রমেক হাসপাতাল
শিপুল ইসলাম, রংপুর

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় চালু করা হয় ১০ শয্যার আইসিইউ সেন্টার। ডায়ালাইসিস মেশিনসহ বেশ কিছু অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় ইউনিটটি নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেই চলছে। তারপরও একটি শয্যা ফাঁকা হলেই প্রতিদিন অন্তত পাঁচজন রোগীর স্বজন ব্যাকুল হয়ে ছুটে আসেন সেখানে ভর্তির আশায়। কিন্তু সংকট এতটাই তীব্র যে অধিকাংশ সময়ই ফিরিয়ে দিতে হয় তাঁদের।
সরকারি আইসিইউতে স্থান না পেয়ে অনেকেই বাধ্য হন বেসরকারি হাসপাতালের শরণাপন্ন হতে। কিন্তু সেখানে প্রতি রাতের বিলই ১৫-২০ হাজার টাকা। ফলে চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে অনেক পরিবার। অনেক ক্ষেত্রেই দরিদ্র রোগীদের প্রাণ হারাতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে।
গত মঙ্গলবার বৃদ্ধ বাবার জন্য আইসিইউ শয্যা খুঁজতে এসে ফিরে যান গাইবান্ধার আনোয়ার হোসেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আইসিইউ সেন্টারে কোনো রোগী নাই। সবাইকে সরাই নিছে, কী জানি সমস্যা। দুই দিন ধরি ঘুরছি একটি শয্যাও ফাঁকা নাই। বাবার বুকের সমস্যা খুব বেড়ে গেছে। বাইরে খোঁজ নিলাম ১৫ হাজার টাকা লাগে। এত টাকা কই পাব। এত বড় সরকারি হাসপাতালে একটা আইসিইউ শয্যা নাই।’
গত সোমবার আইসিইউতে থাকা কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা এলাকার মহুবার রহমানের ধনুষ্টঙ্কার শনাক্ত হয়। এ ঘটনার পর তাঁকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে আইসোলেশন বিভাগে নেওয়া হয়। সংক্রমণ এড়াতে আইসিইউ ইউনিটটি পরিষ্কার করার জন্য সব রোগীকে সরিয়ে অন্যত্র নেওয়া হয়। এতে সংকটের বিষয়টি সামনে আসে।
চার দিন ঘুরে একটি আইসিইউ শয্যা পেয়েছেন লালমনিরহাটের বদরুদ্দোজা বিশাল (২১)। তিনি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার। মঙ্গলবার তাঁর মা বিলকিস বেগম বলেন, ‘এখানে আইসিইউ পাওয়া জীবন ফিরে পাওয়ার মতো। অনেক অপেক্ষার পর একটি শয্যা পেয়েছি। ছেলে এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। গতকাল নাকি ভাইরাস ধরা পড়ছে। আইসিইউ থেকে সব রোগীকে সরে নিছে। এত বড় হাসপাতাল আইসিইউ কেন অল্প।’
আরেক রোগীর স্বজন সোহাগ আলী বলেন, ‘বাইরে এক দিন আইসিইউ খরচ সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা। তিন দিন অপেক্ষার পর হাসপাতালে স্ত্রীর জন্য আইসিইউ শয্যা পেয়েছি। সমস্যার কারণে এখন তাঁকে অন্য ওয়ার্ডে কালকে নিয়েছি।’
রমেক হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহেল বারী বলেন, ‘আমাদের চেষ্টার ঘাটতি নেই, কিন্তু সুযোগ-সুবিধা একেবারে সীমিত। আইসিইউ শয্যাসংখ্যা অপ্রতুল, প্রশিক্ষিত জনবলও পর্যাপ্ত নয়। এই পরিস্থিতিতে আমরা প্রায় প্রতিদিনই মানবিক দোটানায় পড়ি।’
হাসপাতালে কথা হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাহেবগঞ্জ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, রংপুর বিভাগের আটটি জেলার প্রায় দুই কোটি মানুষ চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। অথচ ১৩ বছরেও আইসিইউ শয্যা বাড়েনি একটিও। এমনকি জীবন রক্ষাকারী আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব, রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বলতা এবং জনবলসংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। দ্রুত আইসিইউ শয্যাসংখ্যা বাড়ানো, পূর্ণাঙ্গ লাইফ সাপোর্ট সুবিধা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘আইসিইউ শয্যাসংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আইসিইউ সংকটের বিষয়টি মন্ত্রণালয় জানে। প্রতিদিন রোগীর চাহিদা অনেক বেশি থাকে। আরও ১০টি আইসিইউ শয্যা হলে মোটামুটি ভালোভাবে আমরা ট্যাকল করতে পারব।’

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় চালু করা হয় ১০ শয্যার আইসিইউ সেন্টার। ডায়ালাইসিস মেশিনসহ বেশ কিছু অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় ইউনিটটি নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেই চলছে। তারপরও একটি শয্যা ফাঁকা হলেই প্রতিদিন অন্তত পাঁচজন রোগীর স্বজন ব্যাকুল হয়ে ছুটে আসেন সেখানে ভর্তির আশায়। কিন্তু সংকট এতটাই তীব্র যে অধিকাংশ সময়ই ফিরিয়ে দিতে হয় তাঁদের।
সরকারি আইসিইউতে স্থান না পেয়ে অনেকেই বাধ্য হন বেসরকারি হাসপাতালের শরণাপন্ন হতে। কিন্তু সেখানে প্রতি রাতের বিলই ১৫-২০ হাজার টাকা। ফলে চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে অনেক পরিবার। অনেক ক্ষেত্রেই দরিদ্র রোগীদের প্রাণ হারাতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে।
গত মঙ্গলবার বৃদ্ধ বাবার জন্য আইসিইউ শয্যা খুঁজতে এসে ফিরে যান গাইবান্ধার আনোয়ার হোসেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আইসিইউ সেন্টারে কোনো রোগী নাই। সবাইকে সরাই নিছে, কী জানি সমস্যা। দুই দিন ধরি ঘুরছি একটি শয্যাও ফাঁকা নাই। বাবার বুকের সমস্যা খুব বেড়ে গেছে। বাইরে খোঁজ নিলাম ১৫ হাজার টাকা লাগে। এত টাকা কই পাব। এত বড় সরকারি হাসপাতালে একটা আইসিইউ শয্যা নাই।’
গত সোমবার আইসিইউতে থাকা কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা এলাকার মহুবার রহমানের ধনুষ্টঙ্কার শনাক্ত হয়। এ ঘটনার পর তাঁকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে আইসোলেশন বিভাগে নেওয়া হয়। সংক্রমণ এড়াতে আইসিইউ ইউনিটটি পরিষ্কার করার জন্য সব রোগীকে সরিয়ে অন্যত্র নেওয়া হয়। এতে সংকটের বিষয়টি সামনে আসে।
চার দিন ঘুরে একটি আইসিইউ শয্যা পেয়েছেন লালমনিরহাটের বদরুদ্দোজা বিশাল (২১)। তিনি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার। মঙ্গলবার তাঁর মা বিলকিস বেগম বলেন, ‘এখানে আইসিইউ পাওয়া জীবন ফিরে পাওয়ার মতো। অনেক অপেক্ষার পর একটি শয্যা পেয়েছি। ছেলে এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। গতকাল নাকি ভাইরাস ধরা পড়ছে। আইসিইউ থেকে সব রোগীকে সরে নিছে। এত বড় হাসপাতাল আইসিইউ কেন অল্প।’
আরেক রোগীর স্বজন সোহাগ আলী বলেন, ‘বাইরে এক দিন আইসিইউ খরচ সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা। তিন দিন অপেক্ষার পর হাসপাতালে স্ত্রীর জন্য আইসিইউ শয্যা পেয়েছি। সমস্যার কারণে এখন তাঁকে অন্য ওয়ার্ডে কালকে নিয়েছি।’
রমেক হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহেল বারী বলেন, ‘আমাদের চেষ্টার ঘাটতি নেই, কিন্তু সুযোগ-সুবিধা একেবারে সীমিত। আইসিইউ শয্যাসংখ্যা অপ্রতুল, প্রশিক্ষিত জনবলও পর্যাপ্ত নয়। এই পরিস্থিতিতে আমরা প্রায় প্রতিদিনই মানবিক দোটানায় পড়ি।’
হাসপাতালে কথা হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাহেবগঞ্জ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, রংপুর বিভাগের আটটি জেলার প্রায় দুই কোটি মানুষ চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। অথচ ১৩ বছরেও আইসিইউ শয্যা বাড়েনি একটিও। এমনকি জীবন রক্ষাকারী আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব, রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বলতা এবং জনবলসংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। দ্রুত আইসিইউ শয্যাসংখ্যা বাড়ানো, পূর্ণাঙ্গ লাইফ সাপোর্ট সুবিধা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘আইসিইউ শয্যাসংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আইসিইউ সংকটের বিষয়টি মন্ত্রণালয় জানে। প্রতিদিন রোগীর চাহিদা অনেক বেশি থাকে। আরও ১০টি আইসিইউ শয্যা হলে মোটামুটি ভালোভাবে আমরা ট্যাকল করতে পারব।’
রমেক হাসপাতাল
শিপুল ইসলাম, রংপুর

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় চালু করা হয় ১০ শয্যার আইসিইউ সেন্টার। ডায়ালাইসিস মেশিনসহ বেশ কিছু অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় ইউনিটটি নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেই চলছে। তারপরও একটি শয্যা ফাঁকা হলেই প্রতিদিন অন্তত পাঁচজন রোগীর স্বজন ব্যাকুল হয়ে ছুটে আসেন সেখানে ভর্তির আশায়। কিন্তু সংকট এতটাই তীব্র যে অধিকাংশ সময়ই ফিরিয়ে দিতে হয় তাঁদের।
সরকারি আইসিইউতে স্থান না পেয়ে অনেকেই বাধ্য হন বেসরকারি হাসপাতালের শরণাপন্ন হতে। কিন্তু সেখানে প্রতি রাতের বিলই ১৫-২০ হাজার টাকা। ফলে চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে অনেক পরিবার। অনেক ক্ষেত্রেই দরিদ্র রোগীদের প্রাণ হারাতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে।
গত মঙ্গলবার বৃদ্ধ বাবার জন্য আইসিইউ শয্যা খুঁজতে এসে ফিরে যান গাইবান্ধার আনোয়ার হোসেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আইসিইউ সেন্টারে কোনো রোগী নাই। সবাইকে সরাই নিছে, কী জানি সমস্যা। দুই দিন ধরি ঘুরছি একটি শয্যাও ফাঁকা নাই। বাবার বুকের সমস্যা খুব বেড়ে গেছে। বাইরে খোঁজ নিলাম ১৫ হাজার টাকা লাগে। এত টাকা কই পাব। এত বড় সরকারি হাসপাতালে একটা আইসিইউ শয্যা নাই।’
গত সোমবার আইসিইউতে থাকা কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা এলাকার মহুবার রহমানের ধনুষ্টঙ্কার শনাক্ত হয়। এ ঘটনার পর তাঁকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে আইসোলেশন বিভাগে নেওয়া হয়। সংক্রমণ এড়াতে আইসিইউ ইউনিটটি পরিষ্কার করার জন্য সব রোগীকে সরিয়ে অন্যত্র নেওয়া হয়। এতে সংকটের বিষয়টি সামনে আসে।
চার দিন ঘুরে একটি আইসিইউ শয্যা পেয়েছেন লালমনিরহাটের বদরুদ্দোজা বিশাল (২১)। তিনি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার। মঙ্গলবার তাঁর মা বিলকিস বেগম বলেন, ‘এখানে আইসিইউ পাওয়া জীবন ফিরে পাওয়ার মতো। অনেক অপেক্ষার পর একটি শয্যা পেয়েছি। ছেলে এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। গতকাল নাকি ভাইরাস ধরা পড়ছে। আইসিইউ থেকে সব রোগীকে সরে নিছে। এত বড় হাসপাতাল আইসিইউ কেন অল্প।’
আরেক রোগীর স্বজন সোহাগ আলী বলেন, ‘বাইরে এক দিন আইসিইউ খরচ সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা। তিন দিন অপেক্ষার পর হাসপাতালে স্ত্রীর জন্য আইসিইউ শয্যা পেয়েছি। সমস্যার কারণে এখন তাঁকে অন্য ওয়ার্ডে কালকে নিয়েছি।’
রমেক হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহেল বারী বলেন, ‘আমাদের চেষ্টার ঘাটতি নেই, কিন্তু সুযোগ-সুবিধা একেবারে সীমিত। আইসিইউ শয্যাসংখ্যা অপ্রতুল, প্রশিক্ষিত জনবলও পর্যাপ্ত নয়। এই পরিস্থিতিতে আমরা প্রায় প্রতিদিনই মানবিক দোটানায় পড়ি।’
হাসপাতালে কথা হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাহেবগঞ্জ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, রংপুর বিভাগের আটটি জেলার প্রায় দুই কোটি মানুষ চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। অথচ ১৩ বছরেও আইসিইউ শয্যা বাড়েনি একটিও। এমনকি জীবন রক্ষাকারী আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব, রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বলতা এবং জনবলসংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। দ্রুত আইসিইউ শয্যাসংখ্যা বাড়ানো, পূর্ণাঙ্গ লাইফ সাপোর্ট সুবিধা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘আইসিইউ শয্যাসংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আইসিইউ সংকটের বিষয়টি মন্ত্রণালয় জানে। প্রতিদিন রোগীর চাহিদা অনেক বেশি থাকে। আরও ১০টি আইসিইউ শয্যা হলে মোটামুটি ভালোভাবে আমরা ট্যাকল করতে পারব।’

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় চালু করা হয় ১০ শয্যার আইসিইউ সেন্টার। ডায়ালাইসিস মেশিনসহ বেশ কিছু অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় ইউনিটটি নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেই চলছে। তারপরও একটি শয্যা ফাঁকা হলেই প্রতিদিন অন্তত পাঁচজন রোগীর স্বজন ব্যাকুল হয়ে ছুটে আসেন সেখানে ভর্তির আশায়। কিন্তু সংকট এতটাই তীব্র যে অধিকাংশ সময়ই ফিরিয়ে দিতে হয় তাঁদের।
সরকারি আইসিইউতে স্থান না পেয়ে অনেকেই বাধ্য হন বেসরকারি হাসপাতালের শরণাপন্ন হতে। কিন্তু সেখানে প্রতি রাতের বিলই ১৫-২০ হাজার টাকা। ফলে চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে অনেক পরিবার। অনেক ক্ষেত্রেই দরিদ্র রোগীদের প্রাণ হারাতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে।
গত মঙ্গলবার বৃদ্ধ বাবার জন্য আইসিইউ শয্যা খুঁজতে এসে ফিরে যান গাইবান্ধার আনোয়ার হোসেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আইসিইউ সেন্টারে কোনো রোগী নাই। সবাইকে সরাই নিছে, কী জানি সমস্যা। দুই দিন ধরি ঘুরছি একটি শয্যাও ফাঁকা নাই। বাবার বুকের সমস্যা খুব বেড়ে গেছে। বাইরে খোঁজ নিলাম ১৫ হাজার টাকা লাগে। এত টাকা কই পাব। এত বড় সরকারি হাসপাতালে একটা আইসিইউ শয্যা নাই।’
গত সোমবার আইসিইউতে থাকা কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা এলাকার মহুবার রহমানের ধনুষ্টঙ্কার শনাক্ত হয়। এ ঘটনার পর তাঁকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে আইসোলেশন বিভাগে নেওয়া হয়। সংক্রমণ এড়াতে আইসিইউ ইউনিটটি পরিষ্কার করার জন্য সব রোগীকে সরিয়ে অন্যত্র নেওয়া হয়। এতে সংকটের বিষয়টি সামনে আসে।
চার দিন ঘুরে একটি আইসিইউ শয্যা পেয়েছেন লালমনিরহাটের বদরুদ্দোজা বিশাল (২১)। তিনি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার। মঙ্গলবার তাঁর মা বিলকিস বেগম বলেন, ‘এখানে আইসিইউ পাওয়া জীবন ফিরে পাওয়ার মতো। অনেক অপেক্ষার পর একটি শয্যা পেয়েছি। ছেলে এখন লাইফ সাপোর্টে আছে। গতকাল নাকি ভাইরাস ধরা পড়ছে। আইসিইউ থেকে সব রোগীকে সরে নিছে। এত বড় হাসপাতাল আইসিইউ কেন অল্প।’
আরেক রোগীর স্বজন সোহাগ আলী বলেন, ‘বাইরে এক দিন আইসিইউ খরচ সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা। তিন দিন অপেক্ষার পর হাসপাতালে স্ত্রীর জন্য আইসিইউ শয্যা পেয়েছি। সমস্যার কারণে এখন তাঁকে অন্য ওয়ার্ডে কালকে নিয়েছি।’
রমেক হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহেল বারী বলেন, ‘আমাদের চেষ্টার ঘাটতি নেই, কিন্তু সুযোগ-সুবিধা একেবারে সীমিত। আইসিইউ শয্যাসংখ্যা অপ্রতুল, প্রশিক্ষিত জনবলও পর্যাপ্ত নয়। এই পরিস্থিতিতে আমরা প্রায় প্রতিদিনই মানবিক দোটানায় পড়ি।’
হাসপাতালে কথা হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাহেবগঞ্জ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, রংপুর বিভাগের আটটি জেলার প্রায় দুই কোটি মানুষ চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। অথচ ১৩ বছরেও আইসিইউ শয্যা বাড়েনি একটিও। এমনকি জীবন রক্ষাকারী আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব, রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বলতা এবং জনবলসংকট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। দ্রুত আইসিইউ শয্যাসংখ্যা বাড়ানো, পূর্ণাঙ্গ লাইফ সাপোর্ট সুবিধা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘আইসিইউ শয্যাসংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আইসিইউ সংকটের বিষয়টি মন্ত্রণালয় জানে। প্রতিদিন রোগীর চাহিদা অনেক বেশি থাকে। আরও ১০টি আইসিইউ শয্যা হলে মোটামুটি ভালোভাবে আমরা ট্যাকল করতে পারব।’

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৪ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৬ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২২ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
২৮ জুন ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৬ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২২ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
২৮ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৪ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২২ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
২৮ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৪ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৬ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
২৮ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৪ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৬ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২২ মিনিট আগে