Ajker Patrika

শাড়ি-চুড়ি নিয়ে প্রক্টরের অফিসে বেরোবি শিক্ষার্থীরা

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৫, ২১: ৪৭
ছাত্ররাজনীতির কার্যক্রম বন্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে প্রক্টরের চেয়ার-টেবিলে শাড়ি-চুড়ি রেখে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছাত্ররাজনীতির কার্যক্রম বন্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে প্রক্টরের চেয়ার-টেবিলে শাড়ি-চুড়ি রেখে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বেরোবির প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে শাড়ি-চুড়ি নিয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা।

আজ রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে বেরোবি প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেটে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। পরে শাড়ি ও চুড়ি নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের প্রক্টর অফিস ও ছাত্র পরামর্শ নির্দেশনা দপ্তরে ঢোকেন তাঁরা। সেখানে পরিচালকেরা উপস্থিত না থাকলে তাঁদের চেয়ারে শাড়ি মুড়িয়ে এবং টেবিলে চুড়ি রেখে দেন শিক্ষার্থীরা।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবুও ছাত্রশিবিরের কমিটি প্রকাশ ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে সদস্য ফরম বিতরণ করা হয়। এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। আশিকুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই নোংরা ছাত্ররাজনীতির কারণে আমরা আবু সাঈদকে হারিয়েছি। নোংরা রাজনীতির কারণে এ ক্যাম্পাসে আর কোনো শিক্ষার্থীকে আমরা হারাতে চাই না। আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে আর কোনো রাজনীতির স্থান হবে না। প্রশাসন তাদের প্রশ্রয় দেয় বলে তারা এ ধরনের কার্যক্রম করার সাহস পাচ্ছে।’ বেরোবি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, আপনারা না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দেন।’ আরেক শিক্ষার্থী‎ শামসুর রহমান সুমন বলেন, ‎‘বেরোবি প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্রসংগঠন কমিটি দেওয়া শুরু করে সদস্য ফরম বিতরণ করছে। এর ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। প্রশাসন থেকে কোনো কার্যকর ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা তাই প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে শাড়ি ও চুড়ি দিয়ে নিন্দা জানাচ্ছি।’

‎এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকত আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এর আগে ছাত্রসংগঠনগুলোকে ডেকেছি। তাঁদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ, আপনারা এসব বিষয় জানেন না? তাঁরা পরে ভুল বুঝতে পারেন। আমি তাঁদেরকে ডেকে শোকজও করেছিলাম, যাতে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি কেউ করতে না পারে। যদি তবুও কেউ করে সে ক্ষেত্রে তিন সদস্যের একটা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা বিষয়গুলো দেখতেছে। এরপর প্রমাণস্বরূপ তাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত