আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ (রংপুর)

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার আমরুলবাড়ী মৌলভীপাড়া গ্রামের মাস্টার্স পাস দম্পতি মশিউর রহমান ও সুমি খাতুন চাকরির পেছনে না ছুটে হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা। তাঁদের খামারে মুরগি, হাঁস, গরু, ছাগল পালন এবং মাছ চাষ করে বছরে আয় করছেন ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে তাঁরা এলাকায় মূল্যবান সাড়ে চার একর জমি কিনেছেন। বর্তমানে তাঁদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি টাকার বেশি। ২০২৪ সালে মশিউর ‘উপজেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষি’ হিসেবে পুরস্কৃত হন। তাঁদের দেখে উৎসাহিত হয়ে অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক খামার ব্যবসায় ঝুঁকছেন, বদলে যাচ্ছে এলাকার অর্থনীতি।
উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ছাত্রজীবনেই
২০০৯ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির পরদিন কলেজে ক্লাস নিতে এসেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মণ্ডল। তিনি জানতে চান, লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষার্থীরা কে কী হতে চায়। মশিউর বলেন, ‘সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সরকারি চাকরিজীবী হতে চায় শুনে আমি বলেছিলাম, আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। সবাই হেসে উঠলেও আমি বলেছিলাম—আমাদের মতো গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভোগে। আমি সেই হতাশা চাই না। তখন এমপি স্যার আমার কথা সমর্থন করে অন্যদের উদ্যোক্তা হওয়ার উৎসাহ দেন।’
সেই সময় থেকেই সহপাঠীরা মশিউরকে ঠাট্টা করে বলত, ‘আজ বাড়িতে কী কাজ করলি?’ এসব শুনে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন—দেখিয়ে দেবেন সফল উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব।
এইচএসসি প্রথম বর্ষে থাকাকালে ২০০৯ সালে তিন বন্ধু মিলে মুরগির খামার শুরু করেন। খরচ ধরা হয়েছিল আড়াই লাখ টাকা। তিনজন ৮০ হাজার টাকা করে দিয়ে খামার গড়েন। প্রথম চালানে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হলেও পরে দুবার লোকসান হয়। এতে দুই বন্ধু সরে দাঁড়ালেও মশিউর চালিয়ে যান খামার।
মশিউরের বাবা রফিকুল ইসলাম কৃষক, মা মোসলেমা বেগম গৃহিণী। পাঁচ সদস্যের পরিবারে মশিউর বড় সন্তান। তিনি ২০১৭ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাসে মাস্টার্স পাস করেন। পাশাপাশি চালিয়ে যান খামার।
স্ত্রী সুমির সঙ্গে পথচলা
২০১৪ সালে বিয়ে হয় সুমি খাতুনের সঙ্গে, যিনি ২০১৯ সালে একই কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। সুমিও খামারের কাজে যুক্ত হন। সুমি বলেন, ‘চাকরি করলে হয়তো আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে সুবিধা হতো, কিন্তু অন্যদের কর্মসংস্থান করতে পারতাম না। এখন আমাদের খামারে ১৫-২০ জন কাজ করেন।’
মশিউরের খামারে এখন রয়েছে ১৩টি ইউনিটে ১৮ হাজার মুরগি, ২ হাজার হাঁস, ১০টি গরু, ২০টি ছাগল এবং পাঁচ একর জমিতে পাঁচটি পুকুরে ৭০ হাজার পাঙাশ মাছসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। প্রতিটি পাঙাশের ওজন ৭০০-৮০০ গ্রাম।

মাছে লাভ, মুরগি-গরুতে লোকসান
২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মুরগি ও গরুতে কিছু লাভ হলেও এরপর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান বাড়ে। বর্তমানে তিনি মূলত মাছ চাষেই বেশি লাভ করছেন। মাছ বিক্রি করেই মুরগির খামার চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে মুরগির ন্যায্যমূল্য পাই না। পাইকারি দরে ১০০–১১৫ টাকায় বিক্রি করতে হয়, যেখানে খুচরায় তা বিক্রি হয় ১৭০–১৮০ টাকায়। এভাবে অনেক উদ্যোক্তা পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন।’
এখন পর্যন্ত আশপাশের অন্তত ৪৭ জন উদ্যোক্তা মশিউরের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে খামার শুরু করেছেন। অনেকেই সফল, কেউ কেউ বাজার সিন্ডিকেটে ক্ষতিগ্রস্ত।
বদরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মুমু বলেন, ‘মশিউর একজন সফল মৎস্যচাষি। তাঁকে ২০২৪ সালে শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষি হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাঁর দেখাদেখি আরও অনেকেই মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, ‘মশিউর দম্পতি সফলভাবে পোলট্রি খামার পরিচালনা করছেন। আমি সুযোগ পেলেই তাঁদের খামার পরিদর্শনে যাই এবং পরামর্শ দিই।’ সিন্ডিকেটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সবখানেই সিন্ডিকেট আছে। তবে খামারিরা যেন সরাসরি খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করতে পারেন, সে জন্য একটি বাজার নির্মাণ করা হয়েছে।’

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার আমরুলবাড়ী মৌলভীপাড়া গ্রামের মাস্টার্স পাস দম্পতি মশিউর রহমান ও সুমি খাতুন চাকরির পেছনে না ছুটে হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা। তাঁদের খামারে মুরগি, হাঁস, গরু, ছাগল পালন এবং মাছ চাষ করে বছরে আয় করছেন ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে তাঁরা এলাকায় মূল্যবান সাড়ে চার একর জমি কিনেছেন। বর্তমানে তাঁদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি টাকার বেশি। ২০২৪ সালে মশিউর ‘উপজেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষি’ হিসেবে পুরস্কৃত হন। তাঁদের দেখে উৎসাহিত হয়ে অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক খামার ব্যবসায় ঝুঁকছেন, বদলে যাচ্ছে এলাকার অর্থনীতি।
উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ছাত্রজীবনেই
২০০৯ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির পরদিন কলেজে ক্লাস নিতে এসেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মণ্ডল। তিনি জানতে চান, লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষার্থীরা কে কী হতে চায়। মশিউর বলেন, ‘সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সরকারি চাকরিজীবী হতে চায় শুনে আমি বলেছিলাম, আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। সবাই হেসে উঠলেও আমি বলেছিলাম—আমাদের মতো গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভোগে। আমি সেই হতাশা চাই না। তখন এমপি স্যার আমার কথা সমর্থন করে অন্যদের উদ্যোক্তা হওয়ার উৎসাহ দেন।’
সেই সময় থেকেই সহপাঠীরা মশিউরকে ঠাট্টা করে বলত, ‘আজ বাড়িতে কী কাজ করলি?’ এসব শুনে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন—দেখিয়ে দেবেন সফল উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব।
এইচএসসি প্রথম বর্ষে থাকাকালে ২০০৯ সালে তিন বন্ধু মিলে মুরগির খামার শুরু করেন। খরচ ধরা হয়েছিল আড়াই লাখ টাকা। তিনজন ৮০ হাজার টাকা করে দিয়ে খামার গড়েন। প্রথম চালানে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হলেও পরে দুবার লোকসান হয়। এতে দুই বন্ধু সরে দাঁড়ালেও মশিউর চালিয়ে যান খামার।
মশিউরের বাবা রফিকুল ইসলাম কৃষক, মা মোসলেমা বেগম গৃহিণী। পাঁচ সদস্যের পরিবারে মশিউর বড় সন্তান। তিনি ২০১৭ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাসে মাস্টার্স পাস করেন। পাশাপাশি চালিয়ে যান খামার।
স্ত্রী সুমির সঙ্গে পথচলা
২০১৪ সালে বিয়ে হয় সুমি খাতুনের সঙ্গে, যিনি ২০১৯ সালে একই কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। সুমিও খামারের কাজে যুক্ত হন। সুমি বলেন, ‘চাকরি করলে হয়তো আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে সুবিধা হতো, কিন্তু অন্যদের কর্মসংস্থান করতে পারতাম না। এখন আমাদের খামারে ১৫-২০ জন কাজ করেন।’
মশিউরের খামারে এখন রয়েছে ১৩টি ইউনিটে ১৮ হাজার মুরগি, ২ হাজার হাঁস, ১০টি গরু, ২০টি ছাগল এবং পাঁচ একর জমিতে পাঁচটি পুকুরে ৭০ হাজার পাঙাশ মাছসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। প্রতিটি পাঙাশের ওজন ৭০০-৮০০ গ্রাম।

মাছে লাভ, মুরগি-গরুতে লোকসান
২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মুরগি ও গরুতে কিছু লাভ হলেও এরপর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান বাড়ে। বর্তমানে তিনি মূলত মাছ চাষেই বেশি লাভ করছেন। মাছ বিক্রি করেই মুরগির খামার চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে মুরগির ন্যায্যমূল্য পাই না। পাইকারি দরে ১০০–১১৫ টাকায় বিক্রি করতে হয়, যেখানে খুচরায় তা বিক্রি হয় ১৭০–১৮০ টাকায়। এভাবে অনেক উদ্যোক্তা পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন।’
এখন পর্যন্ত আশপাশের অন্তত ৪৭ জন উদ্যোক্তা মশিউরের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে খামার শুরু করেছেন। অনেকেই সফল, কেউ কেউ বাজার সিন্ডিকেটে ক্ষতিগ্রস্ত।
বদরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মুমু বলেন, ‘মশিউর একজন সফল মৎস্যচাষি। তাঁকে ২০২৪ সালে শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষি হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাঁর দেখাদেখি আরও অনেকেই মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, ‘মশিউর দম্পতি সফলভাবে পোলট্রি খামার পরিচালনা করছেন। আমি সুযোগ পেলেই তাঁদের খামার পরিদর্শনে যাই এবং পরামর্শ দিই।’ সিন্ডিকেটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সবখানেই সিন্ডিকেট আছে। তবে খামারিরা যেন সরাসরি খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করতে পারেন, সে জন্য একটি বাজার নির্মাণ করা হয়েছে।’
আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ (রংপুর)

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার আমরুলবাড়ী মৌলভীপাড়া গ্রামের মাস্টার্স পাস দম্পতি মশিউর রহমান ও সুমি খাতুন চাকরির পেছনে না ছুটে হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা। তাঁদের খামারে মুরগি, হাঁস, গরু, ছাগল পালন এবং মাছ চাষ করে বছরে আয় করছেন ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে তাঁরা এলাকায় মূল্যবান সাড়ে চার একর জমি কিনেছেন। বর্তমানে তাঁদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি টাকার বেশি। ২০২৪ সালে মশিউর ‘উপজেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষি’ হিসেবে পুরস্কৃত হন। তাঁদের দেখে উৎসাহিত হয়ে অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক খামার ব্যবসায় ঝুঁকছেন, বদলে যাচ্ছে এলাকার অর্থনীতি।
উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ছাত্রজীবনেই
২০০৯ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির পরদিন কলেজে ক্লাস নিতে এসেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মণ্ডল। তিনি জানতে চান, লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষার্থীরা কে কী হতে চায়। মশিউর বলেন, ‘সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সরকারি চাকরিজীবী হতে চায় শুনে আমি বলেছিলাম, আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। সবাই হেসে উঠলেও আমি বলেছিলাম—আমাদের মতো গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভোগে। আমি সেই হতাশা চাই না। তখন এমপি স্যার আমার কথা সমর্থন করে অন্যদের উদ্যোক্তা হওয়ার উৎসাহ দেন।’
সেই সময় থেকেই সহপাঠীরা মশিউরকে ঠাট্টা করে বলত, ‘আজ বাড়িতে কী কাজ করলি?’ এসব শুনে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন—দেখিয়ে দেবেন সফল উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব।
এইচএসসি প্রথম বর্ষে থাকাকালে ২০০৯ সালে তিন বন্ধু মিলে মুরগির খামার শুরু করেন। খরচ ধরা হয়েছিল আড়াই লাখ টাকা। তিনজন ৮০ হাজার টাকা করে দিয়ে খামার গড়েন। প্রথম চালানে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হলেও পরে দুবার লোকসান হয়। এতে দুই বন্ধু সরে দাঁড়ালেও মশিউর চালিয়ে যান খামার।
মশিউরের বাবা রফিকুল ইসলাম কৃষক, মা মোসলেমা বেগম গৃহিণী। পাঁচ সদস্যের পরিবারে মশিউর বড় সন্তান। তিনি ২০১৭ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাসে মাস্টার্স পাস করেন। পাশাপাশি চালিয়ে যান খামার।
স্ত্রী সুমির সঙ্গে পথচলা
২০১৪ সালে বিয়ে হয় সুমি খাতুনের সঙ্গে, যিনি ২০১৯ সালে একই কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। সুমিও খামারের কাজে যুক্ত হন। সুমি বলেন, ‘চাকরি করলে হয়তো আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে সুবিধা হতো, কিন্তু অন্যদের কর্মসংস্থান করতে পারতাম না। এখন আমাদের খামারে ১৫-২০ জন কাজ করেন।’
মশিউরের খামারে এখন রয়েছে ১৩টি ইউনিটে ১৮ হাজার মুরগি, ২ হাজার হাঁস, ১০টি গরু, ২০টি ছাগল এবং পাঁচ একর জমিতে পাঁচটি পুকুরে ৭০ হাজার পাঙাশ মাছসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। প্রতিটি পাঙাশের ওজন ৭০০-৮০০ গ্রাম।

মাছে লাভ, মুরগি-গরুতে লোকসান
২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মুরগি ও গরুতে কিছু লাভ হলেও এরপর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান বাড়ে। বর্তমানে তিনি মূলত মাছ চাষেই বেশি লাভ করছেন। মাছ বিক্রি করেই মুরগির খামার চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে মুরগির ন্যায্যমূল্য পাই না। পাইকারি দরে ১০০–১১৫ টাকায় বিক্রি করতে হয়, যেখানে খুচরায় তা বিক্রি হয় ১৭০–১৮০ টাকায়। এভাবে অনেক উদ্যোক্তা পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন।’
এখন পর্যন্ত আশপাশের অন্তত ৪৭ জন উদ্যোক্তা মশিউরের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে খামার শুরু করেছেন। অনেকেই সফল, কেউ কেউ বাজার সিন্ডিকেটে ক্ষতিগ্রস্ত।
বদরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মুমু বলেন, ‘মশিউর একজন সফল মৎস্যচাষি। তাঁকে ২০২৪ সালে শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষি হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাঁর দেখাদেখি আরও অনেকেই মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, ‘মশিউর দম্পতি সফলভাবে পোলট্রি খামার পরিচালনা করছেন। আমি সুযোগ পেলেই তাঁদের খামার পরিদর্শনে যাই এবং পরামর্শ দিই।’ সিন্ডিকেটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সবখানেই সিন্ডিকেট আছে। তবে খামারিরা যেন সরাসরি খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করতে পারেন, সে জন্য একটি বাজার নির্মাণ করা হয়েছে।’

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার আমরুলবাড়ী মৌলভীপাড়া গ্রামের মাস্টার্স পাস দম্পতি মশিউর রহমান ও সুমি খাতুন চাকরির পেছনে না ছুটে হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা। তাঁদের খামারে মুরগি, হাঁস, গরু, ছাগল পালন এবং মাছ চাষ করে বছরে আয় করছেন ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে তাঁরা এলাকায় মূল্যবান সাড়ে চার একর জমি কিনেছেন। বর্তমানে তাঁদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি টাকার বেশি। ২০২৪ সালে মশিউর ‘উপজেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষি’ হিসেবে পুরস্কৃত হন। তাঁদের দেখে উৎসাহিত হয়ে অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক খামার ব্যবসায় ঝুঁকছেন, বদলে যাচ্ছে এলাকার অর্থনীতি।
উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ছাত্রজীবনেই
২০০৯ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির পরদিন কলেজে ক্লাস নিতে এসেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মণ্ডল। তিনি জানতে চান, লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষার্থীরা কে কী হতে চায়। মশিউর বলেন, ‘সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সরকারি চাকরিজীবী হতে চায় শুনে আমি বলেছিলাম, আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। সবাই হেসে উঠলেও আমি বলেছিলাম—আমাদের মতো গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভোগে। আমি সেই হতাশা চাই না। তখন এমপি স্যার আমার কথা সমর্থন করে অন্যদের উদ্যোক্তা হওয়ার উৎসাহ দেন।’
সেই সময় থেকেই সহপাঠীরা মশিউরকে ঠাট্টা করে বলত, ‘আজ বাড়িতে কী কাজ করলি?’ এসব শুনে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন—দেখিয়ে দেবেন সফল উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব।
এইচএসসি প্রথম বর্ষে থাকাকালে ২০০৯ সালে তিন বন্ধু মিলে মুরগির খামার শুরু করেন। খরচ ধরা হয়েছিল আড়াই লাখ টাকা। তিনজন ৮০ হাজার টাকা করে দিয়ে খামার গড়েন। প্রথম চালানে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হলেও পরে দুবার লোকসান হয়। এতে দুই বন্ধু সরে দাঁড়ালেও মশিউর চালিয়ে যান খামার।
মশিউরের বাবা রফিকুল ইসলাম কৃষক, মা মোসলেমা বেগম গৃহিণী। পাঁচ সদস্যের পরিবারে মশিউর বড় সন্তান। তিনি ২০১৭ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাসে মাস্টার্স পাস করেন। পাশাপাশি চালিয়ে যান খামার।
স্ত্রী সুমির সঙ্গে পথচলা
২০১৪ সালে বিয়ে হয় সুমি খাতুনের সঙ্গে, যিনি ২০১৯ সালে একই কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। সুমিও খামারের কাজে যুক্ত হন। সুমি বলেন, ‘চাকরি করলে হয়তো আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে সুবিধা হতো, কিন্তু অন্যদের কর্মসংস্থান করতে পারতাম না। এখন আমাদের খামারে ১৫-২০ জন কাজ করেন।’
মশিউরের খামারে এখন রয়েছে ১৩টি ইউনিটে ১৮ হাজার মুরগি, ২ হাজার হাঁস, ১০টি গরু, ২০টি ছাগল এবং পাঁচ একর জমিতে পাঁচটি পুকুরে ৭০ হাজার পাঙাশ মাছসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। প্রতিটি পাঙাশের ওজন ৭০০-৮০০ গ্রাম।

মাছে লাভ, মুরগি-গরুতে লোকসান
২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মুরগি ও গরুতে কিছু লাভ হলেও এরপর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান বাড়ে। বর্তমানে তিনি মূলত মাছ চাষেই বেশি লাভ করছেন। মাছ বিক্রি করেই মুরগির খামার চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে মুরগির ন্যায্যমূল্য পাই না। পাইকারি দরে ১০০–১১৫ টাকায় বিক্রি করতে হয়, যেখানে খুচরায় তা বিক্রি হয় ১৭০–১৮০ টাকায়। এভাবে অনেক উদ্যোক্তা পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন।’
এখন পর্যন্ত আশপাশের অন্তত ৪৭ জন উদ্যোক্তা মশিউরের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে খামার শুরু করেছেন। অনেকেই সফল, কেউ কেউ বাজার সিন্ডিকেটে ক্ষতিগ্রস্ত।
বদরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মুমু বলেন, ‘মশিউর একজন সফল মৎস্যচাষি। তাঁকে ২০২৪ সালে শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষি হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাঁর দেখাদেখি আরও অনেকেই মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, ‘মশিউর দম্পতি সফলভাবে পোলট্রি খামার পরিচালনা করছেন। আমি সুযোগ পেলেই তাঁদের খামার পরিদর্শনে যাই এবং পরামর্শ দিই।’ সিন্ডিকেটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সবখানেই সিন্ডিকেট আছে। তবে খামারিরা যেন সরাসরি খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করতে পারেন, সে জন্য একটি বাজার নির্মাণ করা হয়েছে।’

নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৩ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৮ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
২০ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৬ মিনিট আগেনওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিএডিসি ডিলার মেসার্স সরকার ট্রেডার্সের মালিক লিপি রানী সরকার নওগাঁ বিএডিসি গুদাম থেকে বিকেলে সারগুলো নিয়ে রাতে ধামইরহাট এলাকায় যান। এলাকাবাসী ট্রাকটি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে সারগুলোর বৈধ গন্তব্য ও বিতরণপত্র দেখাতে না পারায় জনতার সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি তারা পুলিশ ও কৃষি বিভাগকে জানায়। ধামইরহাট থানা-পুলিশ ও উপজেলা কৃষি বিভাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে সার, ট্রাক ও চালককে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, সারগুলো থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিলারের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিএডিসি ডিলার মেসার্স সরকার ট্রেডার্সের মালিক লিপি রানী সরকার নওগাঁ বিএডিসি গুদাম থেকে বিকেলে সারগুলো নিয়ে রাতে ধামইরহাট এলাকায় যান। এলাকাবাসী ট্রাকটি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে সারগুলোর বৈধ গন্তব্য ও বিতরণপত্র দেখাতে না পারায় জনতার সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি তারা পুলিশ ও কৃষি বিভাগকে জানায়। ধামইরহাট থানা-পুলিশ ও উপজেলা কৃষি বিভাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে সার, ট্রাক ও চালককে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, সারগুলো থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিলারের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সরকারি চাকরিজীবী হতে চায় শুনে আমি বলেছিলাম, আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। সবাই হেসে উঠলেও আমি বলেছিলাম—আমাদের মতো গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগে। আমি সেই হতাশা চাই না। তখন এমপি স্যার আমার কথা সমর্থন করে অন্যদের উদ্যোক্তা হওয়ার উৎসাহ
০১ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৮ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
২০ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৬ মিনিট আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সরকারি চাকরিজীবী হতে চায় শুনে আমি বলেছিলাম, আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। সবাই হেসে উঠলেও আমি বলেছিলাম—আমাদের মতো গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগে। আমি সেই হতাশা চাই না। তখন এমপি স্যার আমার কথা সমর্থন করে অন্যদের উদ্যোক্তা হওয়ার উৎসাহ
০১ জুন ২০২৫
নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৩ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
২০ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৬ মিনিট আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সরকারি চাকরিজীবী হতে চায় শুনে আমি বলেছিলাম, আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। সবাই হেসে উঠলেও আমি বলেছিলাম—আমাদের মতো গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগে। আমি সেই হতাশা চাই না। তখন এমপি স্যার আমার কথা সমর্থন করে অন্যদের উদ্যোক্তা হওয়ার উৎসাহ
০১ জুন ২০২৫
নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৩ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৮ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৬ মিনিট আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সরকারি চাকরিজীবী হতে চায় শুনে আমি বলেছিলাম, আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। সবাই হেসে উঠলেও আমি বলেছিলাম—আমাদের মতো গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভুগে। আমি সেই হতাশা চাই না। তখন এমপি স্যার আমার কথা সমর্থন করে অন্যদের উদ্যোক্তা হওয়ার উৎসাহ
০১ জুন ২০২৫
নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৩ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৮ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
২০ মিনিট আগে