Ajker Patrika

রংপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি 
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে একটি দোকানঘর ভাড়াকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বদরগঞ্জে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন বিএনপি নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে রংপুর জেলা বিএনপি।

তাঁরা হলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার, কালুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক মানিক এবং উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিক।

বদরগঞ্জ থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, থানাপাড়ার জাহিদুল হক পৌর শহরের শহীদ মিনার এলাকায় ইসতিয়াক বাবু নামে এক ব্যক্তির একটি দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন। ওই দোকানের ভাড়ার মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত আছে। মেয়াদ থাকা অবস্থায় সেই দোকান ফেরত চান ইসতিয়াক বাবু। কিন্তু মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই দোকান ফেরত দিতে নারাজ জাহিদুল হক।

ইসতিয়াক বাবু বিএনপির একটি গ্রুপকে ভাড়া করে গত বুধবার সন্ধ্যায় জাহিদুলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালান। ওই সময় জাহিদুলকে কুপিয়ে আহত করা হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহিদুলের পক্ষে অবস্থান নেন কালুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক মানিক এবং বদরগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সরওয়ার জাহান মানিক।

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাঁরা ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনতার ব্যানারে মানববন্ধনে আয়োজন করেন শহীদ মিনারে। মানববন্ধন শুরুর মুহূর্তে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে বিএনপির আরেকটি গ্রুপ। অভিযোগ উঠেছে, ওই পক্ষকে সমর্থন জুগিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার।

এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে রেফার্ড করা হয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তাঁরা হলেন কাঁচা বাড়ির ময়নাল হোসেন (২৫), পৌর শহরের পাঠানপাড়া গ্রামের মোন্নাফ হোসেন (৫০), কাঁচাবাড়ি শাহাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৫৫), বৈরামপুর গ্রামের মোক্তারুল ইসলাম (৫২) ও রাজরামপুর গ্রামের লাভলু মিয়া (৫০)। এঁদের মধ্যে মোন্নাফ ছাড়া সবারই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক প্রশান্ত রায় বলেন, বদরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পাঁচজনেই এসেছিলেন। পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

ঢেউটিন ব্যবসায়ী জাহিদুল হক বলেন, ‘২০২৮ সাল পর্যন্ত দোকানের মেয়াদ আছে। কিন্তু তার আগে ঘর মালিক আমাকে বেরিয়ে যেতে বলেন। বেরিয়ে না যাওয়ায় বিএনপির একটি গ্রুপকে ভাড়া করে আমার দোকানে হামলা চালান দোকানঘর মালিক।’

দোকানঘর মালিক ইসতিয়াক বাবু বলেন, ‘আমার দোকানের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে। কিন্তু আমার স্বাক্ষর জাল করে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।’

কালুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক মানিক বলেন, ‘গত বুধবার দিবাগত সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীরের বাড়ি থেকে তার সাঙ্গপাঙ্গরা ধারালো অস্ত্র হাতে নিয়ে অন্যায়ভাবে একজন ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা চালিয়ে টাকা লুট করেছে। এর প্রতিবাদে আজ শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু সেখানেও মোহাম্মদ আলীর লোকজন এসে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।’

এ ব্যাপারে সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, ‘ওই ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি কিংবা আমার কোনো পরিবারের সদস্য এর সঙ্গে জড়িত না।’

বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সড়কের ওপর রাখা ধানে দুর্ঘটনা, কুলাউড়ায় দুই চাচাতো ভাই নিহত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে সংঘাত বন্ধে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নরসিংদী প্রতিনিধি
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।

পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।

পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদকসেবী ও বখাটের উৎপাতে অতিষ্ঠ শহরবাসী, প্রতিকার চাইলেন পুলিশ সুপারের কাছে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
মোহনগঞ্জ থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোহনগঞ্জ থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।

শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পানিতে ডুবে প্রাণ গেল মামা-ভাগনের

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রা‌মের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।

পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পা‌শে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থে‌কে দুই শিশু‌কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নি‌য়ে যান। দা‌য়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস‌্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তি‌নি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

রৌমারী থানার উপপ‌রিদর্শক শাহ‌নেওয়াজ হো‌সেন ব‌লেন, খবর পে‌য়ে ঘটনাস্থ‌লে পু‌লিশ পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। সহকারী ক‌মিশনার (ভূ‌মি) ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে‌ছেন। দুই শিশুর মৃত‌্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব‌্যবস্থা নেওয়া হ‌বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত