Ajker Patrika

ফ্রিল্যান্সার তুষারের সাফল্য

প্রতিনিধি, পীরগঞ্জ (রংপুর)
Thumbnail image

সময়টা ২০১৩ সাল। বয়স তখনো ২০ অতিক্রম করেনি। সেই বয়সেই কিছু একটা করার ইচ্ছা থেকে ফ্রিল্যান্সিং জগতে পা বাড়ানো। তারপর হাল ধরে দীর্ঘ সাত বছরের কঠোর পরিশ্রম একটু একটু করে তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে সফলতার দ্বারপ্রান্তে। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস ফাইবার এবং আপওয়ার্কের টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার হিসেবে।

বলছিলাম পীরগঞ্জ উপজেলার আমোদপুর গ্রামের তরুণ তরিকুল ইসলাম তুষারের কথা। তিনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) ওপর কাজ করছেন। আপওয়ার্কের জরিপে বাংলাদেশ র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রথম অবস্থানটি এখন তাঁর। বর্তমানে তাঁর মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকারও বেশি।

গাইবান্ধা সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক পাস করা তুষার ২০১৩ সালে প্রথম ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি ২০১৫ সালে একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশ হয়ে কাজ করার সুযোগ পান। সেখানেই মূলত এই কাজের জগৎ সম্পর্কে তাঁর বিস্তারিত অভিজ্ঞতা হয়। দুই বছর চাকরির পর তিনি ২০১৭ সালে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে মনোযোগী হয়ে ওঠেন। 

তুষার বলেন, ‘শুরুতে কোনো কিছু বুঝতাম না। ইন্টারনেট ঘেঁটে ঘেঁটে শিখতে লাগলাম। এখনকার মতো তখন এত কোর্সের ব্যবস্থাও ছিল না। অনেক ইচ্ছে ছিল ওয়েভ ডেভেলপমেন্টের ওপর কাজ করব। কিন্তু সেটাতে খুব বেশি সফলতা না আসায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ওপর কাজ করতে থাকি। এরপর পর্যায়ক্রমে এসইওয়ের ওপর কাজ শিখে তা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাই।’

তুষার বর্তমানে প্রতি মাসে অর্ধ লাখ টাকা আয় করলেও, কিছুদিনের মধ্যে তা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।

তুষারের স্বপ্ন তরুণদের ফ্রিল্যান্সিং পেশায় দক্ষ করে তুলে বেকার সমস্যা ঘোচানো। ইতিমধ্যে তিনি গ্রামে একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তুলেছেন। যেখান থেকে প্রতিনিয়ত নতুন ফ্রিল্যান্সার তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

তরুণ এ ফ্রিল্যান্সার জানান, আগামীর বাংলাদেশ হবে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর। এ জন্য সামনের দিনগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। করোনা মহামারির কারণে দেশের মানুষ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকে পড়ছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো।

আগ্রহীদের উদ্দেশে তুষার বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। নিজেকে ঠিক করে নিতে হবে কোন বিষয়ে আপনি দক্ষ। যে বিষয়ের ওপর আপনি কাজ করতে আগ্রহী সেই বিষয়ের ওপর ভাসা ভাসা ধারণা নিয়ে মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করা সম্ভব নয়। এতে হতাশ হতে হবে। এ জন্য দক্ষতা অর্জন এবং ধৈর্য ধারণের বিকল্প নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত