Ajker Patrika

ছেলের দায়ের কোপে আ.লীগ নেতা খুন, মাঠে মিলল সেই ছেলের লাশ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, ১৩: ২০
নিহত মকবুল হোসেন মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত
নিহত মকবুল হোসেন মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ছেলের দায়ের কোপে এক আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার কিছু সময় পর অভিযুক্ত ছেলের লাশ পাওয়া যায় বাড়ির পাশের মাঠে। তবে তাঁর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।

গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের চেরাগ আলী নেপারীকান্দী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মকবুল হোসেন মোল্লা (৬৫) ওই গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তাঁর ছেলের নাম রুবেল মোল্লা (৩৫)। রুবেল দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া থেকে আড়াই বছর আগে দেশে ফিরে পরিবহন ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, রুবেল ছোট থাকতে তাঁর মা মারা যান। এরপর বাবা মকবুল দ্বিতীয় বিয়ে করেন। রুবেল মালয়েশিয়া থেকে এসে বাবার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পৈতৃক জমিতে নতুন বাড়ি করেন। সেখানে বিভিন্ন ফলের গাছ রোপণ করেছিলেন বাবা মকবুল।

রোববার দুপুরে সেই গাছ কেটে ফেলেন রুবেল। মকবুল তা জানতে পেরে সন্ধ্যায় ছেলের বাড়িতে গিয়ে এ বিষয়ে কৈফিয়ত চান। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রুবেল ধারালো দা দিয়ে মকবুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে রুবেল দৌড়ে পালিয়ে যান।

স্থানীয় বাসিন্দারা পরে মকবুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী রুবেলকে গ্রামের ফসলের মাঠে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে ছেলে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে ছেলের লাশও ফসলের মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বাবাকে কুপিয়ে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে ছেলের মৃত্যু হয়েছে। দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য এগুলো শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনা ও কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণ ১৩ নভেম্বর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের দেড় মাস পর ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসন।

সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার এবং ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর অ্যাজেন্ডা রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন শেষে বৃহস্পতিবার তা সার্কুলেশন হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শাহারিয়ার শাওন এবং অ্যাকাউন্টিং বিভাগের তরিকুল ইসলাম নয়ন।

এর মধ্যে শাওন শেখ ও সাজ্জাদ হোসেনকে ছয় মাস বা এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, তরিকুল ইসলাম নয়নকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শাহারিয়ার শাওনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া মার্কেটিং বিভাগের ১০ জন এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অভিভাবকসহ আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্টরের কাছে হাজির হয়ে মুচলেকা জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রক্টর ড. রাহাত বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এ সংঘর্ষ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষের পর বিষয়টি সিন্ডিকেট পর্যন্ত গড়ায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনা ও কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণ ১৩ নভেম্বর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজিবির ‘মেঘলা’ ধরে ফেলল ২০ লিটার চোলাই মদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় ইজিবাইকে ২০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ শনাক্ত করে বিজিবির কুকুর ‘মেঘলা’। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় ইজিবাইকে ২০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ শনাক্ত করে বিজিবির কুকুর ‘মেঘলা’। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) প্রশিক্ষিত কে-নাইন কুকুর ‘মেঘলা’র সূক্ষ্ম ঘ্রাণশক্তি ও দক্ষতায় আবারও ধরা পড়ল মাদক পাচার চক্র। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) দমদমিয়া চেকপোস্টে নিয়মিত তল্লাশির সময় হোয়াইক্যং থেকে টেকনাফগামী একটি ইজিবাইক থেকে ২০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ উদ্ধার ও দুই পাচারকারীকে আটক করে।

বিজিবি জানায়, তল্লাশির একপর্যায়ে কুকুর মেঘলা ইজিবাইকের যাত্রী ও যানটির নিচের অংশে মাদকের উপস্থিতির ইঙ্গিত দেয়। এরপর বিজিবি সদস্যরা বাইকের পেছনের সিটের নিচে বিশেষভাবে লুকানো পানির বোতলের ভেতর থেকে চোলাই মদ উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলেই মদ বহনকারী মো. আবুল হাশেম (৩৬) ও তাঁর সহযোগী ইজিবাইকচালক মো. কালা মিয়াকে (৩২) আটক করা হয়।

আটক দুজনের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায়। জব্দকৃত মদ, ইজিবাইক এবং আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘ডগ মেঘলা নিয়মিত অভিযানগুলোতে আমাদের চোখের আড়ালে থাকা মাদক খুঁজে বের করতে অসাধারণ ভূমিকা রাখছে। সীমান্তে মাদক পাচার রোধে এই প্রশিক্ষিত কুকুরের ভূমিকা এখন বিজিবির বড় শক্তি।’

দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে বিজিবি সদস্যদের পাশাপাশি মেঘলার মতো কে-নাইন টিমও প্রতিনিয়ত অবদান রাখছে বলে বিজিবি জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনা ও কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণ ১৩ নভেম্বর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সবার সহযোগিতা ছাড়া কর্ণফুলীর যানজট নিরসন সম্ভব নয়: সিএমপি উপকমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
‘কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকার যানজট নিরসনে করণীয় শীর্ষক’ গোলটেবিল আলোচনায় অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকার যানজট নিরসনে করণীয় শীর্ষক’ গোলটেবিল আলোচনায় অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কর্ণফুলী সেতু এলাকার যানজট নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উপকমিশনার নেছার আহমেদ বলেছেন, ‘যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। কারণ এটা আমাদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার মিলিত সহযোগিতা ছাড়া যানজট নিরসন সম্ভব নয়।’

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত ‘কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকার যানজট নিরসনে করণীয় শীর্ষক’ গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

এই বিষয়ে কর্ণফুলী সেতুর টোল ম্যানেজার কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের টোল গ্রহণের ১০টি বুথ রয়েছে। আরও বুথ বাড়ানো ও টোল আদায় প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করলে এতে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’

মাল্টি পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সেক্রেটারি জসিম উদদীন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনা ও কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণ ১৩ নভেম্বর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোম্পানির প্রোপাগান্ডায় বাধাগ্রস্ত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন’ সংশোধনের উদ্যোগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর (বিইআর) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ও কর বৃদ্ধিতে কোম্পানির প্রোপাগান্ডা মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি:  আজকের পত্রিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর (বিইআর) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ও কর বৃদ্ধিতে কোম্পানির প্রোপাগান্ডা মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের ব্যবহার কমাতে সরকার বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রাখতে প্রতিবছর সরকার মূল্য ও করহার বৃদ্ধি করে আসছে। কিন্তু এসব উদ্যোগ ঠেকাতে তামাক কোম্পানিগুলো মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর (বিইআর) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ও কর বৃদ্ধিতে কোম্পানির প্রোপাগান্ডা মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। কর্মশালার আয়োজন করে বিইআর ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)।

বিইআরের প্রকল্প পরিচালক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো চোরাচালানের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে মূল্য ও করহার বৃদ্ধির উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। প্রতিবছর বাজেটের আগে আগে গণমাধ্যমে হঠাৎ চোরাচালানের খবর বেড়ে যায়, যা আসলে সাজানো ও বিভ্রান্তিকর।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সিগারেটের দাম প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। তাই চোরাচালানের গল্পের কোনো ভিত্তি নেই। বরং গত ১৫ বছরে রাজস্ব আয় নিয়মিতভাবে বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সিগারেট থেকে রাজস্ব আয় ছিল ৫ হাজার ১২২ কোটি টাকা, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৭৭ কোটি টাকায়। অর্থাৎ তামাক আইন শক্তিশালী হওয়ার পরও রাজস্ব কখনো কমেনি।

প্যানেল আলোচক ও তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক সুশান্ত সিনহা বলেন, বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে পরিচালন ব্যয় বেশি দেখিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। তারা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করে প্রতিবছর প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে, অথচ তারাই রাজস্ব ক্ষতির ভয় দেখিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রচলিত বহু স্তরভিত্তিক অ্যাডভেলরেম কর কাঠামো রাজস্ব ফাঁকি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। রাজস্ব বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এখনই সুনির্দিষ্ট কর কাঠামো চালু করতে হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতি শলাকা সিগারেটে এক টাকা হারে সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করলে প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব আয় ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।

বক্তারা আরও বলেন, সরকারের উচিত তামাক কোম্পানির মিথ্যা তথ্য আমলে না নিয়ে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন, একটি পূর্ণাঙ্গ তামাক করনীতি প্রণয়ন এবং কোম্পানিগুলোর অবৈধ হস্তক্ষেপ ও আইন অমান্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইআরের সিনিয়র প্রজেক্ট ও কমিউনিকেশন অফিসার ইব্রাহীম খলিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনা ও কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণ ১৩ নভেম্বর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত