আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় নদীতে চিংড়ির পোনা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আয়-রোজগার খুব কম হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন তাঁরা। তবে আইননিষিদ্ধ এ পেশা ত্যাগ করে বিকল্প কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও সাতক্ষীরা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতী নদীতে মাছের পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন জেলার আশাশুনি, শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। তবে নদীতে ভেসে আসা রেণু পোনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ আইনত নিষিদ্ধ। ঘন জাল দিয়ে মাছের পোনা ধরায় জলজ প্রাণীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জালে ধরা পড়ে বহু প্রজাতির পোনা। তা থেকে বেছে নেওয়া হয় চিংড়ি পোনা। এতে ভারসাম্য নষ্ট হয় অন্যান্য জলজ প্রাণীর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জোয়ারের সময় সাতক্ষীরার সবচেয়ে বড় তিন নদী কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতীতে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা ধরতে নেমে যান অসংখ্য নারী-পুরুষ। আর পোনা ধরতে তাঁরা ব্যবহার করেন নেট দিয়ে তৈরি করা এক বিশেষ ধরনের জাল। জালে আটকা পড়া ক্ষুদ্রাকৃতির গলদা ও বাগদা চিংড়ির পোনা তুলে গামলায় রাখেন। পরে ক্রেতাদের কাছে প্রতিটি ৪-৫ টাকা দরে বিক্রি করেন।
পোনা ধরা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছের পোনায় ব্যাপক উপকৃত হয়ে থাকেন মাছচাষিরা। তবে সামান্য আয়ে চলে না পোনা সংগ্রহকারীদের জীবন। দীর্ঘদিনের পেশা ছেড়ে বিকল্প কর্মসংস্থানেও যাওয়া হয় না তাঁদের। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে তাই অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তাঁদের।
আশাশুনির প্রতাপনগর এলাকার বাসিন্দা আজমল হুদা বলেন, ‘আমার বয়স ৬৬ বছর। আমি ৪০ বছর মাছ ধরছি। আগে মাছ পড়ত বেশি, এখন পড়ে কম। সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করত, তবে আমরা চলতে পারতাম।’
দেবহাটার ইছামতী নদীতে মাছ ধরতে আসা নারী সখিনা খাতুন বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মাছ ধরি। প্রতিটি ৪-৫ টাকা করে ক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়। এতে আমার ১০০ টাকার মতো আয় হয়। আবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধরি। এতে আমাদের সংসার কোনো রকমে চলে।’ আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীতে মাছ ধরতে আসা হরপ্রসাদ রায় বলেন, ‘আগে গোনে (অমাবস্যা-পূর্ণিমা) প্রচুর মাছ পেতাম। এখন গোন এলে ৫ দিনের জায়গায় ২-৩ দিন পাই। যা পাই, তাতে কোনো রকমে চলে।’
হতদরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে সরকারের। তবে সাতক্ষীরার এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাঁদের দাবি সরকারি সহযোগিতার। এ বিষয়ে আশাশুনির দৃষ্টিনন্দন এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গফুর বলেন, ‘৪-৫ বছর আগে একটা কার্ড পেয়েছিলাম। পরে আর খোঁজ নেই। খুবই কষ্টের মধ্যে চলে। পুরো বয়সটা তো নদীতে কাটালাম। এখন প্রতিদিন পোনা বেচে শখানেক টাকা হয়, তা দিয়েই চলতে হয়।’
বাগদা ও গলদা পোনায় ব্যাপক উপকৃত হন মাছচাষিরা। এ প্রসঙ্গে আশাশুনির খাজরা এলাকার মাছচাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘নদী থেকে আহরিত পোনা খুবই পুষ্ট ও মানসম্মত। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে মাঝেমধ্যে পোনাসংকট দেখা দেয়। তখন আমাদের ভরসা নদী থেকে সংগৃহীত পোনা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা জলবায়ু পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, ‘চিংড়ির পোনা প্রাকৃতিক উৎস থেকে ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কারণ একটি চিংড়ি পোনা ধরতে গিয়ে ৪০ ধরনের জলজ পোনা ধরা পড়ে। তবে আইন করে এসব গরিব মানুষের পেটে মারা ঠিক হবে না। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে জোর দিতে হবে।’
মাছ ধরা এসব মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা মৎস্য অফিসার জি এম সেলিম। তিনি বলেন, ‘জেলার বহু মানুষ নদীতে পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। আমরা মাঝেমধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। তবে তাঁদের জন্য যে কাজটা করতে হবে, সেটা হলো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনেকগুলো সাপোর্টিং প্রোগ্রাম রয়েছে। এ বিষয়ে আমরাও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বলি, এই মানুষদের যদি সেফটি নেটের মধ্যে আনা যায়, তবে তাঁরাও উপকৃত হবেন। অন্যদিকে মাছের যে প্রাকৃতিক উৎস, সেগুলোও নিরাপদ থাকবে।’

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় নদীতে চিংড়ির পোনা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আয়-রোজগার খুব কম হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন তাঁরা। তবে আইননিষিদ্ধ এ পেশা ত্যাগ করে বিকল্প কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও সাতক্ষীরা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতী নদীতে মাছের পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন জেলার আশাশুনি, শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। তবে নদীতে ভেসে আসা রেণু পোনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ আইনত নিষিদ্ধ। ঘন জাল দিয়ে মাছের পোনা ধরায় জলজ প্রাণীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জালে ধরা পড়ে বহু প্রজাতির পোনা। তা থেকে বেছে নেওয়া হয় চিংড়ি পোনা। এতে ভারসাম্য নষ্ট হয় অন্যান্য জলজ প্রাণীর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জোয়ারের সময় সাতক্ষীরার সবচেয়ে বড় তিন নদী কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতীতে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা ধরতে নেমে যান অসংখ্য নারী-পুরুষ। আর পোনা ধরতে তাঁরা ব্যবহার করেন নেট দিয়ে তৈরি করা এক বিশেষ ধরনের জাল। জালে আটকা পড়া ক্ষুদ্রাকৃতির গলদা ও বাগদা চিংড়ির পোনা তুলে গামলায় রাখেন। পরে ক্রেতাদের কাছে প্রতিটি ৪-৫ টাকা দরে বিক্রি করেন।
পোনা ধরা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছের পোনায় ব্যাপক উপকৃত হয়ে থাকেন মাছচাষিরা। তবে সামান্য আয়ে চলে না পোনা সংগ্রহকারীদের জীবন। দীর্ঘদিনের পেশা ছেড়ে বিকল্প কর্মসংস্থানেও যাওয়া হয় না তাঁদের। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে তাই অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তাঁদের।
আশাশুনির প্রতাপনগর এলাকার বাসিন্দা আজমল হুদা বলেন, ‘আমার বয়স ৬৬ বছর। আমি ৪০ বছর মাছ ধরছি। আগে মাছ পড়ত বেশি, এখন পড়ে কম। সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করত, তবে আমরা চলতে পারতাম।’
দেবহাটার ইছামতী নদীতে মাছ ধরতে আসা নারী সখিনা খাতুন বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মাছ ধরি। প্রতিটি ৪-৫ টাকা করে ক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়। এতে আমার ১০০ টাকার মতো আয় হয়। আবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধরি। এতে আমাদের সংসার কোনো রকমে চলে।’ আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীতে মাছ ধরতে আসা হরপ্রসাদ রায় বলেন, ‘আগে গোনে (অমাবস্যা-পূর্ণিমা) প্রচুর মাছ পেতাম। এখন গোন এলে ৫ দিনের জায়গায় ২-৩ দিন পাই। যা পাই, তাতে কোনো রকমে চলে।’
হতদরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে সরকারের। তবে সাতক্ষীরার এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাঁদের দাবি সরকারি সহযোগিতার। এ বিষয়ে আশাশুনির দৃষ্টিনন্দন এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গফুর বলেন, ‘৪-৫ বছর আগে একটা কার্ড পেয়েছিলাম। পরে আর খোঁজ নেই। খুবই কষ্টের মধ্যে চলে। পুরো বয়সটা তো নদীতে কাটালাম। এখন প্রতিদিন পোনা বেচে শখানেক টাকা হয়, তা দিয়েই চলতে হয়।’
বাগদা ও গলদা পোনায় ব্যাপক উপকৃত হন মাছচাষিরা। এ প্রসঙ্গে আশাশুনির খাজরা এলাকার মাছচাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘নদী থেকে আহরিত পোনা খুবই পুষ্ট ও মানসম্মত। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে মাঝেমধ্যে পোনাসংকট দেখা দেয়। তখন আমাদের ভরসা নদী থেকে সংগৃহীত পোনা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা জলবায়ু পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, ‘চিংড়ির পোনা প্রাকৃতিক উৎস থেকে ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কারণ একটি চিংড়ি পোনা ধরতে গিয়ে ৪০ ধরনের জলজ পোনা ধরা পড়ে। তবে আইন করে এসব গরিব মানুষের পেটে মারা ঠিক হবে না। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে জোর দিতে হবে।’
মাছ ধরা এসব মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা মৎস্য অফিসার জি এম সেলিম। তিনি বলেন, ‘জেলার বহু মানুষ নদীতে পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। আমরা মাঝেমধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। তবে তাঁদের জন্য যে কাজটা করতে হবে, সেটা হলো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনেকগুলো সাপোর্টিং প্রোগ্রাম রয়েছে। এ বিষয়ে আমরাও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বলি, এই মানুষদের যদি সেফটি নেটের মধ্যে আনা যায়, তবে তাঁরাও উপকৃত হবেন। অন্যদিকে মাছের যে প্রাকৃতিক উৎস, সেগুলোও নিরাপদ থাকবে।’
আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় নদীতে চিংড়ির পোনা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আয়-রোজগার খুব কম হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন তাঁরা। তবে আইননিষিদ্ধ এ পেশা ত্যাগ করে বিকল্প কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও সাতক্ষীরা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতী নদীতে মাছের পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন জেলার আশাশুনি, শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। তবে নদীতে ভেসে আসা রেণু পোনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ আইনত নিষিদ্ধ। ঘন জাল দিয়ে মাছের পোনা ধরায় জলজ প্রাণীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জালে ধরা পড়ে বহু প্রজাতির পোনা। তা থেকে বেছে নেওয়া হয় চিংড়ি পোনা। এতে ভারসাম্য নষ্ট হয় অন্যান্য জলজ প্রাণীর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জোয়ারের সময় সাতক্ষীরার সবচেয়ে বড় তিন নদী কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতীতে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা ধরতে নেমে যান অসংখ্য নারী-পুরুষ। আর পোনা ধরতে তাঁরা ব্যবহার করেন নেট দিয়ে তৈরি করা এক বিশেষ ধরনের জাল। জালে আটকা পড়া ক্ষুদ্রাকৃতির গলদা ও বাগদা চিংড়ির পোনা তুলে গামলায় রাখেন। পরে ক্রেতাদের কাছে প্রতিটি ৪-৫ টাকা দরে বিক্রি করেন।
পোনা ধরা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছের পোনায় ব্যাপক উপকৃত হয়ে থাকেন মাছচাষিরা। তবে সামান্য আয়ে চলে না পোনা সংগ্রহকারীদের জীবন। দীর্ঘদিনের পেশা ছেড়ে বিকল্প কর্মসংস্থানেও যাওয়া হয় না তাঁদের। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে তাই অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তাঁদের।
আশাশুনির প্রতাপনগর এলাকার বাসিন্দা আজমল হুদা বলেন, ‘আমার বয়স ৬৬ বছর। আমি ৪০ বছর মাছ ধরছি। আগে মাছ পড়ত বেশি, এখন পড়ে কম। সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করত, তবে আমরা চলতে পারতাম।’
দেবহাটার ইছামতী নদীতে মাছ ধরতে আসা নারী সখিনা খাতুন বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মাছ ধরি। প্রতিটি ৪-৫ টাকা করে ক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়। এতে আমার ১০০ টাকার মতো আয় হয়। আবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধরি। এতে আমাদের সংসার কোনো রকমে চলে।’ আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীতে মাছ ধরতে আসা হরপ্রসাদ রায় বলেন, ‘আগে গোনে (অমাবস্যা-পূর্ণিমা) প্রচুর মাছ পেতাম। এখন গোন এলে ৫ দিনের জায়গায় ২-৩ দিন পাই। যা পাই, তাতে কোনো রকমে চলে।’
হতদরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে সরকারের। তবে সাতক্ষীরার এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাঁদের দাবি সরকারি সহযোগিতার। এ বিষয়ে আশাশুনির দৃষ্টিনন্দন এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গফুর বলেন, ‘৪-৫ বছর আগে একটা কার্ড পেয়েছিলাম। পরে আর খোঁজ নেই। খুবই কষ্টের মধ্যে চলে। পুরো বয়সটা তো নদীতে কাটালাম। এখন প্রতিদিন পোনা বেচে শখানেক টাকা হয়, তা দিয়েই চলতে হয়।’
বাগদা ও গলদা পোনায় ব্যাপক উপকৃত হন মাছচাষিরা। এ প্রসঙ্গে আশাশুনির খাজরা এলাকার মাছচাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘নদী থেকে আহরিত পোনা খুবই পুষ্ট ও মানসম্মত। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে মাঝেমধ্যে পোনাসংকট দেখা দেয়। তখন আমাদের ভরসা নদী থেকে সংগৃহীত পোনা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা জলবায়ু পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, ‘চিংড়ির পোনা প্রাকৃতিক উৎস থেকে ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কারণ একটি চিংড়ি পোনা ধরতে গিয়ে ৪০ ধরনের জলজ পোনা ধরা পড়ে। তবে আইন করে এসব গরিব মানুষের পেটে মারা ঠিক হবে না। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে জোর দিতে হবে।’
মাছ ধরা এসব মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা মৎস্য অফিসার জি এম সেলিম। তিনি বলেন, ‘জেলার বহু মানুষ নদীতে পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। আমরা মাঝেমধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। তবে তাঁদের জন্য যে কাজটা করতে হবে, সেটা হলো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনেকগুলো সাপোর্টিং প্রোগ্রাম রয়েছে। এ বিষয়ে আমরাও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বলি, এই মানুষদের যদি সেফটি নেটের মধ্যে আনা যায়, তবে তাঁরাও উপকৃত হবেন। অন্যদিকে মাছের যে প্রাকৃতিক উৎস, সেগুলোও নিরাপদ থাকবে।’

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় নদীতে চিংড়ির পোনা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আয়-রোজগার খুব কম হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন তাঁরা। তবে আইননিষিদ্ধ এ পেশা ত্যাগ করে বিকল্প কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলেও সাতক্ষীরা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতী নদীতে মাছের পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন জেলার আশাশুনি, শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। তবে নদীতে ভেসে আসা রেণু পোনা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ আইনত নিষিদ্ধ। ঘন জাল দিয়ে মাছের পোনা ধরায় জলজ প্রাণীর ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জালে ধরা পড়ে বহু প্রজাতির পোনা। তা থেকে বেছে নেওয়া হয় চিংড়ি পোনা। এতে ভারসাম্য নষ্ট হয় অন্যান্য জলজ প্রাণীর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জোয়ারের সময় সাতক্ষীরার সবচেয়ে বড় তিন নদী কপোতাক্ষ, খোলপেটুয়া ও ইছামতীতে বাগদা ও গলদা চিংড়ির পোনা ধরতে নেমে যান অসংখ্য নারী-পুরুষ। আর পোনা ধরতে তাঁরা ব্যবহার করেন নেট দিয়ে তৈরি করা এক বিশেষ ধরনের জাল। জালে আটকা পড়া ক্ষুদ্রাকৃতির গলদা ও বাগদা চিংড়ির পোনা তুলে গামলায় রাখেন। পরে ক্রেতাদের কাছে প্রতিটি ৪-৫ টাকা দরে বিক্রি করেন।
পোনা ধরা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছের পোনায় ব্যাপক উপকৃত হয়ে থাকেন মাছচাষিরা। তবে সামান্য আয়ে চলে না পোনা সংগ্রহকারীদের জীবন। দীর্ঘদিনের পেশা ছেড়ে বিকল্প কর্মসংস্থানেও যাওয়া হয় না তাঁদের। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে তাই অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তাঁদের।
আশাশুনির প্রতাপনগর এলাকার বাসিন্দা আজমল হুদা বলেন, ‘আমার বয়স ৬৬ বছর। আমি ৪০ বছর মাছ ধরছি। আগে মাছ পড়ত বেশি, এখন পড়ে কম। সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করত, তবে আমরা চলতে পারতাম।’
দেবহাটার ইছামতী নদীতে মাছ ধরতে আসা নারী সখিনা খাতুন বলেন, ‘সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মাছ ধরি। প্রতিটি ৪-৫ টাকা করে ক্রেতারা কিনে নিয়ে যায়। এতে আমার ১০০ টাকার মতো আয় হয়। আবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধরি। এতে আমাদের সংসার কোনো রকমে চলে।’ আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীতে মাছ ধরতে আসা হরপ্রসাদ রায় বলেন, ‘আগে গোনে (অমাবস্যা-পূর্ণিমা) প্রচুর মাছ পেতাম। এখন গোন এলে ৫ দিনের জায়গায় ২-৩ দিন পাই। যা পাই, তাতে কোনো রকমে চলে।’
হতদরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে সরকারের। তবে সাতক্ষীরার এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠী সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাঁদের দাবি সরকারি সহযোগিতার। এ বিষয়ে আশাশুনির দৃষ্টিনন্দন এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গফুর বলেন, ‘৪-৫ বছর আগে একটা কার্ড পেয়েছিলাম। পরে আর খোঁজ নেই। খুবই কষ্টের মধ্যে চলে। পুরো বয়সটা তো নদীতে কাটালাম। এখন প্রতিদিন পোনা বেচে শখানেক টাকা হয়, তা দিয়েই চলতে হয়।’
বাগদা ও গলদা পোনায় ব্যাপক উপকৃত হন মাছচাষিরা। এ প্রসঙ্গে আশাশুনির খাজরা এলাকার মাছচাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘নদী থেকে আহরিত পোনা খুবই পুষ্ট ও মানসম্মত। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে মাঝেমধ্যে পোনাসংকট দেখা দেয়। তখন আমাদের ভরসা নদী থেকে সংগৃহীত পোনা।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা জলবায়ু পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, ‘চিংড়ির পোনা প্রাকৃতিক উৎস থেকে ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কারণ একটি চিংড়ি পোনা ধরতে গিয়ে ৪০ ধরনের জলজ পোনা ধরা পড়ে। তবে আইন করে এসব গরিব মানুষের পেটে মারা ঠিক হবে না। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে জোর দিতে হবে।’
মাছ ধরা এসব মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসার আহ্বান জানান জেলা মৎস্য অফিসার জি এম সেলিম। তিনি বলেন, ‘জেলার বহু মানুষ নদীতে পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। আমরা মাঝেমধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। তবে তাঁদের জন্য যে কাজটা করতে হবে, সেটা হলো জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনেকগুলো সাপোর্টিং প্রোগ্রাম রয়েছে। এ বিষয়ে আমরাও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বলি, এই মানুষদের যদি সেফটি নেটের মধ্যে আনা যায়, তবে তাঁরাও উপকৃত হবেন। অন্যদিকে মাছের যে প্রাকৃতিক উৎস, সেগুলোও নিরাপদ থাকবে।’

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৪ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৬ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২২ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় নদীতে চিংড়ির পোনা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আয়-রোজগার খুব কম হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন তাঁরা।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৬ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২২ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় নদীতে চিংড়ির পোনা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আয়-রোজগার খুব কম হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন তাঁরা।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৪ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২২ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় নদীতে চিংড়ির পোনা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আয়-রোজগার খুব কম হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন তাঁরা।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৪ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৬ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় নদীতে চিংড়ির পোনা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আয়-রোজগার খুব কম হলেও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছেন তাঁরা।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৪ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৬ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২২ মিনিট আগে