শরীফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সিরাজগঞ্জের তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। চাহিদা-মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারখানার মালিকেরা ডিজেল-চালিত জেনারেটরের সাহায্যে পাওয়ার লুম ও তাঁত কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ডিজেলের দাম বাড়ায় কারখানা সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এতে শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা উৎপাদনে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে।
তাঁত মালিকেরা জানিয়েছেন, জেলার শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, কামারখন্দ, বেলকুচি, এনায়েতপুর, রায়গঞ্জ, চৌহালী ও কাজীপুরে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার তাঁত রয়েছে। সুতায় রং দেওয়া, শুকানো, সুতা তৈরি ও কাপড় উৎপাদনের জন্য প্রতি তাঁতে ৩-৪ জন শ্রমিকের প্রয়োজন। এতে মালিক ও শ্রমিক মিলে প্রায় ৪ লাখ মানুষ এ শিল্পে জড়িত। এখানকার উৎপাদিত শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি হয়; বিশেষ করে উল্লাপাড়া, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও এনায়েতপুর, পাঁচিল বাজারে সপ্তাহে দুই দিন কাপড়ের হাট বসে। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারেরা আসেন এসব হাটে। এমনকি এই কাপড় বিদেশেও রপ্তানি হয়।
তবে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে আগে যেখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করতেন, বর্তমানে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এতে শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা উৎপাদন কম হচ্ছে। আবার যতটুকু উৎপাদিত হচ্ছে, তা-ও হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে না। যে কারণে বাধ্য হয়ে অনেকে তাঁত কারখানা বন্ধ রাখছেন।
বেলকুচির চন্দনগাতী গ্রামের শাড়ি কারখানার শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি আগে দিনে তিন-চারটি শাড়ি তৈরি করতেন। এখন সারা দিনে দুটি শাড়ি তৈরি করা যায় না।
বেলকুচির চন্দনগাতী গ্রামের মেসার্স রায় প্রডাক্টসের ব্যবস্থাপক রিপন সাহা বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে জেনারেটর দিয়ে কারখানা চালু রাখা হতো। কিন্তু তেলের দাম বাড়ায় জেনারেটরও চালানো যাচ্ছে না। তিন-চার ঘণ্টা জেনারেটর চালু রাখলে পাঁচ-সাত লিটার তেল প্রয়োজন হচ্ছে। এ কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।
বেলকুচির চন্দনগাতী গ্রামের তাঁত-শ্রমিক পলাশ সরকার বলেন, আগে একজন শ্রমিক সপ্তাহে তিন-চার হাজার টাকা মজুরি পেত। এখন দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা মজুরি পাচ্ছেন। এ ছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে দিনে ও রাতে বেকার বসে থাকতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের বাঐতারা গ্রামের মেসার্স বিসমিল্লাহ সুতার দোকানের মালিক বিদ্যুৎ সরকার। তিনি বলেন, ‘একদিকে লোডশেডিং, অন্যদিকে সুতার মূল্যবৃদ্ধি। এতে তাঁতিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ৫০ কাউন্টের ১ বস্তা নাহিদ সুতা ১ বছর আগেও ছিল ১৪ হাজার ৫০০ টাকা, বর্তমানে ২২ হাজার ২০০ টাকা। ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছে।’
জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক মিলন ইসলাম খান বলেন, তাঁতমালিকদের বিদ্যুৎ বিলও দিতে হচ্ছে, আবার জেনারেটরও চালাতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। লোকসান গুনতে হচ্ছে তাঁতমালিকদের। এই শিল্প টিকিয়ে রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁতশিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, লোডশেডিং ও তেলের দাম বাড়ার কারণে অধিকাংশ সময় কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকছে। শ্রমিকেরাও কাজ করতে পারছেন না। নতুন করে তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সুতার দামও বেড়েছে। আর যতটুকু কাপড় তৈরি করা হচ্ছে, তা বিক্রি করা যাচ্ছে না। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকদের।
বদিউজ্জামান আরও বলেন, জেলায় প্রায় আড়াই লাখ তাঁতকল আছে। এগুলোর মধ্যে এক লাখ যন্ত্র বন্ধ রয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে শ্রমিকেরাও বেকার হয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। সবকিছু মিলিয়ে কারখানা চালানো যাচ্ছে না। তাঁতমালিকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সিরাজগঞ্জের তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। চাহিদা-মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারখানার মালিকেরা ডিজেল-চালিত জেনারেটরের সাহায্যে পাওয়ার লুম ও তাঁত কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ডিজেলের দাম বাড়ায় কারখানা সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এতে শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা উৎপাদনে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে।
তাঁত মালিকেরা জানিয়েছেন, জেলার শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, কামারখন্দ, বেলকুচি, এনায়েতপুর, রায়গঞ্জ, চৌহালী ও কাজীপুরে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার তাঁত রয়েছে। সুতায় রং দেওয়া, শুকানো, সুতা তৈরি ও কাপড় উৎপাদনের জন্য প্রতি তাঁতে ৩-৪ জন শ্রমিকের প্রয়োজন। এতে মালিক ও শ্রমিক মিলে প্রায় ৪ লাখ মানুষ এ শিল্পে জড়িত। এখানকার উৎপাদিত শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি হয়; বিশেষ করে উল্লাপাড়া, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও এনায়েতপুর, পাঁচিল বাজারে সপ্তাহে দুই দিন কাপড়ের হাট বসে। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারেরা আসেন এসব হাটে। এমনকি এই কাপড় বিদেশেও রপ্তানি হয়।
তবে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে আগে যেখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করতেন, বর্তমানে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এতে শাড়ি, লুঙ্গি ও গামছা উৎপাদন কম হচ্ছে। আবার যতটুকু উৎপাদিত হচ্ছে, তা-ও হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে না। যে কারণে বাধ্য হয়ে অনেকে তাঁত কারখানা বন্ধ রাখছেন।
বেলকুচির চন্দনগাতী গ্রামের শাড়ি কারখানার শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম জানান, তিনি আগে দিনে তিন-চারটি শাড়ি তৈরি করতেন। এখন সারা দিনে দুটি শাড়ি তৈরি করা যায় না।
বেলকুচির চন্দনগাতী গ্রামের মেসার্স রায় প্রডাক্টসের ব্যবস্থাপক রিপন সাহা বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে জেনারেটর দিয়ে কারখানা চালু রাখা হতো। কিন্তু তেলের দাম বাড়ায় জেনারেটরও চালানো যাচ্ছে না। তিন-চার ঘণ্টা জেনারেটর চালু রাখলে পাঁচ-সাত লিটার তেল প্রয়োজন হচ্ছে। এ কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।
বেলকুচির চন্দনগাতী গ্রামের তাঁত-শ্রমিক পলাশ সরকার বলেন, আগে একজন শ্রমিক সপ্তাহে তিন-চার হাজার টাকা মজুরি পেত। এখন দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা মজুরি পাচ্ছেন। এ ছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে দিনে ও রাতে বেকার বসে থাকতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের বাঐতারা গ্রামের মেসার্স বিসমিল্লাহ সুতার দোকানের মালিক বিদ্যুৎ সরকার। তিনি বলেন, ‘একদিকে লোডশেডিং, অন্যদিকে সুতার মূল্যবৃদ্ধি। এতে তাঁতিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ৫০ কাউন্টের ১ বস্তা নাহিদ সুতা ১ বছর আগেও ছিল ১৪ হাজার ৫০০ টাকা, বর্তমানে ২২ হাজার ২০০ টাকা। ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছে।’
জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক মিলন ইসলাম খান বলেন, তাঁতমালিকদের বিদ্যুৎ বিলও দিতে হচ্ছে, আবার জেনারেটরও চালাতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। লোকসান গুনতে হচ্ছে তাঁতমালিকদের। এই শিল্প টিকিয়ে রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁতশিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ার লুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, লোডশেডিং ও তেলের দাম বাড়ার কারণে অধিকাংশ সময় কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকছে। শ্রমিকেরাও কাজ করতে পারছেন না। নতুন করে তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সুতার দামও বেড়েছে। আর যতটুকু কাপড় তৈরি করা হচ্ছে, তা বিক্রি করা যাচ্ছে না। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকদের।
বদিউজ্জামান আরও বলেন, জেলায় প্রায় আড়াই লাখ তাঁতকল আছে। এগুলোর মধ্যে এক লাখ যন্ত্র বন্ধ রয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে শ্রমিকেরাও বেকার হয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। সবকিছু মিলিয়ে কারখানা চালানো যাচ্ছে না। তাঁতমালিকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

ডেমরার মিনি কক্সবাজার রোডের ধার্মিকপাড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই শিক্ষার্থী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
২৯ মিনিট আগে
ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে শিশু সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি। গোটা পৃথিবী থাকলেও আমি আর এটা পাব না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনেই সাংবাদিকদের...
১ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার, যা শীতের দাপটকে...
১ ঘণ্টা আগে
ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানীর ডেমরায় মোটরসাইকেলে সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন তাহসিন তপু (২৫) ও ইরাম হৃদয় (২৩)। আজ শুক্রবার ভোরের দিকে একটি গায়েহলুদের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার সময় ডেমরার মিনি কক্সবাজার রোডের ধার্মিকপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাহসিন পরিবারের সঙ্গে ডেমরার সানারপাড়ায় আর ইরাম চিটাগং রোড এলাকার একটি বাসায় থাকতেন।
ডেমরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, ডেমরার মিনি কক্সবাজার রোডের ধার্মিকপাড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই শিক্ষার্থী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজন মারা যান। ময়লাবাহী গাড়িটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন।
গায়েহলুদে অংশ নেওয়া ধার্মিকপাড়ার বাসিন্দা ও নিহত দুই শিক্ষার্থীর বন্ধু তাওসিফ হোসেন আজ সকালে ঢামেকে সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা অনেকে একই এলাকার এক বড় ভাইয়ের গায়েহলুদে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে কয়েকজন চা পান করছিলেন। এ সময় তাহসিন ও ইরাম মোটরসাইকেলে ঘুরতে যান। কিছু দূর যেতেই তাঁরা বিকট শব্দ শুনতে পান। সেখানে গিয়ে গাড়ির নিচে মোটরসাইকেলটি দেখতে পান। রাস্তায় ছিটকে পড়ে ছিলেন তাহসিন ও ইরাম। তাঁদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ভোর পৌনে ৫টার দিকে চিকিৎসক তাহসিনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। আর ইরাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

রাজধানীর ডেমরায় মোটরসাইকেলে সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন তাহসিন তপু (২৫) ও ইরাম হৃদয় (২৩)। আজ শুক্রবার ভোরের দিকে একটি গায়েহলুদের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার সময় ডেমরার মিনি কক্সবাজার রোডের ধার্মিকপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাহসিন পরিবারের সঙ্গে ডেমরার সানারপাড়ায় আর ইরাম চিটাগং রোড এলাকার একটি বাসায় থাকতেন।
ডেমরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, ডেমরার মিনি কক্সবাজার রোডের ধার্মিকপাড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই শিক্ষার্থী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজন মারা যান। ময়লাবাহী গাড়িটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন।
গায়েহলুদে অংশ নেওয়া ধার্মিকপাড়ার বাসিন্দা ও নিহত দুই শিক্ষার্থীর বন্ধু তাওসিফ হোসেন আজ সকালে ঢামেকে সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা অনেকে একই এলাকার এক বড় ভাইয়ের গায়েহলুদে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে কয়েকজন চা পান করছিলেন। এ সময় তাহসিন ও ইরাম মোটরসাইকেলে ঘুরতে যান। কিছু দূর যেতেই তাঁরা বিকট শব্দ শুনতে পান। সেখানে গিয়ে গাড়ির নিচে মোটরসাইকেলটি দেখতে পান। রাস্তায় ছিটকে পড়ে ছিলেন তাহসিন ও ইরাম। তাঁদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ভোর পৌনে ৫টার দিকে চিকিৎসক তাহসিনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। আর ইরাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সিরাজগঞ্জের তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। চাহিদা-মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারখানার মালিকেরা ডিজেল-চালিত জেনারেটরের সাহায্যে পাওয়ার লুম ও তাঁত কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ডিজেলের দাম বাড়ায় কারখানা সচল রাখ
১৪ আগস্ট ২০২২
ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে শিশু সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি। গোটা পৃথিবী থাকলেও আমি আর এটা পাব না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনেই সাংবাদিকদের...
১ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার, যা শীতের দাপটকে...
১ ঘণ্টা আগে
ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে শিশু সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি। গোটা পৃথিবী থাকলেও আমি আর এটা পাব না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাকিবুল ইসলাম। ছেলের মৃত্যুর জন্য গর্ত খনন করা ব্যক্তির অবহেলাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘যারা হাউজিং করেছে, এটা তাদেরই কাজ। গর্তের মুখে তারা অন্য কিছু দিত, তারা যদি একটা নিশানা দিত, তাহলে এ রকম ঘটনা ঘটত না। তারা কিচ্ছু দেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘কীভাবে ঘটনা ঘটেছে, তা সবাই দেখেছে। আমি বিচার চাই। প্রশাসনিকভাবে যে বিচার করবে, আমি তাতেই সন্তুষ্ট। সঠিক যেটা, সেটা আমাকে দেবে।’
গত বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পরিত্যক্ত এক গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। এর ৩২ ঘণ্টা পর মাটির প্রায় ৫০ ফুট নিচ থেকে গতকাল রাত ৯টার দিকে শিশু সাজিদকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে শিশু সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি। গোটা পৃথিবী থাকলেও আমি আর এটা পাব না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাকিবুল ইসলাম। ছেলের মৃত্যুর জন্য গর্ত খনন করা ব্যক্তির অবহেলাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘যারা হাউজিং করেছে, এটা তাদেরই কাজ। গর্তের মুখে তারা অন্য কিছু দিত, তারা যদি একটা নিশানা দিত, তাহলে এ রকম ঘটনা ঘটত না। তারা কিচ্ছু দেয়নি।’ তিনি বলেন, ‘কীভাবে ঘটনা ঘটেছে, তা সবাই দেখেছে। আমি বিচার চাই। প্রশাসনিকভাবে যে বিচার করবে, আমি তাতেই সন্তুষ্ট। সঠিক যেটা, সেটা আমাকে দেবে।’
গত বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের পরিত্যক্ত এক গর্তে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। এর ৩২ ঘণ্টা পর মাটির প্রায় ৫০ ফুট নিচ থেকে গতকাল রাত ৯টার দিকে শিশু সাজিদকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সিরাজগঞ্জের তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। চাহিদা-মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারখানার মালিকেরা ডিজেল-চালিত জেনারেটরের সাহায্যে পাওয়ার লুম ও তাঁত কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ডিজেলের দাম বাড়ায় কারখানা সচল রাখ
১৪ আগস্ট ২০২২
ডেমরার মিনি কক্সবাজার রোডের ধার্মিকপাড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই শিক্ষার্থী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
২৯ মিনিট আগে
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার, যা শীতের দাপটকে...
১ ঘণ্টা আগে
ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি।
৭ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার, যা শীতের দাপটকে আরও তীব্রভাবে অনুভূত করিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলায় সূর্য ওঠার কারণে কিছুটা উষ্ণতা থাকলেও বিকেল গড়ানোর পর থেকেই হঠাৎ ঠান্ডা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে ভারী কাপড় ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ভোর পর্যন্ত কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস চারপাশকে জমিয়ে রাখে। সাধারণ মানুষ থেকে দিনমজুর সবাই এ সময়টায় শীতের দাপটে সবচেয়ে বেশি ভোগেন।
শীত বাড়ায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গেছে। সর্দি-কাশি, ঠান্ডাজনিত জ্বর, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগীই বেশি। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত দুই দিনে রোগীর সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বেশির ভাগই শিশু ও প্রবীণ।
শিশুরোগীর স্বজন রহিমা বেগম বলেন, ‘শীতের কারণে বাচ্চার সর্দি-জ্বর বেড়ে গেছে, রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছে না। সকালেই ডাক্তার দেখাতে এসেছি।’ দিনমজুর আলমগীর হোসেন বলেন, দিনে রোদ থাকলেও সন্ধ্যার পর ঠান্ডায় শরীর জমে আসে। দুই দিন ধরে কাশি বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে হাসপাতালে আসতে হলো।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহবুব আলম জানান, তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাওয়ায় নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি। তিনি সবাইকে গরম কাপড় ব্যবহার, সকাল-সন্ধ্যায় বাইরে কম বের হওয়া এবং গরম পানি পান করার পরামর্শ দেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, সকাল ও বিকেলের মধ্যবর্তী সময়ে সূর্যের আলো কিছুটা উষ্ণতা আনে, তবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পর শরীরে তীব্র শীত অনুভূত হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যে বলা হয়, তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে গণ্য হয়। ফলে বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহই বইছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য ওঠানামা ছিল। আজ শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ৮ দশমিক ৯। এর আগের দিনগুলোতে যথাক্রমে— বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭, সোমবার ১০ দশমিক ৬, রোববার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২ দশমিক ০, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫, বুধবার ১২ দশমিক ২ এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘গত কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ক্রমেই নিম্নমুখী। আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে, যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আওতায় পড়ে। বাতাসে ১০০ শতাংশ আর্দ্রতা থাকায় শরীরে ঠান্ডার প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে বলে ধারণা করছি। রাত ও ভোরের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের অনুভূতি বাড়বে।’

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার, যা শীতের দাপটকে আরও তীব্রভাবে অনুভূত করিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলায় সূর্য ওঠার কারণে কিছুটা উষ্ণতা থাকলেও বিকেল গড়ানোর পর থেকেই হঠাৎ ঠান্ডা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে ভারী কাপড় ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ভোর পর্যন্ত কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস চারপাশকে জমিয়ে রাখে। সাধারণ মানুষ থেকে দিনমজুর সবাই এ সময়টায় শীতের দাপটে সবচেয়ে বেশি ভোগেন।
শীত বাড়ায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে গেছে। সর্দি-কাশি, ঠান্ডাজনিত জ্বর, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগীই বেশি। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত দুই দিনে রোগীর সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বেশির ভাগই শিশু ও প্রবীণ।
শিশুরোগীর স্বজন রহিমা বেগম বলেন, ‘শীতের কারণে বাচ্চার সর্দি-জ্বর বেড়ে গেছে, রাতে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারছে না। সকালেই ডাক্তার দেখাতে এসেছি।’ দিনমজুর আলমগীর হোসেন বলেন, দিনে রোদ থাকলেও সন্ধ্যার পর ঠান্ডায় শরীর জমে আসে। দুই দিন ধরে কাশি বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে হাসপাতালে আসতে হলো।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহবুব আলম জানান, তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাওয়ায় নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-জ্বরসহ ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি। তিনি সবাইকে গরম কাপড় ব্যবহার, সকাল-সন্ধ্যায় বাইরে কম বের হওয়া এবং গরম পানি পান করার পরামর্শ দেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, সকাল ও বিকেলের মধ্যবর্তী সময়ে সূর্যের আলো কিছুটা উষ্ণতা আনে, তবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পর শরীরে তীব্র শীত অনুভূত হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যে বলা হয়, তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে গণ্য হয়। ফলে বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহই বইছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানায়, গত এক সপ্তাহে তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য ওঠানামা ছিল। আজ শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ৮ দশমিক ৯। এর আগের দিনগুলোতে যথাক্রমে— বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭, সোমবার ১০ দশমিক ৬, রোববার ১০ দশমিক ৫, শনিবার ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২ দশমিক ০, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫, বুধবার ১২ দশমিক ২ এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘গত কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ক্রমেই নিম্নমুখী। আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে, যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আওতায় পড়ে। বাতাসে ১০০ শতাংশ আর্দ্রতা থাকায় শরীরে ঠান্ডার প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে বলে ধারণা করছি। রাত ও ভোরের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের অনুভূতি বাড়বে।’

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সিরাজগঞ্জের তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। চাহিদা-মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারখানার মালিকেরা ডিজেল-চালিত জেনারেটরের সাহায্যে পাওয়ার লুম ও তাঁত কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ডিজেলের দাম বাড়ায় কারখানা সচল রাখ
১৪ আগস্ট ২০২২
ডেমরার মিনি কক্সবাজার রোডের ধার্মিকপাড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই শিক্ষার্থী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
২৯ মিনিট আগে
ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে শিশু সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি। গোটা পৃথিবী থাকলেও আমি আর এটা পাব না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনেই সাংবাদিকদের...
১ ঘণ্টা আগে
ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি।
৭ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি, সুস্থ হচ্ছে না। আজ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। অনেক ভিড় থাকায় লাইনে অপেক্ষায় আছি।’
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক অভিভাবক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছয় বছর বয়সী ছেলে আরিয়ান সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত। এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও সুস্থ হয়নি। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। শীতের মধ্যে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় খুবই কষ্ট পাচ্ছে। আজ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে এসেছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু আহনাফ কিংবা আরিয়ান নয়, জেলায় তাদের মতো অনেক শিশু আবহাওয়া পরিবর্তনে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও যশোর শিশু হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীদের ভিড়। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠান্ডার কারণে অনেকে কাশি, গলাব্যথা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত জটিলতাসহ জ্বর ও ভাইরাল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
গতকাল যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে জানা যায়, ২৪ সিটের বিপরীতে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে ৬০ শিশু। এদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে চার শতাধিক শিশু। অপর দিকে যশোর শিশু হাসপাতালে ৫০ সিটের প্রত্যেকটিতে রোগী ভর্তি রয়েছে। এখানে সিট বাদে কাউকে ভর্তি করা হয় না। একই হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা নিয়েছে ৩ শতাধিক শিশু রোগী।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা বেনাপোলের শিশু তাকরিমের মা জুঁই সাথী বলেন, ‘ছেলেটি এক মাস ধরে জ্বরে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়াচ্ছি, কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। রাতে রাতে জ্বর আসছে। সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসবে শুনে এসেছি। এখানে অনেক রোগীর ভিড়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি।’
সদর উপজেলার সতীঘাটা এলাকার রুমা খাতুন বলেন, ‘আমার ১৮ মাস বয়সী ছেলের ঠান্ডা লেগেছে। দুদিন ধরে ঠান্ডায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। অল্প টাকায় ভালো ডাক্তার দেখানোর জন্য এখানে এসেছি।’
ঝিকরগাছার ছুটিপুর এলাকার বাসিন্দা তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘সর্দি, কাশিতে দুই মাস বয়সী নাতনি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রথমে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেছিলাম। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় চার দিন আগে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখন নাতনি অনেকটা সুস্থ।’
শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স সালমা খাতুন বলেন, ‘জনবলের তুলনায় রোগীর চাপ বেশি হলে সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। রোগীর বেশি হওয়ায় মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
যশোর শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার মাস বয়সী এক শিশুর পিতা কামরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘জন্মের সময় আমার শিশুর ওজন কম ছিল। তাকে অনেক দিন এনআইসিইউতে রাখতে হয়েছিল। চার দিন হলো ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখানকার পরিবেশ ও চিকিৎসা ভালো। শিশু সুস্থতার দিকেই যাচ্ছে।’
যশোর শিশু হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৈয়দ নূর-ই-হামীম বলেন, শীতে ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। দুদিন হলো, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়েছে। হাসপাতালের ৫০ শয্যার একটিও খালি নেই। বহির্বিভাগেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হুসাইন সাফায়েত বলেন, শীত বাড়ছে। সেই সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগীও বাড়ছে। শিশু ওয়ার্ডে ২৪ সিটের বিপরীতে তিন-চার গুণ বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। জনবল ও অবকাঠামোর সংকট থাকলেও সেবা অব্যাহত আছে।

ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি, সুস্থ হচ্ছে না। আজ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। অনেক ভিড় থাকায় লাইনে অপেক্ষায় আছি।’
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক অভিভাবক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছয় বছর বয়সী ছেলে আরিয়ান সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত। এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও সুস্থ হয়নি। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। শীতের মধ্যে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় খুবই কষ্ট পাচ্ছে। আজ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে এসেছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু আহনাফ কিংবা আরিয়ান নয়, জেলায় তাদের মতো অনেক শিশু আবহাওয়া পরিবর্তনে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও যশোর শিশু হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীদের ভিড়। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠান্ডার কারণে অনেকে কাশি, গলাব্যথা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত জটিলতাসহ জ্বর ও ভাইরাল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
গতকাল যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে জানা যায়, ২৪ সিটের বিপরীতে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে ৬০ শিশু। এদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে চার শতাধিক শিশু। অপর দিকে যশোর শিশু হাসপাতালে ৫০ সিটের প্রত্যেকটিতে রোগী ভর্তি রয়েছে। এখানে সিট বাদে কাউকে ভর্তি করা হয় না। একই হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা নিয়েছে ৩ শতাধিক শিশু রোগী।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা বেনাপোলের শিশু তাকরিমের মা জুঁই সাথী বলেন, ‘ছেলেটি এক মাস ধরে জ্বরে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়াচ্ছি, কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। রাতে রাতে জ্বর আসছে। সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসবে শুনে এসেছি। এখানে অনেক রোগীর ভিড়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি।’
সদর উপজেলার সতীঘাটা এলাকার রুমা খাতুন বলেন, ‘আমার ১৮ মাস বয়সী ছেলের ঠান্ডা লেগেছে। দুদিন ধরে ঠান্ডায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। অল্প টাকায় ভালো ডাক্তার দেখানোর জন্য এখানে এসেছি।’
ঝিকরগাছার ছুটিপুর এলাকার বাসিন্দা তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘সর্দি, কাশিতে দুই মাস বয়সী নাতনি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রথমে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেছিলাম। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় চার দিন আগে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখন নাতনি অনেকটা সুস্থ।’
শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স সালমা খাতুন বলেন, ‘জনবলের তুলনায় রোগীর চাপ বেশি হলে সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। রোগীর বেশি হওয়ায় মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
যশোর শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার মাস বয়সী এক শিশুর পিতা কামরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘জন্মের সময় আমার শিশুর ওজন কম ছিল। তাকে অনেক দিন এনআইসিইউতে রাখতে হয়েছিল। চার দিন হলো ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখানকার পরিবেশ ও চিকিৎসা ভালো। শিশু সুস্থতার দিকেই যাচ্ছে।’
যশোর শিশু হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৈয়দ নূর-ই-হামীম বলেন, শীতে ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। দুদিন হলো, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়েছে। হাসপাতালের ৫০ শয্যার একটিও খালি নেই। বহির্বিভাগেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হুসাইন সাফায়েত বলেন, শীত বাড়ছে। সেই সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগীও বাড়ছে। শিশু ওয়ার্ডে ২৪ সিটের বিপরীতে তিন-চার গুণ বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। জনবল ও অবকাঠামোর সংকট থাকলেও সেবা অব্যাহত আছে।

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সিরাজগঞ্জের তাঁত কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। চাহিদা-মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারখানার মালিকেরা ডিজেল-চালিত জেনারেটরের সাহায্যে পাওয়ার লুম ও তাঁত কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ডিজেলের দাম বাড়ায় কারখানা সচল রাখ
১৪ আগস্ট ২০২২
ডেমরার মিনি কক্সবাজার রোডের ধার্মিকপাড়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী গাড়ির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা দুই শিক্ষার্থী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
২৯ মিনিট আগে
ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে শিশু সাজিদের বাবা রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমি ফুটফুটে একটা সন্তান হারিয়েছি। আমার একটা কলিজা হারায় ফেলছি। গোটা পৃথিবী থাকলেও আমি আর এটা পাব না।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাড়ির সামনেই সাংবাদিকদের...
১ ঘণ্টা আগে
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার, যা শীতের দাপটকে...
১ ঘণ্টা আগে