Ajker Patrika

বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কৃষি অধিদপ্তরের সাইনবোর্ড, রাতেই উধাও

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কৃষি অধিদপ্তরের সাইনবোর্ড, রাতেই উধাও

ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানা শহরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সাঁটানো হয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাইনবোর্ড। এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হলে রাতের আঁধারে সরানো হয় সেই সাইনবোর্ড। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাইনবোর্ডটি দেখা যাচ্ছে না সেটি।

এর আগে বুধবার সকাল থেকেই রুহিয়া থানা বিএনপির কার্যালয়ে সাইনবোর্ডটি দেখতে পান স্থানীয়রা। ঝুলিয়ে থাকা সাইনবোর্ডটিতে লেখা ছিল, ‘উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রুহিয়া, ঠাকুরগাঁও।’

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, তাঁদের দপ্তর থেকে সেখানে এই সাইনবোর্ডটি সাঁটানো হয়নি। 

এদিকে রাজনৈতিক দলটির অফিসে হঠাৎ করে দলীয় সাইনবোর্ডের পরিবর্তে কৃষি অফিসের সাইনবোর্ড দেখতে পেয়ে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অপরদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।

আব্দুর রশিদ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি সাইনবোর্ডটি বিএনপির কার্যালয়ে দেখেছেন। আজ সকালে বাজারে আসার পরে সাইনবোর্ডটি দেখতে না পেয়ে তাঁর মতো অনেকেই কৌতূহলী হয়ে ওঠেন।

সাইদুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ‘সব সময় শান্তির জনপদ হিসেবে রুহিয়া থানার একটি নাম ছিল। হঠাৎ রাজনীতি অস্থিরতায় বেড়ে যাওয়ায় শান্তি প্রিয় এলাকাটি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’

সাইনবোর্ড সাঁটানো নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে রাতের আঁধারে সরিয়ে ফেলা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তৈমুর রহমান বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও জেলা যুবদলের নেতা মহেবুল্লাহ চৌধুরী আবু নূরের পৈতৃক দান করা জমির ওপর ২৫ বছর আগে বিএনপির রুহিয়া ইউনিয়ন শাখার অফিস করা হয়। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে আমাদের অফিসে সরকারি অফিসের সাইন বোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি কৃষি অফিস এটির বিষয়ে জানে না।’ 

জেলা যুবদলের নেতা মহেবুল্লাহ চৌধুরী আবু নূর বলেন, ‘আমার বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁর জমির এককোণে বিএনপির অফিস করা হয়।’ আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই জমি দখলে নিতে সরকারি সাইনবোর্ড ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেন এই যুবদল নেতা।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃঞ্চ রায় বলেন, ‘এই সাইন বোর্ডটি আমাদের কেউ ঝুলাইনি। তবে সেখানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জায়গা রয়েছে। সরকারি ওই জমির ওপর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরিত্যক্ত একটি বাসভবন আছে।

উল্লেখ্য, এ ঘটনার পাঁচ দিন আগে একই দিনে একই সময়ে রুহিয়া থানা বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ও থানা মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ থেকে ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। একপর্যায়ে বিএনপি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আগুন নেভায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদি দোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাটের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইসমাইল হোসেন সম্রাট। ফাইল ছবি
ইসমাইল হোসেন সম্রাট। ফাইল ছবি

অবৈধ অস্ত্র দখলে রাখার দায়ে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায় ঘোষণার সময় সম্রাট পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনাল রায়ে বলেছেন, আসামি সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র দখলে রাখার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।

রায়ে আরও বলা হয়, আসামি গ্রেপ্তার হওয়ার পর বা ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণের পর এই রায় কার্যকর হবে। তবে ইতিপূর্বে এই মামলায় আসামি হাজতবাস করে থাকলে হাজতবাসের সময় তাঁর সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে আত্মগোপনে চলে যান ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সেদিন বিকেলে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তাঁর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। ওইদিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়া যায়।

ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রমনা থানায় অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য আইনে দু’টি মামলা করেন র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক।

তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর আদালতে অস্ত্র মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর এসআই শেখর চন্দ্র মল্লিক।

এ বছর ১৬ জানুয়ারি সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলায়।

সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা ঢাকার অন্য দুটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার হওয়ার পর সম্রাট দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিন লাভ করেন। তবে গতবছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আর আদালতে হাজির হননি। এ কারণে প্রত্যেক মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদি দোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগুনে পুড়ল যাত্রীবাহী চলন্ত এসি বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের উজিরপুরে যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ইচলাদিতে মেজর এম এ জলিল সেতুর ঢালে নির্মাণাধীন টোল প্লাজায় বিআরটিসির একটি এসি বাসে এই ঘটনা ঘটে।

আগুনে বাসটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। যাত্রীরা দ্রুত নেমে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন লাগার সঠিক কারণ কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উজিরপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চলন্ত বাসে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাসচালক মো. শাহজালাল জানান, বাসটি বরিশাল থেকে খুলনায় যাচ্ছিল। বাসে ৩০ জন যাত্রী ছিল। টোল প্লাজায় পৌঁছালে ধোঁয়া দেখে যাত্রীরা চিৎকার শুরু করে। এ সময় বাস থামালে যাত্রীরা দ্রুত নেমে যায়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাসটি ভস্মীভূত হয়।

বাসের এক যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চলন্ত বাসের মধ্যে এক যাত্রী সিগারেট সেবন করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সিগারেটের আগুন থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে বিআরটিসি বরিশাল ডিপোর ব্যবস্থাপক (অপারেশন) জামিল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।

উজিরপুর মডেল থানার ওসি আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, আগুন নেভানোর পর বেলা ১টা থেকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদি দোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় দুই বাড়িতে গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি

খুলনা প্রতিনিধি
সিসিটিভি ফুটেজে গুলির ঘটনার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত
সিসিটিভি ফুটেজে গুলির ঘটনার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা নগরীর দৌলতপুরের কার্তিক কূলে ও পশ্চিম পাড়ার খুঁটির ঘাট এলাকার দুটি বাড়িতে ফাঁকা গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৫টি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।

আজ মঙ্গলবার ভোরে দুই বাড়িতে গুলি করা হয়। এর মধ্যে কুয়েট কর্মচারী হিটুর বাড়িতে ৬টি এবং ‘মাদক কারবারি’ কানা মেহেদির বাড়িতে ৯টি গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। কে বা কারা এই গুলি ছুড়েছে, তা এখনো শনাক্ত করতে পারেনি প্রশাসন।

বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, চারটি মোটরসাইকেলে মাথায় হেলমেট পরিহিত বেশ কিছু যুবক বাড়ির প্রধান ফটকের একটু সামনে দাঁড়ায়। মোটরসাইকেল থেকে নেমে কয়েকজন প্রধান ফটক দিয়ে মহসিন লিটুর রুম লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ওই সময় লিটু ফজরের নামাজ আদায় করার জন্য পাশের মসজিদে ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিক ইসলাম বলেন, কুয়েটের কর্মচারী মহসিন লিটুর বাড়ি লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া মেহেদির বাড়িতেও ৯টি গুলি করা হয়। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদি দোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৫ বছরেও শেষ হয়নি ভবন নির্মাণ, কমনরুম ও ল্যাবে ক্লাস

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
নির্মাণাধীন ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় কক্ষসংকটে শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা
নির্মাণাধীন ভবনের কাজ শেষ না হওয়ায় কক্ষসংকটে শিক্ষার্থী। ছবি: আজকের পত্রিকা

চার বছর ১০ মাস পার হলেও শেষ হয়নি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমির নির্মাণাধীন ভবনের কাজ। ফলে কক্ষসংকটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস করতে হচ্ছে সায়েন্স ল্যাব, কমনরুম আর কম্পিউটার ল্যাবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, দ্রুত রি-টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত সাবদারপুর মুনসুর আলী একাডেমি বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছে। এখন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫০ জন। এত শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজন ১৮ থেকে ২০টি শ্রেণিকক্ষ, কিন্তু বিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র ১৪টি কক্ষ। এর মধ্যে আছে শিক্ষার্থীদের কমনরুম, সায়েন্স ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব ও শিক্ষকদের অফিস।

ঝিনাইদহ-২
ঝিনাইদহ-২

কক্ষসংকট দূর করতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে চারতলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। শুরুতে কিছু কাজ হলেও একাধিকবার বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পটি। সম্প্রতি ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করেছে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, এখন কাজটি পুনরায় টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

এদিকে কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীরা হারিয়েছে স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় ক্লাস চলছে বিকল্প কক্ষে। জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু কক্ষ মাত্র ১৪টি। ফলে পাঠদান করতে হচ্ছে ল্যাব, কমনরুম ও কম্পিউটার ল্যাবে। ভবন নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেলেও কাজ অসমাপ্ত থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমছে না।’

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল বলেন, ‘ঠিকাদার কাজ শুরু করলেও বারবার বন্ধ রেখেছিল। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা কাজ শেষ করেনি। নির্ধারিত সময় ছিল ১৩ অক্টোবর ২০২১, কিন্তু তারা কাজ ফেলে রাখায় কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। খুব দ্রুত রি-টেন্ডার করে নতুন করে কাজ শুরু করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদি দোকানি সোহেল

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত