Ajker Patrika

টাঙ্গাইলে ওলামা পরিষদের বিক্ষোভ, সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল। ছবি: আজকের পত্রিকা
জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল। ছবি: আজকের পত্রিকা

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ করে দিয়েছেন আয়োজকেরা। কালিহাতীর আউলিয়াবাদ এলাকায় জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলে প্রদর্শিত সিনেমা গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার বাদ আসর পারখী ইউনিয়ন ওলামা পরিষদের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁরা সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদনও করেন।

সিনেমার আয়োজক সূত্রে জানা যায়, জাজ মাল্টিমিডিয়ার হেড অব মার্কেটিং কামরুজ্জামান সাইফুল ও সাজু মেহেদীর নেতৃত্বে জেলা পরিষদের কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হল ভাড়া নিয়ে জনপ্রিয় ‘তাণ্ডব’ সিনেমা প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। হলটি এক মাসের জন্য অনুমতি নেওয়া হলেও ১০ দিনের ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে। ঈদের দিন থেকে কালিহাতীর আউলিয়াবাদসহ সারা দেশের ১৩২টি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি চলছে।

আন্দোলনকারী মাওলানা আব্দুল্লাহ বলেন, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানে ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া অসামাজিক কার্যকলাপ হতে পারে। সেই জন্য হলটি বন্ধের জন্য বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

আয়োজক সাজু মেহেদী বলেন, ‘কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলের এসি সার্ভিসিং, টিকিট প্রিন্টিং ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে আমাদের নয় লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। আমরা সব মিলিয়ে আড়াই দিনের মতো ছবি চালাতে পেরেছি। ভালো সাড়া পাচ্ছিলাম। আমাদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে। পোস্টার লাগাতে দেয়নি, মাইকিংও করতে দেয়নি।’

আয়োজক কামরুজ্জামান সাইফুল বলেন, ‘স্থানীয় আলেম ওলামারা আমার যে ক্ষতি করল, এমন ক্ষতি যাতে আর কারো না হয়, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শুরু থেকে ভালোই সাড়া পাচ্ছিলাম। আশপাশের বল্লা, পারখী ও বীরবাসিন্দা এলাকার লোকজন না এলেও সখীপুর ও মির্জাপুরের দর্শক বেশি আসতেন।’

কামরুজ্জামান সাইফুল আরও বলেন, ‘সকালে (মঙ্গলবার) কমিউনিটি সেন্টার কাম মাল্টিপারপাস হলের সামনে ব্যানারে লাগানোর পর দুই মিনিটও রাখতে পারিনি। বিভিন্নভাবে আমার কাছে হুমকি আসতে থাকে। নিরাপত্তাহীনতার অভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি।’

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার কাছে তাঁরা এসেছিলেন। তাঁদের বলেছি, এই বিষয়ে আমি সিদ্ধান্ত দেওয়ার কেউ নই।’

কালিহাতীর ইউএনও মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। জেলা পরিষদের হলটি ভাড়া নিয়ে তারা সিনেমাটি চালাচ্ছিল। এদিকে বন্ধ করার জন্য আমার অফিসে আবেদনও করেছে। তবে আমি ছুটিতে রয়েছি।’

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের মাধ্যমে আমরা ওই হলটি ভাড়া দিয়েছিলাম। সঙ্গে কিছু শর্তও দিয়েছিলাম, তার মধ্যে অন্যতম ছিল, সেখানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে সিনেমা চালানো বন্ধ করতে হবে। পরে কী হয়েছে, আর জানি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...