Ajker Patrika

কাউনিয়ায় স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
কাউনিয়ায় স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

রংপুরের কাউনিয়ায় বিথী রাণী (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য ওই মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের নিলাম খরিদা সদরা গ্ৰামে নিজ বাড়ির উঠান থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

বিথী রাণী নিলাম খরিদা সদরা গ্ৰামের শ্রী কিরেন চন্দ্র বর্মনের মেয়ে এবং গোবরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। 

স্থানীয় ও স্বনজদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রী কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাড়িতে গ্ৰামের পল্লি চিকিৎসক দিয়ে ওয়াশ করা হয়। এতে সে আরও অসুস্থ হয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। মারা যাওয়ার পর বুধবার দুপুরে গোপনে মরদেহ দাহ করার প্রস্তুতি নেয় স্বজনেরা। পরে খবর পেয়ে বাড়ির উঠান থেকে ওই ছাত্রী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

বিথী রাণীর বাবা কিরেন চন্দ্র বর্মন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে খাওয়া-দাওয়া করে তাঁর মেয়ে। এরপর সে ঘরের মধ্যে থাকা ধানখেতে দেওয়া কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সে সময় তাঁর স্ত্রী গাদুলী রানী পাশের বাড়িতে ছিল। স্ত্রী বাড়িতে এসে মেয়েকে ঘরের মধ্যে ছটফট করতে দেখতে পান। পরে তাঁর চিৎকারে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পল্লি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসক তাঁর মেয়েকে একটি ইনজেকশন দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে রাতেই তাঁর মেয়েকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আজ বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে মেয়েকে অটোরিকশাযোগে বাড়ি নিয়ে আসার পথে সাতমাথা এলাকায় মারা যায়। 

অসুস্থ মেয়েকে কেন হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসলেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে কোনো জবাব দেননি তিনি। 

টেপামধুপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে অসুস্থ মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসার পথে মারা যায় সে। পারিবারিক ঝামেলার কারণে ওই মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা হচ্ছে। তবে কেন অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসা না করে বাড়ি নিয়ে আসবে এর সদুত্তর পাওয়া যায়নি স্বজনদের কাছে।’ 

কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘ওই মেয়ে কী কারণে আত্মহত্যা করতে পারে এর সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেনি পরিবারের লোকজন। তাকে যে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ছাড়পত্র ও চিকিৎসাপত্র দেখাতে পারেনি স্বজনেরা। মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য ওই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত