রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরে দ্বিতীয় দিনের মত রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাস ও কোচ চলাচল করেনি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। জরুরি কাজে ঢাকা যাওয়ার জন্য যাত্রীরা বাসস্ট্যান্ডে এসেও ফিরে যেতে হয়েছে। দুই দিনেও ধর্মঘট প্রত্যাহারের কার্যত কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। শুধু তাই নয়, কবে এ ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কেউই। এ পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন মাইক্রোবাস চালকেরা।
জানা যায়, বেতন-ভাতা ও খোরাকি বৃদ্ধি, নিয়োগপত্র প্রদান, হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে শ্রমিকেরা এই কর্মবিরতি পালন করছেন।
আজ বুধবার সরেজমিনে রংপুর নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে দেখা যায়, অর্ধশত বাস স্ট্যান্ডে পড়ে আছে। দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। দু-একটি কাউন্টার খোলা থাকলেও বন্ধ রয়েছে বেশির ভাগ কাউন্টার। শ্রমিকেরা অলস সময় পার করছেন। নিজেদের মধ্যে খোশগল্প করছেন। ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে শ্রমিকেরা বলছে, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠক হয়নি। সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাঁরা কাজে ফিরবেন না।
এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকাগামী বাস না চলায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বুধবারও কাউন্টারে এসে ফিরে যেতে হয়েছে অনেক যাত্রীকে।
সামিনা খাতুন নামে একজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ধর্মঘটের নামে এরা ফাজলামি শুরু করছে। দুই দিন ধরে বাসের জন্য স্ট্যান্ডে এসে ফিরে যাচ্ছি। এভাবে চলতে পারে না। এসব দেখার কেউ নাই।’
আফতাব আহমেদ নামে এক চাকরি প্রত্যাশী ছাত্র বলেন, ‘শুক্রবার ঢাকায় চাকরির পরীক্ষা আছে। ঢাকা যেতে না পারলে পরীক্ষাটা দিতে পারব না। ট্রেনেরও টিকিট পাচ্ছি না।’
অপরদিকে দেখা যায় বাস বন্ধ থাকার এই সুযোগ নিচ্ছেন মাইক্রোবাস ড্রাইভারেরা। জনপ্রতি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া দাবি করছেন তাঁরা। অনেকে উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়েই চলাচল করছেন।
আমিনুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘ঢাকায় চাকরি করি। দুই দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলাম। বাস বন্ধ থাকায় ১৪০০ টাকা দিয়ে মাইক্রোবাসের যাচ্ছি। ফিরতে তো হবে, কিছুই করার নাই!’
এ বিষয়ে কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড শ্রমিক ইউনিয়নের উপকমিটির সাধারণ সম্পাদক মিঠু মিয়া বলেন, ‘আমি ধর্মঘট ডাক দেই নাই। মালিকেরা কী কারণে পরিবহনগুলো বন্ধ রেখেছে, সেটি আমরা জানি না। আমরা শুনছি আজ বৈঠক হবে। তাও ঠিকমতো জানি না।’
বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, ‘মালিক পক্ষ থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা বাস বন্ধ করি নাই। একদিন বাস বন্ধ করলে আমাদের শ্রমিকদের কষ্ট হয়, আমরা কেন বাস বন্ধ করতে যাব। বাস বন্ধ করার কোনো ইস্যু নেই।’
এ বিষয়ে এর আগে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপন বলেন, ‘এই ধর্মঘটের সঙ্গে মালিক সমিতির কোনো সম্পর্ক নেই। এই গাড়িগুলো বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আওতায়। তারাই বিষয়টি দেখতেছে।’
এমন পরিস্থিতির বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ক্রাইম) আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় কথা বলেছি। শ্রমিকেরা বলছে তাঁরা ধর্মঘট করেনি। আবার মালিকপক্ষও বলছে তাঁরা বাস বন্ধ করেনি। বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে, দ্রুত সমাধান হবে।’
রংপুরে দ্বিতীয় দিনের মত রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাস ও কোচ চলাচল করেনি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। জরুরি কাজে ঢাকা যাওয়ার জন্য যাত্রীরা বাসস্ট্যান্ডে এসেও ফিরে যেতে হয়েছে। দুই দিনেও ধর্মঘট প্রত্যাহারের কার্যত কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। শুধু তাই নয়, কবে এ ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কেউই। এ পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন মাইক্রোবাস চালকেরা।
জানা যায়, বেতন-ভাতা ও খোরাকি বৃদ্ধি, নিয়োগপত্র প্রদান, হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে শ্রমিকেরা এই কর্মবিরতি পালন করছেন।
আজ বুধবার সরেজমিনে রংপুর নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে দেখা যায়, অর্ধশত বাস স্ট্যান্ডে পড়ে আছে। দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। দু-একটি কাউন্টার খোলা থাকলেও বন্ধ রয়েছে বেশির ভাগ কাউন্টার। শ্রমিকেরা অলস সময় পার করছেন। নিজেদের মধ্যে খোশগল্প করছেন। ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডে শ্রমিকেরা বলছে, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে বসার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠক হয়নি। সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাঁরা কাজে ফিরবেন না।
এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকাগামী বাস না চলায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বুধবারও কাউন্টারে এসে ফিরে যেতে হয়েছে অনেক যাত্রীকে।
সামিনা খাতুন নামে একজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ধর্মঘটের নামে এরা ফাজলামি শুরু করছে। দুই দিন ধরে বাসের জন্য স্ট্যান্ডে এসে ফিরে যাচ্ছি। এভাবে চলতে পারে না। এসব দেখার কেউ নাই।’
আফতাব আহমেদ নামে এক চাকরি প্রত্যাশী ছাত্র বলেন, ‘শুক্রবার ঢাকায় চাকরির পরীক্ষা আছে। ঢাকা যেতে না পারলে পরীক্ষাটা দিতে পারব না। ট্রেনেরও টিকিট পাচ্ছি না।’
অপরদিকে দেখা যায় বাস বন্ধ থাকার এই সুযোগ নিচ্ছেন মাইক্রোবাস ড্রাইভারেরা। জনপ্রতি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া দাবি করছেন তাঁরা। অনেকে উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়েই চলাচল করছেন।
আমিনুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘ঢাকায় চাকরি করি। দুই দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলাম। বাস বন্ধ থাকায় ১৪০০ টাকা দিয়ে মাইক্রোবাসের যাচ্ছি। ফিরতে তো হবে, কিছুই করার নাই!’
এ বিষয়ে কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড শ্রমিক ইউনিয়নের উপকমিটির সাধারণ সম্পাদক মিঠু মিয়া বলেন, ‘আমি ধর্মঘট ডাক দেই নাই। মালিকেরা কী কারণে পরিবহনগুলো বন্ধ রেখেছে, সেটি আমরা জানি না। আমরা শুনছি আজ বৈঠক হবে। তাও ঠিকমতো জানি না।’
বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদ বলেন, ‘মালিক পক্ষ থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা বাস বন্ধ করি নাই। একদিন বাস বন্ধ করলে আমাদের শ্রমিকদের কষ্ট হয়, আমরা কেন বাস বন্ধ করতে যাব। বাস বন্ধ করার কোনো ইস্যু নেই।’
এ বিষয়ে এর আগে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপন বলেন, ‘এই ধর্মঘটের সঙ্গে মালিক সমিতির কোনো সম্পর্ক নেই। এই গাড়িগুলো বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আওতায়। তারাই বিষয়টি দেখতেছে।’
এমন পরিস্থিতির বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ক্রাইম) আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় কথা বলেছি। শ্রমিকেরা বলছে তাঁরা ধর্মঘট করেনি। আবার মালিকপক্ষও বলছে তাঁরা বাস বন্ধ করেনি। বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে, দ্রুত সমাধান হবে।’
‘মায়ের রক্তচাপ বেড়ে হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। উপায় না পেয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকাতে নিয়ে যাই। কারণ মায়ের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার মাদারীপুরে আসি। কিন্তু এই চিকিৎসা এখানেই...
২ ঘণ্টা আগেকেউ একা এসেছেন, কেউ পরিবার নিয়ে। কারও হাতে হালিমের বাটি, আবার কারও হাতে ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনির প্যাকেট। সবাই ইফতারি কিনতে ভিড় জমিয়েছেন রাজধানীর বেইলি রোডে। পুরান ঢাকার চকবাজারের পর রকমারি ইফতার বাজার হিসেবে রাজধানীবাসীর অন্যতম পছন্দের জায়গা বেইলি রোড। প্রতিবছরের মতো এবার রমজানেও সুস্বাদু...
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ওরস আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে একটি কথিত মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারীরা তোরণ ভাঙচুরসহ ওরস পণ্ড করে দেয়। গত সোমবার রাতে মাসকা বাজারসংলগ্ন ‘হজরত শাহ নেওয়াজ ফকির ওরফে ল্যাংটা পাগলার মাজারে’ স্থানীয় তৌহিদি জনতা লাঠি মিছিল নিয়ে হামলা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত...
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর দক্ষিণখানে ওভারটাইমের টাকা কম দেওয়ায় ‘নিপা ফ্যাশন ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড’ নামের একটি গার্মেন্টস ভাঙচুর করেছেন শ্রমিকেরা। এ সময় গার্মেন্টসটির ভেতরে থাকা ৫-৬টি প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে