চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের অষ্টমী স্নান মেলা। ব্রহ্মপুত্রে স্নান উপলক্ষে তিন দিন ধরে চলছে সাজ সাজ রব। অষ্টমী স্নানকে কেন্দ্র করে দুই দিন থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের বালুর ওপর তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন দোকান, স্টল, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা ও টয়লেট।
ভোরে ‘হে ব্রহ্মপুত্র মহাভাগ শান্তর্ণ কুলনন্দর্ণ অমুঘা গর্ভ সন্তুতো পাপষ লৌহিত মে হরো’ অর্থাৎ ‘হে ব্রহ্মপুত্র মহাভাগত মোর পাপ মোচন করো’ মন্ত্র পড়ে পুণ্যার্থীরা স্নানকার্য সম্পাদন করবেন। প্রতিবছর শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী এই অষ্টমী স্নান অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে দূর-দূরান্ত থেকে খুদে ব্যবসায়ীরা চলে এসেছেন চিলমারীতে। উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের চিলমারী নদী বন্দরের রমনা ঘাট থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণে জোড়গাছ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাব্যাপী বালুর ওপর তৈরি হয়েছে নানা রকম পণ্যের স্টল। আসা শুরু করেছে বাইস্কোপ, সার্কাসসহ নানান ধরনের খেলনার দোকান। নদের কূল ধরে বসেছে বিভিন্ন রকমের দোকানপাট। মাটির জিনিসপত্র তো আছেই; এর পাশাপাশি উঠেছে মাটির তৈরি বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি, পুতুল, বাঘ, আম, নৌকা ইত্যাদি।
এ মেলায় মৃৎশিল্প প্রাধান্য পেয়েছে দুটি কারণে। প্রথমত, ধর্মীয় মতে মাটির দ্রব্যাদি ব্যবহার করতে হবে বলে; দ্বিতীয়ত, দূর-দীরান্ত থেকে যাঁরা আসেন, তাঁরা হাঁড়ি-পাতিল বহন করে আনা পছন্দ করেন না। এসব কারণে হিন্দু পুণ্যার্থীরা যে দু-তিন দিন ধর্মীয় কারণে চিলমারীতে অবস্থান করেন, তাঁরা অল্প পয়সায় মাটির বাসন-কোসন কিনে তাঁদের প্রয়োজন মিটানোর পর এগুলো ফেলে রেখেই চলে যান।
থানাহাট ইউনিয়নের রণপাগলী সর্বজনীন পূজা মন্দিরের পুরোহিত বুদ্ধদেব চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল ভোররাত ৪টা থেকে স্নান শুরু হবে। তবে মূল স্নান হবে ভোর ৪টা থেকে বিকেল ৪টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত। এবারের স্নান চলবে সারা দিন।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, চিলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি শচিন্দ্র নাথ বর্মণ জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ছাড়াও পাশের দেশ ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীরা অষ্টমী স্নান মেলায় আসবেন। এবারও প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম হবে চিলমারী বন্দরের অষ্টমী স্নান মেলায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, সরকারিভাবে অষ্টমী স্নান মেলা স্কুলে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য নলকূপ স্থাপন, নারীদের কাপড় বদলানোর জন্য সরকারি-বেসরকারি ও এনজিওদের সহায়তায় দুই শতাধিক তাঁবু থাকবে।
ইউএনও আরও বলেন, নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করাসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীকাল বিকেলে জোড়গাছ বাজার, পরদিন রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল বাজার, রাণীগঞ্জ বাজার, ফকিরেরহাট ও থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ীহাট এলাকায় মেলা বসবে।
চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের অষ্টমী স্নান মেলা। ব্রহ্মপুত্রে স্নান উপলক্ষে তিন দিন ধরে চলছে সাজ সাজ রব। অষ্টমী স্নানকে কেন্দ্র করে দুই দিন থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের বালুর ওপর তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন দোকান, স্টল, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা ও টয়লেট।
ভোরে ‘হে ব্রহ্মপুত্র মহাভাগ শান্তর্ণ কুলনন্দর্ণ অমুঘা গর্ভ সন্তুতো পাপষ লৌহিত মে হরো’ অর্থাৎ ‘হে ব্রহ্মপুত্র মহাভাগত মোর পাপ মোচন করো’ মন্ত্র পড়ে পুণ্যার্থীরা স্নানকার্য সম্পাদন করবেন। প্রতিবছর শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী এই অষ্টমী স্নান অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে দূর-দূরান্ত থেকে খুদে ব্যবসায়ীরা চলে এসেছেন চিলমারীতে। উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের চিলমারী নদী বন্দরের রমনা ঘাট থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণে জোড়গাছ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাব্যাপী বালুর ওপর তৈরি হয়েছে নানা রকম পণ্যের স্টল। আসা শুরু করেছে বাইস্কোপ, সার্কাসসহ নানান ধরনের খেলনার দোকান। নদের কূল ধরে বসেছে বিভিন্ন রকমের দোকানপাট। মাটির জিনিসপত্র তো আছেই; এর পাশাপাশি উঠেছে মাটির তৈরি বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি, পুতুল, বাঘ, আম, নৌকা ইত্যাদি।
এ মেলায় মৃৎশিল্প প্রাধান্য পেয়েছে দুটি কারণে। প্রথমত, ধর্মীয় মতে মাটির দ্রব্যাদি ব্যবহার করতে হবে বলে; দ্বিতীয়ত, দূর-দীরান্ত থেকে যাঁরা আসেন, তাঁরা হাঁড়ি-পাতিল বহন করে আনা পছন্দ করেন না। এসব কারণে হিন্দু পুণ্যার্থীরা যে দু-তিন দিন ধর্মীয় কারণে চিলমারীতে অবস্থান করেন, তাঁরা অল্প পয়সায় মাটির বাসন-কোসন কিনে তাঁদের প্রয়োজন মিটানোর পর এগুলো ফেলে রেখেই চলে যান।
থানাহাট ইউনিয়নের রণপাগলী সর্বজনীন পূজা মন্দিরের পুরোহিত বুদ্ধদেব চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল ভোররাত ৪টা থেকে স্নান শুরু হবে। তবে মূল স্নান হবে ভোর ৪টা থেকে বিকেল ৪টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত। এবারের স্নান চলবে সারা দিন।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, চিলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি শচিন্দ্র নাথ বর্মণ জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ছাড়াও পাশের দেশ ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীরা অষ্টমী স্নান মেলায় আসবেন। এবারও প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম হবে চিলমারী বন্দরের অষ্টমী স্নান মেলায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, সরকারিভাবে অষ্টমী স্নান মেলা স্কুলে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য নলকূপ স্থাপন, নারীদের কাপড় বদলানোর জন্য সরকারি-বেসরকারি ও এনজিওদের সহায়তায় দুই শতাধিক তাঁবু থাকবে।
ইউএনও আরও বলেন, নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করাসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীকাল বিকেলে জোড়গাছ বাজার, পরদিন রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল বাজার, রাণীগঞ্জ বাজার, ফকিরেরহাট ও থানাহাট ইউনিয়নের বালাবাড়ীহাট এলাকায় মেলা বসবে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে