শেরপুর ও নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বনে হাতিকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে, মানুষকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সে জন্য হাতি ও মানুষের সহাবস্থানই সমাধান। হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার কাজ করছে। এ জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’ আজ সোমবার সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রস্তাবিত দাওধারা পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘মানুষ হাতির আবাসস্থল দখল করে নিচ্ছে, ফলে হাতির খাবার কমে যাচ্ছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই সপ্তাহে ১২টি হাতি মারা গেছে। এটা কোনো স্বাভাবিক বিষয় নয়। এই সমস্যাটা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত হতে হতে চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। হাতি মারা যাক, এটা কাম্য নয়, আবার মানুষ মারা যাক, এটাও কাম্য নয়।’
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘বন ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য ইউক্যালিপটাসসহ বিদেশি গাছ না লাগিয়ে আমাদের হাতির খাবার উপযোগী দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগাতে হবে। সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, বরং সহায়ক। প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হলে আমরাও নিরাপদ থাকব না। বাণিজ্যিক গাছের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গাছ রোপণ করতে হবে।’
বন দখলের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বনে অবৈধভাবে যাঁরা থাকছেন, তাঁদের পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব সম্পৃক্ত। তাঁরা ওখান থেকে ভাড়া নেন। তাঁদের উচ্ছেদ করতে গেলে দরিদ্রদের বিরুদ্ধে সরকার দাঁড়িয়ে গেছে, এমন কথা হয়। বনে কোনো আশ্রয়ণ প্রকল্প করা যাবে না। আশ্রয়ণের জন্য সরকারের খাসজমি আছে। বন দখলের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। অনিয়ন্ত্রিত বালু ও পাথর উত্তোলন শুধু শেরপুরে নয়, সারা দেশের সমস্যা। বালু উত্তোলন অনিয়ন্ত্রিত হলে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এ জন্য ৬৪ জেলার ডিসি, এসপি ও ৮ বিভাগীয় কমিশনারকে ১০ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ বালুমহালে গিয়ে শুধু শ্রমিক ধরলে হবে না, উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের নাম আনতে হবে।
পরে পরিবেশ উপদেষ্টা নালিতাবাড়ীর মধুটিলা রেঞ্জের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাগান প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এরপর মধুটিলা ইকোপার্কে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় হাতির আক্রমণে নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারের মধ্যে ৩ লাখ টাকা করে ৬ লাখ টাকার চেক এবং হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ পরিবারকে ৩ লাখ ২৭ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের মধ্যে বাইনোকুলার, টর্চ লাইট, হ্যান্ডমাইক, হুইসেলসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

এদিকে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা দাওধারা পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে স্থানীয় লোকজন তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা উপদেষ্টার গাড়িবহর কিছুক্ষণ আটকে দেন। একপর্যায়ে গাড়িবহরের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন স্থানীয় ভূমি ও বালুদস্যুরা। এতে আহত হন অন্তত চার জন সাংবাদিক। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলসহ সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা এলাকায় বনের ভেতর পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগের ঘটনায় মুখোমুখি অবস্থানে স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ। বনের ভেতরে দাওধারায় ২২৩ একর জায়গা রয়েছে ১ নম্বর খতিয়ানের। সম্প্রতি বিস্তীর্ণ এই জায়গাজুড়ে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন। কাজ শুরুর পর বন্য হাতি সংরক্ষণ, সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধি ও বনাঞ্চল টিকিয়ে রাখার সুপারিশে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনে আপত্তি জানায় স্থানীয় বন বিভাগ।

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বনে হাতিকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে, মানুষকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সে জন্য হাতি ও মানুষের সহাবস্থানই সমাধান। হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার কাজ করছে। এ জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’ আজ সোমবার সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রস্তাবিত দাওধারা পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘মানুষ হাতির আবাসস্থল দখল করে নিচ্ছে, ফলে হাতির খাবার কমে যাচ্ছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই সপ্তাহে ১২টি হাতি মারা গেছে। এটা কোনো স্বাভাবিক বিষয় নয়। এই সমস্যাটা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত হতে হতে চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। হাতি মারা যাক, এটা কাম্য নয়, আবার মানুষ মারা যাক, এটাও কাম্য নয়।’
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘বন ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য ইউক্যালিপটাসসহ বিদেশি গাছ না লাগিয়ে আমাদের হাতির খাবার উপযোগী দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগাতে হবে। সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, বরং সহায়ক। প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হলে আমরাও নিরাপদ থাকব না। বাণিজ্যিক গাছের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গাছ রোপণ করতে হবে।’
বন দখলের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বনে অবৈধভাবে যাঁরা থাকছেন, তাঁদের পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব সম্পৃক্ত। তাঁরা ওখান থেকে ভাড়া নেন। তাঁদের উচ্ছেদ করতে গেলে দরিদ্রদের বিরুদ্ধে সরকার দাঁড়িয়ে গেছে, এমন কথা হয়। বনে কোনো আশ্রয়ণ প্রকল্প করা যাবে না। আশ্রয়ণের জন্য সরকারের খাসজমি আছে। বন দখলের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। অনিয়ন্ত্রিত বালু ও পাথর উত্তোলন শুধু শেরপুরে নয়, সারা দেশের সমস্যা। বালু উত্তোলন অনিয়ন্ত্রিত হলে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এ জন্য ৬৪ জেলার ডিসি, এসপি ও ৮ বিভাগীয় কমিশনারকে ১০ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ বালুমহালে গিয়ে শুধু শ্রমিক ধরলে হবে না, উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের নাম আনতে হবে।
পরে পরিবেশ উপদেষ্টা নালিতাবাড়ীর মধুটিলা রেঞ্জের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাগান প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এরপর মধুটিলা ইকোপার্কে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় হাতির আক্রমণে নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারের মধ্যে ৩ লাখ টাকা করে ৬ লাখ টাকার চেক এবং হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ পরিবারকে ৩ লাখ ২৭ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের মধ্যে বাইনোকুলার, টর্চ লাইট, হ্যান্ডমাইক, হুইসেলসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

এদিকে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা দাওধারা পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে স্থানীয় লোকজন তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা উপদেষ্টার গাড়িবহর কিছুক্ষণ আটকে দেন। একপর্যায়ে গাড়িবহরের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন স্থানীয় ভূমি ও বালুদস্যুরা। এতে আহত হন অন্তত চার জন সাংবাদিক। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলসহ সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা এলাকায় বনের ভেতর পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগের ঘটনায় মুখোমুখি অবস্থানে স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ। বনের ভেতরে দাওধারায় ২২৩ একর জায়গা রয়েছে ১ নম্বর খতিয়ানের। সম্প্রতি বিস্তীর্ণ এই জায়গাজুড়ে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন। কাজ শুরুর পর বন্য হাতি সংরক্ষণ, সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধি ও বনাঞ্চল টিকিয়ে রাখার সুপারিশে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনে আপত্তি জানায় স্থানীয় বন বিভাগ।
শেরপুর ও নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বনে হাতিকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে, মানুষকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সে জন্য হাতি ও মানুষের সহাবস্থানই সমাধান। হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার কাজ করছে। এ জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’ আজ সোমবার সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রস্তাবিত দাওধারা পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘মানুষ হাতির আবাসস্থল দখল করে নিচ্ছে, ফলে হাতির খাবার কমে যাচ্ছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই সপ্তাহে ১২টি হাতি মারা গেছে। এটা কোনো স্বাভাবিক বিষয় নয়। এই সমস্যাটা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত হতে হতে চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। হাতি মারা যাক, এটা কাম্য নয়, আবার মানুষ মারা যাক, এটাও কাম্য নয়।’
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘বন ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য ইউক্যালিপটাসসহ বিদেশি গাছ না লাগিয়ে আমাদের হাতির খাবার উপযোগী দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগাতে হবে। সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, বরং সহায়ক। প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হলে আমরাও নিরাপদ থাকব না। বাণিজ্যিক গাছের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গাছ রোপণ করতে হবে।’
বন দখলের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বনে অবৈধভাবে যাঁরা থাকছেন, তাঁদের পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব সম্পৃক্ত। তাঁরা ওখান থেকে ভাড়া নেন। তাঁদের উচ্ছেদ করতে গেলে দরিদ্রদের বিরুদ্ধে সরকার দাঁড়িয়ে গেছে, এমন কথা হয়। বনে কোনো আশ্রয়ণ প্রকল্প করা যাবে না। আশ্রয়ণের জন্য সরকারের খাসজমি আছে। বন দখলের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। অনিয়ন্ত্রিত বালু ও পাথর উত্তোলন শুধু শেরপুরে নয়, সারা দেশের সমস্যা। বালু উত্তোলন অনিয়ন্ত্রিত হলে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এ জন্য ৬৪ জেলার ডিসি, এসপি ও ৮ বিভাগীয় কমিশনারকে ১০ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ বালুমহালে গিয়ে শুধু শ্রমিক ধরলে হবে না, উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের নাম আনতে হবে।
পরে পরিবেশ উপদেষ্টা নালিতাবাড়ীর মধুটিলা রেঞ্জের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাগান প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এরপর মধুটিলা ইকোপার্কে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় হাতির আক্রমণে নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারের মধ্যে ৩ লাখ টাকা করে ৬ লাখ টাকার চেক এবং হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ পরিবারকে ৩ লাখ ২৭ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের মধ্যে বাইনোকুলার, টর্চ লাইট, হ্যান্ডমাইক, হুইসেলসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

এদিকে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা দাওধারা পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে স্থানীয় লোকজন তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা উপদেষ্টার গাড়িবহর কিছুক্ষণ আটকে দেন। একপর্যায়ে গাড়িবহরের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন স্থানীয় ভূমি ও বালুদস্যুরা। এতে আহত হন অন্তত চার জন সাংবাদিক। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলসহ সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা এলাকায় বনের ভেতর পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগের ঘটনায় মুখোমুখি অবস্থানে স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ। বনের ভেতরে দাওধারায় ২২৩ একর জায়গা রয়েছে ১ নম্বর খতিয়ানের। সম্প্রতি বিস্তীর্ণ এই জায়গাজুড়ে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন। কাজ শুরুর পর বন্য হাতি সংরক্ষণ, সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধি ও বনাঞ্চল টিকিয়ে রাখার সুপারিশে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনে আপত্তি জানায় স্থানীয় বন বিভাগ।

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বনে হাতিকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে, মানুষকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সে জন্য হাতি ও মানুষের সহাবস্থানই সমাধান। হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার কাজ করছে। এ জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’ আজ সোমবার সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রস্তাবিত দাওধারা পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘মানুষ হাতির আবাসস্থল দখল করে নিচ্ছে, ফলে হাতির খাবার কমে যাচ্ছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই সপ্তাহে ১২টি হাতি মারা গেছে। এটা কোনো স্বাভাবিক বিষয় নয়। এই সমস্যাটা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত হতে হতে চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। হাতি মারা যাক, এটা কাম্য নয়, আবার মানুষ মারা যাক, এটাও কাম্য নয়।’
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘বন ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য ইউক্যালিপটাসসহ বিদেশি গাছ না লাগিয়ে আমাদের হাতির খাবার উপযোগী দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগাতে হবে। সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ নয়, বরং সহায়ক। প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হলে আমরাও নিরাপদ থাকব না। বাণিজ্যিক গাছের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গাছ রোপণ করতে হবে।’
বন দখলের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বনে অবৈধভাবে যাঁরা থাকছেন, তাঁদের পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব সম্পৃক্ত। তাঁরা ওখান থেকে ভাড়া নেন। তাঁদের উচ্ছেদ করতে গেলে দরিদ্রদের বিরুদ্ধে সরকার দাঁড়িয়ে গেছে, এমন কথা হয়। বনে কোনো আশ্রয়ণ প্রকল্প করা যাবে না। আশ্রয়ণের জন্য সরকারের খাসজমি আছে। বন দখলের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা হবে। অনিয়ন্ত্রিত বালু ও পাথর উত্তোলন শুধু শেরপুরে নয়, সারা দেশের সমস্যা। বালু উত্তোলন অনিয়ন্ত্রিত হলে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এ জন্য ৬৪ জেলার ডিসি, এসপি ও ৮ বিভাগীয় কমিশনারকে ১০ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ বালুমহালে গিয়ে শুধু শ্রমিক ধরলে হবে না, উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের নাম আনতে হবে।
পরে পরিবেশ উপদেষ্টা নালিতাবাড়ীর মধুটিলা রেঞ্জের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাগান প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এরপর মধুটিলা ইকোপার্কে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় হাতির আক্রমণে নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারের মধ্যে ৩ লাখ টাকা করে ৬ লাখ টাকার চেক এবং হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ পরিবারকে ৩ লাখ ২৭ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের মধ্যে বাইনোকুলার, টর্চ লাইট, হ্যান্ডমাইক, হুইসেলসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

এদিকে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা দাওধারা পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে স্থানীয় লোকজন তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা উপদেষ্টার গাড়িবহর কিছুক্ষণ আটকে দেন। একপর্যায়ে গাড়িবহরের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন স্থানীয় ভূমি ও বালুদস্যুরা। এতে আহত হন অন্তত চার জন সাংবাদিক। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদলসহ সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা এলাকায় বনের ভেতর পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগের ঘটনায় মুখোমুখি অবস্থানে স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ। বনের ভেতরে দাওধারায় ২২৩ একর জায়গা রয়েছে ১ নম্বর খতিয়ানের। সম্প্রতি বিস্তীর্ণ এই জায়গাজুড়ে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন। কাজ শুরুর পর বন্য হাতি সংরক্ষণ, সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধি ও বনাঞ্চল টিকিয়ে রাখার সুপারিশে পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনে আপত্তি জানায় স্থানীয় বন বিভাগ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামুন বলেন, গৃহকর্মী আয়েশাকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বনে হাতিকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে, মানুষকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সে জন্য হাতি ও মানুষের সহাবস্থানই সমাধান। হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার কাজ করছে। এ জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’ আজ সোমবার সকালে শেরপুরের
২৬ মে ২০২৫
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তাঁরা করে থাকেন এই কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোরখোদকেরা কোনো পারিশ্রমিক নেন না। গ্রামের যে কেউ মারা যাক, নিজেদের ব্যস্ততা ফেলে তাঁরা ছুটে আসেন কবর খুঁড়তে। তাঁদের এই মানবিক কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গ্রামের লোকেরা দোয়া করেন—আল্লাহ যেন তাদের সুস্থ ও ভালো রাখেন।
দেবীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোরখোদক মজিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫৫ বছর ধরে কবর খুঁড়ছি। যত দিন সুস্থ থাকব, এই কাজ চালিয়ে যাব। আমাদের গ্রাম ছাড়াও অন্য গ্রাম থেকে কেউ ডাকলে সেখানেও যাই। ছোটবেলায় ওস্তাদের কাছে ডালি ধরেই শিখেছি। গরিব মানুষ, মাঠে কাজ করি; কিন্তু কেউ মারা গেলে দ্বিধা করি না—এই কাজ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।’
মজিরুল আরও জানান, এখন তিনি তরুণদেরও এই কাজ শেখাচ্ছেন।

গোরখোদক শাকের আলী বলেন, ‘আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করি। কখনো কোনো টাকা নিই না। যেখানেই থাকি, গ্রামের কারও মৃত্যুর সংবাদ শুনলে দ্রুত কবর খুঁড়তে চলে আসি।’
গোরখোদক ফুয়াদ হোসেন বলেন, ‘অন্য গ্রাম থেকে ডাক এলেও আমরা যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করি এই কাজ। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা শাজাহান আলী বলেন, ‘কবর খোঁড়া বড় দায়িত্বের কাজ। গ্রামের এসব মানুষ খবর পেলেই দৌড়ে আসে। আমরা তাদের জন্য দোয়া করি।’
মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোঁড়া নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। হাদিসে এসেছে—যাঁরা কবর খোঁড়েন, আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।’

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বনে হাতিকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে, মানুষকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সে জন্য হাতি ও মানুষের সহাবস্থানই সমাধান। হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার কাজ করছে। এ জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’ আজ সোমবার সকালে শেরপুরের
২৬ মে ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে ক্যাটেক্স ফ্যাশন ক্লোথিং লিমিটেড কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
কারখানার নারী শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, ‘অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। এক মাসের বেতন না পেলে আমাদের চলা খুবই কঠিন হয়। আমাদের নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়। আর সেখানে কারখানা কর্তৃপক্ষ দুই মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেছে। আজ সকালে শ্রমিকেরা জড়ো হলে তারা পালিয়ে যায়।’
মিন্টু নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই কারখানায় আমরা তিন বছর ধরে চাকরি করছি। আমাদের বেতনের বাইরে কোনো সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে না। তবু পেটের দায়ে চাকরি করি। দুই মাসের বেতন বকেয়া। আমাদের তো পেট আছে, সন্তান-সংসার আছে। এক মাস দোকান বাকি পরিশোধ করতে না পারলে পরের মাসে আর দোকানি বাকি দেয় না। আমরা কী অবস্থায় আছি, একবার ভাবুন। বেতন পরিশোধ না করে তারা পালিয়ে গেছে।’

মেহেদী হাসান বলেন, ‘এত দিন ধরে ঋণ করে বলে-কয়ে দোকান থেকে বাকি নিয়ে চলছি। আর পারছি না। এখন দোকান বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন নিয়ে কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিছে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন পরিশোধ করেনি। শেষে আজ বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু তারা কারখানা ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।’
কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. বুলবুল হাসান বলেন, ‘ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আশা করি, আজকের মধ্যে নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারব।’ বিনা নোটিশে কারখানার ফটক কেন তালাবদ্ধ? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি বলতে পারব না।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বনে হাতিকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে, মানুষকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সে জন্য হাতি ও মানুষের সহাবস্থানই সমাধান। হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার কাজ করছে। এ জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’ আজ সোমবার সকালে শেরপুরের
২৬ মে ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর হওয়া মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ইসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫), সলিমুদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে তাঁরা ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁরা সেখানে প্রায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবির দায়িত্বে থাকা এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘বনে হাতিকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে, মানুষকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সে জন্য হাতি ও মানুষের সহাবস্থানই সমাধান। হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার কাজ করছে। এ জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’ আজ সোমবার সকালে শেরপুরের
২৬ মে ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
জীবন আছে যার, তার মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর। মৃতদেহ গোসল করিয়ে কাফন পরানো হয়, জানাজা শেষে তাকে শায়িত করা হয় চিরনিদ্রার ঘরে। এই কবর খোঁড়ার দায়িত্বটি গ্রামের কিছু মানুষ বহু বছর ধরে স্বেচ্ছায়, বিনা পারিশ্রমিকে পালন করে আসছেন, যাঁরা সবার কাছে ‘গোরখোদক’ নামে পরিচিত। আল্লাহর
১ ঘণ্টা আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে সটকে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্প ও থানা-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের সাইটালিয়া গ্রামে
২ ঘণ্টা আগে