গাইবান্ধা প্রতিনিধি
অনাগত প্রথম সন্তানের জন্ম কোথায় হবে, গোবিন্দগঞ্জের বাবার বাড়িতে, নাকি কর্মস্থল রাজধানীতে স্বামীর বাসায়—পরিবারের সঙ্গে এ নিয়েই চলছিল পরিকল্পনা। প্রথম নাতিকে ঘিরে নানা আবেগের গল্প বুনছিলেন তিনি। সে আর হলো না! মায়ের উদরে গোবিন্দগঞ্জের নানার বাড়িতেই ফিরল সেই অনাগত শিশু। কিন্তু দুজনেই নিষ্প্রাণ! সেই শোক কীভাবে সইবেন হারুন মিয়া!
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা রানু ফারাবী ওরফে হাসনা হেনা (২৭)। প্রাণ বাঁচাতে তারে ঝুলে নামতে গিয়ে পড়ে যান তিনি। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। রানু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের সতিতলা গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে।
আজ শুক্রবার সতিতলা গ্রামে রানুদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় সেখানে স্বজনদের ভিড়। কান্নার রোল পড়ে গেছে। স্বজনদের বিলাপে আকাশ–বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
বিলাপ করতে করতে হারুন মিয়া বলেন, ‘তোমরা হামার মাইয়াটাক আনে দেও। কয়েক দিন আগেও কত স্বপ্ন। মাইয়ার ছাওয়াল কোথায় হবে? ঢাকাত নাকি হামার বাড়িত। এখন হামি কী করমো। আমার সব স্বপ্ন শেষ বাবারে। এখন কী নিয়ে হামি বাঁচমো।’
স্বজনেরা জানিয়েছেন, রানু ফারাবী ওরফে হাসনা হেনা রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ৯ম তলায় ইন্টারনেট সার্ভিস কোম্পানি অরবিটের সেলস বিভাগে চাকরি করতেন। গতকাল বিকেলে ওই ভবনের ১৩ তলায় আগুন লাগলে অন্য সবার মতো তিনিও প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ইন্টারনেট সরবরাহের তারে ঝুলে নামার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার ছিঁড়ে পড়ে যান নিচে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
রানু ফারাবী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঘটনার পরপরই পরিবারের লোকজনের কাছে খবর পাঠান কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজার নাজমুল হুদা। রাজশাহীর বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম সানির সঙ্গে তিন বছর আগে বিয়ে হয় রানুর।
ঢাকা থেকে মরদেহ আসার পর আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের সতিতলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে রানুর দাফন সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, খাজা টাওয়ারে আগুন রানুসহ তিন জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন কয়েকজন। ওই ভবনে বেশ কয়েকটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানের অফিস। ফলে অগ্নিকাণ্ডের পর ঢাকা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
অনাগত প্রথম সন্তানের জন্ম কোথায় হবে, গোবিন্দগঞ্জের বাবার বাড়িতে, নাকি কর্মস্থল রাজধানীতে স্বামীর বাসায়—পরিবারের সঙ্গে এ নিয়েই চলছিল পরিকল্পনা। প্রথম নাতিকে ঘিরে নানা আবেগের গল্প বুনছিলেন তিনি। সে আর হলো না! মায়ের উদরে গোবিন্দগঞ্জের নানার বাড়িতেই ফিরল সেই অনাগত শিশু। কিন্তু দুজনেই নিষ্প্রাণ! সেই শোক কীভাবে সইবেন হারুন মিয়া!
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা রানু ফারাবী ওরফে হাসনা হেনা (২৭)। প্রাণ বাঁচাতে তারে ঝুলে নামতে গিয়ে পড়ে যান তিনি। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। রানু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের সতিতলা গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে।
আজ শুক্রবার সতিতলা গ্রামে রানুদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় সেখানে স্বজনদের ভিড়। কান্নার রোল পড়ে গেছে। স্বজনদের বিলাপে আকাশ–বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
বিলাপ করতে করতে হারুন মিয়া বলেন, ‘তোমরা হামার মাইয়াটাক আনে দেও। কয়েক দিন আগেও কত স্বপ্ন। মাইয়ার ছাওয়াল কোথায় হবে? ঢাকাত নাকি হামার বাড়িত। এখন হামি কী করমো। আমার সব স্বপ্ন শেষ বাবারে। এখন কী নিয়ে হামি বাঁচমো।’
স্বজনেরা জানিয়েছেন, রানু ফারাবী ওরফে হাসনা হেনা রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ৯ম তলায় ইন্টারনেট সার্ভিস কোম্পানি অরবিটের সেলস বিভাগে চাকরি করতেন। গতকাল বিকেলে ওই ভবনের ১৩ তলায় আগুন লাগলে অন্য সবার মতো তিনিও প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ইন্টারনেট সরবরাহের তারে ঝুলে নামার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার ছিঁড়ে পড়ে যান নিচে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
রানু ফারাবী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঘটনার পরপরই পরিবারের লোকজনের কাছে খবর পাঠান কোম্পানির ডেপুটি ম্যানেজার নাজমুল হুদা। রাজশাহীর বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম সানির সঙ্গে তিন বছর আগে বিয়ে হয় রানুর।
ঢাকা থেকে মরদেহ আসার পর আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের সতিতলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে রানুর দাফন সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, খাজা টাওয়ারে আগুন রানুসহ তিন জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন কয়েকজন। ওই ভবনে বেশ কয়েকটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানের অফিস। ফলে অগ্নিকাণ্ডের পর ঢাকা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
আসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
২৬ মিনিট আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগেপ্রায় ২৫ বছর আগে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভারতে পাচার হন খুলনার রূপসা উপজেলার কিলো গ্রামের আনোয়ারা গাজী (৪৫)। বয়স তখন মাত্র ২০ বছর। অবশেষে ২৫ বছর পর তিনি ফিরলেন নিজ মাতৃভূমিতে।
২ ঘণ্টা আগে