Ajker Patrika

কিশোরীকে নিয়ে পলায়ন, ১৮ দিন পর ফিরে প্রেমিক কারাগারে

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরীকে নিয়ে পলায়ন, ১৮ দিন পর ফিরে প্রেমিক কারাগারে

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ১৮ দিন পর ফিরে ধর্ষণ মামলায় রাসেল আহমদ (২৩) নামে এক তরুণকে (প্রেমিক) কারাগারে যেতে হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ওই যুগল এলাকায় ফিরে আসলে তাদের আটক করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় আজ শুক্রবার থানায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত রাসেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন (অপহরণ ও ধর্ষণ) আইনে একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে হাজির করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রাসেল আহমদ জগন্নাথপুর পৌরসভার হবিবনগর এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত রাসেল আহমদ কেশবপুর এলাকার ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার ১৮ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার তারা এলাকায় ফিরে আসেন। পরে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত রাসেলসহ কিশোরীকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত রাসেলের সঙ্গে ওই কিশোরীকে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। 

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খানম সাথী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে ওই ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মেয়েটি ওই ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। ১৮ দিন পর ফিরে আসায় স্থানীয়দের ভয়ে মেয়ের মা তাঁদের আমার বাড়িতে নিয়ে আসনে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ তাঁদের নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, মেয়েটি ওই ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পর মেয়ের মা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিল।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে মামলার বাদী কিশোরীর মা বলেন, ‘ছেলেটি আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া–আসার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ওই ছেলেকে এমন আচরণ করতে বারণ করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েকে অপহরণ করে। মেয়েকে ফিরে পাওয়ার পর জানতে পারি; রাসেল আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। তাই আমি মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে ভিকটিমকে (ওই স্কুলছাত্রী) চিকিৎসকের পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত