ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও শহরের দক্ষিণ সালন্দর এলাকার হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বালিকা হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে তিন ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর কেটে গেছে ২১ দিন। এখনো তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি। সন্তানদের খোঁজে অভিভাবকেরা থানা ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন।
আজ সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়টি জানান। এ সময় তাঁরা নিখোঁজ সন্তানদের দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানান। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ওই তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। তাদের বয়স ১৩ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তাঁরা ওই মাদ্রাসার হাফিজি ও কিতাবি বিভাগের ছাত্রী।
নিখোঁজ এক ছাত্রীর মা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শেষবার মেয়েকে দেখেছিলাম নিখোঁজের আগের দিন। সে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল—‘মা, আমাকে বাড়ি নিয়ে যাও।’ আমি তাঁকে বুঝিয়ে রেখে এসেছিলাম। আজ ২১ দিন হয়ে গেল, কোনো খবর নেই। আমার বুক ফেটে যায়—সে বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে, তাও জানি না।’
আরেক ছাত্রীর মা বলেন, ‘৯ সেপ্টেম্বর সকালে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষিকা ফোন দিয়ে জানালেন, আমার মেয়ে নেই। এর আগের দিন খাবারের জন্য বকাঝকা করেছিলেন তাঁকে। তারপর থেকে মেয়ের আর কোনো খবর পাইনি। রাত জেগে দরজার দিকে তাকিয়ে থাকি—হয়তো ফিরে আসবে।’
অপর ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমাদের ঘুম নেই, খাওয়া নেই। শুধু বুকফাটা কান্না। প্রতিদিন ভাবি আজ হয়তো খোঁজ পাব। কিন্তু প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও কোনো ফল নেই। আমরা শুধু চাই—ওরা জীবিত ফিরে আসুক।’
পরিবারগুলোর দাবি, ঘটনার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও কোনো অগ্রগতি নেই। পরে ১৪ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক অভিভাবক। সন্তানদের খুঁজে না পেয়ে শেষ ভরসা হিসেবে এলাকাজুড়ে ছবি-সংবলিত বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়েছেন তাঁরা। এমনকি সন্ধানদাতাকে পুরস্কারের ঘোষণাও দিয়েছেন।
মাদ্রাসার পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, তিন শিক্ষার্থী পরিকল্পনা করে কাপড়চোপড়সহ চারটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে গেছে। এতে মাদ্রাসার কারও সংশ্লিষ্টতা নেই।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরোয়ার আলম খান বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে—তিন ছাত্রী ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে অজানা গন্তব্যে যায়। তবে কমলাপুর ও এয়ারপোর্ট স্টেশনের ফুটেজেও তাঁদের খোঁজ মেলেনি। মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ডিবির ওসি মামুন অর রশিদ বলেন, তদন্ত চলছে। ইতিবাচক কিছু পাওয়া গেলে আপনাদের জানানো হবে।
ঠাকুরগাঁও শহরের দক্ষিণ সালন্দর এলাকার হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বালিকা হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে তিন ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর কেটে গেছে ২১ দিন। এখনো তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি। সন্তানদের খোঁজে অভিভাবকেরা থানা ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন।
আজ সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়টি জানান। এ সময় তাঁরা নিখোঁজ সন্তানদের দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানান। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ওই তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। তাদের বয়স ১৩ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তাঁরা ওই মাদ্রাসার হাফিজি ও কিতাবি বিভাগের ছাত্রী।
নিখোঁজ এক ছাত্রীর মা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শেষবার মেয়েকে দেখেছিলাম নিখোঁজের আগের দিন। সে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল—‘মা, আমাকে বাড়ি নিয়ে যাও।’ আমি তাঁকে বুঝিয়ে রেখে এসেছিলাম। আজ ২১ দিন হয়ে গেল, কোনো খবর নেই। আমার বুক ফেটে যায়—সে বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে, তাও জানি না।’
আরেক ছাত্রীর মা বলেন, ‘৯ সেপ্টেম্বর সকালে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষিকা ফোন দিয়ে জানালেন, আমার মেয়ে নেই। এর আগের দিন খাবারের জন্য বকাঝকা করেছিলেন তাঁকে। তারপর থেকে মেয়ের আর কোনো খবর পাইনি। রাত জেগে দরজার দিকে তাকিয়ে থাকি—হয়তো ফিরে আসবে।’
অপর ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমাদের ঘুম নেই, খাওয়া নেই। শুধু বুকফাটা কান্না। প্রতিদিন ভাবি আজ হয়তো খোঁজ পাব। কিন্তু প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরেও কোনো ফল নেই। আমরা শুধু চাই—ওরা জীবিত ফিরে আসুক।’
পরিবারগুলোর দাবি, ঘটনার পর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও কোনো অগ্রগতি নেই। পরে ১৪ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক অভিভাবক। সন্তানদের খুঁজে না পেয়ে শেষ ভরসা হিসেবে এলাকাজুড়ে ছবি-সংবলিত বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়েছেন তাঁরা। এমনকি সন্ধানদাতাকে পুরস্কারের ঘোষণাও দিয়েছেন।
মাদ্রাসার পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, তিন শিক্ষার্থী পরিকল্পনা করে কাপড়চোপড়সহ চারটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে গেছে। এতে মাদ্রাসার কারও সংশ্লিষ্টতা নেই।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরোয়ার আলম খান বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে—তিন ছাত্রী ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে অজানা গন্তব্যে যায়। তবে কমলাপুর ও এয়ারপোর্ট স্টেশনের ফুটেজেও তাঁদের খোঁজ মেলেনি। মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ডিবির ওসি মামুন অর রশিদ বলেন, তদন্ত চলছে। ইতিবাচক কিছু পাওয়া গেলে আপনাদের জানানো হবে।
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শুধু বিষাক্ত গ্যাসে নয়, আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণেও তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
১ ঘণ্টা আগেফারহানা জাহাঙ্গীরনগর বিশবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি মেহেরপুর শহরের পেয়াদাপাড়ায়। নিহত শিক্ষার্থীর স্বামী রাইহানুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে শহরের পেয়াদাপাড়া থেকে স্ত্রী ফারহানাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে শ্বশুরবাড়ি রামদাসপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেমাত্র ১৫ দিনের চাকরি। সংসারের হাল ধরতে চাওয়া তরুণী নারগিস আক্তারের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেল! পোড়া শরীর এতটাই বিকৃত যে মুখ দেখে কেউ চিনতে পারেননি। কিন্তু বাবা কখনো সন্তানকে চিনতে ভুল করেন না! পায়ের নূপুর দেখে মেয়ের লাশ শনাক্ত করলেন মো. ওয়ালিউল্লাহ।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি রাসায়নিক গুদামে লাগা ভয়াবহ আগুনে পুড়ে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। টিনশেড দোতলা গুদামটিতে আগুন লাগার পর তা বিস্ফোরিত হয়ে পাশের একটি চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
২ ঘণ্টা আগে