Ajker Patrika

জাতীয় দলে চান্স পেলেন বোদার মিতু ও তৃষ্ণা

বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
জাতীয় দলে চান্স পেলেন বোদার মিতু ও তৃষ্ণা

অনূর্ধ্ব ১৫ জাতীয় দলে চান্স পেলেন বোদা উপজেলার নুসরাত জাহান মিতু ও তৃষ্ণা রানী রায়। গত বুধবার ফুটবল ফেডারেশন থেকে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে জাতীয় দলে চান্স পাওয়া বিষয়টি তাদের নিশ্চিত করা হয়। এ খবর পাওয়ার পর উপজেলার মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। 

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বৃহৎ উপজেলাটি বোদা। এ উপজেলা ঘিরে জেলার সুনাম বিরাজ করে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় সব উপজেলার চেয়ে অনেক এগিয়ে। মিতু ও তৃষ্ণা তেমন কোনো নামীদামি প্রশিক্ষক নেই। স্থানীয় প্রশিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন বিপুলের কাছ হতে তাঁদের এই পথ চলা। বিপুল প্রমীলা ফুটবলকে এগিয়ে নিতে ছুটে চলেন গ্রাম হতে গ্রামাঞ্চলে। নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন বোদা ফুটবল একাডেমি। এই একাডেমিতে বালক, বালিকা উভয়ের কোচিং করানো হয়। জাতীয় ও স্থানীয় ভাবে বালক ও বালিকা দল ব্যাপক সুনাম অর্জন করে। 

একাডেমির খেলোয়াড়েরা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন ক্লাব ও বিকেএসপিতে অবস্থান করছে। তবে বালক খেলোয়াড় দলের চেয়ে প্রমীলা দল নিয়ে চমক সৃষ্টি করে। জেএফএ কাপ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই একাডেমির প্রমীলারা খেলা করে আসছেন। বর্তমানে জেলার প্রমীলা ফুটবলে দল বলতে বোদা ফুটবল একাডেমি দলকে চেনায়। বিপুলের এই একাডেমিতে বর্তমানে বালক ও প্রমীলা মিলে প্রায় দুই শতাধিক খেলোয়াড় রয়েছে। সম্প্রতি তাঁদের এই অর্জন উপজেলাকে আরও অনেক সুনাম এনে দিয়েছে। 

বোদা ফুটবল একাডেমির প্রশিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন বিপুল বলেন, অনেক সাধনা ছিল তাঁদের নিয়ে। তারাসহ আরও অনেক ভালো খেলোয়াড় রয়েছে এই একাডেমিতে। আশা করছি মিতু ও তৃষ্ণার মতো এই একাডেমির অনেক খেলোয়াড় জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করবে। 

তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন বলেন, তাদের বাসা হতে বের করতে নানান কথা সহ্য করতে হয়েছে। নানান রকম কু উক্তি হজম করে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এ জন্য তাঁদের অভিভাবকদের সহযোগিতা ছিল। তাঁরা সহযোগিতা না করলে আজ আমি তাদের এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না। 

বোদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ও একাডেমির উপদেষ্টা রবিউল আলম সাবুল বলেন, ‘মেয়ে দুটি আমার বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তাদের এই অর্জন আমার প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক সুনামের। আমি চাই মিতু ও তৃষ্ণার মতো আরও খেলোয়াড় তৈরি করুক বিপুল। তাঁর এই সব কাজে সার্বক্ষণিক আমি সহযোগিতা করেছি।’ 

বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী বলেন, ‘তাদের এই অর্জন এই উপজেলার সুনাম বাড়িয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই একাডেমির খোঁজ খবর রাখি। তবে খেলোয়াড় তৈরির ক্ষেত্রে আমার সহযোগিতা থাকবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত