Ajker Patrika

‘পুলিশ হামার গাড়ি নীল রং করাওছে, যার গাড়িত এই রং নাই তাক ধরবে’

শিপুল ইসলাম, রংপুর
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৯: ১৯
‘পুলিশ হামার গাড়ি নীল রং করাওছে, যার গাড়িত এই রং নাই তাক ধরবে’

রংপুর সিটিতে ১৮ অক্টোবর থেকে নিবন্ধিত ইজিবাইকগুলো নীল রং করা হচ্ছে। যানজট নিরসন ও অবৈধ ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে অভিনব এ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে নিবন্ধিত ইজিবাইকের চালকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। 

এর আগে যানজট নিরসনে অক্টোবরে সিটিবাস সার্ভিসের উদ্যোগ নেয় আরপিএমপি। এতে বাধা দেয় ইজিবাইক, অটো শ্রমিক-মালিক সংগঠনগুলো। বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচির মুখে সিটিবাস সার্ভিসের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আরপিএমপি। তাই এবার যানজট নিরসনে বৈধ ইজিবাইক চিহ্নিত করতে এ উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। 

আজ বুধবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, রংপুর নগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে সারিবদ্ধভাবে রাখা নিবন্ধিত ইজিবাইক। এসব ইজিবাইক নীল রং করার কাজে ব্যস্ত একদল শ্রমিক। 

কেউ রং প্রক্রিয়া করছেন, কেউ ইজিবাইকগুলো সারিবদ্ধ করছেন, কেউ রং স্প্রে করছে, কেউ রং করতে সহযোগিতা করছেন। নিবন্ধিত ইজিবাইকগুলোকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ কালেক্টরেট মাঠে এসে রং করছে। 

রঙের কাজে নিয়োজিত রানা মিয়া নামের এক শ্রমিক জানান, রং করার জন্য প্রথমে ইজিবাইকের সামনের কাচ পিভিসি ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। তারপর সাদা রং করে মাঠে শুকতে দেওয়া হয়। ৩০ মিনিট পর আবার সাদা রঙের ওপর নীল রং করা হয়। 

প্রতিটি ইজিবাইক রং করার জন্য মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের উপস্থিতিতে ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক নেতারা ইজিবাইকচালকদের বৈধ কাগজপত্রসহ রং করা খরচ বাবদ ৪০০ টাকা করে নেন। রং করা শেষে তাঁদের কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে ১৮ অক্টোবর থেকে প্রতিদিন শতাধিক ইজিবাইক রং করা হচ্ছে। 

কালেক্টরেট মাঠে ইজিবাইকে রং করাতে আসা রংপুর নগরীর হাজীরহাট এলাকার বাসিন্দা এরশাদ আলী বলেন, ‘এ্যালা কামাই কমি গেইছে। যাত্রী চেয়ে ইজিবাইক বেশি। শহরোত যে গাড়িগুলো চলে তার তিন ভাগের দুই ভাগের লাইসেন্স নাই। আমার গাড়ি লাইসেন্স করা। পুলিশের মাইকিং শুনি নীল রং করার আসছি। এইটা যদি বাস্তবায়ন হয়—তাহইলে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি কমবে, যানজট কমবে, হামার কামাই বাড়বে।’ 

 নিবন্ধিত ইজিবাইকে নীল রং করার কাজ চলছেকামাল কাছনা এলাকার বাসিন্দা ও ইজিবাইকচালক নওশের আলম বলেন, ‘যেগলা গাড়ির লাইসেন্স নাই, সেই গাড়িগুলো শহরোত বেশি। সকালবেলা বাইরের উপজেলাগুলা থাকিও অনেক গাড়ি ঢুকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে এটে যানজট নাগি যায়। এত পরিমাণে গাড়ি হইছে যে ১০ মিনিটের রাস্তা এখন ৩০ মিনিট নাগে। পুলিশ হামার গাড়ি নীল রং করাওছে। যার গাড়িত এই রং নাই তাক ধরবে। এতে রাস্তাত যানজট কমবে, দ্রুত যাত্রীক নিয়া যাবার পামো।’ 

নীল রং করাতে আসা আরেক ইজিবাইকচালক মোনা মিয়া বলেন, ‘ইজিবাইকের পাশাপাশি নিবন্ধিত ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোও রং করাতে হবে। নগরীর আটটি প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসিয়ে নিবন্ধনহীন ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করলে, তবেই যানজট কমে যাবে।’ 

মোনা মিয়া আরও বলেন, ‘যানজট কমলে দ্রুত যাবার পাব, যাত্রী স্বস্তি পাইবে। গাড়ির চার্জও বাঁচবে, কর্মঘণ্টাও বাড়বে।’ 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, রংপুর সিটি করপোরেশন ৫ হাজার ২৪০টি ইজিবাইক এবং ৫ হাজার ১০৭টি ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দিলেও মূল নগরীতে চলছে ৪০ হাজারেরও বেশি ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা। 

প্রতিদিন সকালে মিঠাপুকুর, পীরগাছা, কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া, বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জসহ রংপুর সদরের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নিবন্ধনহীন ইজিবাইক-রিকশা নগরীর ভেতরে প্রবেশ করছে। ফলে নগরীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

জেলা সুজনের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বলেন, ‘নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে নগরীতে চলাচল করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। যানজটে মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এ উদ্যোগ ব্যতিক্রম। এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে অন্তত নগরবাসী স্বস্তিতে চলাচল করতে পারবে।’ 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রংপুর নগরীর অন্যতম একটি সমস্যা যানজট। এ সমস্যা নিরসনে আমরা ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম চালু, যান চলাচলে বিকল্প সড়কের ব্যবহার, নিবন্ধিত ইজিবাইক রং করে চিহ্নিত করা, সড়কের কার্যকর ব্যবহার, পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণসহ নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি।’ 

যানজট নিরসনে জনপ্রতিনিধি, শ্রমিক-মালিক সংগঠন, ব্যবসায়ীসহ নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সড়কের ওপর রাখা ধানে দুর্ঘটনা, কুলাউড়ায় দুই চাচাতো ভাই নিহত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে সংঘাত বন্ধে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নরসিংদী প্রতিনিধি
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।

পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।

পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদকসেবী ও বখাটের উৎপাতে অতিষ্ঠ শহরবাসী, প্রতিকার চাইলেন পুলিশ সুপারের কাছে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
মোহনগঞ্জ থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোহনগঞ্জ থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।

শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পানিতে ডুবে প্রাণ গেল মামা-ভাগনের

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রা‌মের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।

পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পা‌শে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থে‌কে দুই শিশু‌কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নি‌য়ে যান। দা‌য়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস‌্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তি‌নি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

রৌমারী থানার উপপ‌রিদর্শক শাহ‌নেওয়াজ হো‌সেন ব‌লেন, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পু‌লিশ পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে‌ছেন। দুই শিশুর মৃত‌্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব‌্যবস্থা নেওয়া হ‌বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত