নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

‘এক দল খেয়ে গিয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে’—এই বক্তব্য নিজেদের গায়ে মেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই অনভিপ্রেত হয়েছে। কোনো দলকে টার্গেট করে বা কোনো দলের পক্ষে আমরা কখনো কথা বলি না। আমরা কোরআনের পক্ষে কথা বলি, ইসলামের পক্ষে কথা বলি।’
গতকাল শনিবার রাতে সিলেটের এমসি কলেজ মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের সমাপনী দিনে আলোচনায় নিজেকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে মিজানুর রহমান আজহারী এসব কথা বলেন। আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেটের উদ্যোগে এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব কনটেক্সটে নিয়ে এক জায়গার মাথায় আরেক জায়গার লেজ জুড়ে দেন, তাঁদেরও স্বাগত।’
আজহারী বলেন, ‘গত সপ্তাহে খুলনা বিভাগের প্রোগ্রাম ছিল যশোরের আদ্বদীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে। তো যশোরের প্রোগ্রামের এক ভিডিওর পেছনে আমাদের কিছু দ্বীনি ভাই ছয় বছর আগের এক অডিও ব্যাকগ্রাউন্ডে জুড়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের প্রতিও আমাদের কোনো রাগ নেই, ক্ষোভ নেই। তাঁরা হয়তো দ্বীনি তাগাদা থেকেই এটা করেছেন। কিন্তু তাঁরা হয়তো বুঝতে পারেননি যে রিসেন্ট আলোচনার ভিডিওর পেছনে ছয় বছর আগের অডিও জুড়ে দেওয়া, এটাকে বাংলায় বলে প্রতারণা, ধোঁকাবাজি। বিশ্বনবী (স.) বলেছেন, “যে আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।” তো বিশ্বনবীর এই হাদিস তাঁরা মনে রাখেন না। এ জন্য বিশ্বনবীর প্রতি শুধু ভালোবাসা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না, যদি আপনি বিশ্বনবীর আদর্শ গ্রহণ না করেন।’
বিএনপি নেতাদের ইঙ্গিত করে মাওলানা আজহারী বলেন, ‘আমার গত সপ্তাহের যশোরের আলোচনার একটা লাইনকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক রাজনীতিবিদ বন্ধু অনেক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। ওই কথাকে নিজেদের গায়ে টেনে, নিজেদের গায়ে মেখে তাঁরা ক্ষুব্ধও হয়েছেন। প্রিয় ভাইয়েরা, আমি বলেছিলাম, “এক দল খেয়ে গিয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে।” এখানে কি আমি কোনো দলের নাম বলেছি? বাংলাদেশে ৪৮টা প্রায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। কোনো দলের নাম আমি বলিনি। কথাটাকে আমি জেনারেল রেখেছি। দায়ীদের বৈশিষ্ট্যই এটা। দায়ীরা জেনারেল কথাই বলে, যার যে মেসেজ নেওয়ার, তারা সেখান থেকে নিয়ে নেয়। তো কোনো দল এটা নিয়ে কোনো কথা বলল না। আপনারা এটাকে নিজেদের গায়ে যে মাখালেন, এটা ঠিক হয়নি। এটা খুবই অনভিপ্রেত হয়েছে। কোনো দলকে টার্গেট করে বা কোনো দলের পক্ষে আমরা কখনো কথা বলি না। আমরা কোরআনের পক্ষে কথা বলি, ইসলামের পক্ষে কথা বলি।’

কয়েক লাখ জনতার উপস্থিতিতে সিলেট এমসি কলেজ মাঠে শেষ হয়েছে আঞ্জুমানের তিন দিনব্যাপী ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। শনিবার শেষ দিনে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসির শুনতে দুপুর থেকে এমসি মাঠমুখী শুরু হয় জনস্রোত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতি। বিকেলের আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় এমসি কলেজ মাঠ। সন্ধ্যার পরপর জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরে আশপাশের এলাকায়। এই মাঠে মাহফিলে এত লোক আগে দেখেনি কেউ। মাঠ ও মাঠের বাইরে আটটি প্রজেক্টর স্থাপন করা হয়।
মাহফিলের শেষ দিনের পৃথক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেটের সভাপতি প্রফেসর মাওলানা সৈয়দ একরামুল হক ও আল্লামা ইসহাক আল মাদানী।
ড. মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও শেষ দিনে তাফসির পেশ করেন আল্লামা ইসহাক আল মাদানী, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মুফতি আমীর হামজা, শায়খ হাফিজ মাওলানা আবু সাঈদ, অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, শায়েখ আজমল মসরুর, মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান জালালাবাদী ও মাওলানা হাসানুল বান্না বিন শরিফ আব্দুল কাদির।
ড. আজহারী আরও বলেন, ‘চব্বিশের রক্তাক্ত আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে আমাদের তরুণ ছাত্র ও যুব সমাজ। এই তরুণদের হাতেই নিরাপদ আমাদের বাংলাদেশ, নিরাপদ লাল-সবুজের পতাকা। তরুণ প্রজন্মকে কোরআন-হাদিসের আলোয় আলোকিত করতে হবে। তাহলে দেশ-জাতি সমাজ উপকৃত হবে। আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেট অঞ্চলের জন্য একটি নেয়ামত। এই সংগঠনটির সঙ্গে শহীদ আল্লামা সাঈদী (র.)-এর স্মৃতি জড়িত রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ৩৫ বছর ধরে তিনি এখানে তাফসির করেছেন। সংগঠনটি শুধু দ্বীনের দাওয়াতের কাজ করে না, সামাজিক অঙ্গনে বিশাল ভূমিকা রেখে আসছে। মাহফিলে তিনি আল্লামা ফুলতলী (র.), আল্লামা গহরপুরী (র.), শায়খে কৌড়িয়া (র.)-সহ সিলেটের প্রবীণ আলেমদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন ইউকে অ্যান্ড ইউরোপের সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল মতিন চৌধুরী, লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার ব্যারিস্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ ও টিভি আলোচক ড. ফয়জুল হক।
সকালে মহিলা মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান ও হাফেজ আনওয়ার হোসাইন খান। আলোচনা শেষে নারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শায়েখ শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ। সঞ্চালনা করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
মাহফিলের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার আলোচনা করেন শায়েখ শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী, আল্লামা সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী, শায়েখ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী, হাফিজ মিফতাহুদ্দীন, কারি মাওলানা মতিউর রহমান ও মাওলানা সাদিক সিকান্দর।
প্রথম দিন বৃহস্পতিবার তাফসির পেশ করেন মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমীন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা কমর উদ্দিন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা আব্দুল হাই জিহাদী, শায়েখ আব্দুল হক, ড. মাওলানা এ এইচ এম সোলাইমান ও মাওলানা মাশুক আহমদ।

‘এক দল খেয়ে গিয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে’—এই বক্তব্য নিজেদের গায়ে মেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই অনভিপ্রেত হয়েছে। কোনো দলকে টার্গেট করে বা কোনো দলের পক্ষে আমরা কখনো কথা বলি না। আমরা কোরআনের পক্ষে কথা বলি, ইসলামের পক্ষে কথা বলি।’
গতকাল শনিবার রাতে সিলেটের এমসি কলেজ মাঠে তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের সমাপনী দিনে আলোচনায় নিজেকে নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে মিজানুর রহমান আজহারী এসব কথা বলেন। আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেটের উদ্যোগে এই মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব কনটেক্সটে নিয়ে এক জায়গার মাথায় আরেক জায়গার লেজ জুড়ে দেন, তাঁদেরও স্বাগত।’
আজহারী বলেন, ‘গত সপ্তাহে খুলনা বিভাগের প্রোগ্রাম ছিল যশোরের আদ্বদীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে। তো যশোরের প্রোগ্রামের এক ভিডিওর পেছনে আমাদের কিছু দ্বীনি ভাই ছয় বছর আগের এক অডিও ব্যাকগ্রাউন্ডে জুড়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের প্রতিও আমাদের কোনো রাগ নেই, ক্ষোভ নেই। তাঁরা হয়তো দ্বীনি তাগাদা থেকেই এটা করেছেন। কিন্তু তাঁরা হয়তো বুঝতে পারেননি যে রিসেন্ট আলোচনার ভিডিওর পেছনে ছয় বছর আগের অডিও জুড়ে দেওয়া, এটাকে বাংলায় বলে প্রতারণা, ধোঁকাবাজি। বিশ্বনবী (স.) বলেছেন, “যে আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।” তো বিশ্বনবীর এই হাদিস তাঁরা মনে রাখেন না। এ জন্য বিশ্বনবীর প্রতি শুধু ভালোবাসা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না, যদি আপনি বিশ্বনবীর আদর্শ গ্রহণ না করেন।’
বিএনপি নেতাদের ইঙ্গিত করে মাওলানা আজহারী বলেন, ‘আমার গত সপ্তাহের যশোরের আলোচনার একটা লাইনকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক রাজনীতিবিদ বন্ধু অনেক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। ওই কথাকে নিজেদের গায়ে টেনে, নিজেদের গায়ে মেখে তাঁরা ক্ষুব্ধও হয়েছেন। প্রিয় ভাইয়েরা, আমি বলেছিলাম, “এক দল খেয়ে গিয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে।” এখানে কি আমি কোনো দলের নাম বলেছি? বাংলাদেশে ৪৮টা প্রায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। কোনো দলের নাম আমি বলিনি। কথাটাকে আমি জেনারেল রেখেছি। দায়ীদের বৈশিষ্ট্যই এটা। দায়ীরা জেনারেল কথাই বলে, যার যে মেসেজ নেওয়ার, তারা সেখান থেকে নিয়ে নেয়। তো কোনো দল এটা নিয়ে কোনো কথা বলল না। আপনারা এটাকে নিজেদের গায়ে যে মাখালেন, এটা ঠিক হয়নি। এটা খুবই অনভিপ্রেত হয়েছে। কোনো দলকে টার্গেট করে বা কোনো দলের পক্ষে আমরা কখনো কথা বলি না। আমরা কোরআনের পক্ষে কথা বলি, ইসলামের পক্ষে কথা বলি।’

কয়েক লাখ জনতার উপস্থিতিতে সিলেট এমসি কলেজ মাঠে শেষ হয়েছে আঞ্জুমানের তিন দিনব্যাপী ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল। শনিবার শেষ দিনে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসির শুনতে দুপুর থেকে এমসি মাঠমুখী শুরু হয় জনস্রোত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতি। বিকেলের আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় এমসি কলেজ মাঠ। সন্ধ্যার পরপর জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরে আশপাশের এলাকায়। এই মাঠে মাহফিলে এত লোক আগে দেখেনি কেউ। মাঠ ও মাঠের বাইরে আটটি প্রজেক্টর স্থাপন করা হয়।
মাহফিলের শেষ দিনের পৃথক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেটের সভাপতি প্রফেসর মাওলানা সৈয়দ একরামুল হক ও আল্লামা ইসহাক আল মাদানী।
ড. মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও শেষ দিনে তাফসির পেশ করেন আল্লামা ইসহাক আল মাদানী, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মুফতি আমীর হামজা, শায়খ হাফিজ মাওলানা আবু সাঈদ, অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, শায়েখ আজমল মসরুর, মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান জালালাবাদী ও মাওলানা হাসানুল বান্না বিন শরিফ আব্দুল কাদির।
ড. আজহারী আরও বলেন, ‘চব্বিশের রক্তাক্ত আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে আমাদের তরুণ ছাত্র ও যুব সমাজ। এই তরুণদের হাতেই নিরাপদ আমাদের বাংলাদেশ, নিরাপদ লাল-সবুজের পতাকা। তরুণ প্রজন্মকে কোরআন-হাদিসের আলোয় আলোকিত করতে হবে। তাহলে দেশ-জাতি সমাজ উপকৃত হবে। আঞ্জুমানে খেদমতে কোরআন সিলেট অঞ্চলের জন্য একটি নেয়ামত। এই সংগঠনটির সঙ্গে শহীদ আল্লামা সাঈদী (র.)-এর স্মৃতি জড়িত রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ৩৫ বছর ধরে তিনি এখানে তাফসির করেছেন। সংগঠনটি শুধু দ্বীনের দাওয়াতের কাজ করে না, সামাজিক অঙ্গনে বিশাল ভূমিকা রেখে আসছে। মাহফিলে তিনি আল্লামা ফুলতলী (র.), আল্লামা গহরপুরী (র.), শায়খে কৌড়িয়া (র.)-সহ সিলেটের প্রবীণ আলেমদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন ইউকে অ্যান্ড ইউরোপের সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল মতিন চৌধুরী, লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটের স্পিকার ব্যারিস্টার সাইফ উদ্দিন খালেদ ও টিভি আলোচক ড. ফয়জুল হক।
সকালে মহিলা মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা হাবিবুর রহমান ও হাফেজ আনওয়ার হোসাইন খান। আলোচনা শেষে নারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শায়েখ শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ। সঞ্চালনা করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
মাহফিলের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার আলোচনা করেন শায়েখ শাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ, মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী, আল্লামা সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী, শায়েখ সাঈদ বিন নুরুজ্জামান আল মাদানী, হাফিজ মিফতাহুদ্দীন, কারি মাওলানা মতিউর রহমান ও মাওলানা সাদিক সিকান্দর।
প্রথম দিন বৃহস্পতিবার তাফসির পেশ করেন মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমীন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা কমর উদ্দিন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা আব্দুল হাই জিহাদী, শায়েখ আব্দুল হক, ড. মাওলানা এ এইচ এম সোলাইমান ও মাওলানা মাশুক আহমদ।

ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
৪২ মিনিট আগে
এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান।
৪৪ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার চালক ও যাত্রী দুজনই নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দেওহাটা আন্ডারপাসের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার রুমা নগরীর মালগুদাম এলাকার অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী আবু তাহেলের মেয়ে। তাঁর স্বামী সুলতান মাহমুদ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেসমিন আরা রুমা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে গত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার রুমা নগরীর মালগুদাম এলাকার অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মচারী আবু তাহেলের মেয়ে। তাঁর স্বামী সুলতান মাহমুদ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জেসমিন আরা রুমা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে গত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব
১২ জানুয়ারি ২০২৫
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
৪২ মিনিট আগে
এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান।
৪৪ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার চালক ও যাত্রী দুজনই নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দেওহাটা আন্ডারপাসের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের জহিরুল ইসলামের দুই ছেলে উমর ফারুক ওরফে ফারুক পাগলা (৩৫) ও ফরহাদ হোসেন (২৭)।
পুলিশ জানায়, ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বারোমারী বাজার এলাকার চেল্লাখালী নদীর পশ্চিমপাড়ে উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিসসংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সেদিন ফরহাদ, উমর ফারুক ও রুবেল নামে তিনজন মদ্যপ অবস্থায় মসজিদে ঢুকে ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আজান দেওয়া যাবে না, আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আজান হবে না।’
ইমাম প্রতিবাদ করলে তাঁরা তাঁকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে ইমাম পালিয়ে গেলে হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়া ও অন্য সামগ্রী ভাঙচুর করেন।
এ সময় মুসল্লি হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। পরে গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ঘটনার পর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের জহিরুল ইসলামের দুই ছেলে উমর ফারুক ওরফে ফারুক পাগলা (৩৫) ও ফরহাদ হোসেন (২৭)।
পুলিশ জানায়, ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বারোমারী বাজার এলাকার চেল্লাখালী নদীর পশ্চিমপাড়ে উত্তর বাতকুচি ফরেস্ট অফিসসংলগ্ন বাইতুল নূর জামে মসজিদে ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সেদিন ফরহাদ, উমর ফারুক ও রুবেল নামে তিনজন মদ্যপ অবস্থায় মসজিদে ঢুকে ইমাম শফিকুল ইসলামের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ থেকে এই মসজিদে আজান দেওয়া যাবে না, আমাদের অনুমতি ছাড়া আর আজান হবে না।’
ইমাম প্রতিবাদ করলে তাঁরা তাঁকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে ইমাম পালিয়ে গেলে হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে মাইক সেট, বৈদ্যুতিক বোর্ড, টিনের বেড়া ও অন্য সামগ্রী ভাঙচুর করেন।
এ সময় মুসল্লি হাবিবুর রহমান ও কাজল মিয়া বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। পরে গ্রামবাসী আহতদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ঘটনার পর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আশরাফ আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব
১২ জানুয়ারি ২০২৫
ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান।
৪৪ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার চালক ও যাত্রী দুজনই নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দেওহাটা আন্ডারপাসের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মহানগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মারুফ (২২)। তিনি মহানগরীর গাছা থানার কুনিয়া তারগাছ এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আহত যুবকের নাম জামিল (২৪)। তাঁরা পরস্পর বন্ধু।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন মামলার প্রধান আসামি মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবি (২৪) ও ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (১৮)। তাঁরা এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত হলেও সবাই তরুণ বয়সী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার আক্তারের বাড়ির সামনে এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় এক দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় কিশোর গ্যাং সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই বন্ধুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে তারুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মারুফ মারা গেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে জামিলকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত জামিলের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক সেবন, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, আহত জামিলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।
জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জাহিদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, মারুফ হত্যাকাণ্ডে গাছা থানায় মামলা হয়েছে। এজাহারে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবিকে প্রধান আসামি করা হয়।
জাহিদুল হাসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে জিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে আজ সকালে রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর একটি টিম ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেনকে গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গাজীপুর মহানগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মারুফ (২২)। তিনি মহানগরীর গাছা থানার কুনিয়া তারগাছ এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। আহত যুবকের নাম জামিল (২৪)। তাঁরা পরস্পর বন্ধু।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন মামলার প্রধান আসামি মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবি (২৪) ও ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন (১৮)। তাঁরা এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত হলেও সবাই তরুণ বয়সী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গাছা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকার আক্তারের বাড়ির সামনে এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় এক দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় কিশোর গ্যাং সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুই বন্ধুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে তারুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, মারুফ মারা গেছেন। প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে জামিলকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত জামিলের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ ৮-১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক সেবন, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, আহত জামিলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।
জিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জাহিদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, মারুফ হত্যাকাণ্ডে গাছা থানায় মামলা হয়েছে। এজাহারে মো. রবিউল ইসলাম ওরফে সিগমা রবিকে প্রধান আসামি করা হয়।
জাহিদুল হাসান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে জিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে আজ সকালে রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর একটি টিম ২ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেনকে গাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব
১২ জানুয়ারি ২০২৫
ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
৪২ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার চালক ও যাত্রী দুজনই নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দেওহাটা আন্ডারপাসের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার চালক ও যাত্রী দুজনই নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দেওহাটা আন্ডারপাসের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার রশিদ দেওহাটা গ্রামের আব্দুল হামিদ (৬০) ও রানাশাল গ্রামের অটোরিকশাচালক রহিজ সিকদার (৪৬)।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল সারোয়ার জানান, অটোরিকশাচালক মহাসড়কে উল্টোপথে দেওহাটা আন্ডারপাসের ওপরে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাস চাপা দিলে এই প্রাণহানি ঘটে। লাশ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যাত্রীবাহী বাসটি আটকের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার চালক ও যাত্রী দুজনই নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দেওহাটা আন্ডারপাসের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার রশিদ দেওহাটা গ্রামের আব্দুল হামিদ (৬০) ও রানাশাল গ্রামের অটোরিকশাচালক রহিজ সিকদার (৪৬)।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল সারোয়ার জানান, অটোরিকশাচালক মহাসড়কে উল্টোপথে দেওহাটা আন্ডারপাসের ওপরে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী যাত্রীবাহী বাস চাপা দিলে এই প্রাণহানি ঘটে। লাশ আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যাত্রীবাহী বাসটি আটকের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মাহফিলে সব দল-মতের লোকজনকে স্বাগত জানিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘যারা আমাদের বিরোধিতা করে, ঘৃণা ছড়ায়; তাদের জন্যও আমাদের বুকভরা ভালোবাসা রয়েছে। কারণ, ভালোবাসা দিয়ে যা জয় করা যায়, কঠোরতা দিয়ে তা পারা যায় না। তো যারা বিরোধিতার জন্য আমাদের আলোচনা শোনেন, তাঁদেরও স্বাগত। যারা আমাদের আলোচনা আউট অব
১২ জানুয়ারি ২০২৫
ময়মনসিংহে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি জেসমিন আরা রুমাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা দিকে নগরীর মালগুদাম এলাকার নিজ বাস থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৩৮ মিনিট আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একটি মসজিদে ঢুকে ইমাম ও মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং মসজিদের আসবাব ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
৪২ মিনিট আগে
এলাকার চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্য রবি, রনি, সাগর, সাব্বিরসহ আরও চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় দোকানের ক্রেতা জামিল কিশোর গ্যাং সদস্যদের বেপরোয়া আচরণের প্রতিবাদ করলে তাঁর সঙ্গে রবির বাগ্বিতণ্ডা হয়। উভয় পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা থামাতে জামিলের বন্ধু মারুফ ঘটনাস্থলে যান।
৪৪ মিনিট আগে