Ajker Patrika

আ.লীগ কর্মীকে হত্যা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জুন ২০২৩, ১৭: ৩৩
আ.লীগ কর্মীকে হত্যা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কারাগারে

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক শহীদুল ইসলাম শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে আব্দুর রাজ্জাককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

আদালতের পরিদর্শক মীর আতাহার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের সোনা মিয়া হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি আব্দুর রাজ্জাক গত ৮ মে উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক শুনানী শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। 

আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার ঠাকুরদাস গ্রামে। তিনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক  কমিটির সদস্য। 

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের খানসামা হাট এলাকায় ইমামগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। মন্ত্রী মাঠে উপস্থিত হতেই নেতা-কর্মীরা বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়ার নামে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই রাজুসহ তাদের লোকজনের সঙ্গে স্লোগান দেওয়া নেতা কর্মীদের বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গাড়ি থেকে না নেমেই চলে যান। বিকেলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে হারাগাছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চার নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মুকুল মিয়ার ভাই সোনা মিয়াকে বাজারে একা পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই রাজুর নেতৃত্বে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সোনা মিয়া হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ নয়াটারী গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। 

এ ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল সোনা মিয়ার বড় ছেলে আখতারুজ্জামান (২৯) বাদী হয়ে কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুর রাজ্জাক ও তার বড় ভাই হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদসহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। 

কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, সোনা মিয়া হত্যার ঘটনার পর ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলায় ২ নম্বর ও ৩ নম্বর অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে এবং বাকি ৬৬ জন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত