা করে চলায় তা অনেক সময় হয়ে উঠছে পক্ষপাতমূলক। নিরপেক্ষ ইতিহাসচর্চা হয়তো শুরু হবে আরও কিছুটা কাল গেলেবর্তমান ইতিহাসচর্চা এতটাই রাজনৈতিক একদেশদর্শী যে ইতিহাসের ঘটনাগুলো লেখার সময়ও সেটুকু হাজির করা হয়, যা শুধু নিজ মতামতকে প্রমাণ করবে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস রচনার সময় বামপন্থী এবং ইসলামপন্থীদের (তমদ্দুন মজলিস) অবদান যতটা সোচ্চারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগকে ততটাই আড়াল করা হয়েছে। অথচ ভাষা আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ কোনো বানানো ভাষ্য নয়
ইদানীং ভাষা আন্দোলনের নিরপেক্ষ ইতিহাস লেখার চেষ্টা চলছে। যার যে অবদান আছে, তা স্বীকার করে নিতে হবে। আমরা হাতে যেন এমন একটা ইতিহাসগ্রন্থ পাই, যে গ্রন্থে অযাচিতভাবে বিভ্রান্ত বয়ান পরিবেশিত হবে না।
২.আমাদের একটা অভ্যাস আছে, সবকিছুকে সাদা আর কালো হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। যাকে নায়ক বানানো হলো, তার চরিত্রে ন্যূনতম কালিমাও থাকবে না; আর যিনি ভিলেন, তার কোনো সদ্গুণ থাকতেই পারে না।
এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে মূল্যায়ন করা হয়। জিন্নাহর নাম নিলে আমরা প্রথমেই ধরে নিই, তিনি ইতিহাসের একজন নির্মম প্রতিনায়ক। অথচ ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে ঢাকায় এসে উর্দুর সাফাই গেয়ে দেওয়া দুটি ভাষণে জিন্নাহর আচরণে হতাশ হলেও এ ভূখণ্ডের মানুষ কিন্তু তাঁকে সরাসরি ভিলেন বানাননি। এরপর বহু বছর ধরেই জিন্নাহর গুণগান করেছে পূর্ব বাংলার মানুষ। মুসলিম লীগের বিরোধিতা করেও জিন্নাহর বলা কথাকে মূল্য দিয়েছে
পাকিস্তান আদায়ের জন্য সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিল বাংলার মুসলমানরাই। কলকাতায় ঠাঁই নেওয়া হিন্দু জমিদারদের হটিয়ে এই অঞ্চলে মুসলিম পুঁজি বিকাশের একটা সুযোগ সৃষ্টি হওয়াকে খুবই ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছিল মুসলমানরা। সেই আন্দোলনে মুসলিমদের পক্ষে মূল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
‘পাকিস্তান’ ছিল জিন্নাহর দর-কষাকষির একটা অস্ত্রমাত্র। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং হিন্দু মহাসভার মতো দলের নেতাদের একাংশের অনমনীয়তার কারণেই অখণ্ড ভারত কিংবা অখণ্ড বাংলা হতে পারেনি। এই দায় ভারতীয় হিন্দু নেতাদেরকেই বহুলাংশে নিতে হবে। আর এই দৃষ্টি থেকেই বিচার করতে হবে দেশভাগ-পরবর্তী রাজনীতিক, সাংবাদিক, সাহিত্যিকদের আচরণ। তাই কেউ যদি জিন্নাহর সাফাই গেয়ে কবিতা বা প্রবন্ধ লিখে থাকেন, তাহলে সেটা একেবারেই দোষের কিছু ছিল না। এমনকি ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন যখন চলছে, তখনো লাহোর প্রস্তাবের আলোচনা এলে (সেটা আসতেই হবে; কারণ, মুসলিম অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নটি সেখানে সন্নিবেশিত হয়েছিল) জিন্নাহর স্বপ্নের প্রসঙ্গ এসেছে।
পশ্চিম পাকিস্তানিরা কোটারি করে যখন পূর্ব বাংলাকে নানাভাবে শোষণ-বঞ্চনার পশ্চাদ্ভূমি বানাল, তখন থেকেই নিজ সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিতে থাকল বাঙালি মুসলমান। তারই ফল ছয় দফার জয়জয়কার। জাতীয় নেতা হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের উত্থান। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে শেখ মুজিবুর রহমান সরাসরি কটাক্ষ করেছেন, এমন উদাহরণ আছে বলে মনে হয় না
তাই কেউ যদি ইতিহাসের সেই কালপর্বে জিন্নাহর জয়গান গেয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা হবে হাস্যকর। ইদানীং কেউ কেউ সে রকম কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রশ্ন তুলছেন এবং ফর্মুলা অনুযায়ী এ দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের ‘পাকিস্তানপ্রেমী’ বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করছেন। ভুলে গেলে চলবে না, জিন্নাহ ছিলেন পাকিস্তানের জাতির জনক। সেই জাতির জনককে অগ্রাহ্য করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হয়েছে এবং সেই দেশের জাতির পিতা হয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান—ইতিহাসের এই অংশটুকু খুবই দলনিরপেক্ষভাবে লিখে রাখা জরুরি।
৩.স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যে হাস্যকর ঘটনাগুলো এ দেশে ঘটে চলেছে, কিছুকাল বাদে সেই তর্কগুলোকে শিশুতোষ বা প্রলাপ মনে হবে। বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের মূল নায়ক যে শেখ মুজিবুর রহমান, সে কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মানুষ শেখ মুজিবুর রহমানের জায়গায় জিয়াউর রহমানকে প্রতিস্থাপন করতে পারেন না।
এই অশুভ রাজনৈতিক বয়ান তৈরি হতো না, যদি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে শেখ মুজিবুর রহমান নিহত না হতেন এবং জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় না আসতেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে রাজনৈতিক দল বানালেন, সেই দলই প্রথম ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া’ বলে নতুন গল্পের জন্ম দিল। সেই সময় তারা ভেবেও দেখল না, আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। ২৬ মার্চেই এম এ হান্নান বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাটি পাঠ করেছিলেন চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে। সেদিনই আরও কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করেছিলেন কালুরঘাট থেকে। এম এ হান্নানও সেখানে গিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণাটির আরেকটু বড় ভার্সন পাঠ করেছিলেন। এরপর জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেন ২৭ মার্চ। বেলাল মোহাম্মদের কথার ওপর ভরসা রাখলে স্বীকার করতে হবে, এরপর আরও দুবার তিনি ঘোষণা পাঠ করেন। দ্বিতীয়বার বঙ্গবন্ধুর নাম নেননি, তৃতীয়বার নিয়েছেন এবং সে ঘোষণা বারবার প্রচার করা হয়েছে।
এটা আসলে একেবারেই বিতর্কের বিষয় নয়। একজন অখ্যাত মেজর একটি দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন আর দেশবাসী প্রতিরোধযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেল—এটা কি কেউ বিশ্বাস করবে? দীর্ঘদিন ধরে চলা স্বাধিকার আন্দোলন তাতে মিথ্যে হয়ে যাবে, ছয় দফার কোনো দায় থাকবে না, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান কিংবা সত্তরের নির্বাচনের ম্যান্ডেটও ইতিহাসে কোনো অবদান রাখবে না, ৭ মার্চের অনবদ্য ভাষণটিরও কোনো মূল্য থাকবে না—এর সবকিছু অগ্রাহ্য করে সত্যদর্শী ভবিষ্যৎ পাঠককে কি বিভ্রান্ত করা যাবে চিরকাল? বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতাযুদ্ধের মূল নায়ক বানানোর যে চেষ্টা করে যাচ্ছে, তা শুধু অবান্তর নয়, জিয়াউর রহমান তাঁর জীবদ্দশায় এই দাবিই করেননি।
ইতিহাসের সবচেয়ে নিরর্থক প্রশ্নটি একসময় পুরো জাতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছিল, এ কথা স্মরণ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হাসবে।
৪.মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া মানুষের সংখ্যা নিয়ে একটা বিতর্ক তোলা হয়েছে। যারা ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যাটিকে বিতর্কিত করে তুলতে চেয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য কী, সেই প্রশ্ন এড়ানো যাবে না। এটিও ইতিহাসের একটি নিরর্থক প্রশ্ন। নিজের জাতির আত্মত্যাগ প্রসঙ্গটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে আদর্শিকভাবে বিভক্ত একটি জাতিই। শুধু নিজের আদর্শ আঁকড়ে ধরার জন্য ইতিহাসের সত্যকে অগ্রাহ্য করার এ প্রয়াসে সততা নেই।
তার চেয়ে বড় কথা, শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কটা ওঠাতে হলো কেন? মুক্তিযুদ্ধে যদি ১০ লাখ কিংবা ২ লাখ মানুষও শহীদ হয়ে থাকেন, তাহলেও কি তার মূল্য কমে যাবে?
আরিফ আহমেদ একটি গবেষণায় দেখিয়েছেন, ১৯৭১ সালে কীভাবে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বড় বিজয়ের পর ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিম পাকিস্তানের লারকানায় ইয়াহিয়া-ভুট্টোর হাঁস শিকার, ২২ ফেব্রুয়ারি সামরিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জেনারেল ইয়াহিয়ার দম্ভোক্তি, ‘৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করা হলে ওরা আর মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না’, ‘অপারেশন ব্লিৎস’-এর প্রস্তুতি নেওয়া, সেটারই নাম বদলে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ করা ইত্যাদি ঘটনার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করলে সহজেই বোঝা যাবে, পাকিস্তানিরা একটা জেনোসাইডই চালাতে চেয়েছিল এখানে। এবং সেটাই তারা ঘটিয়েছিল একাত্তরের ৯ মাসজুড়ে।
গুনে গুনে ৩০ লাখ মানুষকেই হত্যা করা হয়েছে, তা হয়তো নয়। সংখ্যাটা এর বেশি হতে পারে, কমও হতে পারে। কিন্তু প্রতীকী এই সংখ্যা নিয়ে কাদের মনে এত জ্বালাপোড়া? শহীদের সংখ্যা কমাতে পারলে কাদের লাভ? এই প্রশ্নগুলো উঠে আসা দরকার। সঙ্গে এই কথাও বলা দরকার, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রায় দুই কোটি মানুষ আত্মাহুতি দিয়েছে। হিটলার বাহিনী হত্যাকাণ্ডের সময় সামরিক-বেসামরিক বাছবিচার করেনি। দুই কোটি সোভিয়েত নাগরিক শহীদ হয়েছে—এটাও একটি প্রতীকী সংখ্যা। সোভিয়েত ইউনিয়নের কোনো দায়িত্বশীল নাগরিক সংখ্যাটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি।বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক এখানেই। নির্মোহ ইতিহাস একদিন প্রমাণ করবে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কটি স্থূল ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এ রকম কিছু অযথা বিতর্কের রাশ টেনে ধরা দরকার। সে জন্য চাই গণতান্ত্রিক পরিবেশ, সত্যকে সত্য বলে মেনে নেওয়ার সদিচ্ছা। একটি স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং বিপক্ষের শক্তি থাকতে পারে, এ রকম আশ্চর্য ঘটনা কি পৃথিবীর আর কোথাও আছে? দেশকে এই অপমানটা যত দিন আমরা উপহার দিয়ে যাব, তত দিন রুচি ও নৈর্ব্যক্তিক অবস্থান থেকে ইতিহাসের নির্মোহ বিশ্লেষণ করতে পারব না। ইতিহাস ঘাঁটলে এ রকম আরও অনেক উদাহরণ তুলে আনা যাবে। তাতে আমাদের রুচির দৈন্যই প্রকাশ পাবে কেবল।
লেখক: উপসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কিউআর কোড পেমেন্ট ও ডিজিটাল ওয়ালেটের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন ক্যাশলেস সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসব বিষয়ে প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেট জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সালের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক নাদিম নেওয়াজ।
নাদিম নেওয়াজ

দেশে দিন দিন ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ছে। এ বিষয়ে আপনার মত জানতে চাই।
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাইম ব্যাংক সব সময় গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে উদ্ভাবনী ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। আমাদের ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কিউআর কোড পেমেন্ট ও ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা গ্রাহকদের সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেনের সুযোগ দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করছে, যাতে তাঁরা নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত ও আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
কার্ড ব্যবহারে দেশের মানুষের আগ্রহ কেমন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: দেশে মানুষের কার্ড ব্যবহারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কার্ড ব্যবহারে উৎসাহিত করতে নানা সুবিধা দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
প্রাইম ব্যাংকের কর্মীরা শুধু কার্ড সরবরাহে সীমাবদ্ধ নন, বরং সরকারের ক্যাশলেস অর্থনীতি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। দৈনন্দিন লেনদেনকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করতে আমরা ডিজিটাল চ্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য কী ধরনের অফার দিচ্ছেন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: গ্রাহকদের উৎসবমুখর অভিজ্ঞতা আরও আনন্দদায়ক করতে আমরা বিভিন্ন খাতে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার করছি। ইফতার ও সেহরির জন্য শীর্ষস্থানীয় রেস্তোরাঁগুলোতে এক্সক্লুসিভ ডাইনিং অফার, বাই ওয়ান গেট ওয়ান/টু/থ্রি সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রোসারি ও রিটেইল দোকানগুলোতে বিশেষ ছাড় এবং ক্যাশব্যাক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কার্ডহোল্ডাররা যাতে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য জনপ্রিয় টিকিটিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এক্সক্লুসিভ ক্যাশব্যাক অফার রাখা হয়েছে। গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।
প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
এ ছাড়া আমাদের অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ ‘মাইপ্রাইম’-এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা ক্রেডিট কার্ড থেকে যেকোনো অ্যাকাউন্টে সহজে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন। সুদমুক্ত সময়সীমার সুবিধাসহ কোনো অতিরিক্ত চার্জ ছাড়া ওয়ালেট ট্রান্সফার ও টপ-আপ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কার্ডভেদে গ্রাহকেরা দেশে-বিদেশে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

কার্ডের ব্যবহার বাড়াতে আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: আমাদের নির্বাচিত অ্যাকাউন্টধারী ও ঋণগ্রহীতাদের জন্য বান্ডেল ক্রেডিট কার্ডসহ বিশেষ সুবিধা প্রদান করছি। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন ধরনের ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে, যা ডিজিটাল লেনদেনের প্রসার ঘটাবে এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করবে। সর্বোচ্চ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ডেবিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে, যা ডিজিটাল লেনদেনকে আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করতে করপোরেট প্রিপেইড কার্ড চালু করা হয়েছে, বিশেষত গার্মেন্টসের কর্মীদের জন্য, যাঁরা এখনো নগদে মজুরি পেয়ে থাকেন। গার্মেন্টস কারখানার সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা কর্মীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় আনছি। পাশাপাশি যেসব এলাকায় ব্যাংকিং সুবিধা সীমিত, সেখানে আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেবিট কার্ড ইস্যু ও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে।
আরও খবর পড়ুন:

দেশে দিন দিন ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ছে। এ বিষয়ে আপনার মত জানতে চাই।
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাইম ব্যাংক সব সময় গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে উদ্ভাবনী ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। আমাদের ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কিউআর কোড পেমেন্ট ও ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা গ্রাহকদের সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেনের সুযোগ দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংক গ্রাহকদের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করছে, যাতে তাঁরা নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত ও আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
কার্ড ব্যবহারে দেশের মানুষের আগ্রহ কেমন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: দেশে মানুষের কার্ড ব্যবহারের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কার্ড ব্যবহারে উৎসাহিত করতে নানা সুবিধা দিচ্ছে। প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদাও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
প্রাইম ব্যাংকের কর্মীরা শুধু কার্ড সরবরাহে সীমাবদ্ধ নন, বরং সরকারের ক্যাশলেস অর্থনীতি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। দৈনন্দিন লেনদেনকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করতে আমরা ডিজিটাল চ্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য কী ধরনের অফার দিচ্ছেন?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: গ্রাহকদের উৎসবমুখর অভিজ্ঞতা আরও আনন্দদায়ক করতে আমরা বিভিন্ন খাতে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার করছি। ইফতার ও সেহরির জন্য শীর্ষস্থানীয় রেস্তোরাঁগুলোতে এক্সক্লুসিভ ডাইনিং অফার, বাই ওয়ান গেট ওয়ান/টু/থ্রি সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রোসারি ও রিটেইল দোকানগুলোতে বিশেষ ছাড় এবং ক্যাশব্যাক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কার্ডহোল্ডাররা যাতে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে জন্য জনপ্রিয় টিকিটিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এক্সক্লুসিভ ক্যাশব্যাক অফার রাখা হয়েছে। গ্রাহক অভিজ্ঞতা ও সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।
প্রাইম ব্যাংকের কার্ডের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিন বছরে আমাদের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার দ্বিগুণ হয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রতি তাঁদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। সহজলভ্যতা, নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধার কারণে গ্রাহকেরা আমাদের কার্ড ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
এ ছাড়া আমাদের অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপ ‘মাইপ্রাইম’-এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা ক্রেডিট কার্ড থেকে যেকোনো অ্যাকাউন্টে সহজে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন। সুদমুক্ত সময়সীমার সুবিধাসহ কোনো অতিরিক্ত চার্জ ছাড়া ওয়ালেট ট্রান্সফার ও টপ-আপ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। কার্ডভেদে গ্রাহকেরা দেশে-বিদেশে ১ হাজার ৪০০-এর বেশি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।

কার্ডের ব্যবহার বাড়াতে আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার?
জোয়ার্দ্দার তানভীর ফয়সাল: আমাদের নির্বাচিত অ্যাকাউন্টধারী ও ঋণগ্রহীতাদের জন্য বান্ডেল ক্রেডিট কার্ডসহ বিশেষ সুবিধা প্রদান করছি। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন ধরনের ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে, যা ডিজিটাল লেনদেনের প্রসার ঘটাবে এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করবে। সর্বোচ্চ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ডেবিট কার্ড দেওয়া হচ্ছে, যা ডিজিটাল লেনদেনকে আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলবে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করতে করপোরেট প্রিপেইড কার্ড চালু করা হয়েছে, বিশেষত গার্মেন্টসের কর্মীদের জন্য, যাঁরা এখনো নগদে মজুরি পেয়ে থাকেন। গার্মেন্টস কারখানার সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা কর্মীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতায় আনছি। পাশাপাশি যেসব এলাকায় ব্যাংকিং সুবিধা সীমিত, সেখানে আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেবিট কার্ড ইস্যু ও অন্যান্য ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে।
আরও খবর পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের একটি পর্যায় অতিক্রম করেছিল বাংলাদেশ। জয়ী হয়েছিল স্বাধীনতাযুদ্ধে। সেই যুদ্ধের স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বলে থাকায় এবং সেই প্রজন্মের মানুষেরা এখনো সেটি বর্ণনা করে চলায় তা অনেক সময় হয়ে উঠছে পক্ষপাতমূলক।
২৯ জুলাই ২০২৩
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
দেশের ক্রেডিট কার্ড বাজারে সিটি ব্যাংক এক নির্ভরযোগ্য নাম, বিশেষ করে একমাত্র আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) ক্রেডিট কার্ড ইস্যু এবং অ্যাকুয়ারের ক্ষেত্রে। উদ্ভাবন এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা দিয়ে নেতৃত্বের আসন মজবুত করেছে। এ বিষয়ে ব্যাংকটির কার্ড বিভাগের প্রধান তৌহিদুল আলমের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান নূর।
আসাদুজ্জামান নূর

সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সাফল্যের মূল কারণ কী এবং গ্রাহকসংখ্যা ও লেনদেনের ভিত্তিতে ব্যাংকটি কোন অবস্থায় রয়েছে?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তমানে, সিটি ব্যাংক প্রায় ৭ লাখ ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে এবং দেশের ৪৪টি ব্যাংকের মধ্যে ১৫-২০ শতাংশ লেনদেন পরিচালিত হয় আমাদের কার্ডের মাধ্যমে। এর পেছনে রয়েছে মানসম্মত সেবা, উদ্ভাবনী অফার এবং গ্রাহকের প্রতি দায়বদ্ধতা।
এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গ্রাহকেরা কেন এটি বেশি ব্যবহার করছেন?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক অ্যামেক্স এবং ভিসা—দুটি পেমেন্ট স্কিমের ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। তবে বাংলাদেশে আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ক্রেডিট কার্ড ইস্যু কর্তা, যা বিশেষ গুরুত্ব পায়। এর ট্রাভেল, ডাইনিং ও লাইফস্টাইল অফারের কারণে অ্যামেক্স কার্ডই আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশি ব্যবহৃত।
ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার বা সুবিধা প্রদান করছে কি? কেন গ্রাহকেরা এই ব্যাংকের কার্ডে বেশি আগ্রহী?
তৌহিদুল আলম: অবশ্যই। সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে, যেমন অ্যামেক্স কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ভিসা ইনফাইনাইট কার্ডে ক্যাশব্যাক এবং এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ, মিট অ্যান্ড গ্রিট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ডিসকাউন্ট অফার। আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হওয়ায়, গ্রাহকদের জন্য কাস্টমাইজড সুবিধা দিতে পারি, যা তাদের আরও আকৃষ্ট করছে।
মোবাইল অ্যাপে ক্রেডিট কার্ড সেবার বিশেষত্ব কী?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার যুক্ত করছে। আমাদের সিটিটাচ অ্যাপ্লিকেশনটি এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাংকিং অ্যাপ। গ্রাহকেরা অ্যাপের মাধ্যমে বিল পেমেন্ট, কার্ড টু অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার, এমএফএস টু কার্ড ট্রান্সফার, কিউআর পেমেন্ট, সরকারি ও বেসরকারি ইউটিলিটি সার্ভিস পেমেন্টসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সহজে সম্পন্ন করতে পারেন। এ ছাড়া মেম্বারশিপ রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে পারচেইজ, পারসোনাল ডিটেইল চেঞ্জ এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশন ম্যানেজমেন্টও এই প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ। গ্রাহকদের সুবিধা ও চাহিদা অনুযায়ী আমরা নিয়মিত নতুন নতুন সেবা যোগ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও খবর পড়ুন:

সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সাফল্যের মূল কারণ কী এবং গ্রাহকসংখ্যা ও লেনদেনের ভিত্তিতে ব্যাংকটি কোন অবস্থায় রয়েছে?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তমানে, সিটি ব্যাংক প্রায় ৭ লাখ ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করেছে এবং দেশের ৪৪টি ব্যাংকের মধ্যে ১৫-২০ শতাংশ লেনদেন পরিচালিত হয় আমাদের কার্ডের মাধ্যমে। এর পেছনে রয়েছে মানসম্মত সেবা, উদ্ভাবনী অফার এবং গ্রাহকের প্রতি দায়বদ্ধতা।
এই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গ্রাহকেরা কেন এটি বেশি ব্যবহার করছেন?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক অ্যামেক্স এবং ভিসা—দুটি পেমেন্ট স্কিমের ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে। তবে বাংলাদেশে আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ক্রেডিট কার্ড ইস্যু কর্তা, যা বিশেষ গুরুত্ব পায়। এর ট্রাভেল, ডাইনিং ও লাইফস্টাইল অফারের কারণে অ্যামেক্স কার্ডই আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশি ব্যবহৃত।
ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার বা সুবিধা প্রদান করছে কি? কেন গ্রাহকেরা এই ব্যাংকের কার্ডে বেশি আগ্রহী?
তৌহিদুল আলম: অবশ্যই। সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে, যেমন অ্যামেক্স কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ভিসা ইনফাইনাইট কার্ডে ক্যাশব্যাক এবং এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ, মিট অ্যান্ড গ্রিট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট ডিসকাউন্ট অফার। আমরা একমাত্র অ্যামেক্স ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হওয়ায়, গ্রাহকদের জন্য কাস্টমাইজড সুবিধা দিতে পারি, যা তাদের আরও আকৃষ্ট করছে।
মোবাইল অ্যাপে ক্রেডিট কার্ড সেবার বিশেষত্ব কী?
তৌহিদুল আলম: সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ডিজিটাল সুবিধার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার যুক্ত করছে। আমাদের সিটিটাচ অ্যাপ্লিকেশনটি এখন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাংকিং অ্যাপ। গ্রাহকেরা অ্যাপের মাধ্যমে বিল পেমেন্ট, কার্ড টু অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার, এমএফএস টু কার্ড ট্রান্সফার, কিউআর পেমেন্ট, সরকারি ও বেসরকারি ইউটিলিটি সার্ভিস পেমেন্টসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সহজে সম্পন্ন করতে পারেন। এ ছাড়া মেম্বারশিপ রিওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে পারচেইজ, পারসোনাল ডিটেইল চেঞ্জ এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশন ম্যানেজমেন্টও এই প্ল্যাটফর্মে উপলব্ধ। গ্রাহকদের সুবিধা ও চাহিদা অনুযায়ী আমরা নিয়মিত নতুন নতুন সেবা যোগ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও খবর পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের একটি পর্যায় অতিক্রম করেছিল বাংলাদেশ। জয়ী হয়েছিল স্বাধীনতাযুদ্ধে। সেই যুদ্ধের স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বলে থাকায় এবং সেই প্রজন্মের মানুষেরা এখনো সেটি বর্ণনা করে চলায় তা অনেক সময় হয়ে উঠছে পক্ষপাতমূলক।
২৯ জুলাই ২০২৩
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মাহফুজুল ইসলাম।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সেবা ও বাজারে প্রতিযোগিতা সম্পর্কে কিছু বলুন?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আমরা কন্টাক্টলেস ও ডুয়াল কারেন্সি কার্ড, ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস এবং কম বা শূন্য বার্ষিক ফির সুবিধা প্রদান করি। দ্রুত কার্ড ইস্যু, ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার এবং মোবাইল অ্যাপে সহজ তথ্য অ্যাকসেসের সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন উৎসব অফার, কো-ব্র্যান্ড কার্ড এবং ১৫০০+ এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে প্রবেশের সুবিধা থাকায় আমাদের কার্ডের চাহিদা বাড়ছে।
অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কীভাবে আলাদা বা বিশেষ সুবিধা প্রদান করে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ঢাকা ব্যাংক পিএলসির ক্রেডিট কার্ডে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস, কম লেনদেন ও বার্ষিক ফি, কন্টাক্টলেস সুবিধা এবং উন্নত সুরক্ষা যেমন ওটিপি ও ফ্রড ডিটেকশন রয়েছে। ব্যবহারবান্ধব মোবাইল অ্যাপ এবং ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার সেবা গ্রাহকদের নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
দেশে ক্রেডিট কার্ডধারীদের মধ্যে কোন ধরনের লেনদেন প্রবণতা বেশি দেখা যায়?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ডধারীরা ফ্যাশন, ইলেকট্রনিকস, গৃহসজ্জা, দৈনন্দিন পণ্য, রেস্টুরেন্ট, ফুড ডেলিভারি, হোটেল ও ভ্রমণ বুকিং এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধে বেশি ব্যবহার করেন। ডিজিটালাইজেশন ও অনলাইন সেবার সহজলভ্যতা এই প্রবণতাগুলোকে ক্রমাগত বাড়াচ্ছে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সুদের হার ও ফি-সংক্রান্ত নীতি কীভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে, এটি কি গ্রাহকবান্ধব?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ব্যাংকগুলো সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা বা বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী রেট নির্ধারণ করে, তবে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারে না। বেশির ভাগ কার্ডে ৪৫ দিন বিনা সুদে কেনাকাটার সুযোগ থাকে। বার্ষিক ফি, লেট পেমেন্ট ফি এবং ক্যাশ উত্তোলন ফি প্রযোজ্য হতে পারে এবং অনেক কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট বা ক্যাশব্যাক সুবিধা থাকে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার ও বিলম্বিত পেমেন্টে ঋণের বোঝা বাড়তে পারে।
গ্রাহককে ব্যাংকের গ্রাহক সেবা বিভাগে অভিযোগ জমা দিতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান ট্র্যাকিং নম্বর দেয়, যা দিয়ে অভিযোগের অবস্থা ট্র্যাক করা যায়। সাধারণত ৭-১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া এবং ৩০-৪৫ দিন পর সম্পূর্ণ সমাধান পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ক্রেডিট কার্ডসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং ব্যাংকগুলোকে ফি, সুদের হার এবং শর্তাবলি সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কতটা নিরাপদ?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংক লেনদেনের নিরাপত্তায় পিসিআই-ডিএসএস এবং আইএসও ২৭০০৩২ কমপ্লায়েন্ট। অনলাইন ট্রানজেকশনে ডেটা এনক্রিপশন ও দুই-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহৃত হয়। লেনদেন রিয়েল-টাইমে মনিটর করা হয় এবং গ্রাহকদের নিরাপত্তা টিপস দেওয়া হয়। সন্দেহজনক লেনদেন হলে ২৪/৭ সেবা হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।

যেসব গ্রাহক প্রথমবারের মতো ক্রেডিট কার্ড নিতে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: প্রথমবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে ক্রেডিট অবস্থা ও আয়প্রবাহ চেক করুন। সঠিক কার্ড নির্বাচন করে সুদ, ফি এবং অফার বুঝে ব্যবহার করুন। ক্রেডিট লিমিট অতিক্রম না করার চেষ্টা করুন, সময়মতো পেমেন্ট করুন এবং অটো পেমেন্ট সেট আপ করুন।
ঢাকা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ভবিষ্যতে কী ধরনের নতুন উদ্ভাবন বা প্রযুক্তি সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ড সুরক্ষা বাড়াতে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন, এআই ও মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে ব্যয় প্যাটার্ন বিশ্লেষণ এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। ঢাকা ব্যাংক তাদের মোবাইল অ্যাপে এআই-ভিত্তিক গ্রাহকসেবা এবং চ্যাটবট সংযুক্ত করতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সেবা ও বাজারে প্রতিযোগিতা সম্পর্কে কিছু বলুন?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আমরা কন্টাক্টলেস ও ডুয়াল কারেন্সি কার্ড, ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস এবং কম বা শূন্য বার্ষিক ফির সুবিধা প্রদান করি। দ্রুত কার্ড ইস্যু, ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার এবং মোবাইল অ্যাপে সহজ তথ্য অ্যাকসেসের সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন উৎসব অফার, কো-ব্র্যান্ড কার্ড এবং ১৫০০+ এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে প্রবেশের সুবিধা থাকায় আমাদের কার্ডের চাহিদা বাড়ছে।
অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কীভাবে আলাদা বা বিশেষ সুবিধা প্রদান করে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ঢাকা ব্যাংক পিএলসির ক্রেডিট কার্ডে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট, রিওয়ার্ড পয়েন্টস, কম লেনদেন ও বার্ষিক ফি, কন্টাক্টলেস সুবিধা এবং উন্নত সুরক্ষা যেমন ওটিপি ও ফ্রড ডিটেকশন রয়েছে। ব্যবহারবান্ধব মোবাইল অ্যাপ এবং ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার সেবা গ্রাহকদের নিরাপদ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
দেশে ক্রেডিট কার্ডধারীদের মধ্যে কোন ধরনের লেনদেন প্রবণতা বেশি দেখা যায়?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ডধারীরা ফ্যাশন, ইলেকট্রনিকস, গৃহসজ্জা, দৈনন্দিন পণ্য, রেস্টুরেন্ট, ফুড ডেলিভারি, হোটেল ও ভ্রমণ বুকিং এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধে বেশি ব্যবহার করেন। ডিজিটালাইজেশন ও অনলাইন সেবার সহজলভ্যতা এই প্রবণতাগুলোকে ক্রমাগত বাড়াচ্ছে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সুদের হার ও ফি-সংক্রান্ত নীতি কীভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে, এটি কি গ্রাহকবান্ধব?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ব্যাংকগুলো সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা বা বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী রেট নির্ধারণ করে, তবে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারে না। বেশির ভাগ কার্ডে ৪৫ দিন বিনা সুদে কেনাকাটার সুযোগ থাকে। বার্ষিক ফি, লেট পেমেন্ট ফি এবং ক্যাশ উত্তোলন ফি প্রযোজ্য হতে পারে এবং অনেক কার্ডে রিওয়ার্ড পয়েন্ট বা ক্যাশব্যাক সুবিধা থাকে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার ও বিলম্বিত পেমেন্টে ঋণের বোঝা বাড়তে পারে।
গ্রাহককে ব্যাংকের গ্রাহক সেবা বিভাগে অভিযোগ জমা দিতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান ট্র্যাকিং নম্বর দেয়, যা দিয়ে অভিযোগের অবস্থা ট্র্যাক করা যায়। সাধারণত ৭-১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া এবং ৩০-৪৫ দিন পর সম্পূর্ণ সমাধান পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ক্রেডিট কার্ডসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করে এবং ব্যাংকগুলোকে ফি, সুদের হার এবং শর্তাবলি সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
ঢাকা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কতটা নিরাপদ?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: আমাদের ব্যাংক লেনদেনের নিরাপত্তায় পিসিআই-ডিএসএস এবং আইএসও ২৭০০৩২ কমপ্লায়েন্ট। অনলাইন ট্রানজেকশনে ডেটা এনক্রিপশন ও দুই-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহৃত হয়। লেনদেন রিয়েল-টাইমে মনিটর করা হয় এবং গ্রাহকদের নিরাপত্তা টিপস দেওয়া হয়। সন্দেহজনক লেনদেন হলে ২৪/৭ সেবা হটলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।

যেসব গ্রাহক প্রথমবারের মতো ক্রেডিট কার্ড নিতে চান, তাঁদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: প্রথমবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আগে ক্রেডিট অবস্থা ও আয়প্রবাহ চেক করুন। সঠিক কার্ড নির্বাচন করে সুদ, ফি এবং অফার বুঝে ব্যবহার করুন। ক্রেডিট লিমিট অতিক্রম না করার চেষ্টা করুন, সময়মতো পেমেন্ট করুন এবং অটো পেমেন্ট সেট আপ করুন।
ঢাকা ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবায় ভবিষ্যতে কী ধরনের নতুন উদ্ভাবন বা প্রযুক্তি সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে?
শেখ মোহাম্মদ মারুফ: ক্রেডিট কার্ড সুরক্ষা বাড়াতে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন, এআই ও মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে ব্যয় প্যাটার্ন বিশ্লেষণ এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। ঢাকা ব্যাংক তাদের মোবাইল অ্যাপে এআই-ভিত্তিক গ্রাহকসেবা এবং চ্যাটবট সংযুক্ত করতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের একটি পর্যায় অতিক্রম করেছিল বাংলাদেশ। জয়ী হয়েছিল স্বাধীনতাযুদ্ধে। সেই যুদ্ধের স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বলে থাকায় এবং সেই প্রজন্মের মানুষেরা এখনো সেটি বর্ণনা করে চলায় তা অনেক সময় হয়ে উঠছে পক্ষপাতমূলক।
২৯ জুলাই ২০২৩
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
২০ মার্চ ২০২৫ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিশেষ আয়োজন
বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর মাস্টারকার্ড এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, গ্রাহকের সেবার মান ও নিরাপত্তার ধরন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার জয়নাল আবেদীন খান।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

মাস্টারকার্ডের যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: আমরা বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করি, যখন বিশ্বে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছিল। ১৯৯৭ সালে এএনজেড গ্রিনলেজ (পরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড) ব্যাংকের সঙ্গে মিলে দেশে প্রথম ক্রেডিট কার্ড চালু করি, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও ই-কমার্স খাতকে লক্ষ্য রেখে প্রথম অফিস চালু করা হয়। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ই-কমার্সের বিকাশের সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্টের চাহিদা বেড়েছে, যেখানে মাস্টারকার্ড গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
গ্রাহকসেবার মান নিয়ে কিছু বলুন।
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় সর্বোচ্চ মানের গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করে, যাতে নিরাপদ ও সহজ লেনদেন সম্ভব হয়। আমাদের উদ্ভাবনী সলিউশন গ্রাহকদের দৈনন্দিন আর্থিক কার্যক্রম সহজ করে, বিশেষ করে কন্টাক্টলেস পেমেন্ট দ্রুত ও নিরাপদ অভিজ্ঞতা দেয়। কোভিড মহামারির সময় এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাস্টারকার্ড সরাসরি কার্ড ইস্যু না করে, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়।
গ্রাহকের আস্থা অর্জনে কতটা সফল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে মাস্টারকার্ড আশাতীত সফল হয়েছে, যা প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। কারণ, আমাদের টোকেনাইজেশন প্রযুক্তি কার্ড তথ্য সুরক্ষিত রাখে, আর নানা অফার ও সুবিধা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে সম্পর্ক মজবুত করে। গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে আমরা নিরন্তর কাজ করছি।
দেশি ও বিদেশি গ্রাহকদের সেবায় কি কোনো পার্থক্য আছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী একই মানের সেবা নিশ্চিত করে। তবে অফারগুলো দেশের বাজার ও গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশসহ প্রতিটি দেশে আর্থিক নীতিমালা ও বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে সেবাগুলো নির্ধারিত হয়।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ডের বিশেষত্ব কী?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড ব্যবহারের জনপ্রিয়তা কেন বাড়ছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রসার, উন্নত নিরাপত্তা, রিওয়ার্ড ও অফার এবং ই-কমার্সের বিকাশের কারণে। নগদ লেনদেনের বদলে ডিজিটাল লেনদেনের প্রবণতা বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি, যেখানে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। উন্নত নিরাপত্তা প্রযুক্তি গ্রাহকদের আস্থা বাড়িয়েছে এবং বিভিন্ন রিওয়ার্ড ও ডিসকাউন্ট তাঁদের নিয়মিত লেনদেনে সুবিধা দিচ্ছে। ই-কমার্সের প্রসারও মাস্টারকার্ড ব্যবহারের চাহিদা বাড়ার একটি বড় কারণ, যা অনলাইন কেনাকাটায় নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিত করে।
গ্রাহকদের জন্য বিশেষ কী অফার রয়েছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সারা বছর গ্রাহকদের জন্য নানা অফার ও সুবিধা দেয়, যা কেনাকাটা ও লেনদেনকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তোলে। ঈদ, পূজা, ক্রিসমাসসহ বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ ছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার থাকে। এবার পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ৪০টি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের ১৭৫টির বেশি আউটলেটে ২৫ শতাংশ ছাড়, ৫০টি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বোগো অফার, ট্রাভেল প্যাকেজে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং ইলেকট্রনিকসে অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। দেশের ৯০০০+ মার্চেন্ট আউটলেটে বিশেষ পেমেন্ট সুবিধাও মিলছে, যা গ্রাহকদের কেনাকাটার আনন্দ বাড়াবে।
ভবিষ্যতে মাস্টারকার্ডের নতুন কোনো অভিনব সেবা আসছে কি?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় নতুন সেবা যোগ করে আসছে, যেমন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট। ভবিষ্যতে আরও উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক সলিউশন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন এআই প্রযুক্তি দিয়ে লেনদেনের নিরাপত্তা বাড়ানো ও ফ্রড শনাক্তকরণ। ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট ও রেমিট্যান্স সেবায় স্বচ্ছতা ও দ্রুততা আনা এবং ডিজিটাল ওয়ালেট সলিউশন বাড়ানো লক্ষ্য। এসব উদ্যোগ মাস্টারকার্ডকে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।
আরও খবর পড়ুন:

মাস্টারকার্ডের যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: আমরা বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করি, যখন বিশ্বে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছিল। ১৯৯৭ সালে এএনজেড গ্রিনলেজ (পরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড) ব্যাংকের সঙ্গে মিলে দেশে প্রথম ক্রেডিট কার্ড চালু করি, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত ও ই-কমার্স খাতকে লক্ষ্য রেখে প্রথম অফিস চালু করা হয়। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ই-কমার্সের বিকাশের সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্টের চাহিদা বেড়েছে, যেখানে মাস্টারকার্ড গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
গ্রাহকসেবার মান নিয়ে কিছু বলুন।
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় সর্বোচ্চ মানের গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করে, যাতে নিরাপদ ও সহজ লেনদেন সম্ভব হয়। আমাদের উদ্ভাবনী সলিউশন গ্রাহকদের দৈনন্দিন আর্থিক কার্যক্রম সহজ করে, বিশেষ করে কন্টাক্টলেস পেমেন্ট দ্রুত ও নিরাপদ অভিজ্ঞতা দেয়। কোভিড মহামারির সময় এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মাস্টারকার্ড সরাসরি কার্ড ইস্যু না করে, বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়।
গ্রাহকের আস্থা অর্জনে কতটা সফল?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে মাস্টারকার্ড আশাতীত সফল হয়েছে, যা প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। কারণ, আমাদের টোকেনাইজেশন প্রযুক্তি কার্ড তথ্য সুরক্ষিত রাখে, আর নানা অফার ও সুবিধা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে সম্পর্ক মজবুত করে। গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে আমরা নিরন্তর কাজ করছি।
দেশি ও বিদেশি গ্রাহকদের সেবায় কি কোনো পার্থক্য আছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী একই মানের সেবা নিশ্চিত করে। তবে অফারগুলো দেশের বাজার ও গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশসহ প্রতিটি দেশে আর্থিক নীতিমালা ও বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে সেবাগুলো নির্ধারিত হয়।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ডের বিশেষত্ব কী?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা প্রযুক্তির জন্য পরিচিত এবং বাংলাদেশেও গ্রাহকদের সুরক্ষিত লেনদেন নিশ্চিত করছে। আমাদের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রযুক্তি; যেমন চিপ ও পিন প্রযুক্তি, টোকেনাইজেশন, উন্নত এনক্রিপশন ও ‘সিকিউর কোড’ সিস্টেম অনলাইন ফ্রড ও তথ্য চুরির ঝুঁকি কমায়। মাস্টারকার্ড ইএমভি ও পিসিআই ডিএসএস প্রটোকল মেনে চলে, যা গ্লোবাল লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়ায়।
মাস্টারকার্ড ব্যবহারের জনপ্রিয়তা কেন বাড়ছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের জনপ্রিয়তা বেড়েছে ডিজিটাল পেমেন্টের প্রসার, উন্নত নিরাপত্তা, রিওয়ার্ড ও অফার এবং ই-কমার্সের বিকাশের কারণে। নগদ লেনদেনের বদলে ডিজিটাল লেনদেনের প্রবণতা বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি, যেখানে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। উন্নত নিরাপত্তা প্রযুক্তি গ্রাহকদের আস্থা বাড়িয়েছে এবং বিভিন্ন রিওয়ার্ড ও ডিসকাউন্ট তাঁদের নিয়মিত লেনদেনে সুবিধা দিচ্ছে। ই-কমার্সের প্রসারও মাস্টারকার্ড ব্যবহারের চাহিদা বাড়ার একটি বড় কারণ, যা অনলাইন কেনাকাটায় নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিত করে।
গ্রাহকদের জন্য বিশেষ কী অফার রয়েছে?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সারা বছর গ্রাহকদের জন্য নানা অফার ও সুবিধা দেয়, যা কেনাকাটা ও লেনদেনকে সহজ ও আকর্ষণীয় করে তোলে। ঈদ, পূজা, ক্রিসমাসসহ বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ ছাড় ও ক্যাশব্যাক অফার থাকে। এবার পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ৪০টি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের ১৭৫টির বেশি আউটলেটে ২৫ শতাংশ ছাড়, ৫০টি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বোগো অফার, ট্রাভেল প্যাকেজে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং ইলেকট্রনিকসে অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। দেশের ৯০০০+ মার্চেন্ট আউটলেটে বিশেষ পেমেন্ট সুবিধাও মিলছে, যা গ্রাহকদের কেনাকাটার আনন্দ বাড়াবে।
ভবিষ্যতে মাস্টারকার্ডের নতুন কোনো অভিনব সেবা আসছে কি?
সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল: মাস্টারকার্ড সব সময় নতুন সেবা যোগ করে আসছে, যেমন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট। ভবিষ্যতে আরও উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক সলিউশন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যেমন এআই প্রযুক্তি দিয়ে লেনদেনের নিরাপত্তা বাড়ানো ও ফ্রড শনাক্তকরণ। ক্রস-বর্ডার পেমেন্ট ও রেমিট্যান্স সেবায় স্বচ্ছতা ও দ্রুততা আনা এবং ডিজিটাল ওয়ালেট সলিউশন বাড়ানো লক্ষ্য। এসব উদ্যোগ মাস্টারকার্ডকে বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির অগ্রদূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।
আরও খবর পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের একটি পর্যায় অতিক্রম করেছিল বাংলাদেশ। জয়ী হয়েছিল স্বাধীনতাযুদ্ধে। সেই যুদ্ধের স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বলে থাকায় এবং সেই প্রজন্মের মানুষেরা এখনো সেটি বর্ণনা করে চলায় তা অনেক সময় হয়ে উঠছে পক্ষপাতমূলক।
২৯ জুলাই ২০২৩
উন্নত বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে, যা অর্থনীতির আধুনিকায়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অগ্রগতি। এটি শুধু সময় সাশ্রয় করে না, বরং নিরাপদ, স্বচ্ছ ও কার্যকর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০ মার্চ ২০২৫
সিটি ব্যাংক ২০০৪ সালে প্রথম ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করে এবং ২০০৯ সালে আমেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) কার্ড ইস্যুয়ার ও অ্যাকুয়ারার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লাউঞ্জ-সুবিধা চালু করার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড খাতে উদ্ভাবনী সেবা প্রদান করে, যা সিটি ব্যাংককে শীর্ষ স্থানে নিয়ে আসে। বর্তম
২০ মার্চ ২০২৫
ক্রেডিট কার্ডের জগতে প্রতিযোগিতার ছড়াছড়ি। সেখানে কীভাবে ঢাকা ব্যাংক তার অবস্থান ধরে রেখেছে, ভবিষ্যৎ কী পরিকল্পনা, জানিয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের এমডি শেখ মোহাম্মদ মারুফ। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার...
২০ মার্চ ২০২৫