ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
যৌতুক নয়, ছিল খেজুর। হইচই নয়, ছিল কেবল দোয়া। ছিল না কোনো গান-বাজনার আয়োজন। বিয়ে পড়ানো হলো মসজিদের পবিত্র পরিবেশে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের শিয়ালখাদা গ্রামে এক যুগলের এমন ব্যতিক্রমী বিয়ে হয়। তাঁদের এই বিয়ে নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
পাত্র আশরাফুল ইসলাম শিবগঞ্জ এলাকার গাঙ্গোর গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। পাত্রীর নাম মাহফুজা আক্তার শিয়ালখাদারই মুসলিম উদ্দিনের মেয়ে।
বিয়েতে ছিল না সাজসজ্জার বাহুল্য। ছিল না গায়েহলুদ। ছিল না বড় কোনো মঞ্চ। ছিল কেবল আন্তরিকতা, সরলতা আর একটা উদাহরণ গড়ে তোলার অদম্য ইচ্ছা।
বিয়েটি হয় শিয়ালখাদা কেন্দ্রীয় মসজিদে। কাজি ছিলেন সাতোর ইউনিয়নের আবুল বাশার। মোহরানা ধার্য হয় ৪০ হাজার টাকা। পাত্র আশরাফুলের পক্ষ থেকে প্রতীকী উপহার হিসেবে উন্নতমানের খেজুরও দেওয়া হয়। বিয়েতে দুই পক্ষের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনসহ ৯০–১০০ জন উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের পর অতিথিদের জন্য ছিল মিষ্টি বিতরণ ও মোনাজাত।
৩২ বছর বয়সী আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিয়েকে একটা সামাজিক উৎসবের বাইরে এনে আমি চেয়েছি এটাকে বরকতের একটি অনুষ্ঠান বানাতে। যৌতুক, সাজসজ্জা, এসব আমার পছন্দ নয়। আমি চেয়েছিলাম, আমার বিয়ে যেন অন্যদের জন্য একটি বার্তা হয়। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, সেটা হয়েছে।’
বিয়ে পড়ানো কাজি আবুল বাশার বলেন, ‘আমি ৩০ বছর ধরে বিয়ে পড়াই। কিন্তু এমন শান্তিপূর্ণ ও সাদামাটা বিয়ে খুব কমই দেখি। আশরাফুল সাহেব নিজের ইচ্ছাতেই খেজুর উপহার দেন। ইসলামি আদর্শে যে বিয়ে কীভাবে হয়, এটা তার একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’
বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন শিয়ালখাদার সমাজকর্মী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আজকাল যেখানে বিয়ে মানেই লাখ লাখ টাকা খরচ। সেখানে আশরাফুল ভাইয়ের মতো একজন যদি এমন বিয়ে করতে পারেন, তবে এটা সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়—চাইলেই সাদামাটা বিয়ে করা যায়।’
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক সাহিদা খাতুন বলেন, ‘যৌতুক ছাড়াই বিয়ে, এই বার্তাটা আমাদের সমাজে খুব প্রয়োজন। এমন বিয়ে যেন আরও হয়। আমি এই বিয়েতে এসে কাঁদছিলাম–ভালো লাগায়, আবেগে।’
যৌতুক নয়, ছিল খেজুর। হইচই নয়, ছিল কেবল দোয়া। ছিল না কোনো গান-বাজনার আয়োজন। বিয়ে পড়ানো হলো মসজিদের পবিত্র পরিবেশে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের শিয়ালখাদা গ্রামে এক যুগলের এমন ব্যতিক্রমী বিয়ে হয়। তাঁদের এই বিয়ে নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
পাত্র আশরাফুল ইসলাম শিবগঞ্জ এলাকার গাঙ্গোর গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। পাত্রীর নাম মাহফুজা আক্তার শিয়ালখাদারই মুসলিম উদ্দিনের মেয়ে।
বিয়েতে ছিল না সাজসজ্জার বাহুল্য। ছিল না গায়েহলুদ। ছিল না বড় কোনো মঞ্চ। ছিল কেবল আন্তরিকতা, সরলতা আর একটা উদাহরণ গড়ে তোলার অদম্য ইচ্ছা।
বিয়েটি হয় শিয়ালখাদা কেন্দ্রীয় মসজিদে। কাজি ছিলেন সাতোর ইউনিয়নের আবুল বাশার। মোহরানা ধার্য হয় ৪০ হাজার টাকা। পাত্র আশরাফুলের পক্ষ থেকে প্রতীকী উপহার হিসেবে উন্নতমানের খেজুরও দেওয়া হয়। বিয়েতে দুই পক্ষের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনসহ ৯০–১০০ জন উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের পর অতিথিদের জন্য ছিল মিষ্টি বিতরণ ও মোনাজাত।
৩২ বছর বয়সী আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিয়েকে একটা সামাজিক উৎসবের বাইরে এনে আমি চেয়েছি এটাকে বরকতের একটি অনুষ্ঠান বানাতে। যৌতুক, সাজসজ্জা, এসব আমার পছন্দ নয়। আমি চেয়েছিলাম, আমার বিয়ে যেন অন্যদের জন্য একটি বার্তা হয়। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, সেটা হয়েছে।’
বিয়ে পড়ানো কাজি আবুল বাশার বলেন, ‘আমি ৩০ বছর ধরে বিয়ে পড়াই। কিন্তু এমন শান্তিপূর্ণ ও সাদামাটা বিয়ে খুব কমই দেখি। আশরাফুল সাহেব নিজের ইচ্ছাতেই খেজুর উপহার দেন। ইসলামি আদর্শে যে বিয়ে কীভাবে হয়, এটা তার একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’
বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন শিয়ালখাদার সমাজকর্মী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আজকাল যেখানে বিয়ে মানেই লাখ লাখ টাকা খরচ। সেখানে আশরাফুল ভাইয়ের মতো একজন যদি এমন বিয়ে করতে পারেন, তবে এটা সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়—চাইলেই সাদামাটা বিয়ে করা যায়।’
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক সাহিদা খাতুন বলেন, ‘যৌতুক ছাড়াই বিয়ে, এই বার্তাটা আমাদের সমাজে খুব প্রয়োজন। এমন বিয়ে যেন আরও হয়। আমি এই বিয়েতে এসে কাঁদছিলাম–ভালো লাগায়, আবেগে।’
নদীবেষ্টিত এলাকা পটুয়াখালী পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পৌর কর্তৃপক্ষের সঞ্চালন লাইনের পানির ওপর নির্ভরশীল হলেও জলবায়ু পরিবর্তন, ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার ও অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে দিন দিন তীব্র হচ্ছে পানির সংকট।
৪ মিনিট আগেকুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গোলাপের চর গ্রামের একমাত্র সেতুটি ৩০ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকার পর বর্তমানে চরম নাজুক দশায় পৌঁছেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তৈরি করা ৩০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির পিলার থেকে মাটি সরে যাওয়া এবং দেবে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশের খুঁটি দিয়ে কোনোমতে যান..
৭ মিনিট আগেরশুনিয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার খান বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু রাতের বেলায় পুরো রাস্তা অন্ধকারে থাকে। শীতের সময় কুয়াশা পড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। তাই দ্রুত সড়কবাতি স্থাপন করা প্রয়োজন।
৩২ মিনিট আগেঅর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
৫ ঘণ্টা আগে