রংপুর প্রতিনিধি
অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) অপসারিত মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, ‘অন্য কোনো জায়গায় কী হবে আমরা জানি না। আজকে মাত্র একটা মিসকল দেওয়া হলো, আশা করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।’
আজ বুধবার দুপুরে নগর ভবনের সামনে রসিকের অপসারিত মেয়র-কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে মোস্তাফিজার রহমান এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘আজকে একটা দেশে কয়টা আইন, কীভাবে দেশ চলছে। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র, চিটাগংয়ের মেয়র ভোট বর্জন করেও মেয়র হয়েছে। তাদের স্বাগত জানাই।
কিন্তু রংপুর সিটি করপোরেশনের বৈধ ভোটের নির্বাচিত পরিষদ, আপনারা একই কলমের খোঁচায় বাতিল করে দেবেন, এটা রংপুরে মানুষ মানতে পারে না।’
আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে বলব, আগামী সাত দিনের মধ্যে সিটি পরিষদকে আগের মতো কার্যকর করবেন বলে প্রত্যাশা করি। আর যদি না করেন, তাহলে ঈদের পরে ১২ অথবা ১৩ জুন থেকে নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে মঞ্চ বসিয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে।’
দেশে একমাত্র রসিকের নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি উল্লেখ্য করে মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথায় কী হয়েছে জানি না, রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ৪৪ জন কাউন্সিলর ও একজন মেয়র নির্বাচিত হয়েছে।
১৯৮টি ভোট সেন্টারের মধ্যে একটিতেও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে নাই। সেই নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা স্বাভাবিকভাবেই পাঁচ বছর এই পরিষদ চালানোর কথা। কিন্তু হঠাৎ করে আপনারা এই পরিষদ বাতিল করলেন। এখন স্থায়ী সরকারের যে আইন আছে, সেই আইন এখনো বলবৎ আছে। সেই আইনকে আপনার কলপ দিয়ে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে সিটি পরিষদকে বাতিল করে দিলেন।’
মোস্তাফিজার রহমান বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এই পাঁচটা অর্গান নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান চলে। অন্য কোনো জায়গায় কী হবে আমরা জানি না। আজকে মাত্র একটা মিসকল দেওয়া হলো, আশা করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
এই অথর্ব সরকার, দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। তারা আজ এই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে খেলছে। সারা দেশের মধ্যে একমাত্র রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে মাঠে সহযোগিতা করেছি।’
রসিকে নিয়োজিত প্রশাসক দুর্নীতিগ্রস্ত অভিযোগ করে মোস্তফা বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছে সে টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। প্রত্যেকটা ফাইলে ওয়ান পার্সেন্ট টাকা গুনে নিবে। তালিকা দেবে তারপরে সই করবে। রংপুরের মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে। এ রকম একজন বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়ে রংপুর সিটিবাসীর প্রতি স্টিমরোলার চালানো হচ্ছে।’
এর আগে বেলা ১১টায় নগরীর শাপলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগর ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন কয়েক হাজার আন্দোলনকারীরা। প্ল্যাকার্ড হাতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা। এ সময় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন নগরে প্রবেশ করা যাত্রীরা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক কাউন্সিলর মোখলেসুর রহমান তরু, মকবুল হোসেন ও ফেরদৌসী বেগম। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, মহানগরের সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মাহমুদুর রহমান টিটু, নজরুল ইসলাম দেওয়ানীসহ ১৫-১৬ জন কাউন্সিলর।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. আমিরুজ্জামান, যিনি পেয়েছিলেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে ১৯ আগস্ট দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) অপসারিত মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, ‘অন্য কোনো জায়গায় কী হবে আমরা জানি না। আজকে মাত্র একটা মিসকল দেওয়া হলো, আশা করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।’
আজ বুধবার দুপুরে নগর ভবনের সামনে রসিকের অপসারিত মেয়র-কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে মোস্তাফিজার রহমান এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘আজকে একটা দেশে কয়টা আইন, কীভাবে দেশ চলছে। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র, চিটাগংয়ের মেয়র ভোট বর্জন করেও মেয়র হয়েছে। তাদের স্বাগত জানাই।
কিন্তু রংপুর সিটি করপোরেশনের বৈধ ভোটের নির্বাচিত পরিষদ, আপনারা একই কলমের খোঁচায় বাতিল করে দেবেন, এটা রংপুরে মানুষ মানতে পারে না।’
আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে বলব, আগামী সাত দিনের মধ্যে সিটি পরিষদকে আগের মতো কার্যকর করবেন বলে প্রত্যাশা করি। আর যদি না করেন, তাহলে ঈদের পরে ১২ অথবা ১৩ জুন থেকে নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে মঞ্চ বসিয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে।’
দেশে একমাত্র রসিকের নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি উল্লেখ্য করে মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের কোথায় কী হয়েছে জানি না, রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ৪৪ জন কাউন্সিলর ও একজন মেয়র নির্বাচিত হয়েছে।
১৯৮টি ভোট সেন্টারের মধ্যে একটিতেও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে নাই। সেই নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা স্বাভাবিকভাবেই পাঁচ বছর এই পরিষদ চালানোর কথা। কিন্তু হঠাৎ করে আপনারা এই পরিষদ বাতিল করলেন। এখন স্থায়ী সরকারের যে আইন আছে, সেই আইন এখনো বলবৎ আছে। সেই আইনকে আপনার কলপ দিয়ে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে সিটি পরিষদকে বাতিল করে দিলেন।’
মোস্তাফিজার রহমান বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এই পাঁচটা অর্গান নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান চলে। অন্য কোনো জায়গায় কী হবে আমরা জানি না। আজকে মাত্র একটা মিসকল দেওয়া হলো, আশা করি, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
এই অথর্ব সরকার, দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। তারা আজ এই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে খেলছে। সারা দেশের মধ্যে একমাত্র রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে মাঠে সহযোগিতা করেছি।’
রসিকে নিয়োজিত প্রশাসক দুর্নীতিগ্রস্ত অভিযোগ করে মোস্তফা বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছে সে টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। প্রত্যেকটা ফাইলে ওয়ান পার্সেন্ট টাকা গুনে নিবে। তালিকা দেবে তারপরে সই করবে। রংপুরের মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে। এ রকম একজন বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়ে রংপুর সিটিবাসীর প্রতি স্টিমরোলার চালানো হচ্ছে।’
এর আগে বেলা ১১টায় নগরীর শাপলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগর ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নেন কয়েক হাজার আন্দোলনকারীরা। প্ল্যাকার্ড হাতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা। এ সময় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন নগরে প্রবেশ করা যাত্রীরা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক কাউন্সিলর মোখলেসুর রহমান তরু, মকবুল হোসেন ও ফেরদৌসী বেগম। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, মহানগরের সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মাহমুদুর রহমান টিটু, নজরুল ইসলাম দেওয়ানীসহ ১৫-১৬ জন কাউন্সিলর।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. আমিরুজ্জামান, যিনি পেয়েছিলেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে ১৯ আগস্ট দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়।
রাজধানীর মগবাজার এলাকার আলোচিত ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার (৩০ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফার জেরিন তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। সকাল বেলা চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এক তরুণের ব্যাগ ছিনতাইয়ের ফুটেজ ভাইরাল হলে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা
১ মিনিট আগেহায়দার সিকদার গরুগুলো দেখভাল করছিলেন। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
১৬ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ আরও ১০ বাংলাদেশি নাগরিককে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ শুক্রবার বেলা ১টার দিকে জীবননগরের বেনীপুর সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
১৮ মিনিট আগেতারা কী নির্বাচিত সরকার, তাদের কী জনগণের ম্যান্ডেট আছে? এই যে উপদেষ্টারা আছেন, নিরাপত্তা উপদেষ্টা তো বাংলাদেশের নাগরিক-ই না, বিদেশি নাগরিক, তারা কীভাবে দেশ চালাবে? জনগণের আন্দোলনে তাদের (উপদেষ্টাদের) কী ভূমিকা? জনগণ কী চায়, তারা কীভাবে বুঝবে।
২০ মিনিট আগে