ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
‘জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ সমিতি, সিলেট’র গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ক্ষমতার জোরে অ্যাডহক কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের বিরুদ্ধে। সদস্যরা বলছেন, সমিতির বাইরের লোকজন দিয়ে আট সদস্যের ‘মনগড়া’ এই কমিটির আহ্বায়ক ডিসি নিজেই। তা ছাড়া, সমিতির অ্যাকাউন্ট নিজের স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে দাবি করে ব্যাংককে চিঠি দেন। সেই সঙ্গে টাকা উত্তোলনের জন্য চেকও পাঠান। প্রথমে চেক আটকালেও পরে ব্যাংক টাকা ছাড় করেছে বলে জানা গেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমিতির সদস্যরা সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত একটি আবেদনে বিভাগীয় কমিশনারের উদ্যোগে বিষয়টির নিষ্পত্তির দাবি জানানো হয়।
বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) খান মো. রেজা-উন-নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঢাকায় মিটিংয়ে আছি। ফোন করে বিষয়টি দেখার জন্য বলব। সিলেটে ফিরেও খোঁজ করব।’
সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সব জীবন, দাতা ও করপোরেট সদস্যের সমন্বয়ে ‘সাধারণ পরিষদ’ গঠিত হবে। সর্ব ক্ষমতার অধিকারী সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘কার্যকরী পরিষদ’ গঠন করা হবে। ২১ সদস্যের কার্যকরী পরিষদের কমিটিতে পদাধিকার বলে সিলেটের জেলা প্রশাসক সভাপতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অন্যতম সহসভাপতি হবেন।
গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর সিলেটের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন ২৭তম বিসিএসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৪ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী জানান, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ। নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। কিন্তু সাধারণ সভায় কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় সভাপতি একটি অ্যাডহক কমিটি গঠনসহ চারটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই সভার কার্যক্রম শেষ করেন।
গঠনতন্ত্রের ধারা ১৭ এর (গ) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোরাম পূর্ণ না হলে মুলতবি হওয়া সভা পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে একই আলোচ্য বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠিত হবে। সেটা না করেই অ্যাডহক কমিটি গঠন করেন। সভায় উপস্থিত সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ২৬ জানুয়ারি এ নিয়ে সভাপতিকে একটি চিঠি দেন।
গঠনতন্ত্রের ধারা ১৬-এ বলা আছে, কোনো কারণে কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন/মনোনয়ন যথাসময়ে সম্ভব না হলে এবং চলমান কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন/মনোনয়ন পর্যন্ত চলমান কমিটি দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করবে তবে কোনো গুরুত্ববহ বা নীতিনির্ধারণী-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা জানাইছি, এটা আমাদের সংবিধানে নাই। সংবিধানে যেহেতু বলে না, সেহেতু এটা বৈধ না। সংবিধানে অ্যাডহক কমিটির কোনো অপশন নাই।’
গঠনতন্ত্রের ধারা ১৯ অনুযায়ী সমিতির সভাপতিকে আর্থিক কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি এবং একক স্বাক্ষরে কোনো চেক পাস করানোর বিধান নাই। আর জেলা প্রশাসক নিজে অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক হলেও চিঠিপত্রে ‘সভাপতি’ পদ ব্যবহার করছেন।
রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও শাখাপ্রধান গোবিন্দ কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি সমাধান হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার চেকগুলো ছাড় দেওয়া হয়েছে।’
একক স্বাক্ষরে চেক পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করে মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘এটা যৌথ স্বাক্ষরে পাঠানো হয়েছে। আর এখানে কোনো সংবিধান নাই। উনারা যে গঠনতন্ত্র বলতেছে, ওই গঠনতন্ত্র সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হবে। অনুমোদিত কোনো গঠনতন্ত্র এখানে নাই। আমরা গঠনতন্ত্র সঠিকভাবে করার জন্য একটা কমিটি গঠন করছি আর একটা অ্যাডহক কমিটি করছি যাতে এটি ঠিকমতো চলে।’
তবে সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সংশোধিত গঠনতন্ত্র সমাজসেবায় অনুমোদন করানো হয়নি ঠিক। কিন্তু এটা আমরা সাধারণ সভায় অনুমোদন করে এত দিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এখন হঠাৎ করে কেন এটা বাতিল করা হবে? এটা কারোর করার অধিকার নাই; শুধু সাধারণ পরিষদ ছাড়া।’
‘জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ সমিতি, সিলেট’র গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ক্ষমতার জোরে অ্যাডহক কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের বিরুদ্ধে। সদস্যরা বলছেন, সমিতির বাইরের লোকজন দিয়ে আট সদস্যের ‘মনগড়া’ এই কমিটির আহ্বায়ক ডিসি নিজেই। তা ছাড়া, সমিতির অ্যাকাউন্ট নিজের স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে দাবি করে ব্যাংককে চিঠি দেন। সেই সঙ্গে টাকা উত্তোলনের জন্য চেকও পাঠান। প্রথমে চেক আটকালেও পরে ব্যাংক টাকা ছাড় করেছে বলে জানা গেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমিতির সদস্যরা সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত একটি আবেদনে বিভাগীয় কমিশনারের উদ্যোগে বিষয়টির নিষ্পত্তির দাবি জানানো হয়।
বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) খান মো. রেজা-উন-নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঢাকায় মিটিংয়ে আছি। ফোন করে বিষয়টি দেখার জন্য বলব। সিলেটে ফিরেও খোঁজ করব।’
সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সব জীবন, দাতা ও করপোরেট সদস্যের সমন্বয়ে ‘সাধারণ পরিষদ’ গঠিত হবে। সর্ব ক্ষমতার অধিকারী সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘কার্যকরী পরিষদ’ গঠন করা হবে। ২১ সদস্যের কার্যকরী পরিষদের কমিটিতে পদাধিকার বলে সিলেটের জেলা প্রশাসক সভাপতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অন্যতম সহসভাপতি হবেন।
গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর সিলেটের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন ২৭তম বিসিএসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২৪ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী জানান, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ। নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। কিন্তু সাধারণ সভায় কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় সভাপতি একটি অ্যাডহক কমিটি গঠনসহ চারটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই সভার কার্যক্রম শেষ করেন।
গঠনতন্ত্রের ধারা ১৭ এর (গ) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোরাম পূর্ণ না হলে মুলতবি হওয়া সভা পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে একই আলোচ্য বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠিত হবে। সেটা না করেই অ্যাডহক কমিটি গঠন করেন। সভায় উপস্থিত সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ২৬ জানুয়ারি এ নিয়ে সভাপতিকে একটি চিঠি দেন।
গঠনতন্ত্রের ধারা ১৬-এ বলা আছে, কোনো কারণে কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন/মনোনয়ন যথাসময়ে সম্ভব না হলে এবং চলমান কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন/মনোনয়ন পর্যন্ত চলমান কমিটি দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করবে তবে কোনো গুরুত্ববহ বা নীতিনির্ধারণী-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।
সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা জানাইছি, এটা আমাদের সংবিধানে নাই। সংবিধানে যেহেতু বলে না, সেহেতু এটা বৈধ না। সংবিধানে অ্যাডহক কমিটির কোনো অপশন নাই।’
গঠনতন্ত্রের ধারা ১৯ অনুযায়ী সমিতির সভাপতিকে আর্থিক কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি এবং একক স্বাক্ষরে কোনো চেক পাস করানোর বিধান নাই। আর জেলা প্রশাসক নিজে অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক হলেও চিঠিপত্রে ‘সভাপতি’ পদ ব্যবহার করছেন।
রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও শাখাপ্রধান গোবিন্দ কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি সমাধান হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার চেকগুলো ছাড় দেওয়া হয়েছে।’
একক স্বাক্ষরে চেক পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করে মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘এটা যৌথ স্বাক্ষরে পাঠানো হয়েছে। আর এখানে কোনো সংবিধান নাই। উনারা যে গঠনতন্ত্র বলতেছে, ওই গঠনতন্ত্র সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হবে। অনুমোদিত কোনো গঠনতন্ত্র এখানে নাই। আমরা গঠনতন্ত্র সঠিকভাবে করার জন্য একটা কমিটি গঠন করছি আর একটা অ্যাডহক কমিটি করছি যাতে এটি ঠিকমতো চলে।’
তবে সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সংশোধিত গঠনতন্ত্র সমাজসেবায় অনুমোদন করানো হয়নি ঠিক। কিন্তু এটা আমরা সাধারণ সভায় অনুমোদন করে এত দিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এখন হঠাৎ করে কেন এটা বাতিল করা হবে? এটা কারোর করার অধিকার নাই; শুধু সাধারণ পরিষদ ছাড়া।’
রাজশাহীতে এক ব্যক্তির ৬৮ বছর আগে কেনা জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ওই জমিতে ইট-বালু ফেলে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ শুরু করেছেন। ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে হুমকিও।
৪ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার আটপাড়ায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষকের নাম নুরুল আমিন তালুকদার। তিনি উপজেলার সীতারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
৪ ঘণ্টা আগেনরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর মাধবদী রেস্টহাউসের কেয়ারটেকার হাবিবুর রহমান শূন্য থেকে কোটিপতি বনে গেছেন। ভুয়া স্থায়ী ঠিকানা ও ভুয়া সনদে চাকরি নিয়ে দালালি আর অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটিপতি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
৪ ঘণ্টা আগেকাগজে-কলমে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছে, কিন্তু বাস্তবে নেই। অধিকাংশ মাদ্রাসার কোনো স্থাপনা নেই। অভিযোগ রয়েছে নামসর্বস্ব এসব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণার পর থেকে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায় দালালেরা মাদ্রাসাপ্রতি ১০ লাখ টাকা আদায় করছে।
৫ ঘণ্টা আগে