Ajker Patrika

গজঘণ্টা স্কুল অ্যান্ড কলেজে মিলেমিশে ১৫ লাখ আত্মসাৎ

  • ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, অফিস সহকারী ও দুই সহকারী শিক্ষকের যোগসাজশে টাকা আত্মসাৎ।
  • ভুয়া বিল-ভাউচারে টাকা উত্তোলন।
  • তদন্ত কমিটির দাবি করলেও কাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জানেন না ইউএনও।
আব্দুর রহিম পায়েল (রংপুর) গঙ্গাচড়া
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ২২: ১৩
গজঘণ্টা স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ছবি: সংগৃহীত
গজঘণ্টা স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, অফিস সহকারী ও দুই সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পাঁচ মাস আগে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমানে সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে বলে দাবি করা হলেও আসলে কোনো কমিটি করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১০ জুন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন আব্দুল খালেক। যোগদানের পর থেকেই তিনি সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অধিক হারে সেশন ফি, বেতন ও পরীক্ষার ফি বাবদ প্রায় ১৩ লাখ টাকা আদায় করেন। এর মধ্যে পরীক্ষার খরচ দেখানো হয় মাত্র ৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের সরকারি বরাদ্দ থেকে ৫ লাখ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ ১২ হাজার টাকা বিভিন্ন অজুহাত ও ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক অফিস সহকারী কাজী শওকত আলী এবং দুই সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন ও প্রিয়নাথ রায়ের যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।

সম্প্রতি অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির গ্রামীণ ব্যাংক গজঘণ্টা শাখার স্কুল শাখা (হিসাব নম্বর-১০০০০১) ও কলেজ শাখা (হিসাব নম্বর-১০০০০২) থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২৫ সালের ১ আগস্ট পর্যন্ত কোনো লেনদেন হয়নি। কিন্তু রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার অগ্রণী ব্যাংকের হিসাব থেকে ৫ লাখ ১২ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিতে গেলে কথা হয় সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামানের সঙ্গে। অতিরিক্ত সেশন ফি ও বেতন আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অধ্যক্ষ সাহেবকে বারবার নিষেধ করেছিলাম। এমনকি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রও দিয়েছিলাম; কিন্তু তিনি শোনেননি। বরং আমাকে বলেছিলেন, আপনার এসব বিষয়ে নাক গলানোর দরকার নেই। আমার জানা মতে, দেড় বছরে দুটি পরীক্ষার জন্য ৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন। বাকি টাকা কোথায় গেছে, তার কোনো হিসাব নেই।’

আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি বিধি অনুযায়ী স্কুলের অর্থ কমিটির আহ্বায়ক হওয়ার কথা আমার। কিন্তু আর্থিক অনিয়ম করার জন্য তিনি (অধ্যক্ষ) নিজের পছন্দমতো দুই শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন ও প্রিয়নাথ রায়কে নিয়ে দায়সারা কমিটি চালিয়েছেন। প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও আমাকে কোনো কাজে সম্পৃক্ত করা হয়নি।’

অতিরিক্ত সেশন ফি ও বেতন আদায়ের বিষয়ে লাল মিয়া, সাজু মিয়াসহ অন্তত ১৮-২০ জন উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, ‘আমরা জানতামই না উপবৃত্তিধারী বাচ্চাদের বেতন সরকার দেয়। আমরা দিনমজুর মানুষ। এবারের পরীক্ষার সময় কয়েকজন অভিভাবকের টাকা জোগাড় করতে সমস্যা হয়েছিল। প্রধান শিক্ষকের কাছে ফি কমানোর অনুরোধ করলে তিনি রাজি হননি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আখতারুজ্জামান নিজেই কমিটি করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি তাঁর ভায়রাকে দিয়ে রিট করান। ফলে কমিটি দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাদের বলেন, “আপনারা নিজের মতো খরচ করে হিসাব রাখুন।” তাই আমরা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে খরচ করেছি। তবে উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন বা অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে কি না, সেটা অধ্যক্ষই জানেন।’

অফিস সহকারী কাজী শওকত আলী বলেন, ‘প্রতিদিন যা টাকা ওঠে, সব আমি হেড স্যারকে বুঝিয়ে দিই। আমার কাছে কোনো টাকা থাকে না।’

অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক বলেন, ‘যদি প্রতিষ্ঠানে কমিটি না থাকে তাহলে আমি টাকা ব্যাংকে রেখে কি বিপদে পড়ব? তাই ইউএনও ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মৌখিক অনুমতি নিয়ে অফিস সহকারীর মাধ্যমে টাকা খরচ করি। সরকার থেকে উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের বেতনের যে টাকা আসে, তা দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানো যায় না। তাই অতিরিক্ত ফি নিতে হয়।’ অন্য এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘উপবৃত্তিধারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া যাবে না—এমন কোনো পরিপত্র আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মো. আরিফ মাহমুদ বলেন, ‘অধ্যক্ষের দাবি ঠিক নয়। আর্থিক বিষয়ে মৌখিক নির্দেশ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কাউকে এমন কিছু বলা হয়নি।’

ইউএনও মাহমুদুল হাসান মৃধা বলেন, ‘এ নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা তদন্ত কমিটি দিয়ে দিয়েছি। এ মুহূর্তে বলতে পারছি না, কাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আমার অফিসের মমতাজ বিস্তারিত বলতে পারবে। অধ্যক্ষ নিজে অপরাধ করে এখন আমার ওপর দায় চাপিয়ে বাঁচতে চাচ্ছেন। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বললাম। উনি এখন কিছু বলতে পারছেন না। অধ্যক্ষ যে অপরাধ করেছেন তা আমার কাছে শিকার করেছেন। আমি তাঁকে বৃহস্পতিবার ঢেকেছি, উনি এলে আমি তাঁর কাছে থেকে তাঁর অপরাধের লিখিত নিয়ে নেব।’

জানতে চাইলে উপজেলা উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, ‘যিনি এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তিনি বলেছিলেন তদন্তটা কয়েক দিন পরে দেন। এ জন্যই তদন্তটা দেওয়া হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

শেখ হাসিনা যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন কি—জবাবে যা বললেন জয়শঙ্কর

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

কর্মী নেবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, নেই বয়সসীমা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুর জটিল চিকিৎসা নিয়ে প্রশিক্ষণ আদান-প্রদান ৮০ চিকিৎসকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে কর্মশালায় অংশ নেওয়া চিকিৎসকেরা। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে কর্মশালায় অংশ নেওয়া চিকিৎসকেরা। ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন নতুন বিষয়ের ওপর জ্ঞান অর্জনে চট্টগ্রামে এক কর্মশালায় অংশ নিলেন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের ৮০ জন শিশুচিকিৎসক। শিশু ক্রিটিক্যাল কেয়ারবিষয়ক এ কর্মশালা প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালার শেষ দিন ছিল শনিবার (৬ ডিসেম্বর)। এর আয়োজন করে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ ও বাংলাদেশ একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড নিওনেটাল ক্রিটিক্যাল কেয়ার।

কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন ঢাকা থেকে আসা দেশের প্রখ্যাত নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের পেডিয়েট্রিক একাডেমিক প্রধান অধ্যাপক মনির হোসেন, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের নিউনেটালজির ডেপুটি একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মাহফুজা শিরীন, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের পেডিয়েট্রিক কার্ডিওলজি একাডেমির সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, পেডিয়েট্রিক কার্ডিয়েক্ট ইনসেপটিক কেয়ার হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড আরআইরের এম নুরুল আকতার হাসান, সহকারী অধ্যাপক আকতার হোসেন মাসুদ, সহকারী অধ্যাপক আবু তালহা, ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালের পেডিয়েট্রিক ক্রিটিক্যাল কেয়ারের কনসালট্যান্ট নুরুন নাহার ও চট্টগ্রাম অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের পেডিয়েট্রিক ক্রিটিক্যাল কেয়ারের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট সাদিয়া আফরিন।

শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয়প্রধান অধ্যাপক দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালার সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা, জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যক্ষ লায়ন মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, পরিচালক (প্রশাসন) মো. নূরুল হক, পরিচালক (অটিজম ও শিশু বিকাশকেন্দ্র) অধ্যাপক মাহমুদ আহমেদ চৌধুরী আরজু, ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের পরিচালক অধ্যাপক ওয়াজির আহমেদ, পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) এ কে এম আশরাফুল করিম, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক গুলশান আরা, উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, উপপরিচালক (প্রশাসন, আইসিএইচ) মো. আবু সৈয়দ চৌধুরী প্রমুখ।

কর্মশালায় কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের পেডিয়েট্রিক আইসিইউর সহকারী অধ্যাপক মিশু তালুকদার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহিম হাসান রেজা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

শেখ হাসিনা যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন কি—জবাবে যা বললেন জয়শঙ্কর

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

কর্মী নেবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, নেই বয়সসীমা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ।  ছবি: সংগৃহীত
সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুর-২ আসনে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহান্দার আলী জাহানকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত দুই প্রার্থীর সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার রাজৈর বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ করা হয়।

এতে অংশ নেন মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বৈদ্যের সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা। আরও অংশ নেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপির সহশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা।

দুই মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর বিক্ষুব্ধ সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রী, রোগী ও চালকেরা।

এর আগে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে হেলেন জেরিন খানের সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা।

রাজৈর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

শেখ হাসিনা যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন কি—জবাবে যা বললেন জয়শঙ্কর

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

কর্মী নেবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, নেই বয়সসীমা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৬ জনের কারাদণ্ড

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
অবৈধভাবে মাটি কাটা হয়।  ছবি: সংগৃহীত
অবৈধভাবে মাটি কাটা হয়। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ইটনায় কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের অপরাধে ছয়জনকে তিন মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ইটনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনতাসীর হাসান খান।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ইটনা উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্বগ্রাম মোল্লাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন মুন্সিগঞ্জ জেলার হারুন অর রশিদের ছেলে রুবায়েত হোসেন, আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার সোনালী মিয়া ছেলে ফরহাদ মিয়া, জয়নাল মিয়ার ছেলে মো. নোমান, মিঠামইন উপজেলার মো. হাসান আলীর ছেলে মারফত আলী ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সুমন মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাওরের কৃষিজমি থেকে একটি চক্র পলি মাটি (টপ সয়েল) অবৈধভাবে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এতে, জমির উর্বরতা হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল সাধারণ কৃষক। ফলে, কৃষিপণ্য বা ফসল উৎপাদন কমছে আশঙ্কাজনকভাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অষ্টগ্রাম সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শহিদুল হক, ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) জাফর ইকবালসহ ইটনা থানা ও উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইটনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুনতাসীর হাসান খান বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাটি উত্তোলন করার অপরাধে। দুটি বেকু জব্দসহ ছয়জনকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

শেখ হাসিনা যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন কি—জবাবে যা বললেন জয়শঙ্কর

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

কর্মী নেবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, নেই বয়সসীমা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার দরজা ভেঙে প্রধান শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৪
প্রধান-শিক্ষিকা ।  ছবি: সংগৃহীত
প্রধান-শিক্ষিকা । ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের পুবাইল থানার মাজুখান এলাকায় একটি বাসা থেকে শাহানা বেগম (৫৭) নামের এক প্রধান শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে মাজুখান পশ্চিমপাড়া এলাকার ফাগুনী নামের ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত শাহানা বেগম কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহানা বেগম ঢাকার রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকার আবদুল আজিজ খানের স্ত্রী। চাকরির সুবাদে তিনি চার বছর ধরে পুবাইলের মাজুখান এলাকার ওই ভবনে একাই ভাড়া থাকতেন এবং সেখান থেকেই নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করতেন।

মৃতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শাহানা বেগম অসুস্থ ছিলেন। তাঁর ছেলে তাওসির আহমেদ খান অনিক পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর মা দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন এবং তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়েছিল। যেহেতু তিনি বাসায় একা থাকতেন, তাই ধারণা করা হচ্ছে, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি মারা গেছেন এবং সাহায্য চাওয়ার সুযোগ পাননি।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বা হৃদ্‌রোগে মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এ ঘটনায় পুবাইল থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে।

পুবাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ওই শিক্ষিকাকে বাসা থেকে বের হতে দেখা যাচ্ছিল না। এমনকি ঘরের ভেতর থেকেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আজ সকালে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঢুকে শিক্ষিকার নিথর দেহ উদ্ধার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

শেখ হাসিনা যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন কি—জবাবে যা বললেন জয়শঙ্কর

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

কর্মী নেবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, নেই বয়সসীমা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত