শিপুল ইসলাম, রংপুর
‘শুনছি, আইজ ভাই আমার (আবু সাঈদ) শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষাত পাস করছে। ভাই তো বাঁচি নাই, বাঁচি থাকলে আজ শিক্ষক হইল হয়। মানুষ হামাক মাস্টারের ভাই কয়া ডাকিল হয়।’
আজ সোমবার বিকেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে নিবন্ধন পরীক্ষার লিখিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ। তাঁর উত্তীর্ণ হওয়ার খবরে এভাবেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তাঁর বড় ভাই রমজান আলী।
অভাবের সংসারে নানা প্রতিকূলতা উতরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) চান্স পেয়েছিলেন আবু সাঈদ। পরিবারের একমাত্র উচ্চশিক্ষিত হওয়ায় তাঁকে ঘিরে শত স্বপ্ন বুনেছিলেন মা-বাবা, ভাই-বোন। বেরোবি থেকে ইংরেজিতে স্নাতক শেষে পরিবারের আর্থিক সংকট দূর করতে চাকরি পরীক্ষায় অংশ নিতে শুরু করেন। আজ সোমবার প্রকাশিত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় ফল প্রকাশিত হলো। উত্তীর্ণও হলেন তিনি। তবে আবু সাঈদ আর নেই।
তাঁর একটি চাকরি পরিবারের সদস্যরা কতটা আকাঙ্ক্ষা ছিল, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে আবু সাঈদের মৃত্যুর দিন। এদিন মৃত্যুর খবরে তাঁর ছোট বোন সুমি বেগমের কান্নায় আকাশ–বাতাস ভারী হয়ে উঠে। ভাইকে হারিয়ে বাড়ির উঠানে বিলাপ করে সুমি বেগম বলেছিলেন, ‘আমার ভাইয়োক আমি কছনো মানুষের বিসিএস করে কেমন করি ভাই, তোরা এনা করেন তো। ভাই কছলো, সুমি এটা একটা চাকরি পরীক্ষা। হোক মুই তোর আশাটা চেষ্টা করি দেখিম।’
আজ সোমবার বিকেলে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, শহীদ আবু সাঈদ ইবতেদায়ি সহকারী শিক্ষক হিসেবে (বাংলা ও ইংরেজি) লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন। পরীক্ষায় আবু সাঈদের পরীক্ষার রোল নম্বর ছিল ২০১২৫৬২৯৭।
ফলাফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবু সাঈদকে নিয়ে অনেকেই আবেগঘন পোস্ট দিতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন তাঁর নিজ ফেসবুকে আবু সাঈদের উত্তীর্ণ হওয়াকে নিয়ে লিখেন, ‘১১ তারিখ ক্যাম্পাসে মিছিল করার পর ১২ তারিখ ছিল আবু সাঈদ ভাইয়ের নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষা। আমরা ওই দিন সকালে মিটিং করব। তো আবু সাঈদ ভাই বলতেছিলেন যে পরীক্ষা দিব কি না? কিছুই পড়িনি আন্দোলনের কারণে। বললাম ভাই পরীক্ষা দিয়ে আসেন। আমরা বিকেলে মিটিং করব। তো আগের দিনে ১১ তারিখ ছাত্রলীগের চড়থাপ্পড় মার খাওয়ার স্ট্রেস নিয়ে ১২ তারিখ পরীক্ষা দিতে যায় সাঈদ ভাই। আজ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু আবু সাঈদ ভাই নাই। আমরা শুধু বীর সাঈদ ভাইকেই হারাইনি, হারিয়েছি মেধাবী শিক্ষার্থীকে।’
গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং এই ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কও ছিলেন। ১৮ আগস্ট আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বড় ভাই রমজান আলী মহানগর তাজহাট আমলি আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়।
‘শুনছি, আইজ ভাই আমার (আবু সাঈদ) শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষাত পাস করছে। ভাই তো বাঁচি নাই, বাঁচি থাকলে আজ শিক্ষক হইল হয়। মানুষ হামাক মাস্টারের ভাই কয়া ডাকিল হয়।’
আজ সোমবার বিকেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে নিবন্ধন পরীক্ষার লিখিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ। তাঁর উত্তীর্ণ হওয়ার খবরে এভাবেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তাঁর বড় ভাই রমজান আলী।
অভাবের সংসারে নানা প্রতিকূলতা উতরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) চান্স পেয়েছিলেন আবু সাঈদ। পরিবারের একমাত্র উচ্চশিক্ষিত হওয়ায় তাঁকে ঘিরে শত স্বপ্ন বুনেছিলেন মা-বাবা, ভাই-বোন। বেরোবি থেকে ইংরেজিতে স্নাতক শেষে পরিবারের আর্থিক সংকট দূর করতে চাকরি পরীক্ষায় অংশ নিতে শুরু করেন। আজ সোমবার প্রকাশিত ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় ফল প্রকাশিত হলো। উত্তীর্ণও হলেন তিনি। তবে আবু সাঈদ আর নেই।
তাঁর একটি চাকরি পরিবারের সদস্যরা কতটা আকাঙ্ক্ষা ছিল, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে আবু সাঈদের মৃত্যুর দিন। এদিন মৃত্যুর খবরে তাঁর ছোট বোন সুমি বেগমের কান্নায় আকাশ–বাতাস ভারী হয়ে উঠে। ভাইকে হারিয়ে বাড়ির উঠানে বিলাপ করে সুমি বেগম বলেছিলেন, ‘আমার ভাইয়োক আমি কছনো মানুষের বিসিএস করে কেমন করি ভাই, তোরা এনা করেন তো। ভাই কছলো, সুমি এটা একটা চাকরি পরীক্ষা। হোক মুই তোর আশাটা চেষ্টা করি দেখিম।’
আজ সোমবার বিকেলে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, শহীদ আবু সাঈদ ইবতেদায়ি সহকারী শিক্ষক হিসেবে (বাংলা ও ইংরেজি) লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন। পরীক্ষায় আবু সাঈদের পরীক্ষার রোল নম্বর ছিল ২০১২৫৬২৯৭।
ফলাফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবু সাঈদকে নিয়ে অনেকেই আবেগঘন পোস্ট দিতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন তাঁর নিজ ফেসবুকে আবু সাঈদের উত্তীর্ণ হওয়াকে নিয়ে লিখেন, ‘১১ তারিখ ক্যাম্পাসে মিছিল করার পর ১২ তারিখ ছিল আবু সাঈদ ভাইয়ের নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষা। আমরা ওই দিন সকালে মিটিং করব। তো আবু সাঈদ ভাই বলতেছিলেন যে পরীক্ষা দিব কি না? কিছুই পড়িনি আন্দোলনের কারণে। বললাম ভাই পরীক্ষা দিয়ে আসেন। আমরা বিকেলে মিটিং করব। তো আগের দিনে ১১ তারিখ ছাত্রলীগের চড়থাপ্পড় মার খাওয়ার স্ট্রেস নিয়ে ১২ তারিখ পরীক্ষা দিতে যায় সাঈদ ভাই। আজ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু আবু সাঈদ ভাই নাই। আমরা শুধু বীর সাঈদ ভাইকেই হারাইনি, হারিয়েছি মেধাবী শিক্ষার্থীকে।’
গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং এই ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কও ছিলেন। ১৮ আগস্ট আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বড় ভাই রমজান আলী মহানগর তাজহাট আমলি আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) উন্নয়নকাজে চরম ধীরগতি ও সেবায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন ঠিকাদারেরা। তাঁদের অভিযোগ, বিল পরিশোধে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কার্যত থমকে আছে। কোথাও কোথাও কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে শহরে ট্রাফিক জ্যাম বেড়েছে। নাগরিক সেবায়ও ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৩০০ ফুট সড়কে বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি রোলস রয়েস স্পেকটার দুর্ঘটনার নেপথ্যে কুকুর। হঠাৎ দৌড়ে সড়কে চলে আসা একটি কুকুরকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উঠে পড়ে সড়ক বিভাজকে। এতে গাড়ির চার আরোহীই আহত হয়েছেন। গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআড়াই শ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও হয়েছেন আট মাস আগে। যাতায়াতের কষ্টে গ্রামের চার হাজার মানুষকে পড়তে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। রাস্তায় বৃষ্টির পানি আর কাদায় একাকার হয়ে পড়ায় গ্রামের মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। দুর্ভোগ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ওই গ্রামে কোনো অনুষ্ঠানে
২ ঘণ্টা আগেঅবৈধ দখলে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে গাজীপুরের ‘ফুসফুস’ খ্যাত বেলাই বিল। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে বিল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ‘নর্থ সাউথ’ ও ‘তেপান্তর’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। রাতের আঁধারে শুরু হওয়া এই দখলের কাজ এখন দিনের আলোতেও চলছে। স্থানীয় প্রশাসন এই দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
২ ঘণ্টা আগে