Ajker Patrika

সোনার দাম লাগামহীন, পেশা ছাড়ছেন রংপুরের স্বর্ণকাররা

শিপুল ইসলাম, রংপুর
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১: ৫৩
সোনার দাম লাগামহীন, পেশা ছাড়ছেন রংপুরের স্বর্ণকাররা

দিন দিন লাগামহীন দামে রংপুরে সংকটের মুখে পড়েছে সোনার ব্যবসা। ক্রেতাশূন্য হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। কাজ না থাকায় পেশা বদল করছেন অনেক স্বর্ণকার (কারিগর)। কেউ কেউ চালাচ্ছেন রিকশা, কেউ কেউ কৃষি কাজে যুক্ত হচ্ছেন। এই অবস্থার জন্য সিন্ডিকেট কারসাজিকে দায়ী করছেন জুয়েলারি মালিক সমিতির নেতারা।
 
বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন রংপুর জেলা শাখা থেকে জানা গেছে, রংপুর জেলায় স্বর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আট শতাধিক। বর্তমানে জেলায় এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৯ হাজার শ্রমিক ও কারিগর। এক বছর আগেও প্রতি মাসে এই শিল্পে বাণিজ্য হতো ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা। 
 
বর্তমানে কেনাবেচা কমে যাওয়ায় সোনার বাণিজ্য এসে ঠেকেছে এক থেকে দেড় কোটি টাকায়। চলতি বছর ১৭ বার ওঠানামা করেছে সোনার দাম। গত জুলাই মাসে দাম ছাড়িয়েছে লাখ টাকা। সোনার এমন লাগামহীন দামে ক্রেতাশূন্য হওয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন বলে রংপুরের জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন জানায়। 
 
সরেজমিনে জানা গেছে, টুং টাং শব্দে মুখরিত ছিল রংপুরের বানিয়াপট্টি। আগের মতো তেমন নেই কর্মব্যস্ততা। থরে থরে সাজিয়ে রাখা সোনার অলংকারগুলো জ্বলজ্বল করলেও ক্রেতার সংকটে পট্টি যেন নিষ্প্রাণ।
 
সোনার দোকানের মালিকেরা বলছেন, দিন শেষে যে কাজ হয় তাতে সংসার চালানো দায় স্বর্ণকারদের। তাই কমে যাচ্ছে এই পেশার শ্রমিক ও কারিগর।
 
নগরীর বেতপট্টি এলাকার রুমা জুয়েলার্সের মালিক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বর্তমানে ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। এমনও সময় যাচ্ছে ১৫ দিনে এক দিন ব্যবসা হয়। দফায় দফায় দাম বাড়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে সোনা কেনার সামর্থ্য চলে গেছে। এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দেশে বড় বড় সিন্ডিকেটের কারণে। লোকসানে এই ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছি।’ 
 
রংপুরের স্বর্ণকার হেলেন মিয়া বলেন, ‘একসময় স্বর্ণশিল্পী মানেই ছিল অভিজাত পেশা। এখন সেই পেশা বড় সংকটে। অনেকেই এই কাজ ছেড়ে দিয়ে রিকশা, অটোরিকশা চালাচ্ছেন। অনেকে কৃষিকাজেও ঢুকে পড়েছেন।’ 
 
রংপুরের তারাগঞ্জের বানিয়াপাড়া গ্রামে শতাধিক স্বর্ণকার ছিলেন। এখন হাতে গোনা ১০ জনের মতো আছেন এই পেশায়। কথা হলে স্বর্ণকার অতুল রায় বলেন, ‘মানুষ এখন আর আগের মতো সোনার অলংকার তৈরি করছেন না। একসময় কাজ করতে দিশে (ব্যস্ততা) পেতাম না। এখন চার-পাঁচ দিন পর বিয়ে-শাদির টুকিটাকি কাজ পেলেও সংসার চালানোর মতো আয় হয় না। ভাবছি এই পেশা ছেড়ে দেব।’ 
 
তিন মাস আগে স্বর্ণকারের কাজ ছেড়েছেন বানিয়াপাড়া গ্রামের অমৃত সাধু। এখন পেশা হিসেবে অটোরিকশা চালনাকে বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘১৫ বছর ধরে রংপুরের বড় বড় জুয়েলার্সে কারিগরির কাজ করেছি। সোনার দাম আকাশচুম্বী হয়েছে, মানুষ ভাত খেতে পারছে না সোনা কিনবে কী দিয়ে? আগের মতো এখন আর কাজ নেই। তাই কাজ ছেড়ে দিয়ে অটোরিকশা চালাচ্ছি। এ পেশায় অনেক ভালো আছি।’
 
বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারসাজিতে বাড়ছে সোনার দাম। এই শিল্পকে বাঁচাতে স্বর্ণনীতির পূর্ণ বাস্তবায়নসহ ব্যাংকিং সুবিধা সৃষ্টির দাবি করছেন তাঁরা। 
 
বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন রংপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রাজু বলেন, ‘সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমনও মাস আছে এক দিন দাম কমলে ১৫ দিন সোনার দাম বেড়েছে। এখন লাখ টাকা সোনার ভরি ছাড়িয়েছে। সোনার দাম বাড়ার কারণে আমরা লোকসানের মুখে আছি। কাজ না থাকায় অনেক দক্ষ কারিগর এখন পেশা বদল করছেন।’ 
 
চলতি বছর ১৭ বার সোনার দাম ওঠানামা করার কথা জানান বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন রংপুর জেলা শাখার সভাপতি এনামুল হক সোহেল। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে সোনার অলংকার তৈরি ও কেনার সামর্থ্য। এতে আমরা ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছি। এই অবস্থায় আমরা চাই জুয়েলারি মালিকেরা ঋণসুবিধা পাক। তাহলে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নওগাঁয় বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

 নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁপানিয়া (তেঁতুলতলী) এলাকায় বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন নওগাঁ সদর উপজেলার একডালা পূর্বপাড়া গ্রামের এলিম শাহর ছেলে মোস্তফা সরদার (৫৫), তিনি পেশায় চালকল ব্যবসায়ী। অপরজন হলেন পোরশা উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল মালেক।

থানা-পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোটরসাইকেলযোগে হাঁপানিয়া থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। পথে তেঁতুলতলী এলাকায় নওগাঁ থেকে রাজশাহীগামী একটি বিআরটিসি বাস অপর একটি বাসকে ওভারটেক করার সময় মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নিয়ামুল হক বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বন্দিবিনিময় চুক্তি: ভারত থেকে এল ৩২ জেলে, ফিরে গেল ৪৭ জেলে

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। ছবি: আজকের পত্রিকা
বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। ছবি: আজকের পত্রিকা

বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। আর বাংলাদেশ থেকে ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় সমুদ্রপথে দুই দেশের বন্দিবিনিময় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছে উভয় দেশের কোস্ট গার্ড।

আজ বুধবার দুপুরে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিয়াম-উল-হক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখাসংলগ্ন বাংলাদেশ জলসীমার মধ্যে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণরত অবস্থায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী গত ১২ জুলাই ও ২ আগস্ট তিনটি ভারতীয় ফিশিং বোটসহ (এফবি মা মঙ্গল চন্ডি-৩৮, এফবি ঝড়, এফবি পারমিতা-৪) ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে।

অপরদিকে, ১২ ও ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে দুটি বাংলাদেশি ফিশিং বোটসহ ৩২ জন জেলেকে আটক করে দেশটির কোস্ট গার্ড।

এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে আটক থাকা জেলেদের বন্দিবিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আটক জেলেদের হস্তান্তর/গ্রহণের কার্যক্রম সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

এরই ধারাবাহিকতায় ৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনে বাংলাদেশে আটক ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে তিনটি ফিশিং বোটসহ ভারতীয় কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

একই সঙ্গে ভারতে আটক ৩২ জন বাংলাদেশি জেলেসহ একটি ফিশিং বোট এফবি মায়ের দোয়া ভারতীয় কোস্ট গার্ড থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড গ্রহণ করে। আর অপর একটি বোট গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশি এসব জেলেরা ভারতের কারাগারে ছিল তিন মাস। আর ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের কারাগারে ছিল চার মাস। আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশি জেলেদের বোটসহ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরে (মোংলা) এনে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাঁচ দফা দাবিতে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি 
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালার সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সরকারি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে কলেজমাঠে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি কলেজশিক্ষক সমিতির (সকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসনে শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

শিক্ষক-কর্মচারীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে দ্রুত পদ সোপান তৈরি করে পদোন্নতি দেওয়া, আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের পে-প্রোটেকশন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন, দ্রুততম সময়ে সহজে চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করা, চাকরি বদলিযোগ্য করা ও একাধিক কলেজে চাকরি করা সময়কালকে গণনায় অন্তর্ভুক্ত করে কার্যকর চাকরিকাল নির্ধারণ করা।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮-এর সব কালো আইন বাতিল ও বৈষম্য নিরসন করে বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান। দাবি আদায় না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।

শিক্ষক পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে চাইনি। একটি কালো আইন তৈরি করে আমাদের সপ্তম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে নামিয়ে অবহেলার আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’

সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান সরকার বলেন, মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়। নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে তখন তার বিবেক আর সায় দেয় না। রাজপথে নামতে বাধ্য হয়। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবি

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি 
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তার চরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চরের তিস্তা নদীর পাড়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু আব্দুল মোতালেব ওরফে পানচু, মনির মাস্টার, রহিম বাদশা, ফারুক, আলমগীরসহ একটি প্রভাবশালী চক্র জাল দলিল তৈরি করে ২৫ থেকে ৩০ একর জমি দখল করে রেখেছে। বক্তাদের দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব জমি ভোগদখল করে আসছে ওই চক্র।

ভুক্তভোগীরা বলেন, নিজেদের জমিতে যেতে চাইলে ভূমিদস্যুরা মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে বহু পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে এবং জীবিকার পথ হারাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জমির মালিক মুসা ভান্ডারী, মাইনুদ্দিন, সাইজুদ্দিন, নিয়ত আলীসহ অনেকে দ্রুত এসব জমি উদ্ধার করে দখলদারদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন। ভুক্তভোগী জমির মালিকদের কয়েকজন মানববন্ধনে বক্তব্য দেন এবং তাঁদের দীর্ঘদিনের হয়রানি ও জমি হারানোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত