নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট থেকে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে আজ শুক্রবার সকালে সিলেটে পৌঁছেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। দুপুরে সার্কিট হাউসে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময়ের পর বিকেলে শাবিপ্রবিতে যাবেন তিনি। তাঁর আগমনে আশা দেখছেন শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে ইতিবাচকতার মধ্যেও রয়েছে কিছুটা সংশয়। তাই আলোচনায় যদি উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে নিশ্চিত আশ্বাস না পান তবে আন্দোলনের তীব্রতা আবারও বাড়বে। এমনটিই জানিয়েছেন শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের নামে মামলা প্রত্যাহার, বিকাশ অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেওয়াসহ অন্যান্য বিষয়ের প্রতিশ্রুতিগুলো এখনো মেনে নেওয়া হয়নি। তাই ইতিবাচকতা থাকলেও প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির হিসেব না মিলায় কিছুটা হতাশ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রাজু শেখ বলেন, ‘আমাদের অনশনের সময় অনেক আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরকে তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত নামে মামলা, অর্থ সহায়তা দেওয়ায় সাবেক ছাত্রদের নামে মামলা, বিকাশ-রকেট অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসেনি। শিক্ষামন্ত্রী এসেছেন এটা আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখতে চাই। কিন্তু যদি কোন ইতিবাচক ফলাফল না আসে তাহলে আন্দোলন চলবে।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শাবিপ্রবির উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অদক্ষতা ও স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের ফলে নানান সমস্যায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে পরীক্ষায় গ্রেডিং সিস্টেম আধুনিকায়ন না থাকা, ক্যাম্পাসে রিডিং রুম না থাকা, লাইব্রেরি সীমিত সময় খোলা থাকা ও বই নিয়ে প্রবেশ করতে না পারা, শিক্ষার্থীদের বাসের সংখ্যা ও চলাচলের রুট কম থাকা, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত গবেষণায় শিক্ষার্থীদের কাজের পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা, বছর জুড়ে সকল সুবিধাসহ হল খোলা না রাখা, প্রক্টর, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের সঙ্গে মুক্ত আলোচনা ও জবাবদিহিতা ব্যবস্থা না থাকা, পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা ও তার সুষ্ঠু বণ্টন বিন্যাস না থাকা, ফি সংক্রান্ত জটিলতা ও দফায় দফায় তা বৃদ্ধি করা, ক্যাম্পাসে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে চলাচলের সুযোগ না থাকা, ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে মুক্তভাবে পরিচালিত করতে না পারা, শিক্ষার্থীদের মুক্ত আলোচনার জায়গা টংগুলো বন্ধ থাকাসহ প্রায় ৪০ টিরও বেশি সমস্যা চিহ্নিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান চান তাঁরা। এসব সমস্যা নিয়ে আজ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টিকে এই সব সমস্যার সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তাঁরা চান দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাবিপ্রবির শিক্ষা সংকট সমাধান হোক।
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী সাত্ত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘১৬ তারিখে আক্রমণের পর প্রায় এক মাস পার হলেও তেমন আশানুরূপ কোন ফল পাইনি। তবুও আমরা আশাবাদী, দ্রুততম সময়ের ভেতরে আমাদের এক দফা দাবি মেনে নেওয়া হবে। এই দাবি মেনে নেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংকট গুলোও দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করি।’
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সুদীপ্ত ভাস্কর বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের আগে যখন কথা হয়েছে তখন তিনি আমাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আজকের আলোচনায় যদি ইতিবাচক কোন ফলাফল না আসে তবে আমরা আবারও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সামনের দিনের আন্দোলনের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করবো। আমাদের প্রধান দাবি এই উপাচার্যের পদত্যাগ। তা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে আজ শুক্রবার সকালে সিলেটে পৌঁছেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। দুপুরে সার্কিট হাউসে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময়ের পর বিকেলে শাবিপ্রবিতে যাবেন তিনি। তাঁর আগমনে আশা দেখছেন শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে ইতিবাচকতার মধ্যেও রয়েছে কিছুটা সংশয়। তাই আলোচনায় যদি উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে নিশ্চিত আশ্বাস না পান তবে আন্দোলনের তীব্রতা আবারও বাড়বে। এমনটিই জানিয়েছেন শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের নামে মামলা প্রত্যাহার, বিকাশ অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেওয়াসহ অন্যান্য বিষয়ের প্রতিশ্রুতিগুলো এখনো মেনে নেওয়া হয়নি। তাই ইতিবাচকতা থাকলেও প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির হিসেব না মিলায় কিছুটা হতাশ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রাজু শেখ বলেন, ‘আমাদের অনশনের সময় অনেক আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরকে তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত নামে মামলা, অর্থ সহায়তা দেওয়ায় সাবেক ছাত্রদের নামে মামলা, বিকাশ-রকেট অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসেনি। শিক্ষামন্ত্রী এসেছেন এটা আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখতে চাই। কিন্তু যদি কোন ইতিবাচক ফলাফল না আসে তাহলে আন্দোলন চলবে।’
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শাবিপ্রবির উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অদক্ষতা ও স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের ফলে নানান সমস্যায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে পরীক্ষায় গ্রেডিং সিস্টেম আধুনিকায়ন না থাকা, ক্যাম্পাসে রিডিং রুম না থাকা, লাইব্রেরি সীমিত সময় খোলা থাকা ও বই নিয়ে প্রবেশ করতে না পারা, শিক্ষার্থীদের বাসের সংখ্যা ও চলাচলের রুট কম থাকা, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত গবেষণায় শিক্ষার্থীদের কাজের পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা, বছর জুড়ে সকল সুবিধাসহ হল খোলা না রাখা, প্রক্টর, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের সঙ্গে মুক্ত আলোচনা ও জবাবদিহিতা ব্যবস্থা না থাকা, পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা ও তার সুষ্ঠু বণ্টন বিন্যাস না থাকা, ফি সংক্রান্ত জটিলতা ও দফায় দফায় তা বৃদ্ধি করা, ক্যাম্পাসে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে চলাচলের সুযোগ না থাকা, ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে মুক্তভাবে পরিচালিত করতে না পারা, শিক্ষার্থীদের মুক্ত আলোচনার জায়গা টংগুলো বন্ধ থাকাসহ প্রায় ৪০ টিরও বেশি সমস্যা চিহ্নিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান চান তাঁরা। এসব সমস্যা নিয়ে আজ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টিকে এই সব সমস্যার সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তাঁরা চান দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাবিপ্রবির শিক্ষা সংকট সমাধান হোক।
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী সাত্ত্বিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘১৬ তারিখে আক্রমণের পর প্রায় এক মাস পার হলেও তেমন আশানুরূপ কোন ফল পাইনি। তবুও আমরা আশাবাদী, দ্রুততম সময়ের ভেতরে আমাদের এক দফা দাবি মেনে নেওয়া হবে। এই দাবি মেনে নেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংকট গুলোও দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করি।’
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সুদীপ্ত ভাস্কর বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের আগে যখন কথা হয়েছে তখন তিনি আমাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আজকের আলোচনায় যদি ইতিবাচক কোন ফলাফল না আসে তবে আমরা আবারও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সামনের দিনের আন্দোলনের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করবো। আমাদের প্রধান দাবি এই উপাচার্যের পদত্যাগ। তা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
প্রতিষ্ঠার পরের বছর থেকে (২০২২ সাল) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তা নিজস্ব ক্যাম্পাসে নয়, কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ১০ তলা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। কথা ছিল নির্দিষ্ট সময় পর নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যাবে, কিন্তু তা হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চরাঞ্চল তেকানীতে সাড়ে তিন কিলোমিটার মাটির বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের মার্চে। স্থানীয়দের দাবির পর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়ের মৌখিক নির্দেশে এ কাজ শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগেগ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পরামর্শ দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জামালপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমি। কিন্তু গত দুই বছরেও সেখানে কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি সদস্যের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২ আগস্ট) সকালে ইউনিয়নের ইজারকান্দি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন এবং হক মিয়ার বাড়িতে এ হামলা হয়।
৬ ঘণ্টা আগে