নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটের হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজারে ওরসকে কেন্দ্র করে নাচ-গান, মদ-গাঁজা সেবন, জুয়াসহ সমস্ত অসামাজিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে মাজারের খাদিম পরিবার, প্রশাসন, ছাত্র-জনতা, উলামা-মাশায়েখ ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ভিডিও বার্তায় মাজারের খাদেম সৈয়দ কাবুল আহমদ এই ঘোষণা দেন।
এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজের পর ‘ওরসের নামে নাচ-গান, মদ-গাঁজা সেবন, জুয়া, অশ্লীলতা, নারী নৃত্যসহ যাবতীয় অসামাজিক-অনৈতিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ’ বন্ধের দাবিতে মাজারের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়। ছাত্র জনতা, উলামা-মাশায়েখ ও সর্বস্তরের মুসলমানদের পক্ষে ‘অসামাজিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি সিলেট’র ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
ভিডিওতে খাদেম সৈয়দ কাবুল আহমদ বলেন, ‘ওরস উপলক্ষে আমরা খাদিম পরিবার, প্রশাসন, ছাত্র-জনতা, উলামা-মাশায়েখ ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষ স্থানীয় কাউন্সিলরের কার্যালয়ে বসে ছিলাম। সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে মাজারে ওরসের নামে নাচ-গান, মদ-গাঁজা সেবন, জুয়া, অশ্লীলতা, নারী নৃত্যসহ যাবতীয় অসামাজিক-অনৈতিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ, গান-বাজনা সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ওরসে (প্রতিবছর রবিউল আউয়াল মাসের ৪ থেকে ৬ তারিখ) এসব আর হবে না। দূরদূরান্ত থেকে যারা আসবেন, দয়া করে মাজারে ঢোল-তবলা কিংবা অন্য কোনো বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আসবেন না। যারা আসবেন তারা নামাজ পড়বেন। জিকির-আজগার, দোয়া-দরুদ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘মাজারে প্রতি বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ওরসের নামে যে গানবাজনার আয়োজন করা হয়, তা-ও এখন থেকে বন্ধ থাকবে। কেউ এমন আয়োজন করার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।’
আজ শনিবার রাত ৮টার দিকে মাজারের খাদেম সৈয়দ কাবুল আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো ধরনের চাপে পড়ে বা কারও ভয়ভীতিতে নয়। আমরা প্রতি বছরই ওরসের আগে মাইকিং করে এসব না করার জন্য অনুরোধ করতাম। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। এবার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি অশ্লীলতা, গান-বাজনার আড়ালে ইয়াবা-গাঁজার ব্যবসা ও সেবন, নাচ-নারীনৃত্য, অসামাজিক-অনৈতিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ কঠোর হাতে দমন করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আলেম-ওলামা, ছাত্র-জনতা, খাদেম পরিবার, এলাকাবাসী, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও স্থানীয় প্রশাসন সবাই মিলেই আলোচনার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন (নাদিম) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রথমে আমরা বৃহস্পতিবার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বৈঠকে বসি। তখন বিষয়টির মধ্যস্থতার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিকেলে আমার কার্যালয়ে সব পক্ষকে নিয়ে বসলে সবাই নীতিগত ভাবে মাজারে অসামাজিক-অনৈতিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শুক্রবার মানববন্ধন হলে বিষয়টি আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানোর প্রয়োজন মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘এরই প্রেক্ষিতে খাদেম ভিডিও বার্তায় সম্মিলিত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। আগে থেকেই মাজারের খাদেম পরিবার গান-বাজনা, নাচ, মাদক সেবনের মতো গর্হিত কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে ছিলেন। তবে মাজারের ওরস নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী আয়োজন করা হবে। ওরসে যারা ইসলামের রীতি অনুযায়ী ইবাদত-বন্দেগি করতে আসবেন তাদের আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। জিয়ারতে যে কেউই যেকোনো সময় আসতে পারবেন। এতে কোনো বাধা নেই।’
সিলেটের হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজারে ওরসকে কেন্দ্র করে নাচ-গান, মদ-গাঁজা সেবন, জুয়াসহ সমস্ত অসামাজিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে মাজারের খাদিম পরিবার, প্রশাসন, ছাত্র-জনতা, উলামা-মাশায়েখ ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ভিডিও বার্তায় মাজারের খাদেম সৈয়দ কাবুল আহমদ এই ঘোষণা দেন।
এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজের পর ‘ওরসের নামে নাচ-গান, মদ-গাঁজা সেবন, জুয়া, অশ্লীলতা, নারী নৃত্যসহ যাবতীয় অসামাজিক-অনৈতিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ’ বন্ধের দাবিতে মাজারের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়। ছাত্র জনতা, উলামা-মাশায়েখ ও সর্বস্তরের মুসলমানদের পক্ষে ‘অসামাজিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি সিলেট’র ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
ভিডিওতে খাদেম সৈয়দ কাবুল আহমদ বলেন, ‘ওরস উপলক্ষে আমরা খাদিম পরিবার, প্রশাসন, ছাত্র-জনতা, উলামা-মাশায়েখ ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষ স্থানীয় কাউন্সিলরের কার্যালয়ে বসে ছিলাম। সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে মাজারে ওরসের নামে নাচ-গান, মদ-গাঁজা সেবন, জুয়া, অশ্লীলতা, নারী নৃত্যসহ যাবতীয় অসামাজিক-অনৈতিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ, গান-বাজনা সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ওরসে (প্রতিবছর রবিউল আউয়াল মাসের ৪ থেকে ৬ তারিখ) এসব আর হবে না। দূরদূরান্ত থেকে যারা আসবেন, দয়া করে মাজারে ঢোল-তবলা কিংবা অন্য কোনো বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আসবেন না। যারা আসবেন তারা নামাজ পড়বেন। জিকির-আজগার, দোয়া-দরুদ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘মাজারে প্রতি বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ওরসের নামে যে গানবাজনার আয়োজন করা হয়, তা-ও এখন থেকে বন্ধ থাকবে। কেউ এমন আয়োজন করার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।’
আজ শনিবার রাত ৮টার দিকে মাজারের খাদেম সৈয়দ কাবুল আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো ধরনের চাপে পড়ে বা কারও ভয়ভীতিতে নয়। আমরা প্রতি বছরই ওরসের আগে মাইকিং করে এসব না করার জন্য অনুরোধ করতাম। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। এবার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি অশ্লীলতা, গান-বাজনার আড়ালে ইয়াবা-গাঁজার ব্যবসা ও সেবন, নাচ-নারীনৃত্য, অসামাজিক-অনৈতিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ কঠোর হাতে দমন করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আলেম-ওলামা, ছাত্র-জনতা, খাদেম পরিবার, এলাকাবাসী, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও স্থানীয় প্রশাসন সবাই মিলেই আলোচনার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন (নাদিম) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রথমে আমরা বৃহস্পতিবার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বৈঠকে বসি। তখন বিষয়টির মধ্যস্থতার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিকেলে আমার কার্যালয়ে সব পক্ষকে নিয়ে বসলে সবাই নীতিগত ভাবে মাজারে অসামাজিক-অনৈতিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। শুক্রবার মানববন্ধন হলে বিষয়টি আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানোর প্রয়োজন মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘এরই প্রেক্ষিতে খাদেম ভিডিও বার্তায় সম্মিলিত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। আগে থেকেই মাজারের খাদেম পরিবার গান-বাজনা, নাচ, মাদক সেবনের মতো গর্হিত কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে ছিলেন। তবে মাজারের ওরস নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী আয়োজন করা হবে। ওরসে যারা ইসলামের রীতি অনুযায়ী ইবাদত-বন্দেগি করতে আসবেন তাদের আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। জিয়ারতে যে কেউই যেকোনো সময় আসতে পারবেন। এতে কোনো বাধা নেই।’
নগরের হালিশহর এইচ-ব্লক জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি প্রফেসর নুরুল আবছার গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দেশে তাঁর এক বক্তব্যে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি রমজান মাস ঘিরে এলাকায় পুলিশের টহল ও নজরদারি চেয়ে নিকটবর্তী থানায় একটি আবেদন করেছিলেন
২০ মিনিট আগেনীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীতে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ শিকারের অভিযোগ উঠেছে। ব্যাটারিচালিত মেশিনের সাহায্যে রাতে অসাধু ব্যক্তিরা নদীর বিভিন্ন অংশে মাছ শিকার করছেন। এতে মাছের পোনা, ডিমসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীও মারা যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে সরকারি প্রকল্পে বালু ভরাটের নামে নদীতে অবৈধভাবে খননযন্ত্র বসিয়ে বালু লুটের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে। তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে খননযন্ত্রে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে অবাধে বালু লুট করছেন।
১ ঘণ্টা আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে ২০০৮ সালে বিভিন্ন খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল ২১টি আয়রন সেতু। এই সেতুগুলো নির্মাণে ঠিকাদারির কাজ করেছিলেন হলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মৃধা। গত আট মাসে এর ১০টি সেতু ভেঙে পড়েছে। এসব সেতু ভেঙে
১ ঘণ্টা আগে