Ajker Patrika

উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিক নিহত

এভারগ্রিন বাদে সব কারখানা খুলছে কাল, মামলা করবে না কোনো পক্ষ

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪২
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বুধবার সব কারখানা বন্ধ থাকায় ছিল না কর্মচাঞ্চল্য। ছবি: আজকের পত্রিকা
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বুধবার সব কারখানা বন্ধ থাকায় ছিল না কর্মচাঞ্চল্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বুধবার সব কারখানা বন্ধ ছিল। ইপিজেড এলাকায় ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। ইপিজেডের ভেতরে এদিন বিকেলে একটি সভা হয়েছে। বেপজা, জেলা প্রশাসন, শ্রমিক প্রতিনিধি, কারখানার মালিক, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার অংশগ্রহণে এ সভায় শ্রমিকদের ২৩ দফা দাবি মেনে নেওয়াসহ কোনো পক্ষই মামলা করবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে ঘটনা তদন্তে বেপজার পক্ষ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

উত্তরা ইপিজেডে দেশি-বিদেশি ২৭টি কারখানা রয়েছে। ৬৫ হাজারের বেশি শ্রমিক এখানে কাজ করেন। অসন্তোষের জেরে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সড়ক অবরোধ করেন এভারগ্রিন নামের একটি কারখানার শ্রমিকেরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে হাবিব ইসলাম (২১) নামের এক শ্রমিক নিহত হন। তিনি ইপিজেডের ইকু ইন্টারন্যাশনাল নিটিং নামের একটি কারখানার শ্রমিক। কারখানায় রাতে কাজ করে সকালে বের হওয়ার পরপরই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি।

সংঘর্ষের ওই ঘটনায় আহত হন ২১ জন। ঘটনার পরই বন্ধ হয়ে যায় ইপিজেডের সব কারখানা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে ২ প্লাটুন বিজিবি, পুলিশ ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়। বুধবারও দিনভর তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার জন্য অংশীজনদের নিয়ে বুধবার বিকেলে ইপিজেডে সভা হয়। সভায় শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহাল, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এভারগ্রিন কারখানা বাদে সব কারখানা চালু এবং এভারগ্রিন শনিবার চালুর সিদ্ধান্ত অন্যতম। সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ মামলা করবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, ইপিজেডের ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, সমস্যা নিরসনে শ্রমিকদের ২৩ দফা দাবি পর্যালোচনা করা হয়। তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বজনেরা হাসপাতাল থেকে জোর করে হাবিবের লাশ নিয়ে যান। এরপর ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত