শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে দুটি গরুর ঢুকে পড়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাত থেকে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রাতে এক সেবাপ্রার্থী হাসপাতালের ভেতরে গরু দুটিকে দেখতে পান। পরে তিনি গরুর ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করলে মুহূর্তেই সেটি ছড়িয়ে পড়ে।
ওই পোস্টে রবিউল আলম টুকু নামের এক শিক্ষক মন্তব্যে লেখেন, ‘বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠান, ভাই। দিনে হাসপাতাল, রাতে গরুর গোয়াল অথবা দিনে মানুষের চিকিৎসা দেয়, রাতে গরুদের। আরও কিছু সেবামূলক কাজ হয় কিনা কে জানে?’
মো. রুবেল মিয়া নামের একজন লিখেছেন, ‘গরুগুলো হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাই ওরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসছে। এতে নিন্দা করার কি আছে।’
মানিকুর রহমান পাভেল লিখেছেন, ‘হাসপাতাল আর হাসপাতাল নেই এটা গরুর গোয়ালঘর হয়ে গেছে।’
রহমান মোস্তাফিজ বাবু লিখেছেন, ‘যত দিন না সাধারণ মানুষ এসবের বিরুদ্ধে একসঙ্গে আওয়াজ তুলবে, তত দিন এসব অনিয়ম চলতেই থাকবে।’ সাইর উদ্দিন মল্লিক লিখেছেন, ‘এখানে কোন চিকিৎসা হয় না। হালকা জ্বর থাকলেও রোগী ময়মনসিংহ পাঠিয়ে দেয়। এর একটা প্রতিকার হওয়া দরকার।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখ্য সংগঠক মোর্শেদ জিতু তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘গত রাতে হাসপাতালে গরু চলাচল করেছে-এটা নতুন কিছু না। হাসপাতালের দুর্নীতি, অনিয়ম, দালাল নির্মূল করতে না পারায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।’
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রক্তসৈনিকের পরিচালক মো. আল-আমিন রাজু জানান, জেলার মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল হওয়ার কথা ছিল এই হাসপাতাল, সেটি না হয়ে ভোগান্তির আরেক নাম যেন শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালের সেবার মান উন্নত ও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানান তিনি।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আজকের তারুণ্যের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রবিউল ইসলাম রতন বলেন, ‘দায়িত্বহীনতার অভাবেই শেরপুর জেলা হাসপাতালের এই করুণ অবস্থা। তত্ত্বাবধায়ক সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এই অবস্থায় যেত না। আমরা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কাজ করে আসছি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো ইচ্ছাই নেই ভালো কিছু করার।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে গরু পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব আমার না।’ এ কথা বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।
তবে শেরপুরের সিভিল সার্জন মুহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘আমি ঘটনাটি জানার পরপরই হাসপাতালে পরিদর্শন করেছি। গেটে দায়িত্বে থাকা আনসারদের অবহেলার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
মুহাম্মদ শাহীন আরও বলেন, সেলিম মিঞার আচরণ দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
শেরপুরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে দুটি গরুর ঢুকে পড়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাত থেকে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রাতে এক সেবাপ্রার্থী হাসপাতালের ভেতরে গরু দুটিকে দেখতে পান। পরে তিনি গরুর ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করলে মুহূর্তেই সেটি ছড়িয়ে পড়ে।
ওই পোস্টে রবিউল আলম টুকু নামের এক শিক্ষক মন্তব্যে লেখেন, ‘বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠান, ভাই। দিনে হাসপাতাল, রাতে গরুর গোয়াল অথবা দিনে মানুষের চিকিৎসা দেয়, রাতে গরুদের। আরও কিছু সেবামূলক কাজ হয় কিনা কে জানে?’
মো. রুবেল মিয়া নামের একজন লিখেছেন, ‘গরুগুলো হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাই ওরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসছে। এতে নিন্দা করার কি আছে।’
মানিকুর রহমান পাভেল লিখেছেন, ‘হাসপাতাল আর হাসপাতাল নেই এটা গরুর গোয়ালঘর হয়ে গেছে।’
রহমান মোস্তাফিজ বাবু লিখেছেন, ‘যত দিন না সাধারণ মানুষ এসবের বিরুদ্ধে একসঙ্গে আওয়াজ তুলবে, তত দিন এসব অনিয়ম চলতেই থাকবে।’ সাইর উদ্দিন মল্লিক লিখেছেন, ‘এখানে কোন চিকিৎসা হয় না। হালকা জ্বর থাকলেও রোগী ময়মনসিংহ পাঠিয়ে দেয়। এর একটা প্রতিকার হওয়া দরকার।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখ্য সংগঠক মোর্শেদ জিতু তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘গত রাতে হাসপাতালে গরু চলাচল করেছে-এটা নতুন কিছু না। হাসপাতালের দুর্নীতি, অনিয়ম, দালাল নির্মূল করতে না পারায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।’
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রক্তসৈনিকের পরিচালক মো. আল-আমিন রাজু জানান, জেলার মানুষের চিকিৎসার ভরসাস্থল হওয়ার কথা ছিল এই হাসপাতাল, সেটি না হয়ে ভোগান্তির আরেক নাম যেন শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল। দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালের সেবার মান উন্নত ও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানান তিনি।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আজকের তারুণ্যের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রবিউল ইসলাম রতন বলেন, ‘দায়িত্বহীনতার অভাবেই শেরপুর জেলা হাসপাতালের এই করুণ অবস্থা। তত্ত্বাবধায়ক সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এই অবস্থায় যেত না। আমরা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কাজ করে আসছি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো ইচ্ছাই নেই ভালো কিছু করার।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে গরু পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব আমার না।’ এ কথা বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।
তবে শেরপুরের সিভিল সার্জন মুহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘আমি ঘটনাটি জানার পরপরই হাসপাতালে পরিদর্শন করেছি। গেটে দায়িত্বে থাকা আনসারদের অবহেলার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
মুহাম্মদ শাহীন আরও বলেন, সেলিম মিঞার আচরণ দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শুধু বিষাক্ত গ্যাসে নয়, আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণেও তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
১ ঘণ্টা আগেফারহানা জাহাঙ্গীরনগর বিশবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি মেহেরপুর শহরের পেয়াদাপাড়ায়। নিহত শিক্ষার্থীর স্বামী রাইহানুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে শহরের পেয়াদাপাড়া থেকে স্ত্রী ফারহানাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে শ্বশুরবাড়ি রামদাসপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেমাত্র ১৫ দিনের চাকরি। সংসারের হাল ধরতে চাওয়া তরুণী নারগিস আক্তারের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেল! পোড়া শরীর এতটাই বিকৃত যে মুখ দেখে কেউ চিনতে পারেননি। কিন্তু বাবা কখনো সন্তানকে চিনতে ভুল করেন না! পায়ের নূপুর দেখে মেয়ের লাশ শনাক্ত করলেন মো. ওয়ালিউল্লাহ।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি রাসায়নিক গুদামে লাগা ভয়াবহ আগুনে পুড়ে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। টিনশেড দোতলা গুদামটিতে আগুন লাগার পর তা বিস্ফোরিত হয়ে পাশের একটি চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
২ ঘণ্টা আগে