Ajker Patrika

ভ্রমণপিয়াসীদের জন্য ‘সিলেট পর্যটন ম্যাপ’ করল প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ২৩: ৩১
ভ্রমণপিয়াসীদের জন্য ‘সিলেট পর্যটন ম্যাপ’ করল প্রশাসন

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেট। এ বিভাগে রয়েছে অনেক নান্দনিক পর্যটন স্পট। এসব পর্যটন এলাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার ভ্রমণপিয়াসী ছুটে আসেন। এসব পর্যটকের কথা চিন্তা করে সিলেটের প্রশাসন ‘সিলেট পর্যটন ম্যাপ’ তৈরি করেছে। এতে পর্যটকেরা সুবিধা পাবেন। এ ম্যাপের মাধ্যমে ভ্রমণের পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন তাঁরা। পর্যটকদের সুবিধার্থে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটক-সংশ্লিষ্টরা। 

 ‘সিলেট পর্যটন ম্যাপ’-এ উঠে এসেছে সিলেটের সকল দর্শনীয় স্থান ও স্থানগুলোর দূরত্বের চিত্র। এতে করে দর্শনার্থীরা খুব সহজে জেলার উল্লেখযোগ্য স্থানসমূহ সম্পর্কে জানতে পারবেন। সুরমা নদীর তীরবর্তী নগরের সিলেট সার্কিট হাউস থেকে সকল দর্শনীয় স্থানের দূরত্ব জেনে এ ম্যাপ দিয়ে দেশ-বিদেশের সকল দর্শনার্থীকে ‘ট্যুর প্ল্যান’ করতে সাহায্য করবে। তা ছাড়া ম্যাপে প্রদর্শিত ‘কিউ আর কোড’ স্ক্যান করে ভ্রমণ উৎসাহীরা পেয়ে যাবেন জেলার উল্লেখযোগ্য হোটেল, রেন্ট-এ-কার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস ইত্যাদি তথ্য। বিশেষ করে দর্শনার্থীরা ভ্রমণসংক্রান্ত অন্য সব সুযোগ-সুবিধার তথ্য প্রাপ্তি এবং অভিযোগ জানাতে পারবেন জেলা প্রশাসনকে। 

এ লক্ষ্যে একটি হটলাইন নম্বর (০১৯০৪৬৬৭৯৫৬) চালু করা হয়েছে। এসব তথ্যসংবলিত ব্যানার ও প্রচারকাজ পর্যটন স্পটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টাঙানো হবে। বিশেষ করে বাস টার্মিনাল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন এবং জনসমাগম হয় এমন স্থানে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে। 

সিলেট হোটেল অ্যান্ড গেস্টহাউস অনার্স গ্রুপের সভাপতি ও সাবেক চেম্বার সভাপতি এ টি এম শোয়েব বলেন, ‘সিলেটের পর্যটন নিয়ে জেলা প্রশাসক মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিনি সিলেটের পর্যটন এলাকাগুলোর সমীক্ষা করেছেন। এ সমীক্ষার মাধ্যমে পর্যটন স্পটগুলোর সুবিধা-অসুবিধার তথ্য নিয়ে এসেছেন। বেশ কিছু অসুবিধা তিনি চিহ্নিত করেছেন। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুদান চাইবেন। অনুদান পাওয়ার পর এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করবেন। এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিরাট মাইলফলক সৃষ্টি হবে।’ 

পর্যটন নিয়ে এমন মহাপরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে এ টি এম শোয়েব আরও বলেন, ‘আমরা পর্যটনশিল্পের বিকাশে ডিসির সাহেবের মহাপরিকল্পনাকে স্বাগত জানাই। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আমরা যারা পর্যটন নিয়ে কাজ করি, প্রত্যেকেই লাভবান হব। এমনকি পর্যটকদের আর্থিক খরচ হ্রাস হবে।’ 

এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পর্যটকদের আর্থিক খরচ হ্রাস হবেএ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের সুবিধার্থে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ‘সিলেট পর্যটন ম্যাপ’ পর্যটন স্পটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টাঙানো হবে। যাতে পর্যটকেরা দ্রুত তাঁদের ‘ট্যুর প্ল্যান’ করতে পারেন। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা এক সমীক্ষার মাধ্যমে কিছু অসুবিধার কারণ চিহ্নিত করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুদান পেলে কাজ শুরু করব।’ 

ডিসি আরও বলেন, ‘আমাদের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সিলেটের পর্যটনশিল্প আরও এগিয়ে যাবে। আমরা পর্যটকদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনার জন্য ২৪ ঘণ্টার জন্য হটলাইন নম্বরও চালু করেছি। আমাদের দায়িত্বশীলেরা পর্যটকদের সহযোগিতায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিএসএফের দুঃখপ্রকাশ, বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠক

সিলেট প্রতিনিধি
বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। ছবি: সংগৃহীত
বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের অনুপ্রবেশ ও ফসল নষ্টের ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। আজ সোমবার সকালে জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর সীমান্ত এলাকায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের ভেতরে অনুপ্রবেশ ও কৃষকের ফসল নষ্ট করার বিষয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছেন জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার।

বিজিবি জানায়, গতকাল রোববার সকালে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর সীমান্ত এলাকায় ১৭০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পিন্নানগর ক্যাম্পের একটি টহল দল অবৈধভাবে সীমান্ত পিলার ১৩৪৫ থেকে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সুরমা নদী পার হয়ে অনুপ্রবেশ করে। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয় জনগণের বাধার মুখে বিএসএফ টহল দল দ্রুত ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। বিএসএফ টহল দল স্থানীয় বাসিন্দাদের ফসলের বেড়া ও ফসল বিনষ্ট করে। বিজিবি টহল দল তৎক্ষণাৎ ঘটনাটি বিওপি কমান্ডার ও অধিনায়ককে অবগত করে। পরে বিজিবি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফ পিন্নানগর ক্যাম্প কমান্ডারকে আহ্বান জানায়। পরে আজ বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত রসুলপুর সীমান্ত এলাকায় সেই ঘটনাস্থলে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবি বিএসএফকে ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে কৃষকের ফসলের বেড়া ও ফসল নষ্ট করার বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। প্রতিউত্তরে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ ও কৃষকের ফসল নষ্ট করার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জানানো হবে বলে জানান।

বিজিবি জানায়, সীমান্তে চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রতারণার মামলায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের ২ কর্মকর্তা কারাগারে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শারমিন জাহান এই আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন বিজিএফসিএলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আবছার ও জিএম (প্রশাসন) মো. নাসিবুজ্জামান তালুকদার।

মামলার বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি বিজিএফসিএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ টি এম শাহ আলম চাকরি চলাকালে তাঁর শিক্ষা সনদ ও এনআইডি থেকে জন্ম সাল ১৯৬১-এর পরিবর্তে ১৯৬২ সাল দেখিয়ে বয়স জালিয়াতি করেন। বয়স প্রতারণার মাধ্যমে তিনি ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর অবসরের (পিআরএল) সময় পার হওয়ার পরও অতিরিক্ত আরও এক বছর দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি বিজিএফসিএল থেকে অনৈতিকভাবে ৭৪ লাখ ৪ হাজার টাকার বেশি বেতন-ভাতা হিসেবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

এ টি এম শাহ আলমের প্রতারণা সামনে এলে বিজিএফসিএল তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি সনদ জালিয়াতির প্রমাণ পেয়ে প্রতিবেদন জমা দিলে বিজিএফসিএলের ৭১৭তম বোর্ড সভায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বিবরণীতে বলা হয়, এই প্রতারণায় সহযোগিতা করার অভিযোগে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আবছার ও জিএম (প্রশাসন) মো. নাসিবুজ্জামান তালুকদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বিজিএফসিএলের তৎকালীন উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবুল বাসার মিজি বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর মামলাটি করেন। মামলা করার পরপরই প্রধান আসামি এ টি এম শাহ আলম দেশ ত্যাগ করেন। অপর দুই আসামি নুরুল আবছার ও মো. নাসিবুজ্জামান তালুকদার উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। আজ দুপুরে নিম্ন আদালতে হাজির হলে আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহবুবুর রহমান জানান, আদালতে শুনানি শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য অপরাধের ধারা থাকায় দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় যুবক কারাগারে

রংপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার আশিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার আশিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের পীরগঞ্জে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) তিন সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আশিকুর রহমান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর শালপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আশিকুর রহমান ওই এলাকার আজাদুল ইসলামের ছেলে। আজ সোমবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১২ মার্চ পীরগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুর রহিম, রতন মিয়া ও আশিকুর রহমান স্থানীয় টিটিসিতে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে যান। অধ্যক্ষকে না পেয়ে ফেরার সময় প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত বিকল একটি মাইক্রোবাস ঠেলে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ভিডিও ধারণ করছিলেন তাঁরা।

এ সময় বাঁধন, আব্দুল মান্নান, শাহজাহান ও সোহাগের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন যুবক ওই সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালান এবং তাঁদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এতে তিন সাংবাদিকই গুরুতর আহত হন। পরে আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় সাংবাদিক রতন মিয়া বাদী হয়ে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তে পুলিশ ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামি আশিকুর রহমানকে শনাক্ত শেষে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ ও ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে আশিকুর রহমানের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছাত্রলীগ নেতা বিজয় হত্যা মামলা: সাবেক এমপিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্না। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্না। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্না, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সিরাজগঞ্জ সদর আমলি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জুয়েল রানা চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার তদন্ত শেষে সিআইডি ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন জামিনে ও ১২ জন পলাতক রয়েছেন। আগামী ১৪ ডিসেম্বর চার্জশিট গ্রহণের বিষয়ে শুনানি হতে পারে।

নিহত এনামুল হক বিজয় ছিলেন কামারখন্দ উপজেলার হাজী করোপ আলী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলার চালা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবিবে মিল্লাত মুন্না, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবিব খোকা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব আহমেদ জিহাদ, যুবলীগ নেতা এমদাদুল হক এমদাদ, ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান বিজয়, আল-আমিন, জাহিদুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন, সোহাগ, পারভেজ রেজা, তারিকুজ্জামান লিয়ন, মামুন, রাশিদুল হাসান রাশেদ, জুবায়ের হোসেন ও আল-আমিন বাবু।

এর আগে ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল। তখন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবিব খোকা ও যুবলীগ নেতা এমদাদুল হক এমদাদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে মামলার বাদী ওই প্রতিবেদন নিয়ে নারাজি আবেদন করলে আদালত ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর মামলাটি পুনঃ তদন্তের নির্দেশ দেন সিআইডিকে। তদন্ত শেষে সংস্থাটি সম্প্রতি আদালতে নতুন চার্জশিট জমা দেয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০ সালের ১৬ জুন বিকেলে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের শোকসভায় যোগ দিতে বাড়ি থেকে বের হন বিজয়। শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব আহমেদ জিহাদ, ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন, আশিকুর রহমান বিজয়সহ কয়েকজন তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত