Ajker Patrika

হোটেল সেক্টরে শ্রমিকদের ৩০ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
Thumbnail image
সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশে জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মী। ছবি: আজকের পত্রিকা

হোটেল সেক্টরে ৩০ হাজার টাকা মজুরি ঘোষণার দাবিতে দেশব্যাপী বাংলাদেশ হোটেল-রেস্টুরেন্ট-সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বানে সিলেটেও সমাবেশ পালন করে জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে জেলা সভাপতি মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুনু মিয়ার (সাগর) পরিচালনায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৩০ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে অনেকদিন ধরে হোটেল শ্রমিকেরা আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে দলীয় বিবেচনায় শ্রমিকদের দাবির বিপরীতে মালিকদের স্বার্থরক্ষায় নামকাওয়াস্তে একটি মজুরি ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রতি ৫ বছর অন্তর বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন মজুরি ঘোষণার কথা থাকলেও সর্বশেষ ২০১৭ সালে ঘোষণার পর ৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও নতুন মজুরি ঘোষণার কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

বক্তারা আরও বলেন, মালিকদের সব ধরনের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত বানচাল করে যৌক্তিক মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আজ মঙ্গলবার মজুরি বোর্ডে বেলা ১১টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি বাজারে শ্রমিকেরা যা বেতন পায় তা দিয়ে পরিবার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় মজুরি বোর্ডে যৌক্তিক মজুরি ঘোষণা না হলে ধর্মঘটের পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য প্রত্যেক শ্রমিককে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন বেগবান করার আহ্বান জানান বক্তারা।

নেতারা গতকাল চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় এমভি আল-বাখেরা জাহাজের ৭ জন শ্রমিককে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যায় তীব্র ক্ষোভ ও শোক প্রকাশ করেন। হোটেল শ্রমিকেরা কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। শুধু নৌ-শ্রমিকেরা নয়, হোটেল সেক্টরের শ্রমিকেরা কর্মক্ষেত্রে অনিরাপদ। বিভিন্ন সময় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে, আগুন লেগে বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হন হোটেল শ্রমিকেরা। জীবনের নিরাপত্তা ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছে সংগঠনটি।

সমাবেশ থেকে এমভি জাহাজের শ্রমিক হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের আন্দোলনে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেন এবং নিহত প্রত্যেক পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান।

বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, শাহপরান থানা কমিটির সভাপতি খোকন আহমদ, সিলেট জেলা করাতকল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন রাজু, চণ্ডীপুল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম, আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রাশেদ আহমেদ ভূঁইয়া, বন্দরবাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন, বাবনা আঞ্চলিক কমিটির সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, জিন্দাবাজার আঞ্চলিক কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক মো. সামির।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত