খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি পালিত হয়। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা নিজস্ব ঐতিহ্য ও রীতি অনুসারে পালন করে এই উৎসব। ময়মনসিংহ, শেরপুর, টাঙ্গাইল, মধুপুর অঞ্চলে গারো বা মান্দি সম্প্রদায়ের মানুষও তাঁদের নিজস্ব রীতি ও ঐতিহ্য অনুসারে বড়দিন পালন করেন।
টাঙ্গাইলের মধুপুরের রাজবাড়ী নামের একটি গ্রামের বড় দিনের উৎসবের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো সরেজমিনে ঘুরে তুলে এনেছেন আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক মান্দি ডি কস্তা। এই গ্রামে ৪০টি পরিবারের বাস। দুটি ব্যাপটিস্ট ও একটি ক্যাথলিক চার্চের সবাই একসঙ্গে মিলে এই বড় দিনের উৎসব পালন করেন।
বড় দিনের আগের রাতের কীর্তন
গারো বা মান্দিদের বড় দিনের উৎসব হবে কিন্তু কীর্তন হবে না তা কী করে হয়! গ্রামের ইউপ চিরান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কীর্তন ছাড়া আমাদের বড়দিনের উৎসব কল্পনাই করা যায় না! বড় দিনের আগের রাতে চার্চে বিশেষ প্রার্থনা সভার শেষে গির্জা ঘরেই শুরু হয় কীর্তন।’
রাজবাড়ী ব্যাপ্টিস্ট চার্চে বড় দিনের আগের রাতে গিয়ে দেখা যায়, প্রার্থনা সভার পর চার্চের একটি গানের দল মন্দিরা, ঢোল বাদ্যযন্ত্র সহকারে কীর্তন (জিসাস ক্রাইস্টকে নিয়ে বড় দিনের গান) শুরু করেন। এরপর চার্চ থেকে গান করতে করতে প্রত্যেকটি বাড়িতে যায় এই দল। প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে উঠানে তরুণ, তরুণীরা কীর্তনের সঙ্গে দল বেঁধে তালে তালে গোল হয়ে নাচও করে। এই দলের অনেক সদস্যই ঢাকা সিলেটসহ বিভিন্ন শহর থেকে গ্রামে বেড়াতে এসেছেনে। অনেক বাড়িতে এই তরুণ-তরুণী ও শিশুদের দলের জন্য থাকে পিঠাসহ আপ্যায়নের ব্যবস্থা। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত প্রত্যেকটি বাড়ির উঠানে উঠানে চলে এই কীর্তন। পাশাপাশি চলে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর উৎসব। এবার অবশ্য দেখা গেল ভুভুজেলাও।
সকালে পিঠা ও পায়েসের আয়োজন
গ্রামের বাসিন্দা লিতা চিরান সকালে উঠেই সবার জন্য পিঠা বানানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আশপাশের বাড়ি থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন অনেকে। প্রত্যেককে আপ্যায়ন করা হয় পিঠা দিয়ে। সঙ্গে থাকে পায়েস অন্যান্য মিষ্টান্ন।
বড় দিনের প্রার্থনা সভা ও কেক কাটা
সারা রাত কীর্তন করার কারণে একটু দেরিতে সকাল ১১টায় শুরু হয় বড় দিনের চার্চে বিশেষ প্রার্থনা সভা। বাংলা এবং আচিক বা মান্দি ভাষায় বড়দিনের গানে সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গে সুর মেলান সবাই। এরপর শিশুদের নিয়ে কাটা হয় কেক।
হঠাৎ হনুমানের আগমন
চার্চের সভা চলতেই পাশে এসে হাজির হয় লম্বা লেজের দুটি মুখপোড়া হনুমান। চার্চের আশপাশে গাছগুলোয় ও বাঁশঝাড়ে ছোটাছুটি করতে থাকে তারা।
‘পুরা খারি’ দিয়ে এক বাড়িতে পুরো গ্রামের ভোজ
গ্রামের আরেক বাসিন্দা বিলিয়ম চিরান আজকের পত্রিকাকে জানান, পুরা খারি বা শূকরের মাংস দিয়ে বিশেষ এক ধরনের রান্নার নামই হলো ‘পুরা খারি’। এটা মান্দিদের একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী খাবার। এতে থাকে পুরো একটা শূকরের মাংস, খাবার সোডা, চালের গুঁড়া, কাঁচা মরিচ ও ফাসিম নামের পাহাড়ি পাতা। কেউ শূকর না খেলে থাকে মুরগির মাংসের খারির ব্যবস্থা।
গারো বা মান্দিদের একটি রীতি হলো—এদিন পুরো গ্রামের মানুষের রান্না একটি বাড়িতেই হয়। একটি বাড়ির বাসিন্দা পুরো গ্রামের খাবারের আয়োজন করে। হ্যারিকসন মানখিন ও শিউলি চিসামের বাড়িতে চলে এবারের বড় দিনের দুপুরের ভোজের আয়োজন। এটা তাঁদের একটি বিশেষ ঐতিহ্য।
তানিং গব্বা
তানিং গব্বা বা মগজ ভর্তা। তানিং অর্থ মগজ আর গব্বা অর্থ ভর্তা। শূকরের মগজ, কান ও মাথার চামড়া ও কাঁচা মরিচ পুড়ে বানানো একটি ভর্তার নাম হলো তানিং গব্বা।
জাসি গাদ্দা বা শূকরের পা হস্তান্তর
এক বছর পর আবার যে বাড়িতে ভোজ হবে সেই বাড়িতে বড়দিনের জবাই করা শূকরের একটি রানসহ পা আনন্দ মিছিল সহকারে নিয়ে যাওয়া হয়। এটাই হলো জাসি গাদ্দা বা শূকরের পা হস্তান্তর। যদি কোনো পরিবার স্বেচ্ছায় এই খাবারের আয়োজন করতে রাজি হয় তবে তাঁদের সে দায়িত্ব দেয় হয়। নইলে লটারির মাধ্যমে বড় দিনের চার্চের প্রার্থনা সভায় এটি নির্ধারণ করা হয়। জাসি গাদ্দা বা শূকরের পা হস্তান্তরের মাধ্যমে শেষ হয় উৎসব।
তবে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারিও থাকে গারোদের বিশেষ আয়োজন।
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি পালিত হয়। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা নিজস্ব ঐতিহ্য ও রীতি অনুসারে পালন করে এই উৎসব। ময়মনসিংহ, শেরপুর, টাঙ্গাইল, মধুপুর অঞ্চলে গারো বা মান্দি সম্প্রদায়ের মানুষও তাঁদের নিজস্ব রীতি ও ঐতিহ্য অনুসারে বড়দিন পালন করেন।
টাঙ্গাইলের মধুপুরের রাজবাড়ী নামের একটি গ্রামের বড় দিনের উৎসবের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো সরেজমিনে ঘুরে তুলে এনেছেন আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক মান্দি ডি কস্তা। এই গ্রামে ৪০টি পরিবারের বাস। দুটি ব্যাপটিস্ট ও একটি ক্যাথলিক চার্চের সবাই একসঙ্গে মিলে এই বড় দিনের উৎসব পালন করেন।
বড় দিনের আগের রাতের কীর্তন
গারো বা মান্দিদের বড় দিনের উৎসব হবে কিন্তু কীর্তন হবে না তা কী করে হয়! গ্রামের ইউপ চিরান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কীর্তন ছাড়া আমাদের বড়দিনের উৎসব কল্পনাই করা যায় না! বড় দিনের আগের রাতে চার্চে বিশেষ প্রার্থনা সভার শেষে গির্জা ঘরেই শুরু হয় কীর্তন।’
রাজবাড়ী ব্যাপ্টিস্ট চার্চে বড় দিনের আগের রাতে গিয়ে দেখা যায়, প্রার্থনা সভার পর চার্চের একটি গানের দল মন্দিরা, ঢোল বাদ্যযন্ত্র সহকারে কীর্তন (জিসাস ক্রাইস্টকে নিয়ে বড় দিনের গান) শুরু করেন। এরপর চার্চ থেকে গান করতে করতে প্রত্যেকটি বাড়িতে যায় এই দল। প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে উঠানে তরুণ, তরুণীরা কীর্তনের সঙ্গে দল বেঁধে তালে তালে গোল হয়ে নাচও করে। এই দলের অনেক সদস্যই ঢাকা সিলেটসহ বিভিন্ন শহর থেকে গ্রামে বেড়াতে এসেছেনে। অনেক বাড়িতে এই তরুণ-তরুণী ও শিশুদের দলের জন্য থাকে পিঠাসহ আপ্যায়নের ব্যবস্থা। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত প্রত্যেকটি বাড়ির উঠানে উঠানে চলে এই কীর্তন। পাশাপাশি চলে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর উৎসব। এবার অবশ্য দেখা গেল ভুভুজেলাও।
সকালে পিঠা ও পায়েসের আয়োজন
গ্রামের বাসিন্দা লিতা চিরান সকালে উঠেই সবার জন্য পিঠা বানানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আশপাশের বাড়ি থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন অনেকে। প্রত্যেককে আপ্যায়ন করা হয় পিঠা দিয়ে। সঙ্গে থাকে পায়েস অন্যান্য মিষ্টান্ন।
বড় দিনের প্রার্থনা সভা ও কেক কাটা
সারা রাত কীর্তন করার কারণে একটু দেরিতে সকাল ১১টায় শুরু হয় বড় দিনের চার্চে বিশেষ প্রার্থনা সভা। বাংলা এবং আচিক বা মান্দি ভাষায় বড়দিনের গানে সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গে সুর মেলান সবাই। এরপর শিশুদের নিয়ে কাটা হয় কেক।
হঠাৎ হনুমানের আগমন
চার্চের সভা চলতেই পাশে এসে হাজির হয় লম্বা লেজের দুটি মুখপোড়া হনুমান। চার্চের আশপাশে গাছগুলোয় ও বাঁশঝাড়ে ছোটাছুটি করতে থাকে তারা।
‘পুরা খারি’ দিয়ে এক বাড়িতে পুরো গ্রামের ভোজ
গ্রামের আরেক বাসিন্দা বিলিয়ম চিরান আজকের পত্রিকাকে জানান, পুরা খারি বা শূকরের মাংস দিয়ে বিশেষ এক ধরনের রান্নার নামই হলো ‘পুরা খারি’। এটা মান্দিদের একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী খাবার। এতে থাকে পুরো একটা শূকরের মাংস, খাবার সোডা, চালের গুঁড়া, কাঁচা মরিচ ও ফাসিম নামের পাহাড়ি পাতা। কেউ শূকর না খেলে থাকে মুরগির মাংসের খারির ব্যবস্থা।
গারো বা মান্দিদের একটি রীতি হলো—এদিন পুরো গ্রামের মানুষের রান্না একটি বাড়িতেই হয়। একটি বাড়ির বাসিন্দা পুরো গ্রামের খাবারের আয়োজন করে। হ্যারিকসন মানখিন ও শিউলি চিসামের বাড়িতে চলে এবারের বড় দিনের দুপুরের ভোজের আয়োজন। এটা তাঁদের একটি বিশেষ ঐতিহ্য।
তানিং গব্বা
তানিং গব্বা বা মগজ ভর্তা। তানিং অর্থ মগজ আর গব্বা অর্থ ভর্তা। শূকরের মগজ, কান ও মাথার চামড়া ও কাঁচা মরিচ পুড়ে বানানো একটি ভর্তার নাম হলো তানিং গব্বা।
জাসি গাদ্দা বা শূকরের পা হস্তান্তর
এক বছর পর আবার যে বাড়িতে ভোজ হবে সেই বাড়িতে বড়দিনের জবাই করা শূকরের একটি রানসহ পা আনন্দ মিছিল সহকারে নিয়ে যাওয়া হয়। এটাই হলো জাসি গাদ্দা বা শূকরের পা হস্তান্তর। যদি কোনো পরিবার স্বেচ্ছায় এই খাবারের আয়োজন করতে রাজি হয় তবে তাঁদের সে দায়িত্ব দেয় হয়। নইলে লটারির মাধ্যমে বড় দিনের চার্চের প্রার্থনা সভায় এটি নির্ধারণ করা হয়। জাসি গাদ্দা বা শূকরের পা হস্তান্তরের মাধ্যমে শেষ হয় উৎসব।
তবে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারিও থাকে গারোদের বিশেষ আয়োজন।
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি পালিত হয়। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা নিজস্ব ঐতিহ্য ও রীতি অনুসারে পালন করে এই উৎসব। ময়মনসিংহ, শেরপুর, টাঙ্গাইল, মধুপুর অঞ্চলে গারো বা মান্দি সম্প্রদায়ের মানুষও তাঁদের নিজস্ব রীতি ও ঐতিহ্য অনুসারে বড়দিন পালন করেন।
টাঙ্গাইলের মধুপুরের রাজবাড়ী নামের একটি গ্রামের বড় দিনের উৎসবের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো সরেজমিনে ঘুরে তুলে এনেছেন আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক মান্দি ডি কস্তা। এই গ্রামে ৪০টি পরিবারের বাস। দুটি ব্যাপটিস্ট ও একটি ক্যাথলিক চার্চের সবাই একসঙ্গে মিলে এই বড় দিনের উৎসব পালন করেন।
বড় দিনের আগের রাতের কীর্তন
গারো বা মান্দিদের বড় দিনের উৎসব হবে কিন্তু কীর্তন হবে না তা কী করে হয়! গ্রামের ইউপ চিরান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কীর্তন ছাড়া আমাদের বড়দিনের উৎসব কল্পনাই করা যায় না! বড় দিনের আগের রাতে চার্চে বিশেষ প্রার্থনা সভার শেষে গির্জা ঘরেই শুরু হয় কীর্তন।’
রাজবাড়ী ব্যাপ্টিস্ট চার্চে বড় দিনের আগের রাতে গিয়ে দেখা যায়, প্রার্থনা সভার পর চার্চের একটি গানের দল মন্দিরা, ঢোল বাদ্যযন্ত্র সহকারে কীর্তন (জিসাস ক্রাইস্টকে নিয়ে বড় দিনের গান) শুরু করেন। এরপর চার্চ থেকে গান করতে করতে প্রত্যেকটি বাড়িতে যায় এই দল। প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে উঠানে তরুণ, তরুণীরা কীর্তনের সঙ্গে দল বেঁধে তালে তালে গোল হয়ে নাচও করে। এই দলের অনেক সদস্যই ঢাকা সিলেটসহ বিভিন্ন শহর থেকে গ্রামে বেড়াতে এসেছেনে। অনেক বাড়িতে এই তরুণ-তরুণী ও শিশুদের দলের জন্য থাকে পিঠাসহ আপ্যায়নের ব্যবস্থা। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত প্রত্যেকটি বাড়ির উঠানে উঠানে চলে এই কীর্তন। পাশাপাশি চলে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর উৎসব। এবার অবশ্য দেখা গেল ভুভুজেলাও।
সকালে পিঠা ও পায়েসের আয়োজন
গ্রামের বাসিন্দা লিতা চিরান সকালে উঠেই সবার জন্য পিঠা বানানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আশপাশের বাড়ি থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন অনেকে। প্রত্যেককে আপ্যায়ন করা হয় পিঠা দিয়ে। সঙ্গে থাকে পায়েস অন্যান্য মিষ্টান্ন।
বড় দিনের প্রার্থনা সভা ও কেক কাটা
সারা রাত কীর্তন করার কারণে একটু দেরিতে সকাল ১১টায় শুরু হয় বড় দিনের চার্চে বিশেষ প্রার্থনা সভা। বাংলা এবং আচিক বা মান্দি ভাষায় বড়দিনের গানে সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গে সুর মেলান সবাই। এরপর শিশুদের নিয়ে কাটা হয় কেক।
হঠাৎ হনুমানের আগমন
চার্চের সভা চলতেই পাশে এসে হাজির হয় লম্বা লেজের দুটি মুখপোড়া হনুমান। চার্চের আশপাশে গাছগুলোয় ও বাঁশঝাড়ে ছোটাছুটি করতে থাকে তারা।
‘পুরা খারি’ দিয়ে এক বাড়িতে পুরো গ্রামের ভোজ
গ্রামের আরেক বাসিন্দা বিলিয়ম চিরান আজকের পত্রিকাকে জানান, পুরা খারি বা শূকরের মাংস দিয়ে বিশেষ এক ধরনের রান্নার নামই হলো ‘পুরা খারি’। এটা মান্দিদের একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী খাবার। এতে থাকে পুরো একটা শূকরের মাংস, খাবার সোডা, চালের গুঁড়া, কাঁচা মরিচ ও ফাসিম নামের পাহাড়ি পাতা। কেউ শূকর না খেলে থাকে মুরগির মাংসের খারির ব্যবস্থা।
গারো বা মান্দিদের একটি রীতি হলো—এদিন পুরো গ্রামের মানুষের রান্না একটি বাড়িতেই হয়। একটি বাড়ির বাসিন্দা পুরো গ্রামের খাবারের আয়োজন করে। হ্যারিকসন মানখিন ও শিউলি চিসামের বাড়িতে চলে এবারের বড় দিনের দুপুরের ভোজের আয়োজন। এটা তাঁদের একটি বিশেষ ঐতিহ্য।
তানিং গব্বা
তানিং গব্বা বা মগজ ভর্তা। তানিং অর্থ মগজ আর গব্বা অর্থ ভর্তা। শূকরের মগজ, কান ও মাথার চামড়া ও কাঁচা মরিচ পুড়ে বানানো একটি ভর্তার নাম হলো তানিং গব্বা।
জাসি গাদ্দা বা শূকরের পা হস্তান্তর
এক বছর পর আবার যে বাড়িতে ভোজ হবে সেই বাড়িতে বড়দিনের জবাই করা শূকরের একটি রানসহ পা আনন্দ মিছিল সহকারে নিয়ে যাওয়া হয়। এটাই হলো জাসি গাদ্দা বা শূকরের পা হস্তান্তর। যদি কোনো পরিবার স্বেচ্ছায় এই খাবারের আয়োজন করতে রাজি হয় তবে তাঁদের সে দায়িত্ব দেয় হয়। নইলে লটারির মাধ্যমে বড় দিনের চার্চের প্রার্থনা সভায় এটি নির্ধারণ করা হয়। জাসি গাদ্দা বা শূকরের পা হস্তান্তরের মাধ্যমে শেষ হয় উৎসব।
তবে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারিও থাকে গারোদের বিশেষ আয়োজন।
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি পালিত হয়। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা নিজস্ব ঐতিহ্য ও রীতি অনুসারে পালন করে এই উৎসব। ময়মনসিংহ, শেরপুর, টাঙ্গাইল, মধুপুর অঞ্চলে গারো বা মান্দি সম্প্রদায়ের মানুষও তাঁদের নিজস্ব রীতি ও ঐতিহ্য অনুসারে বড়দিন পালন করেন।
টাঙ্গাইলের মধুপুরের রাজবাড়ী নামের একটি গ্রামের বড় দিনের উৎসবের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো সরেজমিনে ঘুরে তুলে এনেছেন আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক মান্দি ডি কস্তা। এই গ্রামে ৪০টি পরিবারের বাস। দুটি ব্যাপটিস্ট ও একটি ক্যাথলিক চার্চের সবাই একসঙ্গে মিলে এই বড় দিনের উৎসব পালন করেন।
বড় দিনের আগের রাতের কীর্তন
গারো বা মান্দিদের বড় দিনের উৎসব হবে কিন্তু কীর্তন হবে না তা কী করে হয়! গ্রামের ইউপ চিরান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কীর্তন ছাড়া আমাদের বড়দিনের উৎসব কল্পনাই করা যায় না! বড় দিনের আগের রাতে চার্চে বিশেষ প্রার্থনা সভার শেষে গির্জা ঘরেই শুরু হয় কীর্তন।’
রাজবাড়ী ব্যাপ্টিস্ট চার্চে বড় দিনের আগের রাতে গিয়ে দেখা যায়, প্রার্থনা সভার পর চার্চের একটি গানের দল মন্দিরা, ঢোল বাদ্যযন্ত্র সহকারে কীর্তন (জিসাস ক্রাইস্টকে নিয়ে বড় দিনের গান) শুরু করেন। এরপর চার্চ থেকে গান করতে করতে প্রত্যেকটি বাড়িতে যায় এই দল। প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে উঠানে তরুণ, তরুণীরা কীর্তনের সঙ্গে দল বেঁধে তালে তালে গোল হয়ে নাচও করে। এই দলের অনেক সদস্যই ঢাকা সিলেটসহ বিভিন্ন শহর থেকে গ্রামে বেড়াতে এসেছেনে। অনেক বাড়িতে এই তরুণ-তরুণী ও শিশুদের দলের জন্য থাকে পিঠাসহ আপ্যায়নের ব্যবস্থা। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত প্রত্যেকটি বাড়ির উঠানে উঠানে চলে এই কীর্তন। পাশাপাশি চলে আতশবাজি ও পটকা ফোটানোর উৎসব। এবার অবশ্য দেখা গেল ভুভুজেলাও।
সকালে পিঠা ও পায়েসের আয়োজন
গ্রামের বাসিন্দা লিতা চিরান সকালে উঠেই সবার জন্য পিঠা বানানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আশপাশের বাড়ি থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন অনেকে। প্রত্যেককে আপ্যায়ন করা হয় পিঠা দিয়ে। সঙ্গে থাকে পায়েস অন্যান্য মিষ্টান্ন।
বড় দিনের প্রার্থনা সভা ও কেক কাটা
সারা রাত কীর্তন করার কারণে একটু দেরিতে সকাল ১১টায় শুরু হয় বড় দিনের চার্চে বিশেষ প্রার্থনা সভা। বাংলা এবং আচিক বা মান্দি ভাষায় বড়দিনের গানে সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গে সুর মেলান সবাই। এরপর শিশুদের নিয়ে কাটা হয় কেক।
হঠাৎ হনুমানের আগমন
চার্চের সভা চলতেই পাশে এসে হাজির হয় লম্বা লেজের দুটি মুখপোড়া হনুমান। চার্চের আশপাশে গাছগুলোয় ও বাঁশঝাড়ে ছোটাছুটি করতে থাকে তারা।
‘পুরা খারি’ দিয়ে এক বাড়িতে পুরো গ্রামের ভোজ
গ্রামের আরেক বাসিন্দা বিলিয়ম চিরান আজকের পত্রিকাকে জানান, পুরা খারি বা শূকরের মাংস দিয়ে বিশেষ এক ধরনের রান্নার নামই হলো ‘পুরা খারি’। এটা মান্দিদের একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী খাবার। এতে থাকে পুরো একটা শূকরের মাংস, খাবার সোডা, চালের গুঁড়া, কাঁচা মরিচ ও ফাসিম নামের পাহাড়ি পাতা। কেউ শূকর না খেলে থাকে মুরগির মাংসের খারির ব্যবস্থা।
গারো বা মান্দিদের একটি রীতি হলো—এদিন পুরো গ্রামের মানুষের রান্না একটি বাড়িতেই হয়। একটি বাড়ির বাসিন্দা পুরো গ্রামের খাবারের আয়োজন করে। হ্যারিকসন মানখিন ও শিউলি চিসামের বাড়িতে চলে এবারের বড় দিনের দুপুরের ভোজের আয়োজন। এটা তাঁদের একটি বিশেষ ঐতিহ্য।
তানিং গব্বা
তানিং গব্বা বা মগজ ভর্তা। তানিং অর্থ মগজ আর গব্বা অর্থ ভর্তা। শূকরের মগজ, কান ও মাথার চামড়া ও কাঁচা মরিচ পুড়ে বানানো একটি ভর্তার নাম হলো তানিং গব্বা।
জাসি গাদ্দা বা শূকরের পা হস্তান্তর
এক বছর পর আবার যে বাড়িতে ভোজ হবে সেই বাড়িতে বড়দিনের জবাই করা শূকরের একটি রানসহ পা আনন্দ মিছিল সহকারে নিয়ে যাওয়া হয়। এটাই হলো জাসি গাদ্দা বা শূকরের পা হস্তান্তর। যদি কোনো পরিবার স্বেচ্ছায় এই খাবারের আয়োজন করতে রাজি হয় তবে তাঁদের সে দায়িত্ব দেয় হয়। নইলে লটারির মাধ্যমে বড় দিনের চার্চের প্রার্থনা সভায় এটি নির্ধারণ করা হয়। জাসি গাদ্দা বা শূকরের পা হস্তান্তরের মাধ্যমে শেষ হয় উৎসব।
তবে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারিও থাকে গারোদের বিশেষ আয়োজন।
দীর্ঘ ৮৬ দিন পানিতে ডুবে থাকার পর ভেসে উঠেছে রাঙামাটির পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেতুর পাটাতন থেকে সম্পূর্ণ পানি নেমে যায়। সেতুটি আগামীকাল শুক্রবার থেকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
১ মিনিট আগেচাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৯ দিনে ৮৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
৮ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগেনীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকিয়ে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
৩৭ মিনিট আগেরাঙামাটি, প্রতিনিধি
দীর্ঘ ৮৬ দিন পানিতে ডুবে থাকার পর ভেসে উঠেছে রাঙামাটির পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেতুর পাটাতন থেকে পানি নেমে যায়। সেতুটি আগামীকাল শুক্রবার থেকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারী বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে গত ২৯ জুলাই ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। অবশেষে হ্রদের পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় সেতুটি আজ সকাল ৯টার থেকে জেগে ওঠে। তবে দীর্ঘ দিন পানির নিচে ডুবে থাকায় সেতুর পাটাতনের সংস্কারের কাজ চলছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পর রং করা হবে সেতুর বিভিন্ন অংশে। আগামীকাল থেকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তবে এবারে সেতুর প্রবেশের টিকিটের মূল্য বাড়ানোর চিন্তা করছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ। ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায় টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা করছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
রাঙামাটি সরকারি হলিডে পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় আজ সকাল ৯টা থেকে সেতুটি জেগে উঠেছে। প্রায় তিন মাস ধরে ডুবে থাকায় ঝুলন্ত সেতুর অনেক পাটাতন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেতুর কোন অংশে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, সেগুলো সংস্কার শেষে শুক্রবার সকাল থেকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
দীর্ঘ ৮৬ দিন পানিতে ডুবে থাকার পর ভেসে উঠেছে রাঙামাটির পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেতুর পাটাতন থেকে পানি নেমে যায়। সেতুটি আগামীকাল শুক্রবার থেকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারী বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে গত ২৯ জুলাই ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। অবশেষে হ্রদের পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় সেতুটি আজ সকাল ৯টার থেকে জেগে ওঠে। তবে দীর্ঘ দিন পানির নিচে ডুবে থাকায় সেতুর পাটাতনের সংস্কারের কাজ চলছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পর রং করা হবে সেতুর বিভিন্ন অংশে। আগামীকাল থেকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তবে এবারে সেতুর প্রবেশের টিকিটের মূল্য বাড়ানোর চিন্তা করছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ। ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায় টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা করছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
রাঙামাটি সরকারি হলিডে পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় আজ সকাল ৯টা থেকে সেতুটি জেগে উঠেছে। প্রায় তিন মাস ধরে ডুবে থাকায় ঝুলন্ত সেতুর অনেক পাটাতন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেতুর কোন অংশে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, সেগুলো সংস্কার শেষে শুক্রবার সকাল থেকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি পালিত হয়। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা নিজস্ব ঐতিহ্য ও রীতি অনুসারে পালন করে এই উৎসব।
২৫ ডিসেম্বর ২০২২চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৯ দিনে ৮৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
৮ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগেনীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকিয়ে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
৩৭ মিনিট আগেচাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৯ দিনে ৮৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ৫৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ৩৯৯টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ১৯ বার, মাছঘাট ২৯২ এবং আড়ত ১ হাজার ২০১ বার পরিদর্শন করা হয়। এসব অভিযানে জব্দ জালের পরিমাণ ৫ লাখ ৩ হাজার ৪২ মিটার। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ সময় জব্দ করা হয় ১ দশমিক শূন্য ৫ টন ইলিশ। ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটক জেলেদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ৪৫ হাজার টাকা। এসব অভিযানে ৬৩ মামলা করা হয়।
সাগর থেকে নদীর মিঠা পানিতে মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ার জন্য ৪ অক্টোবর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, এ বছর অভিযানের শুরু থেকেই জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স কঠোর অবস্থান নিয়েছে যাতে করে জেলেরা নদীতে নামতে না পারে। এরপরও কিছু কিছু জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামায় তাঁদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৯ দিনে ৮৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ৫৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ৩৯৯টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ১৯ বার, মাছঘাট ২৯২ এবং আড়ত ১ হাজার ২০১ বার পরিদর্শন করা হয়। এসব অভিযানে জব্দ জালের পরিমাণ ৫ লাখ ৩ হাজার ৪২ মিটার। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ সময় জব্দ করা হয় ১ দশমিক শূন্য ৫ টন ইলিশ। ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটক জেলেদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ৪৫ হাজার টাকা। এসব অভিযানে ৬৩ মামলা করা হয়।
সাগর থেকে নদীর মিঠা পানিতে মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ার জন্য ৪ অক্টোবর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, এ বছর অভিযানের শুরু থেকেই জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স কঠোর অবস্থান নিয়েছে যাতে করে জেলেরা নদীতে নামতে না পারে। এরপরও কিছু কিছু জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামায় তাঁদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি পালিত হয়। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা নিজস্ব ঐতিহ্য ও রীতি অনুসারে পালন করে এই উৎসব।
২৫ ডিসেম্বর ২০২২দীর্ঘ ৮৬ দিন পানিতে ডুবে থাকার পর ভেসে উঠেছে রাঙামাটির পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেতুর পাটাতন থেকে সম্পূর্ণ পানি নেমে যায়। সেতুটি আগামীকাল শুক্রবার থেকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
১ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগেনীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকিয়ে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
৩৭ মিনিট আগেরংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাকাত দল রাত ২টার দিকে হিমাগারে প্রবেশ করে। এরপর হিমাগারের নৈশপ্রহরী সোহেল রানা, মেশিন অপারেটর মঞ্জুরুল ইসলাম ও সুজন বাবুকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলেন। ডাকাতেরা অফিস কক্ষে প্রবেশ করে সিন্দুক ভেঙে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৯২০ টাকা, ৪২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন এবং সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুরো অফিস কক্ষের ড্রয়ার ফাঁকা পড়ে আছে। মেঝেতে কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। ভাঙা সিন্দুকটি মেঝেতে পড়ে আছে। সেখানে বাঁশের লাঠি ও লোহার পাইপ দেখা যায়।
হিমাগারের মেশিন অপারেটর মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাতেরা হিমাগারের পেছন দিয়ে প্রবেশ করে মেশিন রুমে এসে আমাদের দুজনকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে। এরপর আমাকে নিয়ে অফিসের দিকে যায়। ডাকাতদের দিকে তাকানোয় আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর প্রহরী সোহেল রানাকে বেঁধে ফেলে। তালা কেটে আমাদের দুজনকে অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে মেশিন রুম থেকে সাবল আনতে গিয়ে সুজনকেও অফিস কক্ষ নিয়ে আসে ডাকাতেরা। সেখানে সিন্দুক ভেঙে টাকা, টিভি, সিসিটিভির মেশিন নিয়ে চলে যায়। তাদের মুখ মাংকি টুপি দিয়ে ঢাকা ছিল।’
এন এন হিমাগারের ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে হিমাগার থেকে ফোন করে জানায় হিমাগারে ডাকাত পড়েছে। খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই এবং ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে ওসি সাহেবও ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেন।’
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ‘খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাকাত দল রাত ২টার দিকে হিমাগারে প্রবেশ করে। এরপর হিমাগারের নৈশপ্রহরী সোহেল রানা, মেশিন অপারেটর মঞ্জুরুল ইসলাম ও সুজন বাবুকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলেন। ডাকাতেরা অফিস কক্ষে প্রবেশ করে সিন্দুক ভেঙে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৯২০ টাকা, ৪২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন এবং সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুরো অফিস কক্ষের ড্রয়ার ফাঁকা পড়ে আছে। মেঝেতে কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। ভাঙা সিন্দুকটি মেঝেতে পড়ে আছে। সেখানে বাঁশের লাঠি ও লোহার পাইপ দেখা যায়।
হিমাগারের মেশিন অপারেটর মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাতেরা হিমাগারের পেছন দিয়ে প্রবেশ করে মেশিন রুমে এসে আমাদের দুজনকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে। এরপর আমাকে নিয়ে অফিসের দিকে যায়। ডাকাতদের দিকে তাকানোয় আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর প্রহরী সোহেল রানাকে বেঁধে ফেলে। তালা কেটে আমাদের দুজনকে অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে মেশিন রুম থেকে সাবল আনতে গিয়ে সুজনকেও অফিস কক্ষ নিয়ে আসে ডাকাতেরা। সেখানে সিন্দুক ভেঙে টাকা, টিভি, সিসিটিভির মেশিন নিয়ে চলে যায়। তাদের মুখ মাংকি টুপি দিয়ে ঢাকা ছিল।’
এন এন হিমাগারের ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে হিমাগার থেকে ফোন করে জানায় হিমাগারে ডাকাত পড়েছে। খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই এবং ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে ওসি সাহেবও ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেন।’
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ‘খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি পালিত হয়। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা নিজস্ব ঐতিহ্য ও রীতি অনুসারে পালন করে এই উৎসব।
২৫ ডিসেম্বর ২০২২দীর্ঘ ৮৬ দিন পানিতে ডুবে থাকার পর ভেসে উঠেছে রাঙামাটির পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেতুর পাটাতন থেকে সম্পূর্ণ পানি নেমে যায়। সেতুটি আগামীকাল শুক্রবার থেকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
১ মিনিট আগেচাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৯ দিনে ৮৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
৮ মিনিট আগেনীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকিয়ে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
৩৭ মিনিট আগেনীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী এসডিএফ অফিসসংলগ্ন এলাকায়। বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস।
আটক দুজন হলেন নীলফামারী সদরের কিশামত পঞ্চপুকুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে হেদায়াতুল্লাহ সুজন (৩২) এবং একই উপজেলার বেড়াডাঙ্গা ব্রমোতর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে নুর আলম (২৮)।
পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস জানান, গতকাল বিকেলে পুটিমারীর চৌধুরীবাজার থেকে ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন তোহা ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। এ সময় দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী এসডিএফ অফিসসংলগ্ন রাস্তায় তাঁকে পাঁচ-ছয় ব্যক্তি নিজেদের ডিবি সদস্য পরিচয় দিয়ে আটক করে দেহ তল্লাশি করেন। এতে বাধা দিলে তোহাকে তাঁরা মারধর শুরু করেন এবং পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা বের করে নেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে ডিবি পরিচয়দানকারীরা মোটরসাইকেলে করে পালানোর চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী এ সময় দুজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় তোহা ইসলামের ভাই ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা করেন। দুপুরে ওই মামলায় পুলিশ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে।
নীলফামারীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পথচারীকে আটকে দেহ তল্লাশি, মারধর ও ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে জনতা। পরে তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী এসডিএফ অফিসসংলগ্ন এলাকায়। বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কুদ্দুস।
আটক দুজন হলেন নীলফামারী সদরের কিশামত পঞ্চপুকুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে হেদায়াতুল্লাহ সুজন (৩২) এবং একই উপজেলার বেড়াডাঙ্গা ব্রমোতর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে নুর আলম (২৮)।
পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস জানান, গতকাল বিকেলে পুটিমারীর চৌধুরীবাজার থেকে ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন তোহা ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। এ সময় দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী এসডিএফ অফিসসংলগ্ন রাস্তায় তাঁকে পাঁচ-ছয় ব্যক্তি নিজেদের ডিবি সদস্য পরিচয় দিয়ে আটক করে দেহ তল্লাশি করেন। এতে বাধা দিলে তোহাকে তাঁরা মারধর শুরু করেন এবং পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা বের করে নেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে ডিবি পরিচয়দানকারীরা মোটরসাইকেলে করে পালানোর চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী এ সময় দুজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় তোহা ইসলামের ভাই ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা করেন। দুপুরে ওই মামলায় পুলিশ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে।
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি পালিত হয়। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা নিজস্ব ঐতিহ্য ও রীতি অনুসারে পালন করে এই উৎসব।
২৫ ডিসেম্বর ২০২২দীর্ঘ ৮৬ দিন পানিতে ডুবে থাকার পর ভেসে উঠেছে রাঙামাটির পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেতুর পাটাতন থেকে সম্পূর্ণ পানি নেমে যায়। সেতুটি আগামীকাল শুক্রবার থেকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
১ মিনিট আগেচাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৯ দিনে ৮৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
৮ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগে