রাজশাহীর খেজুর গুড়
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ভোরের আলো ফোটার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতিতে জহুরুল ইসলাম বেরিয়ে পড়েন গাছ থেকে খেজুরের রস নামাতে। একে একে ৩২টি গাছ থেকে রস নামিয়ে আনেন। তারপর তাওয়ায় রস জ্বাল দিতে থাকেন স্ত্রী তহুরা খাতুন। রস একসময় খয়েরি বর্ণের লালি গুড়ে রূপ নেয়। এরপর বিশেষ পাত্রে ঢেলে দিলে শুকানোর পর হয়ে যায় সুস্বাদু খেজুর গুড়।
শীত নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাজশাহীর বাঘা, পুঠিয়া, চারঘাট ও দুর্গাপুর উপজেলার বাড়িতে বাড়িতে এই গুড় তৈরির কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। এই গুড় হাটে নিয়ে বেচেন গাছিরা। হাতে নগদ টাকা আসে। কয়েক বছর ধরে গুড়ের এই বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরাও। গাছির বাড়ি থেকে সংগ্রহ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সেই গুড় বিক্রি করছেন তাঁরা।
কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিচ্ছেন দেশের নানা প্রান্তে। গুড়ের টাকা চলে আসছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। কৃষি বিভাগ আশা করছে, চলতি বছর জেলায় খেজুর গুড় থেকেই ১৫০ কোটি টাকার বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে। এই হিসাব শুধু গাছি পর্যায়ের। রাজশাহীর খেজুর গুড় সুস্বাদু বলে গেল কয়েক বছরে অনলাইনে বিক্রি বেড়েছে। সেই গুড়ের দামও কিছুটা বেশি। তবে অনলাইন বিক্রেতারা কত টাকার গুড় বিক্রি করেন, তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না।
কৃষি বিভাগের হিসাবে, জেলায় প্রায় ১১ লাখ ৮ হাজার ১৮টি খেজুরগাছ রয়েছে। একটি গাছে বছরে ২০ কেজি খেজুরের রস হয়। তা থেকে ৮ কেজি গুড় হয়। সে হিসাবে মোট গুড়ের উৎপাদন হতে পারে ৮৮ লাখ ৬৪ হাজার ১৪৬ কেজি বা ৮ হাজার ৮৬৪ টন। আর বিক্রি হবে ১৪১ কোটি ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অনলাইনের বাজার ধরলে মোট গুড় বিক্রি হবে ১৫০ কোটি টাকার বেশি।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের গাছি এনামুল হক জানান, তাঁর নিজের গাছ আছে ৯টি। আরও ৫৩টি গাছ তিনি ভাড়া নিয়েছেন মালিকের কাছ থেকে। এক মৌসুমের জন্য প্রতিটি গাছের ভাড়া ১০০ টাকা। এসব গাছ থেকে প্রতিদিন ভোরে তিনি রস নামান। সেই রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেন। সপ্তাহে দুদিন ২২-২৩ কেজি গুড় বাঘা সদরের হাটে নিয়ে বিক্রি করেন। কেজিপ্রতি তিনি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পান। শীতকালে তিনি এভাবেই সংসার চালান।
পুঠিয়ার ঝলমলিয়া গ্রামের গাছি সমশেদ আলী জানান, অনেকে খেজুরের রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দেন। এই গুড়ের দাম কম। এগুলো স্থানীয় হাটে পাইকারেরা কিনে নেয়। সেগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। কিন্তু ইদানীং অনলাইনের উদ্যোক্তারা আগেই জানিয়ে দেন, টাকা বেশি লাগলেও তাঁরা দেবেন, কিন্তু গুড় হতে হবে খাঁটি। এই গুড়ে চিনি মেশানো হয় না। এগুলোর দাম বেশি। গাছিই প্রতি কেজি গুড়ের জন্য ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নেন।
শিবপুর গ্রামের গাছি আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁরাও খাঁটি গুড় তৈরি করতে চান। কিন্তু বাজারে দাম পান না বলে পোষায় না। ইদানীং রস জ্বাল দেওয়ার জন্য খড়িও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। তাই বাধ্য হয়ে রসে চিনি মিশিয়ে গুড় করতে হয়। তবে যাঁরা আগাম জানিয়ে দেন, দাম বেশি হলেও খাঁটি গুড় নেবেন, তাঁদের জন্য শুধু রস দিয়েই গুড় তৈরি করেন।
রাজশাহী নগরের তেরখাদিয়ার কলেজছাত্র মারুফ হোসেন অনলাইনে রাজশাহীর আম, খেজুর গুড়সহ নানা কিছুর অর্ডার নেন। তারপর কুরিয়ারে পাঠিয়ে দেন ক্রেতাদের কাছে। তিনি বলেন, রাজশাহীর গুড় সুস্বাদু। কিন্তু খরচ ওঠে না বলে বেশির ভাগ গাছিই চিনি মিশিয়ে দেন। এতে স্বাদ কমে যায়। এ জন্য অনলাইনের উদ্যোক্তারা অন্তত গাছিদের বেশি দাম দিয়ে খাঁটি গুড় নেন। এর ফলে বাজারের চেয়ে অনলাইনে গুড়ের দাম কিছুটা বেশি হয়। তাঁরা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে প্রতিকেজি খেজুর গুড় বিক্রি করেন। তিনি বলেন, টাকা বেশি হলেও তাঁরা খাঁটি গুড় বিক্রি করতে চান। ক্রেতারাও খাঁটি গুড় চান।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, গুড় তৈরির ক্ষেত্রে গ্রামীণ নারীদেরও অবদান কম নয়। মূলত গাছিরা রস নামিয়ে আনার পর নারীরাই এই রস ছাঁকেন। এরপর গুড় না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দেন। গাছিরা আবার পরে সেই গুড় নিয়ে হাটে বিক্রি করেন। পুরো শীত মৌসুমেই এভাবে গুড় উৎপাদন করা হয়। এতে গ্রামের অর্থনীতি চাঙা হয়।

ভোরের আলো ফোটার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতিতে জহুরুল ইসলাম বেরিয়ে পড়েন গাছ থেকে খেজুরের রস নামাতে। একে একে ৩২টি গাছ থেকে রস নামিয়ে আনেন। তারপর তাওয়ায় রস জ্বাল দিতে থাকেন স্ত্রী তহুরা খাতুন। রস একসময় খয়েরি বর্ণের লালি গুড়ে রূপ নেয়। এরপর বিশেষ পাত্রে ঢেলে দিলে শুকানোর পর হয়ে যায় সুস্বাদু খেজুর গুড়।
শীত নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাজশাহীর বাঘা, পুঠিয়া, চারঘাট ও দুর্গাপুর উপজেলার বাড়িতে বাড়িতে এই গুড় তৈরির কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। এই গুড় হাটে নিয়ে বেচেন গাছিরা। হাতে নগদ টাকা আসে। কয়েক বছর ধরে গুড়ের এই বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরাও। গাছির বাড়ি থেকে সংগ্রহ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সেই গুড় বিক্রি করছেন তাঁরা।
কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিচ্ছেন দেশের নানা প্রান্তে। গুড়ের টাকা চলে আসছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। কৃষি বিভাগ আশা করছে, চলতি বছর জেলায় খেজুর গুড় থেকেই ১৫০ কোটি টাকার বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে। এই হিসাব শুধু গাছি পর্যায়ের। রাজশাহীর খেজুর গুড় সুস্বাদু বলে গেল কয়েক বছরে অনলাইনে বিক্রি বেড়েছে। সেই গুড়ের দামও কিছুটা বেশি। তবে অনলাইন বিক্রেতারা কত টাকার গুড় বিক্রি করেন, তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না।
কৃষি বিভাগের হিসাবে, জেলায় প্রায় ১১ লাখ ৮ হাজার ১৮টি খেজুরগাছ রয়েছে। একটি গাছে বছরে ২০ কেজি খেজুরের রস হয়। তা থেকে ৮ কেজি গুড় হয়। সে হিসাবে মোট গুড়ের উৎপাদন হতে পারে ৮৮ লাখ ৬৪ হাজার ১৪৬ কেজি বা ৮ হাজার ৮৬৪ টন। আর বিক্রি হবে ১৪১ কোটি ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অনলাইনের বাজার ধরলে মোট গুড় বিক্রি হবে ১৫০ কোটি টাকার বেশি।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের গাছি এনামুল হক জানান, তাঁর নিজের গাছ আছে ৯টি। আরও ৫৩টি গাছ তিনি ভাড়া নিয়েছেন মালিকের কাছ থেকে। এক মৌসুমের জন্য প্রতিটি গাছের ভাড়া ১০০ টাকা। এসব গাছ থেকে প্রতিদিন ভোরে তিনি রস নামান। সেই রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেন। সপ্তাহে দুদিন ২২-২৩ কেজি গুড় বাঘা সদরের হাটে নিয়ে বিক্রি করেন। কেজিপ্রতি তিনি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পান। শীতকালে তিনি এভাবেই সংসার চালান।
পুঠিয়ার ঝলমলিয়া গ্রামের গাছি সমশেদ আলী জানান, অনেকে খেজুরের রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দেন। এই গুড়ের দাম কম। এগুলো স্থানীয় হাটে পাইকারেরা কিনে নেয়। সেগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। কিন্তু ইদানীং অনলাইনের উদ্যোক্তারা আগেই জানিয়ে দেন, টাকা বেশি লাগলেও তাঁরা দেবেন, কিন্তু গুড় হতে হবে খাঁটি। এই গুড়ে চিনি মেশানো হয় না। এগুলোর দাম বেশি। গাছিই প্রতি কেজি গুড়ের জন্য ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নেন।
শিবপুর গ্রামের গাছি আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁরাও খাঁটি গুড় তৈরি করতে চান। কিন্তু বাজারে দাম পান না বলে পোষায় না। ইদানীং রস জ্বাল দেওয়ার জন্য খড়িও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। তাই বাধ্য হয়ে রসে চিনি মিশিয়ে গুড় করতে হয়। তবে যাঁরা আগাম জানিয়ে দেন, দাম বেশি হলেও খাঁটি গুড় নেবেন, তাঁদের জন্য শুধু রস দিয়েই গুড় তৈরি করেন।
রাজশাহী নগরের তেরখাদিয়ার কলেজছাত্র মারুফ হোসেন অনলাইনে রাজশাহীর আম, খেজুর গুড়সহ নানা কিছুর অর্ডার নেন। তারপর কুরিয়ারে পাঠিয়ে দেন ক্রেতাদের কাছে। তিনি বলেন, রাজশাহীর গুড় সুস্বাদু। কিন্তু খরচ ওঠে না বলে বেশির ভাগ গাছিই চিনি মিশিয়ে দেন। এতে স্বাদ কমে যায়। এ জন্য অনলাইনের উদ্যোক্তারা অন্তত গাছিদের বেশি দাম দিয়ে খাঁটি গুড় নেন। এর ফলে বাজারের চেয়ে অনলাইনে গুড়ের দাম কিছুটা বেশি হয়। তাঁরা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে প্রতিকেজি খেজুর গুড় বিক্রি করেন। তিনি বলেন, টাকা বেশি হলেও তাঁরা খাঁটি গুড় বিক্রি করতে চান। ক্রেতারাও খাঁটি গুড় চান।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, গুড় তৈরির ক্ষেত্রে গ্রামীণ নারীদেরও অবদান কম নয়। মূলত গাছিরা রস নামিয়ে আনার পর নারীরাই এই রস ছাঁকেন। এরপর গুড় না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দেন। গাছিরা আবার পরে সেই গুড় নিয়ে হাটে বিক্রি করেন। পুরো শীত মৌসুমেই এভাবে গুড় উৎপাদন করা হয়। এতে গ্রামের অর্থনীতি চাঙা হয়।
রাজশাহীর খেজুর গুড়
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ভোরের আলো ফোটার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতিতে জহুরুল ইসলাম বেরিয়ে পড়েন গাছ থেকে খেজুরের রস নামাতে। একে একে ৩২টি গাছ থেকে রস নামিয়ে আনেন। তারপর তাওয়ায় রস জ্বাল দিতে থাকেন স্ত্রী তহুরা খাতুন। রস একসময় খয়েরি বর্ণের লালি গুড়ে রূপ নেয়। এরপর বিশেষ পাত্রে ঢেলে দিলে শুকানোর পর হয়ে যায় সুস্বাদু খেজুর গুড়।
শীত নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাজশাহীর বাঘা, পুঠিয়া, চারঘাট ও দুর্গাপুর উপজেলার বাড়িতে বাড়িতে এই গুড় তৈরির কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। এই গুড় হাটে নিয়ে বেচেন গাছিরা। হাতে নগদ টাকা আসে। কয়েক বছর ধরে গুড়ের এই বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরাও। গাছির বাড়ি থেকে সংগ্রহ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সেই গুড় বিক্রি করছেন তাঁরা।
কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিচ্ছেন দেশের নানা প্রান্তে। গুড়ের টাকা চলে আসছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। কৃষি বিভাগ আশা করছে, চলতি বছর জেলায় খেজুর গুড় থেকেই ১৫০ কোটি টাকার বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে। এই হিসাব শুধু গাছি পর্যায়ের। রাজশাহীর খেজুর গুড় সুস্বাদু বলে গেল কয়েক বছরে অনলাইনে বিক্রি বেড়েছে। সেই গুড়ের দামও কিছুটা বেশি। তবে অনলাইন বিক্রেতারা কত টাকার গুড় বিক্রি করেন, তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না।
কৃষি বিভাগের হিসাবে, জেলায় প্রায় ১১ লাখ ৮ হাজার ১৮টি খেজুরগাছ রয়েছে। একটি গাছে বছরে ২০ কেজি খেজুরের রস হয়। তা থেকে ৮ কেজি গুড় হয়। সে হিসাবে মোট গুড়ের উৎপাদন হতে পারে ৮৮ লাখ ৬৪ হাজার ১৪৬ কেজি বা ৮ হাজার ৮৬৪ টন। আর বিক্রি হবে ১৪১ কোটি ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অনলাইনের বাজার ধরলে মোট গুড় বিক্রি হবে ১৫০ কোটি টাকার বেশি।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের গাছি এনামুল হক জানান, তাঁর নিজের গাছ আছে ৯টি। আরও ৫৩টি গাছ তিনি ভাড়া নিয়েছেন মালিকের কাছ থেকে। এক মৌসুমের জন্য প্রতিটি গাছের ভাড়া ১০০ টাকা। এসব গাছ থেকে প্রতিদিন ভোরে তিনি রস নামান। সেই রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেন। সপ্তাহে দুদিন ২২-২৩ কেজি গুড় বাঘা সদরের হাটে নিয়ে বিক্রি করেন। কেজিপ্রতি তিনি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পান। শীতকালে তিনি এভাবেই সংসার চালান।
পুঠিয়ার ঝলমলিয়া গ্রামের গাছি সমশেদ আলী জানান, অনেকে খেজুরের রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দেন। এই গুড়ের দাম কম। এগুলো স্থানীয় হাটে পাইকারেরা কিনে নেয়। সেগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। কিন্তু ইদানীং অনলাইনের উদ্যোক্তারা আগেই জানিয়ে দেন, টাকা বেশি লাগলেও তাঁরা দেবেন, কিন্তু গুড় হতে হবে খাঁটি। এই গুড়ে চিনি মেশানো হয় না। এগুলোর দাম বেশি। গাছিই প্রতি কেজি গুড়ের জন্য ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নেন।
শিবপুর গ্রামের গাছি আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁরাও খাঁটি গুড় তৈরি করতে চান। কিন্তু বাজারে দাম পান না বলে পোষায় না। ইদানীং রস জ্বাল দেওয়ার জন্য খড়িও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। তাই বাধ্য হয়ে রসে চিনি মিশিয়ে গুড় করতে হয়। তবে যাঁরা আগাম জানিয়ে দেন, দাম বেশি হলেও খাঁটি গুড় নেবেন, তাঁদের জন্য শুধু রস দিয়েই গুড় তৈরি করেন।
রাজশাহী নগরের তেরখাদিয়ার কলেজছাত্র মারুফ হোসেন অনলাইনে রাজশাহীর আম, খেজুর গুড়সহ নানা কিছুর অর্ডার নেন। তারপর কুরিয়ারে পাঠিয়ে দেন ক্রেতাদের কাছে। তিনি বলেন, রাজশাহীর গুড় সুস্বাদু। কিন্তু খরচ ওঠে না বলে বেশির ভাগ গাছিই চিনি মিশিয়ে দেন। এতে স্বাদ কমে যায়। এ জন্য অনলাইনের উদ্যোক্তারা অন্তত গাছিদের বেশি দাম দিয়ে খাঁটি গুড় নেন। এর ফলে বাজারের চেয়ে অনলাইনে গুড়ের দাম কিছুটা বেশি হয়। তাঁরা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে প্রতিকেজি খেজুর গুড় বিক্রি করেন। তিনি বলেন, টাকা বেশি হলেও তাঁরা খাঁটি গুড় বিক্রি করতে চান। ক্রেতারাও খাঁটি গুড় চান।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, গুড় তৈরির ক্ষেত্রে গ্রামীণ নারীদেরও অবদান কম নয়। মূলত গাছিরা রস নামিয়ে আনার পর নারীরাই এই রস ছাঁকেন। এরপর গুড় না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দেন। গাছিরা আবার পরে সেই গুড় নিয়ে হাটে বিক্রি করেন। পুরো শীত মৌসুমেই এভাবে গুড় উৎপাদন করা হয়। এতে গ্রামের অর্থনীতি চাঙা হয়।

ভোরের আলো ফোটার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতিতে জহুরুল ইসলাম বেরিয়ে পড়েন গাছ থেকে খেজুরের রস নামাতে। একে একে ৩২টি গাছ থেকে রস নামিয়ে আনেন। তারপর তাওয়ায় রস জ্বাল দিতে থাকেন স্ত্রী তহুরা খাতুন। রস একসময় খয়েরি বর্ণের লালি গুড়ে রূপ নেয়। এরপর বিশেষ পাত্রে ঢেলে দিলে শুকানোর পর হয়ে যায় সুস্বাদু খেজুর গুড়।
শীত নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাজশাহীর বাঘা, পুঠিয়া, চারঘাট ও দুর্গাপুর উপজেলার বাড়িতে বাড়িতে এই গুড় তৈরির কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। এই গুড় হাটে নিয়ে বেচেন গাছিরা। হাতে নগদ টাকা আসে। কয়েক বছর ধরে গুড়ের এই বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরাও। গাছির বাড়ি থেকে সংগ্রহ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে সেই গুড় বিক্রি করছেন তাঁরা।
কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিচ্ছেন দেশের নানা প্রান্তে। গুড়ের টাকা চলে আসছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। কৃষি বিভাগ আশা করছে, চলতি বছর জেলায় খেজুর গুড় থেকেই ১৫০ কোটি টাকার বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে। এই হিসাব শুধু গাছি পর্যায়ের। রাজশাহীর খেজুর গুড় সুস্বাদু বলে গেল কয়েক বছরে অনলাইনে বিক্রি বেড়েছে। সেই গুড়ের দামও কিছুটা বেশি। তবে অনলাইন বিক্রেতারা কত টাকার গুড় বিক্রি করেন, তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না।
কৃষি বিভাগের হিসাবে, জেলায় প্রায় ১১ লাখ ৮ হাজার ১৮টি খেজুরগাছ রয়েছে। একটি গাছে বছরে ২০ কেজি খেজুরের রস হয়। তা থেকে ৮ কেজি গুড় হয়। সে হিসাবে মোট গুড়ের উৎপাদন হতে পারে ৮৮ লাখ ৬৪ হাজার ১৪৬ কেজি বা ৮ হাজার ৮৬৪ টন। আর বিক্রি হবে ১৪১ কোটি ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অনলাইনের বাজার ধরলে মোট গুড় বিক্রি হবে ১৫০ কোটি টাকার বেশি।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের গাছি এনামুল হক জানান, তাঁর নিজের গাছ আছে ৯টি। আরও ৫৩টি গাছ তিনি ভাড়া নিয়েছেন মালিকের কাছ থেকে। এক মৌসুমের জন্য প্রতিটি গাছের ভাড়া ১০০ টাকা। এসব গাছ থেকে প্রতিদিন ভোরে তিনি রস নামান। সেই রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেন। সপ্তাহে দুদিন ২২-২৩ কেজি গুড় বাঘা সদরের হাটে নিয়ে বিক্রি করেন। কেজিপ্রতি তিনি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পান। শীতকালে তিনি এভাবেই সংসার চালান।
পুঠিয়ার ঝলমলিয়া গ্রামের গাছি সমশেদ আলী জানান, অনেকে খেজুরের রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দেন। এই গুড়ের দাম কম। এগুলো স্থানীয় হাটে পাইকারেরা কিনে নেয়। সেগুলো দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। কিন্তু ইদানীং অনলাইনের উদ্যোক্তারা আগেই জানিয়ে দেন, টাকা বেশি লাগলেও তাঁরা দেবেন, কিন্তু গুড় হতে হবে খাঁটি। এই গুড়ে চিনি মেশানো হয় না। এগুলোর দাম বেশি। গাছিই প্রতি কেজি গুড়ের জন্য ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নেন।
শিবপুর গ্রামের গাছি আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁরাও খাঁটি গুড় তৈরি করতে চান। কিন্তু বাজারে দাম পান না বলে পোষায় না। ইদানীং রস জ্বাল দেওয়ার জন্য খড়িও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। তাই বাধ্য হয়ে রসে চিনি মিশিয়ে গুড় করতে হয়। তবে যাঁরা আগাম জানিয়ে দেন, দাম বেশি হলেও খাঁটি গুড় নেবেন, তাঁদের জন্য শুধু রস দিয়েই গুড় তৈরি করেন।
রাজশাহী নগরের তেরখাদিয়ার কলেজছাত্র মারুফ হোসেন অনলাইনে রাজশাহীর আম, খেজুর গুড়সহ নানা কিছুর অর্ডার নেন। তারপর কুরিয়ারে পাঠিয়ে দেন ক্রেতাদের কাছে। তিনি বলেন, রাজশাহীর গুড় সুস্বাদু। কিন্তু খরচ ওঠে না বলে বেশির ভাগ গাছিই চিনি মিশিয়ে দেন। এতে স্বাদ কমে যায়। এ জন্য অনলাইনের উদ্যোক্তারা অন্তত গাছিদের বেশি দাম দিয়ে খাঁটি গুড় নেন। এর ফলে বাজারের চেয়ে অনলাইনে গুড়ের দাম কিছুটা বেশি হয়। তাঁরা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে প্রতিকেজি খেজুর গুড় বিক্রি করেন। তিনি বলেন, টাকা বেশি হলেও তাঁরা খাঁটি গুড় বিক্রি করতে চান। ক্রেতারাও খাঁটি গুড় চান।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, গুড় তৈরির ক্ষেত্রে গ্রামীণ নারীদেরও অবদান কম নয়। মূলত গাছিরা রস নামিয়ে আনার পর নারীরাই এই রস ছাঁকেন। এরপর গুড় না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দেন। গাছিরা আবার পরে সেই গুড় নিয়ে হাটে বিক্রি করেন। পুরো শীত মৌসুমেই এভাবে গুড় উৎপাদন করা হয়। এতে গ্রামের অর্থনীতি চাঙা হয়।

শেরপুর-১ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা বাজার আদিতমারী বাইপাস সড়কের আনছার খাঁর পুকুরপাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নওগাঁর ধামইরহাটে গরুবোঝাই একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটি উল্টে চাপা পড়ে দুই ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়-সাতজন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিহারীনগর বাইপাস রাস্তায় ডাবল ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলাজুড়ে এবার জোঁকের অস্বাভাবিক উপদ্রব দেখা দিয়েছে। বিশেষত এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জোঁকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোপা আমন ধান কাটা ও দৈনন্দিন কৃষিকাজ নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। ছোট জলাশয়, ধানখেত থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনা পর্যন্ত এদের..
২ ঘণ্টা আগেশেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর-১ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতিসহ জামায়াতের অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে শহরজুড়ে জামায়াত ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, শুক্রবার জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাতে বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা হয় এবং পরে বিএনপির সমর্থকেরা জামায়াত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। এ সময় জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপনসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীর গণসংযোগে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর এসব হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ইতিমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের প্রতি আলটিমেটাম দিচ্ছি।’
জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিএনপি যদি জনগণের পালস বুঝতে না পারে, তাহলে আগামী দিনে তারাও বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে হারিয়ে যেতে বাধ্য হবে।
অন্যদিকে জামায়াতের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে শুক্রবার রাতে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকপাড়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গিয়েছিল। সেখানে কয়েকটি মসজিদে মিটিং-মিছিল করে তারা গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এলাকাবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ করলে তারা এলাকা ছেড়ে চলে আসে।’
সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে তারা থানায় গিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। তারা মিথ্যা কথা বলছে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। আমরা তাদের এই প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেরপুর-১ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতিসহ জামায়াতের অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে শহরজুড়ে জামায়াত ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, শুক্রবার জুমার নামাজের পর শেরপুর-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম ডাকপাড়া গ্রামে গণসংযোগে বের হলে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাতে বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা হয় এবং পরে বিএনপির সমর্থকেরা জামায়াত নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। এ সময় জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপনসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীর গণসংযোগে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। ৫ আগস্টের বিপ্লবের পর এসব হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ইতিমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনের প্রতি আলটিমেটাম দিচ্ছি।’
জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিএনপি যদি জনগণের পালস বুঝতে না পারে, তাহলে আগামী দিনে তারাও বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে হারিয়ে যেতে বাধ্য হবে।
অন্যদিকে জামায়াতের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে শুক্রবার রাতে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডাকপাড়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে গিয়েছিল। সেখানে কয়েকটি মসজিদে মিটিং-মিছিল করে তারা গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এলাকাবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ করলে তারা এলাকা ছেড়ে চলে আসে।’
সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে তারা থানায় গিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। তারা মিথ্যা কথা বলছে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। আমরা তাদের এই প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ভোরের আলো ফোটার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতিতে জহুরুল ইসলাম বেরিয়ে পড়েন গাছ থেকে খেজুরের রস নামাতে। একে একে ৩২টি গাছ থেকে রস নামিয়ে আনেন। তারপর তাওয়ায় রস জ্বাল দিতে থাকেন স্ত্রী তহুরা খাতুন। রস একসময় খয়েরি বর্ণের লালি গুড়ে রূপ নেয়। এরপর বিশেষ পাত্রে ঢেলে দিলে শুকানোর পর হয়ে যায় সুস্বাদু খেজুর গুড়।
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা বাজার আদিতমারী বাইপাস সড়কের আনছার খাঁর পুকুরপাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নওগাঁর ধামইরহাটে গরুবোঝাই একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটি উল্টে চাপা পড়ে দুই ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়-সাতজন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিহারীনগর বাইপাস রাস্তায় ডাবল ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলাজুড়ে এবার জোঁকের অস্বাভাবিক উপদ্রব দেখা দিয়েছে। বিশেষত এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জোঁকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোপা আমন ধান কাটা ও দৈনন্দিন কৃষিকাজ নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। ছোট জলাশয়, ধানখেত থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনা পর্যন্ত এদের..
২ ঘণ্টা আগেলালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা বাজার আদিতমারী বাইপাস সড়কের আনছার খাঁর পুকুরপাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া ব্রমত্তর গ্রামের মৃত তালেব্বর রহমানের ছেলে বকুল মিয়া (৬০) ও একই ইউনিয়নের কচুড়ুমা বারহাত কালী এলাকার মেছের আলীর জামাতা আতিকুল ইসলাম আতিক (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মহিষখোচা বাজার থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা আদিতমারী যাচ্ছিল। আনছার পুকুরপাড়ে ওই অটোরিকশায় ওঠেন আতিকুল ইসলাম আতিক। একটু এগিয়ে যাওয়ার পরই খাদে পড়ে উল্টে গিয়ে নিচের গর্তে পড়ে যায় অটোরিকশা। এতে ঘটনাস্থলে আতিকুল মারা যান। আহত হন বকুল মিয়াসহ একজন নারী।
স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আশঙ্কাজনক বকুল মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রংপুর যাওয়ার পথেই মারা যান বকুল মিয়া।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা বাজার আদিতমারী বাইপাস সড়কের আনছার খাঁর পুকুরপাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া ব্রমত্তর গ্রামের মৃত তালেব্বর রহমানের ছেলে বকুল মিয়া (৬০) ও একই ইউনিয়নের কচুড়ুমা বারহাত কালী এলাকার মেছের আলীর জামাতা আতিকুল ইসলাম আতিক (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মহিষখোচা বাজার থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা আদিতমারী যাচ্ছিল। আনছার পুকুরপাড়ে ওই অটোরিকশায় ওঠেন আতিকুল ইসলাম আতিক। একটু এগিয়ে যাওয়ার পরই খাদে পড়ে উল্টে গিয়ে নিচের গর্তে পড়ে যায় অটোরিকশা। এতে ঘটনাস্থলে আতিকুল মারা যান। আহত হন বকুল মিয়াসহ একজন নারী।
স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আশঙ্কাজনক বকুল মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রংপুর যাওয়ার পথেই মারা যান বকুল মিয়া।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ভোরের আলো ফোটার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতিতে জহুরুল ইসলাম বেরিয়ে পড়েন গাছ থেকে খেজুরের রস নামাতে। একে একে ৩২টি গাছ থেকে রস নামিয়ে আনেন। তারপর তাওয়ায় রস জ্বাল দিতে থাকেন স্ত্রী তহুরা খাতুন। রস একসময় খয়েরি বর্ণের লালি গুড়ে রূপ নেয়। এরপর বিশেষ পাত্রে ঢেলে দিলে শুকানোর পর হয়ে যায় সুস্বাদু খেজুর গুড়।
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
শেরপুর-১ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নওগাঁর ধামইরহাটে গরুবোঝাই একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটি উল্টে চাপা পড়ে দুই ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়-সাতজন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিহারীনগর বাইপাস রাস্তায় ডাবল ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলাজুড়ে এবার জোঁকের অস্বাভাবিক উপদ্রব দেখা দিয়েছে। বিশেষত এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জোঁকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোপা আমন ধান কাটা ও দৈনন্দিন কৃষিকাজ নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। ছোট জলাশয়, ধানখেত থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনা পর্যন্ত এদের..
২ ঘণ্টা আগেনওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর ধামইরহাটে গরুবোঝাই একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটি উল্টে চাপা পড়ে দুই ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়-সাতজন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিহারীনগর বাইপাস রাস্তায় ডাবল ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ীরা হলেন আড়ানগর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে ভুট্টু (৪৫) ও একই গ্রামের জয়নুলের ছেলে নূর আলম (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তিরা গরু কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। শনিবার সকালে ভটভটিতে করে গরু নিয়ে জয়পুরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিহারীনগর বাইপাস রাস্তায় ডাবল ব্রিজ এলাকায় একটি মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় তাদের বহন করা ভটভটি। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। এ সময় ভটভটিতে থাকা অন্যদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর জানান, সকালে বিহারীনগর বাইপাস রাস্তায় ডাবল ব্রিজ এলাকায় ভটভটি উল্টে চাপা পড়ে দুজন নিহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

নওগাঁর ধামইরহাটে গরুবোঝাই একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটি উল্টে চাপা পড়ে দুই ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়-সাতজন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিহারীনগর বাইপাস রাস্তায় ডাবল ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ীরা হলেন আড়ানগর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে ভুট্টু (৪৫) ও একই গ্রামের জয়নুলের ছেলে নূর আলম (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তিরা গরু কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। শনিবার সকালে ভটভটিতে করে গরু নিয়ে জয়পুরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিহারীনগর বাইপাস রাস্তায় ডাবল ব্রিজ এলাকায় একটি মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় তাদের বহন করা ভটভটি। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। এ সময় ভটভটিতে থাকা অন্যদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেন।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর জানান, সকালে বিহারীনগর বাইপাস রাস্তায় ডাবল ব্রিজ এলাকায় ভটভটি উল্টে চাপা পড়ে দুজন নিহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ভোরের আলো ফোটার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতিতে জহুরুল ইসলাম বেরিয়ে পড়েন গাছ থেকে খেজুরের রস নামাতে। একে একে ৩২টি গাছ থেকে রস নামিয়ে আনেন। তারপর তাওয়ায় রস জ্বাল দিতে থাকেন স্ত্রী তহুরা খাতুন। রস একসময় খয়েরি বর্ণের লালি গুড়ে রূপ নেয়। এরপর বিশেষ পাত্রে ঢেলে দিলে শুকানোর পর হয়ে যায় সুস্বাদু খেজুর গুড়।
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
শেরপুর-১ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা বাজার আদিতমারী বাইপাস সড়কের আনছার খাঁর পুকুরপাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলাজুড়ে এবার জোঁকের অস্বাভাবিক উপদ্রব দেখা দিয়েছে। বিশেষত এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জোঁকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোপা আমন ধান কাটা ও দৈনন্দিন কৃষিকাজ নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। ছোট জলাশয়, ধানখেত থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনা পর্যন্ত এদের..
২ ঘণ্টা আগেসখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলাজুড়ে এবার জোঁকের অস্বাভাবিক উপদ্রব দেখা দিয়েছে। বিশেষত এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জোঁকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোপা আমন ধান কাটা ও দৈনন্দিন কৃষিকাজ নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। ছোট জলাশয়, ধানখেত থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনা পর্যন্ত এদের আনাগোনায় হাঁস, মুরগি, গবাদিপশু ও শিশুরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা; যেমন দাড়িয়াপুর, হামিদপুর, গজারিয়া, মুচারিয়া পাথার, বড়চওনা, দারিপাকা, কচুয়া, কালিয়া, মৌলভীবাজার, শ্রীপুর, বটতলী, কালিদাস, বোয়ালী, প্রতিমা বংকীসহ প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে জোঁকের উপদ্রব লক্ষ করা গেছে। গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার শরীরে জোঁক লেগে রক্ত শোষণ করছে।
শুধু মাঠ নয়, বাড়ির আঙিনা, শিশুদের খেলার মাঠ, স্যাঁতসেঁতে জায়গা, পানির পাত্র ও ঝোপঝাড়েও এদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভেজা মাটি বা ঘাসের সংস্পর্শে এলেই জোঁক শরীরে উঠে আসছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন কৃষিকাজে নিযুক্ত শ্রমিকেরা। অনেক এলাকায় জোঁকের ভয়ে শ্রমিকেরা মাঠে নামতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
উপজেলার মুচারিয়া পাথার গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, জোঁকের উপদ্রবে খেতখামারে কাজ করতে ভয় করে। গরু-ছাগলের নাক দিয়ে জোঁক গিয়ে রক্ত শুষে নেয়। জোঁক তাড়াতে অনেকেই লবণ, তামাকের গুঁড়া, ডেটলমিশ্রিত পানি ব্যবহার করছে। কেউ কেউ গামবুট বা পলিথিন দিয়ে পা মুড়িয়ে মাঠে নামছে।
পাথারপুর জনতা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয় মাঠেও জোঁক আছে। জোঁকের ভয়ে মাঝেমধ্যে তাদের ক্লাস বন্ধ থাকে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুকনো ধানখেতে জোঁকের উপস্থিতি দেখা যায়নি। তবে এ বছর বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকায় বাড়ির আঙিনার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জোঁকের উপদ্রব বেশি। আমরা কৃষকদের বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও কৃষকদের নিয়মিত সচেতন করছেন।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার জোঁকের উপদ্রব একটু বেশি। গবাদিপশু সুরক্ষায় আক্রান্ত এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি, ওষুধ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলাজুড়ে এবার জোঁকের অস্বাভাবিক উপদ্রব দেখা দিয়েছে। বিশেষত এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জোঁকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোপা আমন ধান কাটা ও দৈনন্দিন কৃষিকাজ নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। ছোট জলাশয়, ধানখেত থেকে শুরু করে বাড়ির আঙিনা পর্যন্ত এদের আনাগোনায় হাঁস, মুরগি, গবাদিপশু ও শিশুরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা; যেমন দাড়িয়াপুর, হামিদপুর, গজারিয়া, মুচারিয়া পাথার, বড়চওনা, দারিপাকা, কচুয়া, কালিয়া, মৌলভীবাজার, শ্রীপুর, বটতলী, কালিদাস, বোয়ালী, প্রতিমা বংকীসহ প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে জোঁকের উপদ্রব লক্ষ করা গেছে। গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার শরীরে জোঁক লেগে রক্ত শোষণ করছে।
শুধু মাঠ নয়, বাড়ির আঙিনা, শিশুদের খেলার মাঠ, স্যাঁতসেঁতে জায়গা, পানির পাত্র ও ঝোপঝাড়েও এদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভেজা মাটি বা ঘাসের সংস্পর্শে এলেই জোঁক শরীরে উঠে আসছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন কৃষিকাজে নিযুক্ত শ্রমিকেরা। অনেক এলাকায় জোঁকের ভয়ে শ্রমিকেরা মাঠে নামতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
উপজেলার মুচারিয়া পাথার গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, জোঁকের উপদ্রবে খেতখামারে কাজ করতে ভয় করে। গরু-ছাগলের নাক দিয়ে জোঁক গিয়ে রক্ত শুষে নেয়। জোঁক তাড়াতে অনেকেই লবণ, তামাকের গুঁড়া, ডেটলমিশ্রিত পানি ব্যবহার করছে। কেউ কেউ গামবুট বা পলিথিন দিয়ে পা মুড়িয়ে মাঠে নামছে।
পাথারপুর জনতা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয় মাঠেও জোঁক আছে। জোঁকের ভয়ে মাঝেমধ্যে তাদের ক্লাস বন্ধ থাকে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুকনো ধানখেতে জোঁকের উপস্থিতি দেখা যায়নি। তবে এ বছর বৃষ্টির পরিমাণ বেশি থাকায় বাড়ির আঙিনার স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জোঁকের উপদ্রব বেশি। আমরা কৃষকদের বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারাও কৃষকদের নিয়মিত সচেতন করছেন।’
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার জোঁকের উপদ্রব একটু বেশি। গবাদিপশু সুরক্ষায় আক্রান্ত এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি, ওষুধ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ভোরের আলো ফোটার আগেই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতিতে জহুরুল ইসলাম বেরিয়ে পড়েন গাছ থেকে খেজুরের রস নামাতে। একে একে ৩২টি গাছ থেকে রস নামিয়ে আনেন। তারপর তাওয়ায় রস জ্বাল দিতে থাকেন স্ত্রী তহুরা খাতুন। রস একসময় খয়েরি বর্ণের লালি গুড়ে রূপ নেয়। এরপর বিশেষ পাত্রে ঢেলে দিলে শুকানোর পর হয়ে যায় সুস্বাদু খেজুর গুড়।
২১ ডিসেম্বর ২০২৪
শেরপুর-১ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলামের গণসংযোগে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অটোরিকশা উল্টে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা বাজার আদিতমারী বাইপাস সড়কের আনছার খাঁর পুকুরপাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নওগাঁর ধামইরহাটে গরুবোঝাই একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভটভটি উল্টে চাপা পড়ে দুই ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়-সাতজন। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বিহারীনগর বাইপাস রাস্তায় ডাবল ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে