রংপুর প্রতিনিধি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে প্রক্টরের বক্তব্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, দোষীকে বাঁচিয়ে দিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের মন্তব্য করেছেন তিনি।
এর আগে আজ সোমবার যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে প্রতীকী জুতার মালা পরিয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ করেন একদল শিক্ষার্থী।
ওই সময় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘ফেসবুক ফাটে ফেলেছে। খবরে নিউজ হচ্ছে। কারও কোনো সৎ সাহস নাই যে আমাকে যৌন হয়রানি করেছে, কেউ দুই লাইন লিখে দিতে পারে না? যাকে যৌন হয়রানি করছে, সেও মজা নিছে, সেও পরীক্ষায় মার্ক নিছে। যে শিক্ষকই হোক না কেন? আমি যদি হই, তাহলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিক। দুই লাইন লিখে দিক কী কী অভিযোগ, তাকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো বায়বীয় অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার হবে না।’ তাঁর এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান শিক্ষার্থীরা।
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জিম আক্তার বলেন, ‘প্রক্টর স্যারের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক। আমাদের পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে দেখভালের দায়িত্ব তাঁর। এ ধরনের মানসিকতা ও শব্দচয়ন অপেশাদারত্বের পরিচয় দেয়।’
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদুজ্জামান নাহিদ বলেন, ‘প্রক্টর তাঁর বক্তব্যের মধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন যে পরীক্ষার ওপর নয়, শিক্ষকের ওপর পরীক্ষার ফলাফল নির্ভর করে। তাই তো বলছেন, মজাও নিয়েছে, মার্কস নিয়েছে। এটা স্পষ্ট যে শিক্ষককে মজা দিলে, মার্কস কোনো ব্যাপার না। প্রশাসনের দায়িত্বে থেকে এ ধরনের মন্তব্যে তাঁর অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছেন। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানির কোনো অভিযোগ কেন দিতে পারে না? এটার কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। শিক্ষার্থীদের যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই অভিযোগ দেবে।’
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী চন্দন রায় বলেন, ‘প্রক্টর স্যারের বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় নামে কোনো একটি ফেসবুক পেজে দেখেছি। আমরা কখনোই তাঁর কাছ থেকে এমন মন্তব্য আশা করিনি। প্রশাসন থেকে যদি এমন মন্তব্য করা হয়; তাহলে অন্যদের অবস্থা কী?’
বক্তব্য বিকৃতির অভিযোগ করে প্রক্টর ফেরদৌস রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিডিওটি ভালো করে শোনেন আগে। এটা যেসব আইডি থেকে ছড়ানো আছে, সেগুলো ফেক আইডি। মজা নেয়া বলতে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে লিখে মজা নিচ্ছে।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকাত আলী বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারি না। যিনি বলেছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বললে মন্তব্য পাবেন। তিনি এ মুহূর্তে ঢাকায় আছেন।’
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে প্রক্টরের বক্তব্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, দোষীকে বাঁচিয়ে দিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের মন্তব্য করেছেন তিনি।
এর আগে আজ সোমবার যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে প্রতীকী জুতার মালা পরিয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ করেন একদল শিক্ষার্থী।
ওই সময় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘ফেসবুক ফাটে ফেলেছে। খবরে নিউজ হচ্ছে। কারও কোনো সৎ সাহস নাই যে আমাকে যৌন হয়রানি করেছে, কেউ দুই লাইন লিখে দিতে পারে না? যাকে যৌন হয়রানি করছে, সেও মজা নিছে, সেও পরীক্ষায় মার্ক নিছে। যে শিক্ষকই হোক না কেন? আমি যদি হই, তাহলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিক। দুই লাইন লিখে দিক কী কী অভিযোগ, তাকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো বায়বীয় অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার হবে না।’ তাঁর এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান শিক্ষার্থীরা।
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জিম আক্তার বলেন, ‘প্রক্টর স্যারের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের জন্য অপমানজনক। আমাদের পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে দেখভালের দায়িত্ব তাঁর। এ ধরনের মানসিকতা ও শব্দচয়ন অপেশাদারত্বের পরিচয় দেয়।’
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদুজ্জামান নাহিদ বলেন, ‘প্রক্টর তাঁর বক্তব্যের মধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন যে পরীক্ষার ওপর নয়, শিক্ষকের ওপর পরীক্ষার ফলাফল নির্ভর করে। তাই তো বলছেন, মজাও নিয়েছে, মার্কস নিয়েছে। এটা স্পষ্ট যে শিক্ষককে মজা দিলে, মার্কস কোনো ব্যাপার না। প্রশাসনের দায়িত্বে থেকে এ ধরনের মন্তব্যে তাঁর অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছেন। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানির কোনো অভিযোগ কেন দিতে পারে না? এটার কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। শিক্ষার্থীদের যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই অভিযোগ দেবে।’
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী চন্দন রায় বলেন, ‘প্রক্টর স্যারের বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় নামে কোনো একটি ফেসবুক পেজে দেখেছি। আমরা কখনোই তাঁর কাছ থেকে এমন মন্তব্য আশা করিনি। প্রশাসন থেকে যদি এমন মন্তব্য করা হয়; তাহলে অন্যদের অবস্থা কী?’
বক্তব্য বিকৃতির অভিযোগ করে প্রক্টর ফেরদৌস রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিডিওটি ভালো করে শোনেন আগে। এটা যেসব আইডি থেকে ছড়ানো আছে, সেগুলো ফেক আইডি। মজা নেয়া বলতে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে লিখে মজা নিচ্ছে।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শওকাত আলী বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারি না। যিনি বলেছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বললে মন্তব্য পাবেন। তিনি এ মুহূর্তে ঢাকায় আছেন।’
নওগাঁর রাণীনগরে অভ্যন্তরীণ ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ে অর্জিত হয়নি। কৃষকেরা ধান না দেওয়ায় এবং মিলাররা চাল না দেওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অবস্থায় মিলারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা।
৪২ মিনিট আগেযশোর জেলায় এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত গত পাঁচ মাসে ৩৬ জন খুন হয়েছেন। বিভিন্ন থানায় ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে ২২টি। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে এসব ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অপরাধপ্রবণতা বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগেসিলেট জেলায় অবৈধভাবে পাহাড় ও টিলা কাটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর ভোট গণনার কাজ চলছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে