সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১০–১৫ মিনিট স্থায়ী শিলাবৃষ্টিতে ১০০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ উপজেলার ৪০ জন রয়েছেন। এছাড়া রাস্তায় থাকা অনেক গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া শিলাবৃষ্টিতে এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ সময় বড় আকারের শিলার আঘাতে ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়ে যায়। এর মধ্যে শুধু গোয়াইনঘাট উপজেলার ৫০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকি ১২ উপজেলায় আরও ৫০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ২ হাজার ৬৭৯ হেক্টর ফসলি জমিও আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
গতকাল রাতে হঠাৎ দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষ। বাইরে থাকা লোকজন এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন। আর বাসার লোকেরাও এক সাথে জড়ো হয়ে পড়েন।
এদিকে টিনের ঘরের মানুষদের টিনের চালে পড়া ভারী শিলার আঘাতে তাঁরাও ঘরের এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন। যাদের ঘরের টিন দুর্বল ছিল, তাদের ঘরে টিন ফুটো হয়ে যায়। আর কারও কারও ঘরের টিন অন্যস্থানে উড়িয়ে নেয় প্রচণ্ড বাতাসও।
বড় আকারের শিলার আঘাতে সহস্রাধিক ঘরবাড়ির টিনের চালা ভেঙে গেছে। একেকটি শিলার ওজন আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রামের মতো। এই শিলাবৃষ্টিতে ২ হাজার ৬৭৯ হেক্টর ফসলি জমির আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রাস্তায় থাকা অনেক গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে।
বাইরে থাকা লোকজনের মধ্যে শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। শিলা পড়ে তাদের কারও কারও মাথা ফেটেছে আবার কারও কপাল ফেটেছে। তারা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ৪০ জনের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জে। সেখান থেকে গুরুতর আহত তিনজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এদিকে আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পর ঘরের চালা হিসেবে ব্যবহারের টিনের চাহিদা বেড়েছে। টিনের ডিলারগণ যাতে নায্য দাম রাখেন সে জন্য সালুটিকর বাজারে মনিটরিং করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম। এ সময় বাজারের টিন ব্যবসায়ীদের মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
সাগর আহমদ নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, ‘এমন শিলাবৃষ্টি আমার জীবনেও দেখি নাই। পুরো বাসাই কাঁপিয়ে দিয়েছে। বৃষ্টির কিছুক্ষণ পূর্বে বাসায় ফিরে আসায় অনেকটা জানে বেঁচে গেছি। আল্লাহ এমন গজব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।’
গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন জানান, গত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪০ জন চিকিৎসা নিতে আসেন। যারা গত রাতের শিলাবৃষ্টিতে আহত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকিদের অবস্থা মোটামুটি ভালো।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, গোয়াইনঘাট উপজেলায় ১৯ দশমিক ৫ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নে। যেখানের সালুটিকর বাজারসহ আনুমানিক ৫০০ ঘরবাড়ির বিশেষ করে টিনের চালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত জানান, শিলাবৃষ্টিতে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। ৪০ জনের মতো গোলাপগঞ্জের আর বাকি উপজেলাগুলোতে আছেন এ রকম ৭–৮ জন করে।
সিলেটের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, গতকাল রোববার রাতে সিলেটে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা জানান, সিলেটের ২ হাজার ৬৭৯ হেক্টর ফসলি জমির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। পুরো ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা যাচ্ছে না।c
সিলেটে শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১০–১৫ মিনিট স্থায়ী শিলাবৃষ্টিতে ১০০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ উপজেলার ৪০ জন রয়েছেন। এছাড়া রাস্তায় থাকা অনেক গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া শিলাবৃষ্টিতে এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ সময় বড় আকারের শিলার আঘাতে ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়ে যায়। এর মধ্যে শুধু গোয়াইনঘাট উপজেলার ৫০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকি ১২ উপজেলায় আরও ৫০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ২ হাজার ৬৭৯ হেক্টর ফসলি জমিও আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
গতকাল রাতে হঠাৎ দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষ। বাইরে থাকা লোকজন এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন। আর বাসার লোকেরাও এক সাথে জড়ো হয়ে পড়েন।
এদিকে টিনের ঘরের মানুষদের টিনের চালে পড়া ভারী শিলার আঘাতে তাঁরাও ঘরের এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন। যাদের ঘরের টিন দুর্বল ছিল, তাদের ঘরে টিন ফুটো হয়ে যায়। আর কারও কারও ঘরের টিন অন্যস্থানে উড়িয়ে নেয় প্রচণ্ড বাতাসও।
বড় আকারের শিলার আঘাতে সহস্রাধিক ঘরবাড়ির টিনের চালা ভেঙে গেছে। একেকটি শিলার ওজন আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রামের মতো। এই শিলাবৃষ্টিতে ২ হাজার ৬৭৯ হেক্টর ফসলি জমির আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রাস্তায় থাকা অনেক গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে।
বাইরে থাকা লোকজনের মধ্যে শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। শিলা পড়ে তাদের কারও কারও মাথা ফেটেছে আবার কারও কপাল ফেটেছে। তারা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ৪০ জনের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জে। সেখান থেকে গুরুতর আহত তিনজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এদিকে আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পর ঘরের চালা হিসেবে ব্যবহারের টিনের চাহিদা বেড়েছে। টিনের ডিলারগণ যাতে নায্য দাম রাখেন সে জন্য সালুটিকর বাজারে মনিটরিং করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম। এ সময় বাজারের টিন ব্যবসায়ীদের মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
সাগর আহমদ নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, ‘এমন শিলাবৃষ্টি আমার জীবনেও দেখি নাই। পুরো বাসাই কাঁপিয়ে দিয়েছে। বৃষ্টির কিছুক্ষণ পূর্বে বাসায় ফিরে আসায় অনেকটা জানে বেঁচে গেছি। আল্লাহ এমন গজব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।’
গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন জানান, গত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪০ জন চিকিৎসা নিতে আসেন। যারা গত রাতের শিলাবৃষ্টিতে আহত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকিদের অবস্থা মোটামুটি ভালো।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, গোয়াইনঘাট উপজেলায় ১৯ দশমিক ৫ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার নন্দিরগাওঁ ইউনিয়নে। যেখানের সালুটিকর বাজারসহ আনুমানিক ৫০০ ঘরবাড়ির বিশেষ করে টিনের চালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত জানান, শিলাবৃষ্টিতে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। ৪০ জনের মতো গোলাপগঞ্জের আর বাকি উপজেলাগুলোতে আছেন এ রকম ৭–৮ জন করে।
সিলেটের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন জানান, গতকাল রোববার রাতে সিলেটে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা জানান, সিলেটের ২ হাজার ৬৭৯ হেক্টর ফসলি জমির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। পুরো ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা যাচ্ছে না।c
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
২ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
২ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৩ ঘণ্টা আগে