Ajker Patrika

রমেকের সিলিন্ডার পাচার চেষ্টার রহস্য উন্মোচন, গ্রেপ্তার ২

প্রতিনিধি, রংপুর 
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২১, ১৮: ৫৯
রমেকের সিলিন্ডার পাচার চেষ্টার রহস্য উন্মোচন, গ্রেপ্তার ২

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাচারের ঘটনার রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছে পুলিশ। এ ঘটনার মূল নায়ক সোহেল ফকির (৪২) ও নাছিম হোসেন (২৯) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা পাবনা জেলার বাসিন্দা। গতকাল সোমবার পাবনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আবু মারুফ হোসেন জানান, আসামিরা অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবহনের নামে প্রতারণার মাধ্যমে ট্রাকচালকদের থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। একই উদ্দেশ্যে গত ২৩ জুলাই মোবাইল ফোনে আসামি সোহেল ফকির নিজেকে রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম পরিচয় দিয়ে দিনাজপুর ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের মনজুরুল আলমকে ফোন দেন। রমেক হাসপাতাল হতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য অক্সিজেনের খালি সিলিন্ডার ঢাকায় পাঠানো ও ঢাকা হতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন ভর্তি সিলিন্ডার পরিবহনের কথা বলে তিনটি ট্রাক ভাড়া করেন। প্রতিটি ট্রাকের ভাড়া ৪০ হাজার টাকা করে ঠিক করা হয়। এরপর দিনাজপুর থেকে তিনটি ট্রাক নিয়ে তিনজন চালক ও তিনজন হেলপার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে কথিত ডা. রেজাউল করিমকে ফোন করেন। এ সময় প্রতারক সোহেল ফকির বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করে একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল ফ্রি করে দেওয়ার কথা বলে ট্রাকচালকদের কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করেন। চালকেরা সরল মনে বিকাশের মাধ্যমে তিন হাজার টাকা পাঠিয়ে দিলে টাকা পাওয়ার পর প্রতারক সোহেল ফকির মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। 

এ দিকে কথিত ডা. রেজাউল করিমের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে চালকেরা চালান নিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞেস করে হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্টের ইনচার্জ সাইদ বাবুর কাছে যান। সাইদ বাবুর সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি হাসপাতাল প্রশাসনকে জানান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে ট্রাকচালক ও হেলপারদের আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ট্রাক তিনটি জব্দ করে কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়। ঘটনার পর দিন মামলা দায়ের হলে ট্রাকচালক জহুরুল ইসলাম (৪৩), মো. হাবিল (২৯) ও মো. সুজন হোসেন (২৯) এবং হেলপার সাঈদ হাসান (২৯), সাইফুল ইসলাম (৩৪) ও আশিক রায়কে (২৮) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। তাঁদের সবার বাড়ি দিনাজপুর জেলায়।

গ্রেপ্তারকৃত চালক ও হেলপারদের বিষয়ে জানতে চাইলে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, এ ঘটনার সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত চালক ও হেলপারদের সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

উপ-কমিশনার আবু মারুফ বলেন, প্রতারক চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ও বিভিন্ন গাড়ির পেছনে থাকা মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ট্রাকভাড়া নেওয়ার কথা বলে এভাবে প্রতারণা করে আসছিল। গত ২/৩ বছর ধরে সারা দেশে একই কায়দায় অসংখ্য প্রতারণা করেছে। টাকার পরিমাণ কম হওয়ায় অনেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে এড়িয়ে গেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত