Ajker Patrika

ছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও দেখানোর অভিযোগ দপ্তরির বিরুদ্ধে

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি 
অভিযুক্ত দপ্তরি রবিউল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত দপ্তরি রবিউল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের বদরগঞ্জে স্কুলছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও দেখানোর অভিযোগ উঠেছে রবিউল ইসলাম নামের এক দপ্তরির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। ওই দপ্তরির শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না বলে অভিভাবকেরা হুমকি দিয়েছেন।

এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক অভিভাবক গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগের আলোকে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা লাজিজা বেগমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী ও কামরুজ্জামান। ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রী অভিযোগ করে বলে, ‘এর আগেও কয়েকবার দপ্তরি রবিউল চাচ্চু মোবাইল ফোনে আমাদের খারাপ ছবি দেখাইছিল। বিষয়টি কাউকে না বলতে চাচ্চু ভয়ভীতি দেখায়।’

তিনজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই দপ্তরির চরিত্র ভালো নয়। এর আগে ২০২০ সালে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় ধরা পড়ে বিয়ে করে। সে স্কুলে থাকলে সন্তানেরা নিরাপদ থাকবে না। তাই শাস্তিসহ তাকে বিদ্যালয় থেকে সরানোর দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে সন্তানদের স্কুলে পাঠাব না।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘অভিভাবকেরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রবিউলের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না। এ কারণে বিদ্যালয়ে ঠিকভাবে শিক্ষার্থীরা আসছে না। বিষয়টির তদন্ত হচ্ছে, আশা করি, অচিরেই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।’

তবে দপ্তরি রবিউল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা লাজিজা বেগম বলেন, ‘আমরা গতকাল (রোববার) সরেজমিনে তদন্ত করেছি। আশা করি, সঠিক সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’ তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে কি না—জানতে চাইলে লাজিজা বেগম বলেন, ‘এটা এ মুহূর্তে বলা যাবে না। আমরা আমাদের দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেব, সেখান থেকে জানতে পারবেন।’

আজ সোমবার বিকেলে মোবাইল ফোনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিক-উজ-জামান বলেন, ওই ঘটনায় ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। ওই দপ্তরির বিরুদ্ধে সেখান থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত