নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর আদাবর এলাকার শ্যামলী হাউজিংয়ের দ্বিতীয় প্রকল্পে বেড়িবাঁধসংলগ্ন একটি ভাঙরির দোকানে পুরোনো গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত গ্যাস। এতে মো. কবির হোসেন নামে এক যুবককে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আরও ১৪ জন অসুস্থ হয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। তার মধ্যে ৯ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন, বাকি পাঁচজন চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের মধ্যে একজন আশঙ্কাজনক থাকলেও ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে উঠছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। তখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ শফিউর রহমান বলেন, ‘৯ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। পাঁচজন এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন ৷ মোট ১৪ জন রোগী এসেছিলেন। আমরা ধারণা করছি, কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের বিষক্রিয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
নিহত কবির লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত শফিউল্লাহর ছেলে। বর্তমানে আদাবর এলাকায় মামাতো ভাইয়ের বাসায় থাকতেন। নিহতের মামাতো ভাই রুহুল আমিন বলেন, ‘কবির গত কয়েক দিন আগে ঢাকায় আমার বাসায় বেড়াতে আসে। আজ সকালের দিকে আদাবর বেড়িবাঁধে হাঁটতে বেরিয়েছিল। এমন সময় একটি ভাঙারির দোকানের পাশের মূল সড়কে কয়েকটি কেমিক্যালের ড্রাম, সিলিন্ডার থেকে বের হওয়া গ্যাসে পথচারীদের কয়েকজন অসুস্থ হয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে। আমার ভাইও এই গ্যাসের গন্ধে অচেতন হয়ে পড়ে। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান আমার ভাই আর বেঁচে নেই।’
আজ মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আদাবর থানার শ্যামলী হাউজিং বেড়িবাঁধের ওপরে একটি পুরোনো সিলিন্ডার পড়ে আছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকেও সেটি থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। বের হওয়া গ্যাসের ঝাঁজালো গন্ধে সেখানে দাঁড়ানো যাচ্ছিল না।
স্থানীয় আল আমীন নামে এক যুবক বলেন, বেড়িবাঁধের ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কালুর ভাঙারি দোকানে এই সিলিন্ডারটি ভাঙার সময় হঠাৎ গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে আশপাশের টিনশেড বাসায় ঘুমিয়ে থাকা অর্ধশত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার কারণে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এসেছেন স্মার্ট টেকনোলজি নামের একটি গ্যারেজ ম্যানেজার আবুল হাশেম। তিনি বলেন, শ্যামলী হাউজিং দ্বিতীয় প্রকল্পের বেড়িবাঁধের পাশেই
স্মার্ট টেকনোলজির গাড়ির গ্যারেজ ও পরিবহনকর্মীদের থাকার জায়গা। এখানে অন্তত ২৫ জন বিভিন্ন রুমে ঘুমিয়ে ছিল। রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ বিষাক্ত গ্যাসের গন্ধে ঘুমের মধ্যেই অসুস্থতা বোধ করি। দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে দেখি অনেকেই আমার মতো ছটফট করছে। কেউ দৌড়ে রাস্তায় বের হয়েছে। কেউ রুমের সামনেই অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝাঁজালো গন্ধে নাক পুড়ে যাচ্ছিল। সেই সঙ্গে তীব্র মাথা ঘোরানি আর নাড়িভুঁড়ি উলটে বমি আসছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসুস্থদের মধ্যে আছেন রুহুল আমিন, রাকিব (২৮), ওয়াদুদ (৬০), মন্নান (৫৫), সিরাজ (৬০), জাহিদ (২৫), রাহিম (২২), মেহেদী (২২), রকি (২৪)। তারা স্মার্ট টেকনোলজির কর্মী। এ ছাড়া স্থানীয় অনেকে অসুস্থ হয়েছেন। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
যে ভাঙ্গারির দোকানের পুরোনো গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত সেই দোকানের মালিকের নাম কালু। ঘটনার পর থেকে কালুসহ অন্য দোকান কর্মচারীরা পালাতক আছেন ৷ আবুল হাসেম নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, বেড়িবাঁধের ওপরে ভাঙ্গারি দোকান আছে। ওখানে রাতেও কাজ চলছিল। আমাদের রাতের নিরাপত্তা কর্মী দেখছে একটি ট্রাকে করে ভাঙ্গারি আনা হয়। এই ট্রাক চলে যাওয়ার কিছু সময় পরই এই গ্যাস ছড়াতে থাকে। তখন দোকানের লোকজন সব ফেলে পালায়।
এ দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, এই ঘটনায় অসুস্থদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিলিন্ডারে কি ধরনের গ্যাস রয়েছে সেটি জানতে সিআইডিকে খবর দেওয়া হয়েছে। একটি ভাঙ্গারি দোকানে সবাই পলাতক। আমরা কাজ করছি। এই ঘটনায় একজন নিহত আছেন।
রাজধানীর আদাবর এলাকার শ্যামলী হাউজিংয়ের দ্বিতীয় প্রকল্পে বেড়িবাঁধসংলগ্ন একটি ভাঙরির দোকানে পুরোনো গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত গ্যাস। এতে মো. কবির হোসেন নামে এক যুবককে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া গ্যাসের বিষক্রিয়ায় আরও ১৪ জন অসুস্থ হয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। তার মধ্যে ৯ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন, বাকি পাঁচজন চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের মধ্যে একজন আশঙ্কাজনক থাকলেও ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে উঠছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। তখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ শফিউর রহমান বলেন, ‘৯ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। পাঁচজন এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন ৷ মোট ১৪ জন রোগী এসেছিলেন। আমরা ধারণা করছি, কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের বিষক্রিয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
নিহত কবির লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত শফিউল্লাহর ছেলে। বর্তমানে আদাবর এলাকায় মামাতো ভাইয়ের বাসায় থাকতেন। নিহতের মামাতো ভাই রুহুল আমিন বলেন, ‘কবির গত কয়েক দিন আগে ঢাকায় আমার বাসায় বেড়াতে আসে। আজ সকালের দিকে আদাবর বেড়িবাঁধে হাঁটতে বেরিয়েছিল। এমন সময় একটি ভাঙারির দোকানের পাশের মূল সড়কে কয়েকটি কেমিক্যালের ড্রাম, সিলিন্ডার থেকে বের হওয়া গ্যাসে পথচারীদের কয়েকজন অসুস্থ হয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে। আমার ভাইও এই গ্যাসের গন্ধে অচেতন হয়ে পড়ে। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান আমার ভাই আর বেঁচে নেই।’
আজ মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আদাবর থানার শ্যামলী হাউজিং বেড়িবাঁধের ওপরে একটি পুরোনো সিলিন্ডার পড়ে আছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকেও সেটি থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। বের হওয়া গ্যাসের ঝাঁজালো গন্ধে সেখানে দাঁড়ানো যাচ্ছিল না।
স্থানীয় আল আমীন নামে এক যুবক বলেন, বেড়িবাঁধের ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কালুর ভাঙারি দোকানে এই সিলিন্ডারটি ভাঙার সময় হঠাৎ গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে আশপাশের টিনশেড বাসায় ঘুমিয়ে থাকা অর্ধশত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার কারণে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এসেছেন স্মার্ট টেকনোলজি নামের একটি গ্যারেজ ম্যানেজার আবুল হাশেম। তিনি বলেন, শ্যামলী হাউজিং দ্বিতীয় প্রকল্পের বেড়িবাঁধের পাশেই
স্মার্ট টেকনোলজির গাড়ির গ্যারেজ ও পরিবহনকর্মীদের থাকার জায়গা। এখানে অন্তত ২৫ জন বিভিন্ন রুমে ঘুমিয়ে ছিল। রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ বিষাক্ত গ্যাসের গন্ধে ঘুমের মধ্যেই অসুস্থতা বোধ করি। দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে দেখি অনেকেই আমার মতো ছটফট করছে। কেউ দৌড়ে রাস্তায় বের হয়েছে। কেউ রুমের সামনেই অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝাঁজালো গন্ধে নাক পুড়ে যাচ্ছিল। সেই সঙ্গে তীব্র মাথা ঘোরানি আর নাড়িভুঁড়ি উলটে বমি আসছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসুস্থদের মধ্যে আছেন রুহুল আমিন, রাকিব (২৮), ওয়াদুদ (৬০), মন্নান (৫৫), সিরাজ (৬০), জাহিদ (২৫), রাহিম (২২), মেহেদী (২২), রকি (২৪)। তারা স্মার্ট টেকনোলজির কর্মী। এ ছাড়া স্থানীয় অনেকে অসুস্থ হয়েছেন। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
যে ভাঙ্গারির দোকানের পুরোনো গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত সেই দোকানের মালিকের নাম কালু। ঘটনার পর থেকে কালুসহ অন্য দোকান কর্মচারীরা পালাতক আছেন ৷ আবুল হাসেম নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, বেড়িবাঁধের ওপরে ভাঙ্গারি দোকান আছে। ওখানে রাতেও কাজ চলছিল। আমাদের রাতের নিরাপত্তা কর্মী দেখছে একটি ট্রাকে করে ভাঙ্গারি আনা হয়। এই ট্রাক চলে যাওয়ার কিছু সময় পরই এই গ্যাস ছড়াতে থাকে। তখন দোকানের লোকজন সব ফেলে পালায়।
এ দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, এই ঘটনায় অসুস্থদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিলিন্ডারে কি ধরনের গ্যাস রয়েছে সেটি জানতে সিআইডিকে খবর দেওয়া হয়েছে। একটি ভাঙ্গারি দোকানে সবাই পলাতক। আমরা কাজ করছি। এই ঘটনায় একজন নিহত আছেন।
রাজবাড়ীতে সাংবাদিক আহসান হাবীব টুটুলকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিববার। আজ শুক্রবার সাংবাদিক টুটুলের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আজ বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
২৩ মিনিট আগেগাজীপুরের কালিয়াকৈরে কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। সংঘর্ষের ওই ঘটনায় আহত অটোরিকশার চালক মুক্তার হোসেন (৬০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে স্বামী, স্ত্রী, ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজন এবং অপর এক যাত্রী নিহত
২৬ মিনিট আগেময়মনসিংহের ভালুকায় বজ্রপাতে আরব আলী (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার জামিরাপাড়া গ্রামে আজ বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আরব আলী ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের কংশেরকুল গ্রামের মরহুম ওয়াহেদ আলীর ছেলে।
৩৯ মিনিট আগেচট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালিতে একটি বহুতল ভবনের ৯তলা থেকে পড়ে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক শ্রমিক গুরুতর আহত হন। আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে কোতোয়ালি থানার আদালত এলাকাসংলগ্ন সড়কের পাশের রঙ্গম কনভেনশন হল ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে