নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ঘটনায় করা মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মাদ নুরুল আমীন বিপ্লব এই রায় ঘোষণা করেন।
খালাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মুমিনুর রহমান টিটু। তিনি বলেন, ‘আদালত জেএমবির তিন সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি এলাকার জহুরুল হক ওরফে জসিম (২৯) ও তাঁর স্ত্রী মোছা আর্জিনা ওরফে রাজিয়া সুলতানা (২১) এবং মো. হাসানকে (২৮) খালাস দিয়েছেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ১৪ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক। মামলায় ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জন সাক্ষ্য দেন। দক্ষিণ সুরমায় আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় এই তিন জেএমবির সদস্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অন্য মামলায় চট্টগ্রামের কারাগারে ছিলেন। তাই আতিয়া মহলের ঘটনার সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্তরা পাওয়া যায়নি বলে খালাস দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা চলছে বলে জানান পিপি।
২০১৭ সালের ২৪ মার্চ ভোরে আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর চার দিন ওই বাড়ি ঘিরে চলে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দলের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’। ২৮ মার্চ অভিযান শেষে ওই বাড়ির ভেতরে চারজনের লাশ পাওয়া যায়।
অভিযান চলাকালে আতিয়া মহল থেকে একটু দূরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের তৎকালীন প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও দুই পুলিশ সদস্যসহ মোট সাতজন নিহত হন।
ওই ঘটনার সময় র্যাব জানায়, অনেক বিস্ফোরক থাকায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে র্যাব বেশ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে। তাই একটু বেশি সময় লাগে। পরে তারা পুলিশকে ভবনটি বুঝিয়ে দেয়। ওই অভিযানে এক নারী ও তিন পুরুষ নিহত হন। ময়নাতদন্ত শেষে চারজনকে সিলেটের হযরত মানিকপীর গোরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।
আতিয়া মহলের ঘটনায় এসআই সুহেল আহমদ সিলেট নগর পুলিশের মোগলাবাজার থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। কমান্ডো অভিযানের সময় আত্মাঘাতী বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘নব্য জেএমবির’ তিন সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়। এতে জহুরুল হক, তাঁর স্ত্রী আর্জিনা ও হাসানকে অভিযুক্ত করা হয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ২০১৭ সালে পৃথক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে জহুরুল ও তাঁর স্ত্রীকে এবং কুমিল্লার চান্দিনা থেকে হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তাঁদেরকে আতিয়া মহলের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ঘটনায় করা মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মাদ নুরুল আমীন বিপ্লব এই রায় ঘোষণা করেন।
খালাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মুমিনুর রহমান টিটু। তিনি বলেন, ‘আদালত জেএমবির তিন সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি এলাকার জহুরুল হক ওরফে জসিম (২৯) ও তাঁর স্ত্রী মোছা আর্জিনা ওরফে রাজিয়া সুলতানা (২১) এবং মো. হাসানকে (২৮) খালাস দিয়েছেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ১৪ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক। মামলায় ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জন সাক্ষ্য দেন। দক্ষিণ সুরমায় আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় এই তিন জেএমবির সদস্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অন্য মামলায় চট্টগ্রামের কারাগারে ছিলেন। তাই আতিয়া মহলের ঘটনার সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্তরা পাওয়া যায়নি বলে খালাস দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা চলছে বলে জানান পিপি।
২০১৭ সালের ২৪ মার্চ ভোরে আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর চার দিন ওই বাড়ি ঘিরে চলে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো দলের ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’। ২৮ মার্চ অভিযান শেষে ওই বাড়ির ভেতরে চারজনের লাশ পাওয়া যায়।
অভিযান চলাকালে আতিয়া মহল থেকে একটু দূরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের তৎকালীন প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও দুই পুলিশ সদস্যসহ মোট সাতজন নিহত হন।
ওই ঘটনার সময় র্যাব জানায়, অনেক বিস্ফোরক থাকায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। নিরাপত্তার স্বার্থে র্যাব বেশ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে। তাই একটু বেশি সময় লাগে। পরে তারা পুলিশকে ভবনটি বুঝিয়ে দেয়। ওই অভিযানে এক নারী ও তিন পুরুষ নিহত হন। ময়নাতদন্ত শেষে চারজনকে সিলেটের হযরত মানিকপীর গোরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।
আতিয়া মহলের ঘটনায় এসআই সুহেল আহমদ সিলেট নগর পুলিশের মোগলাবাজার থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। কমান্ডো অভিযানের সময় আত্মাঘাতী বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘নব্য জেএমবির’ তিন সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়। এতে জহুরুল হক, তাঁর স্ত্রী আর্জিনা ও হাসানকে অভিযুক্ত করা হয়।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ২০১৭ সালে পৃথক জঙ্গিবিরোধী অভিযানে জহুরুল ও তাঁর স্ত্রীকে এবং কুমিল্লার চান্দিনা থেকে হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তাঁদেরকে আতিয়া মহলের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে রেলের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরির সময় এক চোরকে হাতেনাতে আটক করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আখাউড়া রেলওয়ে থানার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম।
৩৯ মিনিট আগেনওগাঁর পোরশায় নিজ বাড়ি থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের শীতলী ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে হাই বাবু (৪৭) এবং তাঁর স্ত্রী মোমেনা বেগম (৩৫)।
১ ঘণ্টা আগেউত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে কমিটি গঠন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। আহত, নিহত, নিখোঁজ শিক্ষার্থী ও অন্যদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে নাম-ঠিকানাসহ তালিকা তৈরি করবে ছয় সদস্যের এই কমিটি।
১ ঘণ্টা আগেআফসানার দেবর হাসিবুল হাসান বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে আমরা আমাদের ভাবি ও তার সন্তান ওহীকে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওহিকে পাওয়া যায় স্কুলের একটি কক্ষে। আল্লাহর রহমতে ওহি অক্ষত ও ভালো আছে। কিন্তু তার মা আফসানা প্রিয়াকে কোথাও পাওয়া যায়নি।’
১ ঘণ্টা আগে