আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্থলে একজনও নেই। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি না থাকাসহ রয়েছে আরও কিছু সংকট ও অব্যবস্থাপনা। গত বুধবার সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
গ্রামীণ জনপদের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০১২ সালে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ২০১৫ সালে উদ্বোধন করেন তৎকালীন মন্ত্রী ও মধুপুর-ধনবাড়ীর সংসদ সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। করোনা মহামারিতে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু দিন দিন যে প্রতিষ্ঠানের সেবা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, সেই প্রতিষ্ঠান আজ স্বাভাবিক সেবাটুকু দিতেও ব্যর্থ হচ্ছে।
উপজেলার ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৮৩ জন অধিবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ২০ জন চিকিৎসক থাকার কথা। সেখানে একজনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ১০ জন চিকিৎসক পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। নার্স, ওয়ার্ডবয়, প্যাথলজিস্ট, রেডিওলজিস্টসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারী থাকলেও নেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে ২৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বেতন অনিয়মিত হওয়ায় তারাও কাজে অনিয়মিত। তাই অপর্যাপ্ত জনবল দিয়েই সেবা দিতে হচ্ছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহনাজ সুলতানা।
গত বুধবার ৫০ শয্যা ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত অবস্থান করে ব্যাপক অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ে। পৃথক কাউন্টারে নারী-পুরুষকে টিকিট দেওয়া হলেও বহির্বিভাগ পুরুষ কক্ষেই নারী ও পুরুষদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বহির্বিভাগ মহিলা কক্ষে রাখা হয়েছে মোটরসাইকেল ও সাইকেল। প্যাথলজি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যাথলজিস্ট মো. সাইফুল ইসলামের পরিবর্তে সেখানে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট বিপ্লবকে দেখা যায়।
আবার প্যাথলজির সামনে রোগী আসামাত্র একশ্রেণির দালাল তাদের ফুসলিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সমৃদ্ধ ওই প্যাথলজি বিভাগ ওই দিন অনধিক ১০ জন রোগীকে সেবা দিয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার পরও বন্ধ রয়েছে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও অপারেশন থিয়েটার। এক্স-রে বিভাগের রেডিওলজিস্ট হাবিবুর রহমান ছিলেন অনুপস্থিত। আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আদিরা সুলতানা হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পরই প্রাইভেটকারযোগে হাসপাতাল ত্যাগ করে আর ফিরে আসেননি।
উপজেলার আমবাগান এলাকার আরেফিন তাঁর স্বজনকে নিয়ে রিপোর্ট দেখানোর জন্য ১১টা ৪০ মিনিট থেকে দেড়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে চলে যেতে বাধ্য হন। দন্ত চিকিৎসক, ইউনানি বিভাগের চিকিৎসককে রোগীদের সেবা দিতে দেখা গেছে।
প্যাথলজির জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াশ ব্লকের টেপগুলো অচল, বেসিন নোংরা। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী। ওয়ার্ডগুলোর পরিবেশও নোংরা। বেলা দেড়টার দিকে শিপু নামের এক নারীকে তৃতীয় তলায় ঝাড়ু দিতে দেখা গেছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকটে পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বর্ধন করা এলাকাগুলোও মলিন হয়ে আছে। বেতন-ভাতা অনিয়মিত থাকায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নেওয়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা অনুপস্থিত থাকেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এ অব্যবস্থাপনার মধ্যেও বহির্বিভাগে ডা. আদনান আহসান চৌধুরী, ডা. সেলিম আলদ্বীন ও রেজওয়ানা জাহান নিলয়কে বিরামহীন চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা গেছে। ডা. আদনান আহসান চৌধুরী বলেন, ‘১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও একজনও নেই। কষ্ট হলেও রোগীদের চাপ সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু দুর্ঘটনার শিকার রোগীদের নিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হয় সার্জন না থাকায়। আমার ও দু-একজনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই সেই সেবা দিয়ে থাকি। উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অন্যত্র পাঠানো ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহনাজ সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তা ছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কোনো কর্মচারী বরাদ্দ নেই। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগপ্রাপ্তরা গত জুন থেকে বেতনভাতা পান না। তাই তাঁরা দায়িত্বে অবহেলা করেন। এদিকে চিকিৎসক সংকট তো আছেই। তারপরও সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সেবা দেওয়া যায়, ততটুকু দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনবলের সংকট কাটলে সেবা বাড়বে।’
এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুল হক বলেন, ‘ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তা ছাড়া আউটসোর্সিংয়ে নেওয়া কর্মচারীদের কাজে অনিয়মিত থাকার বিষয়টি জানা ছিল না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্থলে একজনও নেই। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি না থাকাসহ রয়েছে আরও কিছু সংকট ও অব্যবস্থাপনা। গত বুধবার সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
গ্রামীণ জনপদের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০১২ সালে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ২০১৫ সালে উদ্বোধন করেন তৎকালীন মন্ত্রী ও মধুপুর-ধনবাড়ীর সংসদ সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। করোনা মহামারিতে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু দিন দিন যে প্রতিষ্ঠানের সেবা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, সেই প্রতিষ্ঠান আজ স্বাভাবিক সেবাটুকু দিতেও ব্যর্থ হচ্ছে।
উপজেলার ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৮৩ জন অধিবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ২০ জন চিকিৎসক থাকার কথা। সেখানে একজনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ১০ জন চিকিৎসক পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। নার্স, ওয়ার্ডবয়, প্যাথলজিস্ট, রেডিওলজিস্টসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারী থাকলেও নেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে ২৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বেতন অনিয়মিত হওয়ায় তারাও কাজে অনিয়মিত। তাই অপর্যাপ্ত জনবল দিয়েই সেবা দিতে হচ্ছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহনাজ সুলতানা।
গত বুধবার ৫০ শয্যা ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত অবস্থান করে ব্যাপক অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ে। পৃথক কাউন্টারে নারী-পুরুষকে টিকিট দেওয়া হলেও বহির্বিভাগ পুরুষ কক্ষেই নারী ও পুরুষদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বহির্বিভাগ মহিলা কক্ষে রাখা হয়েছে মোটরসাইকেল ও সাইকেল। প্যাথলজি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যাথলজিস্ট মো. সাইফুল ইসলামের পরিবর্তে সেখানে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট বিপ্লবকে দেখা যায়।
আবার প্যাথলজির সামনে রোগী আসামাত্র একশ্রেণির দালাল তাদের ফুসলিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সমৃদ্ধ ওই প্যাথলজি বিভাগ ওই দিন অনধিক ১০ জন রোগীকে সেবা দিয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার পরও বন্ধ রয়েছে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও অপারেশন থিয়েটার। এক্স-রে বিভাগের রেডিওলজিস্ট হাবিবুর রহমান ছিলেন অনুপস্থিত। আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আদিরা সুলতানা হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পরই প্রাইভেটকারযোগে হাসপাতাল ত্যাগ করে আর ফিরে আসেননি।
উপজেলার আমবাগান এলাকার আরেফিন তাঁর স্বজনকে নিয়ে রিপোর্ট দেখানোর জন্য ১১টা ৪০ মিনিট থেকে দেড়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে চলে যেতে বাধ্য হন। দন্ত চিকিৎসক, ইউনানি বিভাগের চিকিৎসককে রোগীদের সেবা দিতে দেখা গেছে।
প্যাথলজির জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াশ ব্লকের টেপগুলো অচল, বেসিন নোংরা। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী। ওয়ার্ডগুলোর পরিবেশও নোংরা। বেলা দেড়টার দিকে শিপু নামের এক নারীকে তৃতীয় তলায় ঝাড়ু দিতে দেখা গেছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকটে পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বর্ধন করা এলাকাগুলোও মলিন হয়ে আছে। বেতন-ভাতা অনিয়মিত থাকায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নেওয়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা অনুপস্থিত থাকেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এ অব্যবস্থাপনার মধ্যেও বহির্বিভাগে ডা. আদনান আহসান চৌধুরী, ডা. সেলিম আলদ্বীন ও রেজওয়ানা জাহান নিলয়কে বিরামহীন চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা গেছে। ডা. আদনান আহসান চৌধুরী বলেন, ‘১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও একজনও নেই। কষ্ট হলেও রোগীদের চাপ সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু দুর্ঘটনার শিকার রোগীদের নিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হয় সার্জন না থাকায়। আমার ও দু-একজনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই সেই সেবা দিয়ে থাকি। উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অন্যত্র পাঠানো ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহনাজ সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তা ছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কোনো কর্মচারী বরাদ্দ নেই। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগপ্রাপ্তরা গত জুন থেকে বেতনভাতা পান না। তাই তাঁরা দায়িত্বে অবহেলা করেন। এদিকে চিকিৎসক সংকট তো আছেই। তারপরও সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সেবা দেওয়া যায়, ততটুকু দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনবলের সংকট কাটলে সেবা বাড়বে।’
এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুল হক বলেন, ‘ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তা ছাড়া আউটসোর্সিংয়ে নেওয়া কর্মচারীদের কাজে অনিয়মিত থাকার বিষয়টি জানা ছিল না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্থলে একজনও নেই। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি না থাকাসহ রয়েছে আরও কিছু সংকট ও অব্যবস্থাপনা। গত বুধবার সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
গ্রামীণ জনপদের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০১২ সালে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ২০১৫ সালে উদ্বোধন করেন তৎকালীন মন্ত্রী ও মধুপুর-ধনবাড়ীর সংসদ সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। করোনা মহামারিতে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু দিন দিন যে প্রতিষ্ঠানের সেবা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, সেই প্রতিষ্ঠান আজ স্বাভাবিক সেবাটুকু দিতেও ব্যর্থ হচ্ছে।
উপজেলার ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৮৩ জন অধিবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ২০ জন চিকিৎসক থাকার কথা। সেখানে একজনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ১০ জন চিকিৎসক পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। নার্স, ওয়ার্ডবয়, প্যাথলজিস্ট, রেডিওলজিস্টসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারী থাকলেও নেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে ২৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বেতন অনিয়মিত হওয়ায় তারাও কাজে অনিয়মিত। তাই অপর্যাপ্ত জনবল দিয়েই সেবা দিতে হচ্ছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহনাজ সুলতানা।
গত বুধবার ৫০ শয্যা ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত অবস্থান করে ব্যাপক অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ে। পৃথক কাউন্টারে নারী-পুরুষকে টিকিট দেওয়া হলেও বহির্বিভাগ পুরুষ কক্ষেই নারী ও পুরুষদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বহির্বিভাগ মহিলা কক্ষে রাখা হয়েছে মোটরসাইকেল ও সাইকেল। প্যাথলজি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যাথলজিস্ট মো. সাইফুল ইসলামের পরিবর্তে সেখানে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট বিপ্লবকে দেখা যায়।
আবার প্যাথলজির সামনে রোগী আসামাত্র একশ্রেণির দালাল তাদের ফুসলিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সমৃদ্ধ ওই প্যাথলজি বিভাগ ওই দিন অনধিক ১০ জন রোগীকে সেবা দিয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার পরও বন্ধ রয়েছে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও অপারেশন থিয়েটার। এক্স-রে বিভাগের রেডিওলজিস্ট হাবিবুর রহমান ছিলেন অনুপস্থিত। আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আদিরা সুলতানা হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পরই প্রাইভেটকারযোগে হাসপাতাল ত্যাগ করে আর ফিরে আসেননি।
উপজেলার আমবাগান এলাকার আরেফিন তাঁর স্বজনকে নিয়ে রিপোর্ট দেখানোর জন্য ১১টা ৪০ মিনিট থেকে দেড়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে চলে যেতে বাধ্য হন। দন্ত চিকিৎসক, ইউনানি বিভাগের চিকিৎসককে রোগীদের সেবা দিতে দেখা গেছে।
প্যাথলজির জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াশ ব্লকের টেপগুলো অচল, বেসিন নোংরা। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী। ওয়ার্ডগুলোর পরিবেশও নোংরা। বেলা দেড়টার দিকে শিপু নামের এক নারীকে তৃতীয় তলায় ঝাড়ু দিতে দেখা গেছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকটে পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বর্ধন করা এলাকাগুলোও মলিন হয়ে আছে। বেতন-ভাতা অনিয়মিত থাকায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নেওয়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা অনুপস্থিত থাকেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এ অব্যবস্থাপনার মধ্যেও বহির্বিভাগে ডা. আদনান আহসান চৌধুরী, ডা. সেলিম আলদ্বীন ও রেজওয়ানা জাহান নিলয়কে বিরামহীন চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা গেছে। ডা. আদনান আহসান চৌধুরী বলেন, ‘১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও একজনও নেই। কষ্ট হলেও রোগীদের চাপ সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু দুর্ঘটনার শিকার রোগীদের নিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হয় সার্জন না থাকায়। আমার ও দু-একজনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই সেই সেবা দিয়ে থাকি। উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অন্যত্র পাঠানো ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহনাজ সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তা ছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কোনো কর্মচারী বরাদ্দ নেই। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগপ্রাপ্তরা গত জুন থেকে বেতনভাতা পান না। তাই তাঁরা দায়িত্বে অবহেলা করেন। এদিকে চিকিৎসক সংকট তো আছেই। তারপরও সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সেবা দেওয়া যায়, ততটুকু দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনবলের সংকট কাটলে সেবা বাড়বে।’
এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুল হক বলেন, ‘ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তা ছাড়া আউটসোর্সিংয়ে নেওয়া কর্মচারীদের কাজে অনিয়মিত থাকার বিষয়টি জানা ছিল না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্থলে একজনও নেই। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি না থাকাসহ রয়েছে আরও কিছু সংকট ও অব্যবস্থাপনা। গত বুধবার সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
গ্রামীণ জনপদের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০১২ সালে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ২০১৫ সালে উদ্বোধন করেন তৎকালীন মন্ত্রী ও মধুপুর-ধনবাড়ীর সংসদ সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। করোনা মহামারিতে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। কিন্তু দিন দিন যে প্রতিষ্ঠানের সেবা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, সেই প্রতিষ্ঠান আজ স্বাভাবিক সেবাটুকু দিতেও ব্যর্থ হচ্ছে।
উপজেলার ১ লাখ ৮৩ হাজার ২৮৩ জন অধিবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ২০ জন চিকিৎসক থাকার কথা। সেখানে একজনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ১০ জন চিকিৎসক পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। নার্স, ওয়ার্ডবয়, প্যাথলজিস্ট, রেডিওলজিস্টসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারী থাকলেও নেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে ২৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বেতন অনিয়মিত হওয়ায় তারাও কাজে অনিয়মিত। তাই অপর্যাপ্ত জনবল দিয়েই সেবা দিতে হচ্ছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহনাজ সুলতানা।
গত বুধবার ৫০ শয্যা ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত অবস্থান করে ব্যাপক অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ে। পৃথক কাউন্টারে নারী-পুরুষকে টিকিট দেওয়া হলেও বহির্বিভাগ পুরুষ কক্ষেই নারী ও পুরুষদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বহির্বিভাগ মহিলা কক্ষে রাখা হয়েছে মোটরসাইকেল ও সাইকেল। প্যাথলজি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যাথলজিস্ট মো. সাইফুল ইসলামের পরিবর্তে সেখানে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট বিপ্লবকে দেখা যায়।
আবার প্যাথলজির সামনে রোগী আসামাত্র একশ্রেণির দালাল তাদের ফুসলিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সমৃদ্ধ ওই প্যাথলজি বিভাগ ওই দিন অনধিক ১০ জন রোগীকে সেবা দিয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার পরও বন্ধ রয়েছে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও অপারেশন থিয়েটার। এক্স-রে বিভাগের রেডিওলজিস্ট হাবিবুর রহমান ছিলেন অনুপস্থিত। আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আদিরা সুলতানা হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পরই প্রাইভেটকারযোগে হাসপাতাল ত্যাগ করে আর ফিরে আসেননি।
উপজেলার আমবাগান এলাকার আরেফিন তাঁর স্বজনকে নিয়ে রিপোর্ট দেখানোর জন্য ১১টা ৪০ মিনিট থেকে দেড়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে চলে যেতে বাধ্য হন। দন্ত চিকিৎসক, ইউনানি বিভাগের চিকিৎসককে রোগীদের সেবা দিতে দেখা গেছে।
প্যাথলজির জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াশ ব্লকের টেপগুলো অচল, বেসিন নোংরা। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী। ওয়ার্ডগুলোর পরিবেশও নোংরা। বেলা দেড়টার দিকে শিপু নামের এক নারীকে তৃতীয় তলায় ঝাড়ু দিতে দেখা গেছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকটে পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বর্ধন করা এলাকাগুলোও মলিন হয়ে আছে। বেতন-ভাতা অনিয়মিত থাকায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নেওয়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা অনুপস্থিত থাকেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এ অব্যবস্থাপনার মধ্যেও বহির্বিভাগে ডা. আদনান আহসান চৌধুরী, ডা. সেলিম আলদ্বীন ও রেজওয়ানা জাহান নিলয়কে বিরামহীন চিকিৎসা সেবা দিতে দেখা গেছে। ডা. আদনান আহসান চৌধুরী বলেন, ‘১০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও একজনও নেই। কষ্ট হলেও রোগীদের চাপ সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু দুর্ঘটনার শিকার রোগীদের নিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হয় সার্জন না থাকায়। আমার ও দু-একজনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই সেই সেবা দিয়ে থাকি। উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অন্যত্র পাঠানো ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহনাজ সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। তা ছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কোনো কর্মচারী বরাদ্দ নেই। আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগপ্রাপ্তরা গত জুন থেকে বেতনভাতা পান না। তাই তাঁরা দায়িত্বে অবহেলা করেন। এদিকে চিকিৎসক সংকট তো আছেই। তারপরও সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সেবা দেওয়া যায়, ততটুকু দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনবলের সংকট কাটলে সেবা বাড়বে।’
এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুল হক বলেন, ‘ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তা ছাড়া আউটসোর্সিংয়ে নেওয়া কর্মচারীদের কাজে অনিয়মিত থাকার বিষয়টি জানা ছিল না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
৩১ মিনিট আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগে
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেআগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
হাঁসটির মালিক ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম। অভিযোগ উঠেছে, কিস্তির টাকা না পেয়ে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর কর্মীরা তাঁর বাড়ি থেকে হাঁসটি নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজা টিএমএসএসের সদস্য। ওই এনজিও থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে কিস্তির টাকা তুলতে হাফিজার বাড়িতে যান ওই এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুজন। হাফিজা আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেবেন বলে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। কিন্তু ফিরোজ খান কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না বলে অনড় থাকেন। এ সময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস-মুরগি দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। হাফিজা তাতে অসম্মতি জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যান। এই ফাঁকে এনজিওর কর্মীরা হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে হাফিজা খানম বলেন, ‘সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বলছি। কিন্তু এনজিওর মাঠকর্মীরা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম পনেরো শ-ষোলো শ টাকার মতো হবে। আমার মেয়ের পালা শখের হাঁসটি ফেরত চাই।’
উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাসগুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কীভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস আনার বিষয়টি অবৈধ।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টিএমএসএস এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস ধরে আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টিএমএসএস এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে। আমার এনজিওর মাঠকর্মী দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।’

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
হাঁসটির মালিক ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম। অভিযোগ উঠেছে, কিস্তির টাকা না পেয়ে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর কর্মীরা তাঁর বাড়ি থেকে হাঁসটি নিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজা টিএমএসএসের সদস্য। ওই এনজিও থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে কিস্তির টাকা তুলতে হাফিজার বাড়িতে যান ওই এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুজন। হাফিজা আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেবেন বলে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। কিন্তু ফিরোজ খান কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না বলে অনড় থাকেন। এ সময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস-মুরগি দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। হাফিজা তাতে অসম্মতি জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যান। এই ফাঁকে এনজিওর কর্মীরা হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে হাফিজা খানম বলেন, ‘সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বলছি। কিন্তু এনজিওর মাঠকর্মীরা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম পনেরো শ-ষোলো শ টাকার মতো হবে। আমার মেয়ের পালা শখের হাঁসটি ফেরত চাই।’
উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাসগুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কীভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস আনার বিষয়টি অবৈধ।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টিএমএসএস এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস ধরে আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টিএমএসএস এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে। আমার এনজিওর মাঠকর্মী দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।’

প্যাথলজির জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াশ ব্লকের টেপগুলো অচল, বেসিন নোংরা। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী। ওয়ার্ডগুলোর পরিবেশও নোংরা। বেলা দেড়টার দিকে শিপু নামের এক নারীকে তৃতীয় তলায় ঝাড়ু দিতে দেখা গেছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকটে পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বর্ধন করা এলাকাগুলোও মলিন হয়ে আছে। বেতন-ভাতা অনিয়মিত থাকায় আউ
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগে
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেনাটোর প্রতিনিধি

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আসন্ন হজ মৌসুমে কোনো সিন্ডিকেটকে পাত্তা দেওয়া হবে না।’
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন খালিদ হোসেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকারের অনুরোধে গত বছরের তুলনায় এবার হজে গমন-ইচ্ছুকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা ১০-১২টি রোগে আক্রান্ত তাঁদের হজে পাঠানো হবে না। আমরা চাচ্ছি, স্বচ্ছ এবং ট্রান্সপারেন্ট ব্যক্তিদের হজে পাঠাতে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।
পরে উপদেষ্টা নাটোর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মডেল মসজিদ নির্মাণে জেলা পর্যায়ে ১৮ কোটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪ কোটি টাকা খরচ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আসন্ন হজ মৌসুমে কোনো সিন্ডিকেটকে পাত্তা দেওয়া হবে না।’
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন খালিদ হোসেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকারের অনুরোধে গত বছরের তুলনায় এবার হজে গমন-ইচ্ছুকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা ১০-১২টি রোগে আক্রান্ত তাঁদের হজে পাঠানো হবে না। আমরা চাচ্ছি, স্বচ্ছ এবং ট্রান্সপারেন্ট ব্যক্তিদের হজে পাঠাতে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।
পরে উপদেষ্টা নাটোর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মডেল মসজিদ নির্মাণে জেলা পর্যায়ে ১৮ কোটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪ কোটি টাকা খরচ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

প্যাথলজির জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াশ ব্লকের টেপগুলো অচল, বেসিন নোংরা। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী। ওয়ার্ডগুলোর পরিবেশও নোংরা। বেলা দেড়টার দিকে শিপু নামের এক নারীকে তৃতীয় তলায় ঝাড়ু দিতে দেখা গেছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকটে পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বর্ধন করা এলাকাগুলোও মলিন হয়ে আছে। বেতন-ভাতা অনিয়মিত থাকায় আউ
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
৩১ মিনিট আগে
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেবেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে এনসিপি থেকে মনোনয়ন পেলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রথম ধাপে এনসিপির ঘোষিত ১২৫ প্রার্থীর মধ্যে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে এনসিপি। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।
এনসিপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে এনসিপি থেকে শাপলা কলি প্রতীকে এবার নির্বাচন করব। আমি যদি এমপি নির্বাচিত হতে পারি, বেলকুচি চৌহালীকে নদীভাঙন থেকে রক্ষায় কাজ করব। তা ছাড়া এই এলাকার মানুষ তাঁতশিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাঁতশিল্পের উন্নয়নেও কাজ করার ইচ্ছা আছে। এনায়েতপুর একটি বৃহৎ হাট। হাটের উন্নয়নেও কাজ করব। এর বাইরেও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব।’
আপনি কি বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে এনসিপি থেকে মনোনয়ন নিলেন—এই প্রশ্নের জবাবে মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘আমি বিএনপি থেকে এবার মনোনয়ন চাইনি।’

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে এনসিপি থেকে মনোনয়ন পেলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রথম ধাপে এনসিপির ঘোষিত ১২৫ প্রার্থীর মধ্যে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে এনসিপি। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।
এনসিপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে এনসিপি থেকে শাপলা কলি প্রতীকে এবার নির্বাচন করব। আমি যদি এমপি নির্বাচিত হতে পারি, বেলকুচি চৌহালীকে নদীভাঙন থেকে রক্ষায় কাজ করব। তা ছাড়া এই এলাকার মানুষ তাঁতশিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাঁতশিল্পের উন্নয়নেও কাজ করার ইচ্ছা আছে। এনায়েতপুর একটি বৃহৎ হাট। হাটের উন্নয়নেও কাজ করব। এর বাইরেও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব।’
আপনি কি বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে এনসিপি থেকে মনোনয়ন নিলেন—এই প্রশ্নের জবাবে মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘আমি বিএনপি থেকে এবার মনোনয়ন চাইনি।’

প্যাথলজির জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াশ ব্লকের টেপগুলো অচল, বেসিন নোংরা। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী। ওয়ার্ডগুলোর পরিবেশও নোংরা। বেলা দেড়টার দিকে শিপু নামের এক নারীকে তৃতীয় তলায় ঝাড়ু দিতে দেখা গেছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকটে পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বর্ধন করা এলাকাগুলোও মলিন হয়ে আছে। বেতন-ভাতা অনিয়মিত থাকায় আউ
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
৩১ মিনিট আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।
আজ বুধবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পল্টন থানা পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল খান।
ওসি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে সিআইডি পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে একজন পুলিশের উপপরিদর্শকের মৃত্যুর খবর পাই। পরে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি মোস্তফা আরও জানান, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে কারণ জানার চেষ্টা চলছে।

রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।
আজ বুধবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পল্টন থানা পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল খান।
ওসি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে সিআইডি পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে একজন পুলিশের উপপরিদর্শকের মৃত্যুর খবর পাই। পরে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি মোস্তফা আরও জানান, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে কারণ জানার চেষ্টা চলছে।

প্যাথলজির জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াশ ব্লকের টেপগুলো অচল, বেসিন নোংরা। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী। ওয়ার্ডগুলোর পরিবেশও নোংরা। বেলা দেড়টার দিকে শিপু নামের এক নারীকে তৃতীয় তলায় ঝাড়ু দিতে দেখা গেছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকটে পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বর্ধন করা এলাকাগুলোও মলিন হয়ে আছে। বেতন-ভাতা অনিয়মিত থাকায় আউ
২৬ জানুয়ারি ২০২৪
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।
৩১ মিনিট আগে
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমান
১ ঘণ্টা আগে
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে