Ajker Patrika

গঙ্গাচড়ায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব: ভেঙেছে বিধবার শেষ সম্বল সেলাই মেশিনটিও

আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া (রংপুর) 
ভেঙেচুরে যাওয়া ঘরের সামনে সেলাই মেশিন নিয়ে বসে আছেন মুক্তা বেগম। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভেঙেচুরে যাওয়া ঘরের সামনে সেলাই মেশিন নিয়ে বসে আছেন মুক্তা বেগম। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে বিধবা মুক্তা বেগমের (৪৫) জীবন। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ভেঙে গেছে তাঁর টিনের ঘর। ভেঙে গেছে ঘরের আসবাবপত্র। ঘরের অনেক জিনিসপত্র বাতাসের দাপটে উড়ে গিয়ে পড়েছে দূরের কোনো জায়গায় কিংবা পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এই ঘূর্ণিঝড়ে তাঁর আয়-রোজগার করে বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন সেলাই মেশিনটিও ভেঙে গেছে।

মুক্তা বেগমের বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের খামার মোহনা গ্রামে। চার বছর আগে দিনমজুর স্বামীর মৃত্যুর পর তিন মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে ঋণের বোঝায় ডুবে যান তিনি। সংসার চালাতে ধারদেনা করে একটি পুরোনো সেলাই মেশিন কিনেছিলেন মুক্তা বেগম। এই মেশিনে পরিচিতজনদের কাপড় সেলাই করে কোনোমতে দুমুঠো ভাতের সংস্থান করছেন তিনি। সেলাই মেশিনটি ছিল তাঁর জীবনসংগ্রামের অবলম্বন।

গত রোববার (৫ অক্টোবর) সকালে গঙ্গাচড়ায় ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালায়। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের সেই ঝড়ে খামার মোহনা গ্রামে মুক্তা বেগমসহ আরও অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

আজ বুধবার সকালে মোহনা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তা বেগম ভাঙা ঘরের সামনে সেলাই মেশিনটি নিয়ে বসে আছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী মরার পর কত কষ্ট করে মেয়েগুলারে বিয়া দিছি। এই সেলাই মেশিনটা দিয়া কোনো রকমে জীবনটাত পানি দিছিলাম, ভাবছিলাম অন্তত আর কারও কাছোত হাত পাতি খাওয়া নাগবে না। কিন্তু আল্লাহ, আমার কপালে তা-ও সইল না। ঘর তো গেলই, এখন কাজ করে খাওয়ার যন্ত্রটাও নাই। খোলা আকাশের নিচে উড়ে যাওয়া ঘরত চার দিন ধরি এভাবে আছুং।’ মুক্তা বেগমের ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ মা মোমেনা বেগম এসে হাতজোড় করে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলছেন, ‘মোর এই হতভাগিটার দুনিয়াত কায়ও নাই, জাদুটা এখন কেমন করি চলবে, কোনো উপায় খুঁজি পায় চোল না। আইজ সারা রাইত কান্দি গেইছে। কেমন করি এই ঘর তুলবে। এতগুলা টাকায় কোনটে পাইবে। তোরা একনা সহযোগিতা করেন, আল্লাহ তোমার ভালো করবে।’

এ সর্বনাশা ঘূর্ণিঝড়ে খামার মোহনা গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সাত বছর আগে তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন। ১০ বছরের নাতিকে নিয়ে তাঁর ছোট সংসার। ঘূর্ণিঝড়ে তাঁর টিনের ঘরটি উড়ে গেছে। নজরুল ইসলাম (৬৩) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিছু টিন-কাঠ খুঁজে পাইছি, কিন্তু বেশির ভাগই নাই। এইটুকু নাতিকে নিয়ে এখন কোথায় যাব? আজ সকাল থাকি না খেয়া আছি, সরকারি সাহায্য ছাড়া আমাদের বাঁচার আর কোনো উপায় নেই।’

একই গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক। তিনি পাশের এলাকা থেকে একটি বকনা গরু বর্গা নিয়ে লালনপালন করতেন। সেদিনের ঘূর্ণিঝড়ে ঘর ভেঙে পড়লে গরুটি ঘরের ভেতরেই মারা যায়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সেদিনের ঘূর্ণিঝড়ে আলমবিদিতর ও নোহালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৮৩৩ পরিবারের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ১৬০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ১৪ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহামুদুল হাসান মৃধা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের গঙ্গাচড়া উপজেলায় গত ৫ তারিখে ঘূর্ণিঝড় ও টর্নেডো যে আঘাত হেনেছে, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ পরিবার এই উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা ১ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে ৪০ টন চাল এবং নগদ ২ লাখ টাকা বিতরণ করেছি। এ ছাড়া ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আমরা ঢেউটিন, নগদ অর্থ ও চালের জন্য বরাদ্দ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি। আমরা আশা করছি, সেটা পেলে বাকি যে পরিবারগুলো রয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের জন্য কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

শেখ হাসিনা যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন কি—জবাবে যা বললেন জয়শঙ্কর

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

কর্মী নেবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, নেই বয়সসীমা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুর জটিল চিকিৎসা নিয়ে প্রশিক্ষণ আদান-প্রদান ৮০ চিকিৎসকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে কর্মশালায় অংশ নেওয়া চিকিৎসকেরা। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে কর্মশালায় অংশ নেওয়া চিকিৎসকেরা। ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের নতুন নতুন বিষয়ের ওপর জ্ঞান অর্জনে চট্টগ্রামে এক কর্মশালায় অংশ নিলেন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের ৮০ জন শিশুচিকিৎসক। শিশু ক্রিটিক্যাল কেয়ারবিষয়ক এ কর্মশালা প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালার শেষ দিন ছিল শনিবার (৬ ডিসেম্বর)। এর আয়োজন করে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ ও বাংলাদেশ একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড নিওনেটাল ক্রিটিক্যাল কেয়ার।

কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন ঢাকা থেকে আসা দেশের প্রখ্যাত নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের পেডিয়েট্রিক একাডেমিক প্রধান অধ্যাপক মনির হোসেন, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের নিউনেটালজির ডেপুটি একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মাহফুজা শিরীন, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের পেডিয়েট্রিক কার্ডিওলজি একাডেমির সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, পেডিয়েট্রিক কার্ডিয়েক্ট ইনসেপটিক কেয়ার হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড আরআইরের এম নুরুল আকতার হাসান, সহকারী অধ্যাপক আকতার হোসেন মাসুদ, সহকারী অধ্যাপক আবু তালহা, ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালের পেডিয়েট্রিক ক্রিটিক্যাল কেয়ারের কনসালট্যান্ট নুরুন নাহার ও চট্টগ্রাম অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের পেডিয়েট্রিক ক্রিটিক্যাল কেয়ারের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট সাদিয়া আফরিন।

শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয়প্রধান অধ্যাপক দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালার সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা, জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যক্ষ লায়ন মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, পরিচালক (প্রশাসন) মো. নূরুল হক, পরিচালক (অটিজম ও শিশু বিকাশকেন্দ্র) অধ্যাপক মাহমুদ আহমেদ চৌধুরী আরজু, ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের পরিচালক অধ্যাপক ওয়াজির আহমেদ, পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) এ কে এম আশরাফুল করিম, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক গুলশান আরা, উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, উপপরিচালক (প্রশাসন, আইসিএইচ) মো. আবু সৈয়দ চৌধুরী প্রমুখ।

কর্মশালায় কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের পেডিয়েট্রিক আইসিইউর সহকারী অধ্যাপক মিশু তালুকদার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহিম হাসান রেজা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

শেখ হাসিনা যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন কি—জবাবে যা বললেন জয়শঙ্কর

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

কর্মী নেবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, নেই বয়সসীমা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ।  ছবি: সংগৃহীত
সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুর-২ আসনে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাহান্দার আলী জাহানকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত দুই প্রার্থীর সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার রাজৈর বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ করা হয়।

এতে অংশ নেন মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বৈদ্যের সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা। আরও অংশ নেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপির সহশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা।

দুই মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর বিক্ষুব্ধ সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রী, রোগী ও চালকেরা।

এর আগে শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে হেলেন জেরিন খানের সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা।

রাজৈর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

শেখ হাসিনা যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন কি—জবাবে যা বললেন জয়শঙ্কর

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

কর্মী নেবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, নেই বয়সসীমা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৬ জনের কারাদণ্ড

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
অবৈধভাবে মাটি কাটা হয়।  ছবি: সংগৃহীত
অবৈধভাবে মাটি কাটা হয়। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ইটনায় কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের অপরাধে ছয়জনকে তিন মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ইটনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনতাসীর হাসান খান।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ইটনা উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্বগ্রাম মোল্লাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন মুন্সিগঞ্জ জেলার হারুন অর রশিদের ছেলে রুবায়েত হোসেন, আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার সোনালী মিয়া ছেলে ফরহাদ মিয়া, জয়নাল মিয়ার ছেলে মো. নোমান, মিঠামইন উপজেলার মো. হাসান আলীর ছেলে মারফত আলী ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সুমন মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাওরের কৃষিজমি থেকে একটি চক্র পলি মাটি (টপ সয়েল) অবৈধভাবে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এতে, জমির উর্বরতা হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল সাধারণ কৃষক। ফলে, কৃষিপণ্য বা ফসল উৎপাদন কমছে আশঙ্কাজনকভাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অষ্টগ্রাম সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শহিদুল হক, ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) জাফর ইকবালসহ ইটনা থানা ও উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইটনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুনতাসীর হাসান খান বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাটি উত্তোলন করার অপরাধে। দুটি বেকু জব্দসহ ছয়জনকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

শেখ হাসিনা যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন কি—জবাবে যা বললেন জয়শঙ্কর

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

কর্মী নেবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, নেই বয়সসীমা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার দরজা ভেঙে প্রধান শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৪
প্রধান-শিক্ষিকা ।  ছবি: সংগৃহীত
প্রধান-শিক্ষিকা । ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের পুবাইল থানার মাজুখান এলাকায় একটি বাসা থেকে শাহানা বেগম (৫৭) নামের এক প্রধান শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে মাজুখান পশ্চিমপাড়া এলাকার ফাগুনী নামের ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত শাহানা বেগম কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহানা বেগম ঢাকার রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকার আবদুল আজিজ খানের স্ত্রী। চাকরির সুবাদে তিনি চার বছর ধরে পুবাইলের মাজুখান এলাকার ওই ভবনে একাই ভাড়া থাকতেন এবং সেখান থেকেই নিয়মিত স্কুলে যাতায়াত করতেন।

মৃতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শাহানা বেগম অসুস্থ ছিলেন। তাঁর ছেলে তাওসির আহমেদ খান অনিক পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর মা দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন এবং তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রে রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়েছিল। যেহেতু তিনি বাসায় একা থাকতেন, তাই ধারণা করা হচ্ছে, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি মারা গেছেন এবং সাহায্য চাওয়ার সুযোগ পাননি।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বা হৃদ্‌রোগে মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এ ঘটনায় পুবাইল থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে।

পুবাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ওই শিক্ষিকাকে বাসা থেকে বের হতে দেখা যাচ্ছিল না। এমনকি ঘরের ভেতর থেকেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আজ সকালে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঢুকে শিক্ষিকার নিথর দেহ উদ্ধার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বরখাস্তের নির্দেশ ডিজির

সবকিছু প্রস্তুত হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু

শেখ হাসিনা যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকতে পারবেন কি—জবাবে যা বললেন জয়শঙ্কর

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, মেডিকেল বোর্ডের সবুজসংকেতের অপেক্ষা

কর্মী নেবে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, নেই বয়সসীমা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত