Ajker Patrika

ইউএনও, পিআইওর সইয়ে জব্দ পাথর লুট

  • দুই জিম্মাদার, পুলিশ ও প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায় প্রায় ৩ কোটি টাকার পাথর লুট।
  • জব্দ করা পাথর আগেই লুট হয়ে যাওয়ায় বিএমডির দরপত্রে অংশ নেয়নি কেউ।
  • পাথর লুটের বিষয়টি জানার প্রায় ১৫ দিন পর অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা।
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট 
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবৈধভাবে উত্তোলন করা পাথর জব্দ হয়েছিল টাস্কফোর্সের অভিযানে। কিন্তু পরে পাথরগুলো লুটে নেয় একটি চক্র। ছবি: সংগৃহীত
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবৈধভাবে উত্তোলন করা পাথর জব্দ হয়েছিল টাস্কফোর্সের অভিযানে। কিন্তু পরে পাথরগুলো লুটে নেয় একটি চক্র। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয়দের মাধ্যমে লুটপাট করা প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করে টাস্কফোর্স। প্রায় তিন কোটি টাকার পাথর পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চৌকিদার। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বেআইনিভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) লিখিত অনুমোদন দেখিয়ে দিনদুপুরে বিক্রি করা হয় এসব পাথর। অভিযোগ উঠেছে, জিম্মাদার দুই ইউপি সদস্য, পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনের ছত্রচ্ছায়ায় এসব পাথর লুট হয়েছে। তবে সবাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এমন ঘটনা ঘটেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে। জব্দের ৪৬ দিন পর পাথর নিলামের দরপত্র আহ্বান করে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)। সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বিএমডি ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দরপত্র ক্রয় এবং ৮ জানুয়ারি জমাদানের শেষ তারিখ ধার্য করে। কিন্তু জব্দ করা পাথর আগেই লুট হয়ে যাওয়ায় দরপত্রে অংশ নেননি কেউ। পাথর লুটের বিষয়টি জানার প্রায় ১৫ দিন পর এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সিলেটের বিছনাকান্দি কোয়ারি থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিপুল পাথর লুট করে এলাকার বিভিন্ন বাড়ির আঙিনা ও সড়কের পাশে মজুত করে রাখেন। খবর পেয়ে গত ৩ নভেম্বর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স বিছনাকান্দি, আনফরেরভাঙ্গা নামক এলাকাসহ হাদারপার ও বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৯ ঘনফুট পাথর জব্দ করে। এই পাথর স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন ও পাপলু মিয়ার জিম্মায় রাখা হয়। পাহারায় নিয়োজিত করা হয় পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও চারজন চৌকিদার। এত শক্ত পাহারা ডিঙিয়ে প্রভাবশালী চক্র দিনরাতে প্রকাশ্যে পাথর নিয়ে যেতে শুরু করে। ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পুলিশকে বারবার জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। চৌকিদার তেরা মিয়া ও বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘হুমকি-ধমকির মধ্যে আছি। এখনো একটা টাকাও পাইনি। খুবই যন্ত্রণার মধ্যে আছি। এলজিইডির কাজে নিয়োজিত ব্যানার লাগানো গাড়িতে করে পাথর নিয়ে গেছে। আটকাইলে ইউএনও, পিআইওর অনুমতিপত্র দেখাইছে।’

জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর মেসার্স রনজিৎ কুমার চন্দ ও ইউসুফ এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউএনও বরাবর পৃথক লিখিত আবেদন করে। এতে বলা হয়, বর্তমানে ভারত থেকে এলসি পাথর সরবরাহ বন্ধ। গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৫টি করে বক্স কালভার্টের জন্য ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর ও ৩০ হাজার ঘনফুট বালু স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা প্রয়োজন। ইউএনও আবেদন দুটিই পিআইওকে ফরওয়ার্ড করেন। পরদিন পিআইও দুটি আবেদনে বালু-পাথর পরিবহনে দুটি ট্রাকের নম্বরসহ অনুমোদন করেন।

ইউসুফ এন্টারপ্রাইজের গোলাম রহমানী চৌধুরীর মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মেসার্স রনজিৎ কুমার চন্দের স্বত্বাধিকারী সন্তোষ বলেন, ‘ইউএনও-পিআইওর অনুমতি নিয়ে অভিযানের আগে শামীম ভাইয়ের মিল থেকে ২ হাজার ঘনফুট পাথর নিয়েছি। পরে অভিযান হওয়ায় আর আনতে পারিনি।’ মিলমালিক শামীম বলেন, ‘অভিযানের পরে আমরা কোনো পাথর ভাঙিনি। কাউকে দিইওনি। এসব মিথ্যা কথা।’

এদিকে ১ জানুয়ারি এসি ল্যান্ড বরাবর ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন লিখিত ও মৌখিকভাবে অব্যাহতি নেন ইউপি সদস্য পাপলু মিয়া। এরপর দুই ইউপি সদস্যকে দিয়ে ১৭ জানুয়ারি ৬০-৬৫ লাখ টাকা মূল্যের ৬২-৭০ হাজার ঘনফুট পাথর চুরি হয়েছে দাবি করে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করানো হয়।

ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন, ‘২০ দিন বিভিন্ন সময় ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পুলিশকে চুরি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইউএনও, পিআইওর অনুমোদনের কাগজ দেখিয়ে শামীমের মিলে ভাঙিয়ে ১৫ হাজারের জায়গায় ২০-২৫ হাজার ঘনফুট করে পাথর নিয়েছে। সবকিছুর প্রমাণ রয়েছে। চুরি ঠেকাতে না পেরে ২ জানুয়ারি জিম্মাদারি অব্যাহতির এবং ৯ জানুয়ারি মামলার আবেদন করি। বর্তমানে ৪-৫ হাজার ঘনফুট পাথর অবশিষ্ট আছে।’

লুটপাটের খবর জানানোর পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে গোয়াইনঘাটের এসি ল্যান্ড সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘পাথর চুরির খবর পেয়ে বিএমডিকে জানানো হয়েছে।’

অনুমোদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে পিআইও শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ বলেন, ‘আমরা শুধু পরিবহনের অনুমতি দিয়েছি। সব জায়গায় তো বন্ধ না। কোনো না কোনো জায়গা থেকে তো কিনবে। সেটা পরিবহনে যেন বাধা না হয়।’

গোয়াইনঘাটের তৎকালীন ইউএনও, বর্তমানে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আবেদন বা মালপত্র পরিবহনের বিষয়টি যাচাই-বাচাইয়ের জন্য পিআইওর কাছে ফরওয়ার্ড করেছি। ফরওয়ার্ড করার মানে অনুমোদন করা নয়। লুটপাটের খবর পেয়ে আমরা পুলিশ-বিজিবিকে বলেছি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।’

গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল বলেন, ‘পাথর চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। লুটপাটের সঙ্গে পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘ইউএনও তো অনুমোদন দেননি, শুধু পিআইওর কাছে দিছেন। পিআইও নিচে একটা আদেশ লিখে দিছে।’ পরে তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।

বিএমডির পরিচালক (খনি ও খনিজ) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘যদি এ রকম কোনো কাগজপত্র আপনাদের কাছে থাকে, আমাকে দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমরা ডিসিকে বলব বিভাগীয় মামলা করার জন্য। প্রয়োজনে আবার আমরা নিলাম করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নিরাপদ সড়কসহ ৫ দফা দাবিতে ফার্মগেটে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নিরাপদ সড়কের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিরাপদ সড়কের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নিরাপদ সড়কের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন সরকারি বিজ্ঞান কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। দুদিন আগে ফার্মগেট এলাকায় ট্রাকচাপায় সিফাত নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন কর্মসূচি। সড়ক অবরোধের কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ফার্মগেট মোড়ে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলছি।’

সিফাতের মৃত্যুর ঘটনায় ডিসি ইবনে মিজান জানান, ‘ট্রাকচাপায় ফার্মগেটের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সিফাতের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

এ সময় শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো—

১. সিফাত হত্যার বিচার এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়ায় প্রশাসনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

২. ফুটপাত দখলমুক্তকরণ: ফুটপাত থেকে সব অবৈধ দোকান, অস্থায়ী স্থাপনা, অননুমোদিত বাজার ও ভবঘুরে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ।

৩. পার্কিং আইন কার্যকর: নো-পার্কিং জোন কঠোরভাবে ঘোষণা ও বাস্তবায়ন।

৪. যানবাহন নিয়ন্ত্রণ: দুর্ঘটনা ও যানজট এড়াতে রেলক্রসিং থেকে গির্জা পর্যন্ত সড়কে অটোরিকশা, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে।

৫. সড়ক নিরাপত্তা অবকাঠামো উন্নয়ন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে তিনটি স্পিড ব্রেকার, পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্ট, লেন ডিভাইডার এবং ট্রাফিক আইল্যান্ড স্থাপন।

পুলিশের সঙ্গে আলোচনা সত্ত্বেও দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে দাদিকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে নাতি আটক

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সন্দেশ বেওয়া (৮৫) নামের এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর নাতি সজিব আলীর (২২) বিরুদ্ধে। উল্লাপাড়া উপজেলার চকবরু ভেংড়ী গ্রামে বুধবার গভীর রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত সন্দেশ বেওয়া ওই গ্রামের মৃত নওশের আলীর স্ত্রী এবং আটক সজিব আলী তাঁর (বৃদ্ধার) সন্তান আহমদ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বুধবার গভীর রাতে সন্দেশ বেওয়ার ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘরে গিয়ে সন্দেশ বেওয়ার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে রাতেই সলঙ্গা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত নাতি সজিব আলীকে আটক করে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আটক যুবক সজিব আলী মাদকাসক্ত এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।

সলঙ্গা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এএসআই হাসিম আরও জানান, আটক সজিব আলীকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সার্কেল কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ২ ধরনের পদে ২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৬ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী প্রার্থীরা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ঠিকানায় ডাকযোগের মাধ্যমে আবেদনপত্র পাঠাতে পারবেন।

পদের নাম: ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর কাম-দপ্তরি।

পদ সংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট অথবা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা। ফটোকপি মেশিন চালানোর বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন: ৮,৮০০–২১,৩১০ টাকা।

পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান।

পদ সংখ্যা: ১ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট অথবা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হতে সনদপ্রাপ্ত হতে হবে।

বেতন: ৮,৮০০–২১,৩১০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্রের খামের উপর পদের নাম উল্লেখ করে ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, মানিকগঞ্জ’ বরাবরে ডাকযোগে পৌঁছাতে হবে। সরাসরি ও নির্ধারিত তারিখের পরে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

আবেদনের শেষ সময়: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ

গাজীপুর (শ্রীপুর) প্রতিনিধি
আজ দুপুরে উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় কয়েক হাজার শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপুরে উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় কয়েক হাজার শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ‘এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড’ কারখানার শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।

কারখানার শ্রমিক মনিরা খাতুন বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতন দেওয়ার তারিখ ছিল ১০ অক্টোবর। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকজন দিই-দিচ্ছি করে দিন পার করছে। আজ বেতন পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু আজও বেতন পরিশোধ করার কোনো সম্ভবনা নেই। পুলিশ আমাদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।’

আরেক শ্রমিক আরিফুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের পরিবার আছে, স্ত্রী-সন্তান আছে। বাড়িভাড়া ও মুদিদোকানের বকেয়ার জন্য চরম চাপে আছি। পাওনাদারেরা রীতিমতো চাপ দিচ্ছে টাকা পরিশোধ করতে, নয়তো বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। পেটের দায়েই আমরা রাস্তায় এসেছি। লাঠিপেটা হলেও আমরা টাকা চাই।’

এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, ‘এক মাসের বেতন বকেয়া। আজ পরিশোধের তারিখ ছিল; কিন্তু আজও সম্ভব হচ্ছে না। বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকেরা কাজ ফেলে মহাসড়কে চলে গেছে।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের কয়েকটি তারিখ দিয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পরিশোধের জন্য আজ সর্বশেষ তারিখ ছিল। কিন্তু আজও বেতন পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। এ জন্য সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকেরা কিছুতেই সড়ক ছাড়ছেন না। এ সময় টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত